এসো ভাই, এসো বোন সফল করি আন্দোলন ...

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪২

আপনারা থেমে আছেন বলেই বাংলাদেশ থেমে আছে ...

আপনারা পিছিয়ে পড়েছেন বলেই গণজাগরণ আন্দোলন পিছিয়ে পড়েছে ...



ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে যখন আন্দোলন টা শুরু হয় তখন কার অনুমতি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিলো???

আজ আন্দোলনকারীরা যদি নিজেদের মতো করে কর্মসূচী দেয় তো কার কাছ থেকে অনুমতি নেয়া লাগবে এবং কেন???

হাজার হাজার মানুষ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে , একেকজনের প্রত্যাশা একেকরকম, একেকজনের লড়ার প্রক্রিয়া একেকরকম ... সবার সাথে সবার মিলতে হবে এমন ও না তাহলে অনুমতির প্রশ্ন কেন??? কে কার অনুমতি নিবে???



আমি নিজেই নিজের কাছে অনুমতি নিবো??? কেউ যদি তার দায়িত্ব না বুঝে তাহলে তাকে পথ দেখানো ই দায়িত্ববান মানুষ এর কাজ ... সঠিক পথ দেখালেই তখন সব নব্য রাজাকার আর শিবির হয়ে যায় , তাই না???



অমি রহমান পিয়াল, ডাঃ আইজু - এরা কারা ??? কিসের বুদ্ধিজীবি তারা??? যাদের কাজ ই হলো স্ল্যাং বলা আর মানুষ কে বাঁশ দেয়া কারণে - অকারণে তারা কিসের বুদ্ধিজীবি?



তারা তরুণ প্রজন্ম কে কি শিখাবে??? --- মানুষ কে কিভাবে পচাইতে হয় , কিভাবে গালি দিতে হয় , কিভাবে বেয়াদবি করতে হয় , কিভাবে মিথ্যা কে সত্যের রুপ দেয়া যায় , কিভাবে অন্যের সমস্যায় নাক গলানো যায় - এসব ই তারা শিখাবে আর পোলাপাইন হ্যাভি উৎসাহ নিয়ে তাই শিখবে এবং নিজেদের কে খুব বড় মাপের আঁতেল ভেবে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হবে ... এইসব সো কলড বুদ্ধিজীবিরা স্বার্থের সাথে সাথে গিরগিটির মতো রুপ পাল্টে ফেলে ...



এইসব বুদ্ধিজীবীরা যাদের চামচামি করে, তাদের কে ও তারা ভুল দিশা ই দেখায় !!! তাদের খুব ভয় হচ্ছে বুঝি নেতৃত্ব নিয়ে... দল বদলের ঝক্কি টা নিতে কষ্ট ই হবে বৈকি !!! আর তাছাড়া নতুন নেতৃত্বে তাদের জায়গা হবে কিনা তাও তো স্পষ্ট না ...



শহীদ রুমি স্কোয়াড নতুন কর্মসূচী দেয়ার সাথে সাথে দুর্বল ও ক্ষমতালোভীরা খুব ইনসিকিউরড ফিল করা শুরু করেছে ...

তাদের শংকা এখন আন্দোলন টা বুঝি হাতছাড়া হয়ে যায় ... এত ভয় কেন? এত কিসের নিরাপত্তাহীনতা???



যাদের অবস্থান নড়বড়ে তারা ই বারবার অন্যের সংগঠিত কাজের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেছে - ওরা আন্দোলন কে বিভক্ত করতে চায় , নস্যাত করতে চায় , ওরা শিবির- ওরা নব্য রাজাকার !!!



যেখানে সবাই বলছে তারা সবাই গণজাগরণ মঞ্চ কে এম্পাওয়ার করে চলেছে , সম্মিলিত সফল কাজের উদ্যোগ নিয়েছে আন্দোলন কে বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে ততবার ই অবিশ্বাসের কষাঘাতে, অপবাদে ছিন্নভিন্ন হতে হয়েছে !!! সকল চামচ এবং পাতি নেতারা সব কঠিন খিলাড়ী হয়ে গিয়েছে এবং তারা বাকি সকল কে আবাল ধরে নিয়ে যা ইচ্ছা করছে ...



আজ শহীদ রুমি স্কোয়াড এর ৫ জন যোদ্ধা অসুস্থ হয়ে হাস্পাতালে যেতে হয়েছে --- কার কি মাথা ব্যাথা? কোন সরকারের ই কোন মাথা ব্যাথা নাই ... ব্যাথা টা তার ই যার নিজের মাথা ... স্বার্থান্ধ মানুষ গুলো এখন আর অন্যদের মানুষ ভাবতে পারছে না , শুধু ভাবছে আন্দোলনের মাঠের সবাই মুষ্টিমেয় কিছু গিরগিটি প্রকৃতির প্রাণীর হাতের মহরা...!!!



আরে আমার বাকী ভাই - বোন সকল , আপনারা তো দেখতেছেন যে ২০/২২ জন আন্দোলন কে গতিময় এবং নিরপেক্ষ রাখতে অহিংস নীতির পিক এ চলে গিয়ে নিজেদের জীবন বাজী রেখে অনশনে বসে গেছে , গণজাগরণের মুখপাত্র ও তাদের সাথে সংহতি জানিয়েছে তারপর ও আপনারা অভিমান কিংবা আলসেমী করে ঘরে বসে আছেন ... আসেন না আপনারা সবাই --- ১/২/৩/৪/৫/৬/৭/৮/৯/১০ ঘন্টার জন্য কিংবা নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কিংবা আমরন অনশনের জন্য ... আমরা তো পারি আবারো গর্জে উঠতে ... আমরা সবাই মিলে এক শক্তি ... আমরা ই আমাদের শক্তি তাহলে আপনারা কেন ঘরে বসে আছেন???? কেন বের হয়ে আসছেন না ??? কেন নিজের দায়িত্ব টা পালন করছেন না ??? সব ভুলে প্রজন্ম চত্বরে চলে আসুন সবাই ... আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ... কেবল আপনাদের মহৎ মানসিক ও শারীরিক উপস্থিতি ও সমর্থন এর প্রয়োজন ...



সবাই আসুন এবং আমাদের সবার মনোবল কে বাড়িয়ে দিয়ে শিখরে নিয়ে চলুন ...

কেউ ঘরে বসে থাকবেন না ...

দয়া করে নিজের আত্মাকে , বিবেক বিবেচনা কে জাগিয়ে তুলুন এবং কাওকে দোষারোপ না করে শুধু নিজের নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব টা পালন করুন এবং আমাদের হাত কে শক্ত করুন... কোন কিন্তু, তথা, নচেৎ , অথচ দিবেন না , কোন শর্ত জুরে দিবেন না ...

শুধু আসবেন বাংলাদেশের জন্য ...

শুধু আসবেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, শুধু আসবেন ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ বীরাঙ্গনার জন্য , শুধু আসবেন লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য , শুধু আসবেন মানবতার জন্য ...



এসো ভাই, এসো বোন গড়ে তুলি আন্দোলন...

এসো ভাই, এসো বোন সফল করি আন্দোলন ...

জয় বাংলা ... জয় হোক মানবতার ...

০ টি +০/-০