![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“মানুষকে ভালবাসার মধ্যে নিহিত আছে পরম তৃপ্তী”
সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়টি বিষয় বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকা গুলুর শিরোনাম ছিল তার মধ্যে অন্যতম একটি " তিতাসে কেজি মেপে ঘুষ লেনদেন" Click This Link এই শিরোনামের পর দুদক তিতাসের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুদকে হাজির হওয়ার জন্য তলব করে। কিন্তু যারা কষ্ট করে জনগনের এই টাকা লুট করেছেন তারা এত তাড়াতাড়ি দুদকে হাজির হবেন তা কি করে হয় বলুন! তারা এত কষ্ট করেছে এই দরুন প্রতিদিন অফিস এসে চিন্তা করে মাথা খাটিয়ে কেজিতে কত টাকা নিবেন তার একটা হিসাবের বেপার সেপার আছে না। তাদের কেজির মাপের ধরনটাও আবার ভিন্ন । তারা সাংকেতিক চিহ্নে টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করেন। তিতাস নয় বরং তাদের মত সরকারী আরও কিছু বিভাগ আছে যারা এই সাংকেতিক চিহ্ন ব্যাবহার করেন। যেসব মন্ত্রনালয়ে কেনাকাটা বেশি সাংকেতিক চিহ্ন ব্যাবহার হয় যেমন LGED, RHD, REB, BWDB, POLICE, JAIL DEPARTMENT etc. এসব বিভাগে বেশি বা মোটা দাগে ঘুষ লেনদেন হয় এবং এই ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যাবহার হয়। তাদের কাছে লাখ টাকা মানে একটাকা অর্থাৎ তিতাসে এক কেজি মানে এক লাখ, LGED, RHD, REB, BWDB এইগুলুতে এককোটি টাকার কাজ দিলে ১০ টাকা মানে ১০ লক্ষ একেই ভাবে পুলিশে বা জেল ডিপার্টমেন্টে কনস্টেবল কারারক্ষি নিয়োগে দশ লাখে ১০ টাকা বার লাখে ১২ টাকা এই চিহ্ন ব্যাবহার করেন। তাহলে এই যে এত বুদ্ধি করে এই ধরনের আইডিয়া তারা বের করে এত টাকা লুট করেছেন তাতে কি তাদের কষ্ট হয় নি? দুদক কাজ কাম নেই ঢেকে বসলেন আর ওইদিক দিয়ে এত ক্রিয়েটিব লোকজনের এতদিনের ক্লান্তিতে তারা দুদকে হাজির হতে পারছেন না।
আমার মাঝে মাঝে হাসি পায় কি জন্য এদের কে দুদকে ডাকা হয়??? কি করবেন ওনারা?? তারা কি কিছু করতে পেরেছেন?? সোনালি ব্যাংক, হলমার্ক, ডেসটিনি এইগুলুর কি কোন বিচার করতে পেরেছেন? পারেন নি। আমাদের দেশে সরকারি এমন কোন অফিস নেই যেখানে সাংকেতিক চিহ্নের জবাব দিতে না পারলে কাজ হয়।
এক্ষেত্রে উচিত সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেওয়া সাথে রাজনৈতিক দলের সকল এম পি মন্ত্রিদের।
যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী কেজি মাপের সাথে জড়িত তাদের ধরেএনে প্রকাশ্যে বিচার করা। সেই সাথে আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে প্রয়োজনে প্রমাণসহ ধরে হাত পা বেধে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে আমাদের আগামি প্রজন্মের কথা চিন্তা করে।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু তিতাস না সন প্রতিষ্ঠানেই ঘুষ খাওয়া-খাওয়ি হয়।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
নিক্সন বলেছেন: সহমত আপনার সাথে।কিন্তু উত্তরণের উপায় দেখছি না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২
হাবিব বলেছেন:
তাদেরকে হালাল করে ঘুষ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
অন্যথায় যদি ঘুষের মধ্যে চিনির পরিমান বেশি থাকে তাহলে ডায়বেটিস হতে পারে।
আবার তেলের পরিমান বেশি হলে হতে পারে হার্টের সমস্যা।
সুতরাং সাধু সাবধান।
দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ।