নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Be real, be yourself, be unique, be true, be honest, be humble, be happy”

নিক্সন

“মানুষকে ভালবাসার মধ্যে নিহিত আছে পরম তৃপ্তী”

নিক্সন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা অচলের হুমকি দিল ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চা: যত্রতত্র ইচ্ছামাফিক ছ্যাপ ওরফে থুতু ফেলা একজন মানুষের মৌলিক অধিকার

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

মানুষের কতরকমের মানবাধিকার রয়েছে তা এই সংবাদ না পরলে বুঝতাম না।
https://www.prothomalo.com/fun/ঢাকা-অচলের-হুমকি-দিল-ছ্যাপতান্ত্রিক-মোর্চা

যত্রতত্র ইচ্ছামাফিক ছ্যাপ ওরফে থুতু ফেলা একজন মানুষের মৌলিক অধিকার। ঢাকা অচলের হুমকি দিল ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চা।
নতুন বিতর্কে রাজধানী ঢাকার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পুরো শহর অচলের হুমকি দিয়েছে ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চা। সংগঠনটির উচ্চপর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, এটি একটি প্রতীকী কর্মসূচি। দাবি মানা না হলে ঢাকার মতোই পুরো দেশে আন্দোলনের পানি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চা নিজেদের মানবাধিকার রক্ষার সংগঠন বলে দাবি করে আসছে। সংগঠনটির বক্তব্য, যত্রতত্র ইচ্ছামাফিক ছ্যাপ ওরফে থুতু ফেলা একজন মানুষের মৌলিক অধিকার। আর যেহেতু এটি মানুষের মৌলিক অধিকার, কুকুর-বেড়ালের নয়, সুতরাং একে মানবাধিকার বলে ঘোষণা করা সেকেন্ডের বা মুহূর্তের দাবি। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্ক আছে। ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চার দাবির সঙ্গে এর বিরোধীরা একমত নয়। বিরোধীদের দাবি, যেখানেসেখানে থুতু ফেলা একটি বর্বর স্বভাব। কোনো সভ্য মানুষ এমনটা করতে পারেন না। তবে ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চা বলছে, পোস্টমডার্ন যুগে সভ্যতার স্বভাব অনেক বদলে গেছে। একমাত্র কূপমন্ডুকদেরই এ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। মানবিক অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে কুয়া খুঁজে বের করে সেখানকার ব্যাঙদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও চেয়েছে এই সংগঠন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার মহামারির মধ্যে এমন অভ্যাসের স্বীকৃতি দিলে তা ক্ষতিকর হবে। তবে ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চার নেতারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সঙ্গে তাদের আলোচনা হচ্ছে। মাস্ক পরা না পরা নিয়ে বহুমাত্রিক মন্তব্যের পর শিগগিরই থুতু বিষয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য দিতে রাজি হতে পারে সংস্থাটি। ধারণা করা হচ্ছে, এসব মন্তব্যের মধ্য দিয়ে একবার সাপ মারা হবে, আরেকবার লাঠি ভাঙা হবে। আর দিন শেষে মানুষের গালি খাবে ওঝারা। এ জন্য ওঝাদের প্রতি বিশেষ বরাদ্দও দেওয়া হবে।

ঠোঁটের সামনে মাস্ক থাকলে তা থুতু বা ছ্যাপ ফেলতে অবকাঠামোগত বাধা সৃষ্টি করে। এই বাধা সরিয়ে ফেলার জন্যই মোর্চার সদস্যদের থুতনিতে মাস্ক রাখতে বলা হয়েছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে মাস্ক কপালেও লাগাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চোখ যেন ঢেকে না যায়।
পাল্টাপাল্টি এসব বক্তব্যের তুমুল টর্নেডোর মধ্যেই ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন একটু থামুন ডেস্কের এই প্রতিবেদক। গিয়ে দেখা যায় ফেস শিল্ড পরলেও মোর্চার নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ মুখে মাস্ক পরেননি। তবে সবার থুতনিতেই মাস্ক ছিল। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন, শুধু থুতনিতে পরার জন্যই বিশেষ কিছু মাস্ক তিনি কিনেছেন। মোর্চার নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে এটি নাকি অলিখিত পূর্বশর্ত।

এ বিষয়ে মোর্চার সভাপতি কাম সহসভাপতি কাম সাধারণ সম্পাদক কাম সাংগঠনিক সম্পাদক (একই ব্যক্তি, বিভ্রান্ত হবেন না) নামের বদলে ছবি প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, ঠোঁটের সামনে মাস্ক থাকলে তা থুতু বা ছ্যাপ ফেলতে অবকাঠামোগত বাধা সৃষ্টি করে। এই বাধা সরিয়ে ফেলার জন্যই মোর্চার সদস্যদের থুতনিতে মাস্ক রাখতে বলা হয়েছে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে মাস্ক কপালেও লাগাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, চোখ যেন ঢেকে না যায়।
এই নেতা আরও বলেন, যেখানেসেখানে থুতু ফেলার বৈজ্ঞানিক কার্যকারণ আছে। এতে পিচের রাস্তা ও রাস্তার পাশের মাটি যখনতখন সিক্ত হয়ে ওঠে। কিছুটা পরিষ্কারও হয়। যদি সময়মতো বীজ ফেলা যায়, তবে সেখানে গাছও জন্মাতে পারে। তা ছাড়া কোনো কিছু না ভেবে ইচ্ছেমতো ফেলা থুতু থেকে নিজেদের বাঁচাতে অন্য মানুষেরা যেভাবে এঁকেবেঁকে চলেন, তাতে অনেকেরই অনিচ্ছাকৃত শারীরিক কসরত হয়। এ থেকে বলাই যায় যে, এই অভ্যাস আমাদের শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসব নিয়ে প্রাচ্যের বা প্রতীচ্যের যেকোনো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ গবেষণা চালানোরও দাবি জানান ছ্যাপতান্ত্রিক মোর্চার উচ্চপর্যায়ের এই একমাত্র নেতা।
অবশ্য বিরোধীরা এসব দাবি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন। বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের করা সাম্প্রতিক একটি গবেষণার বরাত দিয়ে বিরোধীরা বলছেন, বর্তমানে এ দেশের অনেক মানুষ ‘ছ্যাপাক্রান্ত’ হয়ে পড়েছেন। এই রোগের একমাত্র প্রতিকার গলায় কলসি বা সংগতি থাকলে বেসিন ঝুলিয়ে দেওয়া। তবে এ রোগে অগণিত মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় প্রয়োজনীয় বেসিন বা মাটির কলসির সংস্থান করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষেত্রে একটি জাতীয় তহবিল গঠন করা ও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার স্কিম চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে তৃতীয় একটি পক্ষ। শুধুই বাঙালি পুরুষদের নিয়ে গঠিত এই নাম ঠিক না হওয়া সংগঠনের সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ দিয়ে জলবিয়োগ যদি এত পাত্তা পেতে পারে, তবে অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে রাস্তাঘাটে জলবিয়োগ কেন স্বীকৃতি পাবে না? তারা বলছেন, কারও প্রতি বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। তাদের মতে—জল যার যার, রাস্তা সবার।

তিন পক্ষের এই ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি সামলাতে কারা ত্রিশূল নিয়ে এগিয়ে আসে, সময়েই সেই উত্তর পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.