নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Mashud

মাসুদ রান৮২

I am a poet , philosopher and environment researcher of Bangladesh.

মাসুদ রান৮২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি বিদ্রোহী কেন ?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৭

আমি দেশের লাগি অনেক ভাবি সৃষ্টিতে

সব ক্ষেত্রেই আমার মিশে রয় অবদান

আর স্বার্থান্বেষী মহল দুর্নীতিতে হয় চ্যাম্পিয়ান ।



আমি দেখাই আইনের দিক নির্দেশ

আর জালিয়াতি মহল ভঙ্গ করে আইন



দেশের বাজায় বার টা উল্টো ধরে ফাইন ।



আমি সাম্য ও ন্যায়ে গড়ি একতায় শুশিল সমাজ

আর ভণ্ডরা নিজ স্বার্থের জন্য ঘটায় জঞ্জাল

মানুষের মনে দেয় যাতনা আনে কুমির কেটে খাল ।



আমি সত্য কথা জনতার কানে দেই তুলে

বিভ্রান্ত মিথ্যাবাদিদের গাঁ জ্বলে ।





আমি লেখক সেটা মজ্জাগত সবার জানা

মতলব বাজ রা কয় বেটা ভণ্ড অচেনা ।



আমি দিলাম দুলাইন উগ্রে খাসা

কয় বেটা আস্ত পাগল কোথায় যে বাসা ।



আমি গেলুম বিদ্যালয়ে দেখাই নজরুল এর ছবি

হল প্রমানিত এই সেই বিদ্রোহী কবি ।



৩ ।রাখী রাখি

রাখি ঝাঁকড়া চুল বাবরী দুলানো

অনেকেই কয় বাউল শুনাও গান মন ভুলানো ।

মনে মনে হাসি অবিনাশি সুর তুলে

পাটকের মন জুগাই মমতা খুলে ।



ধর্মের বয়ান শুনে অনেকেই কয় মাওলানা

অনেকেই দেয় দাওয়াত ,করি গিয়ে প্রার্থনা ।

অনেক শিশুরা নিস্পাপ আবেশে গা ঘষে

গল্প কাহিনী যাই শুনিয়ে ওরা ফুলের মত হাসে ।



আর অনেকেই কয় খেয়ে দেয়ে নেই কাজ

কি করে বুঝাই বিদ্রোহী এ মন গড়ে লয় সুসভ্য সমাজ ।

মানুষ অশান্ত আর কত রবে বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ

বিদ্রোহী মন চিৎকার দিয়ে উটে , কেন মিথ্যা অন্যায় এ যুদ্ধ ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৯

মাসুদ রান৮২ বলেছেন: ৬। বাংলার আকাশে ঐ দেখ জনতা
শহীদ ভাইয়ের মুখের হাসি
প্রানের অবদান চির অম্লান
তাদের মুখচ্ছবি উটে ভাসি
মায়ের ভাষায় যারা ফুল ফুটাল
বুকের রক্ত ডেলে রাসট ভাষা দিল
তাদের চেতনা কভু বৃথা যাবেনা
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে পুস্প শশী ঐ
প্রানের ভাষা যারা ছড়িয়ে গেল
বিশ্ব বিবেকের ঘুম ভাঙাল
পাখির কলতানে প্রতিদিন ভোরে
ছড়ায় আমার দেশে মম হাসি ঐ
7৭, বাঁকা চাঁদের হাসি নিল আকাশে
যেন ঈদ মোবারক ঈদ আসে ২

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দেশ প্রেম ঈমানের অংশ বিশেষ
বল বীর বল উন্নত মম কেশ ।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: কেমন আছেন?

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: যেমন স্মরণ তেমন
এবার যেবার যখন
আমি খেয়াল রাখি
সব লেখায়
তুমি থাক খুলে আঁখি
আমার আঙ্গিনায় ।
ভুল হলনা তো
অনেক দিনের চেনা
সত্য কথা ফুলের হাসি
ভুলি হয়ে আনমনা ।
আমারও তোমার প্রতি
গভীর খেয়াল থাকে
জানিনা এ লেখা
সটিক কিনা যাকে ।

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জ পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের ১১০ তম জন্ম বার্ষিকী । বাংলার চির সবুজ এই কবির স্মৃতিতে অনন্ত শ্রদ্ধা ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২

কবি জসিম উদ্দিন

জসিম উদ্দিন ১৮৯৩- ১৯৫৩ একক অবদানে বাংলা কাব্য কে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন ।
তিনি একাধারে পল্লী কবি নামে খ্যাতি লাভ করেছেন ।
ময়মন সিংহ গীতিকা এবং অপরাপর লক সাহিত্যর সঙ্গে তার কাব্য দর্শের নিবিড় এক্য পরিলক্ষিত হয় ।
গ্রাম বাংলার জীবনালেখ্য তার কাব্য সহজ সরল ভাবে ফুটে উটে ।
নকশী কাঁথার মাঠ , রাখলি , বালুচর , ধানক্ষেত ,সুজন বাধিয়ার ঘাট ,
মাটির কান্না , হাসু , রঙ্গিলা নায়ের মাঝি ,এক পয়সার বাঁশি , রূপবতী ,
গাঙ্গের পাড় , সকিনা , মা যে জননী কান্দে , সুচনয়ি , প্রভৃতি তার
কাব্য ।
তিনি নাটক এবং অসংখ্য গানের স্রষ্টা , যা যুগযুগ ধরে বাংলা
সাহিত্যর রত্নভাণ্ডার ।
তার সৃষ্টি ও তার কবিত্ব সাধনা সার্থক বাংলার সাহিত্য ফসল ।

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

তার অমর সৃষ্টিতে আমার লেখা কাব্য টি তার জন্ম বার্ষিকীতে
অনন্ত শ্রদ্ধার সহিত উৎসর্গ করলুম ।

৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳
গ্রামীণ কাব্য কথা
ধান শালিকের মন
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
রচনা এম ,জি, আর মাসুদ রানা , কবি ও সাহিত্যিক গবেষক ।
************************
এক

দুচোখ জুড়ায় শ্যামল ছায়ায় এমন গাঁয়ের ছবি
সবুজ মাঠে তরুছায়া মুগ্ধ লাগে সবি
মেটু পথের ডানে বায়ে দুলে বনলতা
জড়াজড়ি করে হেন কহে মনের কথা
বাঁশবন বেতবন মিশে রয় হেথা আপন করে
সাজে পাতা পত্তর কোমল ও বাহারে
বুনু ফুলে মৌ মৌ গন্ধে কত আকুলতা মনে
ভ্রমর অলি প্রজাপতি মধু লোভে ওড়ে গুঞ্জনে ।
গাছের শাখায় পাখ পাখালি গায় মধুর গান
মাঠে রাখালিয়া বাজায় বাঁশি তুলে সুরের তান
পাড়ায় পাড়ায় অপরূপ সাজ পার্শে রয় ছুট বিল
জলের আরশিতে সূর্য কিরণ করে ঝিল্মিল
মাঠের বুকে চিত্র আঁকে শস্য ও ফসলের মেলা
নিত্য নতুন চমক আনে সাজে সবুজ ঢালা ।
ছোট্ট নদী নিরবধি বয়ে যায় সুদুরে
গাঁয়ের নামটি সৈয়দপুর জাগে নিত্য ভোরে
এই গাঁ খানি চাঁদনী রাতে জোছনা কত মাখে
কৃষাণ জেলে সবাই মিলে সেথা কত স্বপ্ন আঁকে । ।


দুই


এই গাঁয়ের কিশোর মনাই কাঁচা সোনা মুখ
ঝাঁকড়া চুলে রূপের ছটা দেখলে জুড়ায় বুক।
দুচোখে তার স্বপ্ন ছায়া মায়া ভরা টান
মুখে সদাই হাসির ঝলক দেখলে জুড়ায় প্রান ।
রাখালিয়া বাঁশির মত কণ্ঠে যে তার ঝরে মধুর লয়
নিমিষেই সব মানুষের মন করিত জয় ।
সাহস কত চওড়া বুকে চিবুক পড়ত নজরে
সঙ্গি সাথি লয়ে খেলায় মজত সাড়া টি প্রহরে ।
কভু কারও ফল বাগানে সুযোগ একটু বুঝে
মগ ডালে বসে পাকা ফল পুড়ত মুখে তাই মজাসে ।
ভারি খেয়াল চাপত যখন না শুনিত মানা
গাছের শাখায় খুজে ফিরত শালিক ময়নার ছানা ।
দল বেধে নদীর জলে অবাধে কাটত গিয়ে সাতার
কভু মাছের সাড়া পেলে ফেলে বড়শি করত তাই শিকার ।
কভু গাঁয়ের বিশ্রিত মাটে ওড়াইত ঘুড়ি
দূর আকাশের সাথে মিতালি আঁকত লাটাই সুতু ছাড়ি ।
মাঠের যত রাখাল বালক মান্য করত তারে
সাড়া গা খানি রাখত সরব তার চঞ্চল নজরে ।
তিন

পায়ে চলা পথ যে গেছে বহু দূর গাঁয়
গঞ্জ হাটে মাটে বাটে পথিকের আনাগোনা তায়
এই পথেরই বায়ে জাগে বনেদি বাড়ী মোড়ল পাড়া
সানাই বাধা পুকুর আর ফুলের বাগান শোভায় নজর খাঁড়া ।
এই বাড়ীরই মোড়ল জালু মিয়া দেশ কেশে তার নাম
অভাব নাহি ছিল তার তবু হল বিঁধি বাম
পুত্র লাভের আশে তব সংসার পাতে দুই খানি
অবশেষে এক কন্যার মুখ দেখে জুড়ায় নয়ন মনি
সেই আদরের দুলালী কন্যার নাম টি চমৎকার
শশি বলে ডাকে তারে কত রূপের বাহার ।
কাল ভ্রমর আখির পাতায় দেখতে নজর খাড়া
শ্যমল বরন চিবুক তাহার বধন মায়া ভরা ।
সখিদের লয়ে সারাটা দিন বাগান বাড়ী এসে
খেলত খেলা পুতুল বিয়ে তায় আনন্দে ভেসে
পুতুল বরের লাগি সাজায়ে রাখত গেথে ফুলের মালা
কনের বাড়ী দিত উপহার লতা পাতায় খাস্য পানের ঢালা ।
আয়েশ করে তামেদারির কত খোরমা পুলাও রাধে
কনে বিদায় করে তারা মিছামিছি রোধন করে কাঁদে ।

চার

লোকে বলত দস্যি মেয়ে দুসটমিতে জুড়ী মেলা ভার
তবুও তারে সব মানুষে করত স্নেহে আদর
পাড়ার রসুই বুড়ির অসুখ হলে করত গিয়ে সেবা
ঔষধ খাবার দিয়ে আসত ভাবত দুকুলে রয় তার কেবা ।
বুড়ি তারে করত দোয়া চিবুক খানি তুলে
রাজ পুত্রের মত জুটুক বর চান মুখি কপালে
শশি কহে ওহে বুড়ি নাই কি মনে ভয়
এমন কথার ছিরি আজও যমের ব্যারাম হয় ।
মোড়ল বাড়িএসে পড়ায় এক পণ্ডিত মশায়
জ্বেলে দিত অক্ষর জ্ঞান ছেলেমেয়েদের মাথায়
একত্রে শশি তুলি মধু , বেলি , মনাই আরও যত সাথি
বাঁশের কঞ্চি মাটির স্লেটে লিখত অক্ষর করে মাতামাতি ।
একটু বেজায় শিক্ষণীয় এদিক অদিক হলে
পণ্ডিত মশায় গর্জে গিয়ে দিত বেখাপ্পা কান মলে ।
কাকের টেং বকের টেং যাদের হত লেখা
তাই নিয়ে তামাশা কত হতো মজাসে পাঠ শেখা ।

পাঁচ
হেয়ালি মনাই করে কামাই বিদ্যালয়ে গমন
মারবেল খেলায় মন মজায় দাবিয়ে চৈত্র লগন
অনেক গুটি হেঁড়ে জিদ চাপে গাঁড়ে
আবার ছুটে বাড়ী করে চাল চুরি জিততে হবেই এবারে ।
এদিক অদিক চোখ মেলে পাকা দেখে ঘর
গামছায় লুকায় সের খানি চাল ভয়ে চকিত হয় অধর
অজান্তেই লেগে গায়ে ঢাকনা বাজে ঝন ঝন
আঁচ পেয়ে মামি সুধায় কি হলরে বাচাধন
কিসের শব্দ হল রে বাঁচা অলুক্ষনে ঘরে
মনাই কয় ওগো মামি বিড়াল ইঁদুর ধরে ।
ও তাই আমি ভাবলুম না জানি হয় কিবা
তা বাছাধন এ রুদ্দুরে ঘর ছাড়া না হইবা
মিথ্যা কহে মনাই মামি কে আসব আর যাব এ বেলায়
ফাঁকি দিয়ে এই যে ছুটে আর তারে কে পায় ।

ছয়

কিনে কতক খেলার গুটি সোনা গাজির দোকান থেকে
খেলা জমায় গাছের তলায় ধুলু বালি মেখে
সাগর সামসু টগর বকুল সবাইকে হারিয়ে
জুলা ভরে মনের সুখে কতক শক্তি দেখায়ে
না জিতিয়া ধূর্ত নুরু মনাইয়ের গুটি খাঁড়ি
এক ছুটে ত্রিসিমানা জমায় দৌড়ে পাড়ি ।
সাথিদের শাসায় যা ধরে আন মনাই রোষে গর্জে উটে
সঙ্গীরা তারে আনে বেধে তক্ষনি সে দুঘা বেত লাগায় পিটে ।
পাঠশালারই ঘণ্টা বাজে শশিরা আসে সে ক্ষনে
মনাই হয় অতি নিরব চেয়ে সখির পানে
শশি কহে অহে মনাই দিলি কেন স্কুল ফাকি
বলে দেব স্যার কে কেমন এ চালাকি
লক্ষ্মীটি ধরি কানে তবুও বলিস না কাউরে
মেলা থেকে লালা ফিতা কিনে দেব তোরে
শশি এবার নিকটে ভিড়ে ফিক করে হাসে
সেই হাসিটা লুটায়ে পড়ে মন পবনে মিশে ।
গাছের ফাকে সূর্যের আলো ঘোমটা কভু মেলে
ধান শালিকের মাঠে মাঠে স্বপ্ন ছায়া খেলে ।
সংক্ষেপিত ।

বাকি অংশ পরে প্রকাশ করা হবে ।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জ পল্লী কবি জসিমউদ্দিনের ১১০ তম জন্ম বার্ষিকী । বাংলার চির সবুজ এই কবির স্মৃতিতে অনন্ত শ্রদ্ধা ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২

কবি জসিম উদ্দিন

জসিম উদ্দিন ১৮৯৩- ১৯৫৩ একক অবদানে বাংলা কাব্য কে বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ করেছেন ।
তিনি একাধারে পল্লী কবি নামে খ্যাতি লাভ করেছেন ।
ময়মন সিংহ গীতিকা এবং অপরাপর লক সাহিত্যর সঙ্গে তার কাব্য দর্শের নিবিড় এক্য পরিলক্ষিত হয় ।
গ্রাম বাংলার জীবনালেখ্য তার কাব্য সহজ সরল ভাবে ফুটে উটে ।
নকশী কাঁথার মাঠ , রাখলি , বালুচর , ধানক্ষেত ,সুজন বাধিয়ার ঘাট ,
মাটির কান্না , হাসু , রঙ্গিলা নায়ের মাঝি ,এক পয়সার বাঁশি , রূপবতী ,
গাঙ্গের পাড় , সকিনা , মা যে জননী কান্দে , সুচনয়ি , প্রভৃতি তার
কাব্য ।
তিনি নাটক এবং অসংখ্য গানের স্রষ্টা , যা যুগযুগ ধরে বাংলা
সাহিত্যর রত্নভাণ্ডার ।
তার সৃষ্টি ও তার কবিত্ব সাধনা সার্থক বাংলার সাহিত্য ফসল ।

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

তার অমর সৃষ্টিতে আমার লেখা কাব্য টি তার জন্ম বার্ষিকীতে
অনন্ত শ্রদ্ধার সহিত উৎসর্গ করলুম ।

৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳৳
গ্রামীণ কাব্য কথা
ধান শালিকের মন
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
রচনা এম ,জি, আর মাসুদ রানা , কবি ও সাহিত্যিক গবেষক ।
************************
এক

দুচোখ জুড়ায় শ্যামল ছায়ায় এমন গাঁয়ের ছবি
সবুজ মাঠে তরুছায়া মুগ্ধ লাগে সবি
মেটু পথের ডানে বায়ে দুলে বনলতা
জড়াজড়ি করে হেন কহে মনের কথা
বাঁশবন বেতবন মিশে রয় হেথা আপন করে
সাজে পাতা পত্তর কোমল ও বাহারে
বুনু ফুলে মৌ মৌ গন্ধে কত আকুলতা মনে
ভ্রমর অলি প্রজাপতি মধু লোভে ওড়ে গুঞ্জনে ।
গাছের শাখায় পাখ পাখালি গায় মধুর গান
মাঠে রাখালিয়া বাজায় বাঁশি তুলে সুরের তান
পাড়ায় পাড়ায় অপরূপ সাজ পার্শে রয় ছুট বিল
জলের আরশিতে সূর্য কিরণ করে ঝিল্মিল
মাঠের বুকে চিত্র আঁকে শস্য ও ফসলের মেলা
নিত্য নতুন চমক আনে সাজে সবুজ ঢালা ।
ছোট্ট নদী নিরবধি বয়ে যায় সুদুরে
গাঁয়ের নামটি সৈয়দপুর জাগে নিত্য ভোরে
এই গাঁ খানি চাঁদনী রাতে জোছনা কত মাখে
কৃষাণ জেলে সবাই মিলে সেথা কত স্বপ্ন আঁকে । ।


দুই


এই গাঁয়ের কিশোর মনাই কাঁচা সোনা মুখ
ঝাঁকড়া চুলে রূপের ছটা দেখলে জুড়ায় বুক।
দুচোখে তার স্বপ্ন ছায়া মায়া ভরা টান
মুখে সদাই হাসির ঝলক দেখলে জুড়ায় প্রান ।
রাখালিয়া বাঁশির মত কণ্ঠে যে তার ঝরে মধুর লয়
নিমিষেই সব মানুষের মন করিত জয় ।
সাহস কত চওড়া বুকে চিবুক পড়ত নজরে
সঙ্গি সাথি লয়ে খেলায় মজত সাড়া টি প্রহরে ।
কভু কারও ফল বাগানে সুযোগ একটু বুঝে
মগ ডালে বসে পাকা ফল পুড়ত মুখে তাই মজাসে ।
ভারি খেয়াল চাপত যখন না শুনিত মানা
গাছের শাখায় খুজে ফিরত শালিক ময়নার ছানা ।
দল বেধে নদীর জলে অবাধে কাটত গিয়ে সাতার
কভু মাছের সাড়া পেলে ফেলে বড়শি করত তাই শিকার ।
কভু গাঁয়ের বিশ্রিত মাটে ওড়াইত ঘুড়ি
দূর আকাশের সাথে মিতালি আঁকত লাটাই সুতু ছাড়ি ।
মাঠের যত রাখাল বালক মান্য করত তারে
সাড়া গা খানি রাখত সরব তার চঞ্চল নজরে ।
তিন

পায়ে চলা পথ যে গেছে বহু দূর গাঁয়
গঞ্জ হাটে মাটে বাটে পথিকের আনাগোনা তায়
এই পথেরই বায়ে জাগে বনেদি বাড়ী মোড়ল পাড়া
সানাই বাধা পুকুর আর ফুলের বাগান শোভায় নজর খাঁড়া ।
এই বাড়ীরই মোড়ল জালু মিয়া দেশ কেশে তার নাম
অভাব নাহি ছিল তার তবু হল বিঁধি বাম
পুত্র লাভের আশে তব সংসার পাতে দুই খানি
অবশেষে এক কন্যার মুখ দেখে জুড়ায় নয়ন মনি
সেই আদরের দুলালী কন্যার নাম টি চমৎকার
শশি বলে ডাকে তারে কত রূপের বাহার ।
কাল ভ্রমর আখির পাতায় দেখতে নজর খাড়া
শ্যমল বরন চিবুক তাহার বধন মায়া ভরা ।
সখিদের লয়ে সারাটা দিন বাগান বাড়ী এসে
খেলত খেলা পুতুল বিয়ে তায় আনন্দে ভেসে
পুতুল বরের লাগি সাজায়ে রাখত গেথে ফুলের মালা
কনের বাড়ী দিত উপহার লতা পাতায় খাস্য পানের ঢালা ।
আয়েশ করে তামেদারির কত খোরমা পুলাও রাধে
কনে বিদায় করে তারা মিছামিছি রোধন করে কাঁদে ।

চার

লোকে বলত দস্যি মেয়ে দুসটমিতে জুড়ী মেলা ভার
তবুও তারে সব মানুষে করত স্নেহে আদর
পাড়ার রসুই বুড়ির অসুখ হলে করত গিয়ে সেবা
ঔষধ খাবার দিয়ে আসত ভাবত দুকুলে রয় তার কেবা ।
বুড়ি তারে করত দোয়া চিবুক খানি তুলে
রাজ পুত্রের মত জুটুক বর চান মুখি কপালে
শশি কহে ওহে বুড়ি নাই কি মনে ভয়
এমন কথার ছিরি আজও যমের ব্যারাম হয় ।
মোড়ল বাড়িএসে পড়ায় এক পণ্ডিত মশায়
জ্বেলে দিত অক্ষর জ্ঞান ছেলেমেয়েদের মাথায়
একত্রে শশি তুলি মধু , বেলি , মনাই আরও যত সাথি
বাঁশের কঞ্চি মাটির স্লেটে লিখত অক্ষর করে মাতামাতি ।
একটু বেজায় শিক্ষণীয় এদিক অদিক হলে
পণ্ডিত মশায় গর্জে গিয়ে দিত বেখাপ্পা কান মলে ।
কাকের টেং বকের টেং যাদের হত লেখা
তাই নিয়ে তামাশা কত হতো মজাসে পাঠ শেখা ।

পাঁচ
হেয়ালি মনাই করে কামাই বিদ্যালয়ে গমন
মারবেল খেলায় মন মজায় দাবিয়ে চৈত্র লগন
অনেক গুটি হেঁড়ে জিদ চাপে গাঁড়ে
আবার ছুটে বাড়ী করে চাল চুরি জিততে হবেই এবারে ।
এদিক অদিক চোখ মেলে পাকা দেখে ঘর
গামছায় লুকায় সের খানি চাল ভয়ে চকিত হয় অধর
অজান্তেই লেগে গায়ে ঢাকনা বাজে ঝন ঝন
আঁচ পেয়ে মামি সুধায় কি হলরে বাচাধন
কিসের শব্দ হল রে বাঁচা অলুক্ষনে ঘরে
মনাই কয় ওগো মামি বিড়াল ইঁদুর ধরে ।
ও তাই আমি ভাবলুম না জানি হয় কিবা
তা বাছাধন এ রুদ্দুরে ঘর ছাড়া না হইবা
মিথ্যা কহে মনাই মামি কে আসব আর যাব এ বেলায়
ফাঁকি দিয়ে এই যে ছুটে আর তারে কে পায় ।

ছয়

কিনে কতক খেলার গুটি সোনা গাজির দোকান থেকে
খেলা জমায় গাছের তলায় ধুলু বালি মেখে
সাগর সামসু টগর বকুল সবাইকে হারিয়ে
জুলা ভরে মনের সুখে কতক শক্তি দেখায়ে
না জিতিয়া ধূর্ত নুরু মনাইয়ের গুটি খাঁড়ি
এক ছুটে ত্রিসিমানা জমায় দৌড়ে পাড়ি ।
সাথিদের শাসায় যা ধরে আন মনাই রোষে গর্জে উটে
সঙ্গীরা তারে আনে বেধে তক্ষনি সে দুঘা বেত লাগায় পিটে ।
পাঠশালারই ঘণ্টা বাজে শশিরা আসে সে ক্ষনে
মনাই হয় অতি নিরব চেয়ে সখির পানে
শশি কহে অহে মনাই দিলি কেন স্কুল ফাকি
বলে দেব স্যার কে কেমন এ চালাকি
লক্ষ্মীটি ধরি কানে তবুও বলিস না কাউরে
মেলা থেকে লালা ফিতা কিনে দেব তোরে
শশি এবার নিকটে ভিড়ে ফিক করে হাসে
সেই হাসিটা লুটায়ে পড়ে মন পবনে মিশে ।
গাছের ফাকে সূর্যের আলো ঘোমটা কভু মেলে
ধান শালিকের মাঠে মাঠে স্বপ্ন ছায়া খেলে ।
সংক্ষেপিত ।

বাকি অংশ পরে প্রকাশ করা হবে ।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাকি অংশ
ধান শালিকের মন


নয়
সেলবরষ পরগনার জমিদার বাদশা মিয়া প্রতাব কত আঁট
তার হাতি ঘোড়ার খোরের গায়ে কাঁপত বালির মাঠ
সাতলাখি যত প্রজা খাজনা দিত ভয়ে
শত শত পাইক পেয়াদা লুটাইত তার পায়ে
খাস মহল রঙ মহলে গিজ গিজ করত দাস দাসি
সোনা দানা হিরার পোশাক গায়ে ঝলমলে উটত ভাসি
সারা এলাকায় ত্রাস ছিল খাজনা লইত জুড়ে
ভয়ে কাঁপত কতজনের প্রান তাপিত অন্তরে
পাশের গ্রাম সৈয়দ পুর কভু দিত হানা
এই লয়ে ঝগড়া ফ্যাসাদ চলত একটানা
শস্য ক্ষেতে দিত ছেড়ে জমিদারের হাতি
ভাঙ্গত কত বাগান বাড়ি অযথা ফসলের করত ক্ষতি ।
গায়ের লোকজন মিলে একদিন বসে ফন্দি আঁটে
সুযোগ বুঝে তাইত সবে নেমে আসে মাঠে
রাত বারটায় তাই ছুটে মোড়লের নির্দেশে
সয়ং জমিদারের হাতি এলে লাগে তার ত্রাসে
জাল দিয়ে চতুর্দিক থেকে হাতি ঘিরে ফেলে ফাঁদে
পাছ মনি কোটারের গা চালায় মাথায় উটে
এভাবে জমিদারের হাতির প্রান লিলা করে সাঙ্গ
সকলে ছুটে আপন বাড়ী দিয়ে রনে ভঙ্গ ।



দশ
তুতা মিয়ার কানে খবর পউছে রাত পোহাবার আগে
প্রিয় হাতি কে মারে জ্বলে দ্বিগুণ ক্ষোভ আর রাগে ।
লাটিয়ালদের হুকুম চালায় রক্ত চক্ষু ঘুরে
কার এত দুঃসাহস এক্ষুনি আন ধরে
সৈয়দ পুরের মাঠ কাঁপে ঘোড়ার ক্ষুরের গায়ে
কেউবা করে ছুটা ছুটি কেউবা পালায় ভয়ে ।
লাটিয়াল দের গায়ে কারও ঘর কারও বাড়ী
অন্যায় ভাবে ভেঙ্গে চুরে কাউরে পিটায় মারি
মোড়ল অতি চতুর লোক গুঁজব দেয় রটায়ে
গায়ের মানুষ গুম হয়েছে লাটিয়ালের গাঁয়ে
খুনের কথা নানা মুখে গুজব হয়ে ফিরে
জনতার উগ্র মূর্তি দেখে লাটিয়াল পালায় দূরে
জালু মোড়ল রহিম সরদার প্রমুখেরা সাজায়ে ডিঙ্গি নাও
সুনামগঞ্জ আদালতে চলে বাড়ায় বুদ্ধির দুটো পাও
কোর্টে গিয়ে মামলা টুঁকে ৩০২ দ্বারায়
হাতির চাইতে মানুষ দামি হাকিম তাই পড়ে চিন্তায় ।
সয়ং জমিদারের হাতি মরল কেহ ভয়ে যায় বাড়িঘর ছাড়ি
এদিকে এজলাসে জমিদারের বিরুদ্ধে হল উলটূ সুমন ঝাড়ি ।
সবাই দেখে লাল পাগড়ি অয়ালা সিপাই ছুটে সেলবরষে
সৈয়দ পুরের মোড়ল মনে মনে তাই বেজায় হাসে ।
এগার

আর+

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লিখেছেন

দৃষ্টিপাত


বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।


: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়



কবি নজরুল এর বিদ্রোহী আওয়াজ

আমি মানিনাকো কোন আইন
আমি টর্নেডো আমি ভিম ভাসমান মাইন
মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত যবে
উৎপীড়নের ক্রন্দন রোল
আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা ।
বল বীর
বল উন্নত মম শীর
শীর নেহারি নত শির ঐ শিখর হিমাত্রির ।
অর্থ অন্যায়ের নিকট কখনও মাথা নত নয় ।




আজ আইনের লোকের নিকট আইন বিকৃত ও বিচারক আজ ক্ষমতার গেঁড়াকলে আমলাদের হাতের পুতুল ।
এই যে ভারত নিয়ন্ত্রন সরকার না পারছে পার্বত্য মুক্তি বাস্তবায়ন
না পারছে সিমান্তে বিএসেফ কর্তৃক অন্যায় হত্তা বন্ধ । , না পারছে দেশকে জনগণকে সামাল দিতে ,অগ্নিদহন দ্রব্য মুল্যর উদ্ধগতি ,।হাওর বিল টিপাই মুখ খাল সুন্দরবন সহ পর্যটন প্রাকৃতিক স্থান সমুহ আজ ভারতের নিয়ন্ত্রনে । বাড়ছে প্রতিনিয়ত ঘুষ দুর্নীতি ; হত্তা ধর্ষণের অহরহ চিত্র আর হায়নাদের অবৈধ দখলের রাজনীতি ।
সাধারন মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ , দেশ আবারও পরাধীনতার শিখলে
বন্ধি হে বাঙ্গালী জাগ্রত হও সময়ে আরেকবার ।

বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।



ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।

গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।

***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন

ধর্ষক দের ফাঁসি চাই । হায়নাদের উৎপাত বন্ধ হোক , নিপাত যাক ,
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবীজী (সা) এর প্রিয় বারোটি খাবার:
*****************************



এক. বার্লি (জাউ): এটা জ্বরের জন্য এবং পেটের পীড়ায়
উপকারী।

দুই. খেজুর: খেজুরের গুণাগুণ ও খাদ্যশক্তি অপরিসীম। খেজুরের
খাদ্যশক্তি ও খনিজ লবণের উপাদান শরীর সতেজ রাখে।
নবীজী (স:) বলতেন,যে বাড়ীতে খেজুর নেই সে বাড়ীতে কোন
খাবার নেই।এমনকি সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকে খেজুর
খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আল্লাহর নবী।

তিন. ফিগস বা ডুমুর: ডুমুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভেষজগুণ
সম্পন্ন যাদের পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য
অত্যন্ত
উপযোগী খাবার।

চার. আঙ্গুর: নবীজী (স:) আঙ্গুর খেতে অত্যন্ত ভাল
বাসতেন।আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম। এই
খাবারের উচ্চ খাদ্য শক্তির
কারণে এটা থেকে আমরা তাত্ক্ষণিক এনার্জি পাই
এবং এটা স্বাস্থ্যের
জন্য উপকারী। আঙ্গুর কিডনির জন্য উপকারী এবং বাওয়েল
মুভমেন্টে সহায়ক। যাদের আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল
সিনড্রোম আছে তারা খেতে পারেন।

পাঁচ. মধু- মধুর নানা পুষ্টিগুণ ও ভেষজ গুণ রয়েছে।
মধুকে বলা হয় খাবার, পানীয় ও ওষুধের সেরা।হালকা গরম
পানির সঙ্গে মিশিয়ে মধু পান ডায়রিয়ার জন্য ভালো।
খাবারে অরুচি,পাকস্থলীর সমস্যা, হেয়ার কন্ডিশনার ও মাউথ
ওয়াশ হিসেবে উপকারী।

ছয়. তরমুজ- সব ধরনের তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
নবীজী (স:) তরমুজ
আহারকে গুরুত্ব দিতেন। যেসব গর্ভবতী মায়েরা তরমুজ আহার
করেন তাদের সন্তান প্রসব সহজ হয়। তরমুজের পুষ্টি, খাদ্য
ও ভেষজগুণ এখন সর্বজনবিদিত ও
বৈজ্ঞানিক সত্য।

সাত. দুধ- দুধের খাদ্যগুণ, পুষ্টিগুণ ও ভেষজগুণ বর্ণনাতীত।
দেড় হাজার বছর আগে বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে তখন
নবীজী (স:) দুধ সম্পর্কে বলেন, দুধ হার্টের জন্য
ভালো। দুধ পানে মেরুদন্ড সবল হয়,মস্তিষ্ক সুগঠিত হয়
এবং দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। আজকের
বিজ্ঞানীরাও দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে দেখেন এবং এর
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি অস্থিগঠনে সহায়ক।

আট. মাশরুম- আজ বিশ্বজুড়ে মাশরুম একটি অত্যন্ত
পুষ্টিকর খাবার এবং মাশরুম
নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অথচ দেড় হাজার বছর
আগে নবীজী (স:) মাশরুম চোখের জন্য
ভালো এবং এটা বার্থ কন্ট্রোলে সহায়ক এবং মাশরুমের
ভেষজগুণের কারণে এটা নার্ভ শক্ত করে এবং শরীর
প্যারালাইসিস বা অকেজো হওয়ার প্রক্রিয়া রোধ করে।

নয়. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ বহুমুখী।
তবে আজ মানুষের ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা ও বয়স ধরে রাখার
জন্য যারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন তাদের দেড়
হাজার বছর আগে নবীজী (স:) অলিভ অয়েল ব্যবহারের
পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে অলিভ অয়েল ত্বক ও
চুলের জন্য ভালো এবং বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক
বা বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে।এছাড়া অলিভ
অয়েল পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময়ে সহায়ক।

দশ. ডালিম-বেদানা: বেদানার পুষ্টিগুণ ও খাদ্যগুণের
পাশাপাশি এটার ধর্মীয় একটি দিক আছে এবং নবীজী (স:)
বলতেন, এটা আহারকারীদের শয়তান ও মন্দ
চিন্তা থেকে বিরত রাখে।

এগার. ভিনেগার- ভিনেগারের ভেষজ গুণ ও খাদ্যগুণ অপরিসীম।
নবীজী (স:) অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ভিনেগার খাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ আজকের এই মডার্ন ও বিজ্ঞানের
অভূতপূর্ব সাফল্যের যুগে বিশ্বের বড় বড় নামি-
দামি রেস্টুরেন্ট
বিশেষ করে এলিট ইটালিয়ান রেস্টুরেন্টে অভিল অয়েল ও
ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।

বার. খাবার পানি: পানির অপর নাম জীবন। পানির ভেষজগুণ
অপরিসীম। দেড় হাজার বছর আগে নবীজী (স:)পানিকে পৃথিবীর
সেরা ড্রিংক বা পানীয় হিসাবে উল্লেখ
করেছেন। সৌন্দর্য চর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষায়
চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা আজ প্রচুর পানি পান করতে বলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.