নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশবে শোনা জ্বীনের কাহিনি-০১

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪২





শৈশবে বহুবার শোনা ঘটনাটা হয়তো অনেকেরই জানা। তবুও আবার না হয় নতুন করে শুনুন।

শাহজাদী নামের আমাদের এক ফুফু পড়তেন কুমিল্লা শহরে হোস্টেলে থেকে। তিনি একবার বাড়ি আসলে তার মুখ থেকে এই জ্বীনের কাহিনি শুনে একধরনের ভয় বুকে বাসা বেধে ছিল অনেকদিন।

কোন এক শহরতলীতে মেয়েদের হোস্টেলে এক রুমে তিন জন ছাত্রী থাকতো। তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরের বান্ধবী হয়ে উঠছিলেন। তখন সে এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলনা। তো স্বাভাবিকভাবেই রাতের বেলা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে পড়া-শোনা করতে হতো।

এক রাতে ১১।০০ ঘটিকার পর দুই বান্ধবী শুয়ে পড়ল। কিছুক্ষনের মধ্যে একজন ঘুমিয়ে গেল। আরেকজনের ঘুম আসছিলনা তাই সে জেগে থাকা বান্ধবীকে বলল-তুমি তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে হ্যারিকেন নিভিয়ে দাও।

একটু পরে সেই শুয়ে থাকা বান্ধবীটি যা দেখল তাতে তার শরীর শিউরে উঠল। সে দেখল তার জেগে থাকা বান্ধবী বিছায় শুয়ে পড়েছে
এবং তার হাতটি লম্বা হতে হতে সেই জলন্ত হ্যারিকেন এর কাছে গিয়ে হ্যারিকেন নিভিয়ে দিয়ে আবার যথাস্থানে চলে গেল।

চোখের সামনে এমন একটা কান্ড ঘটতে দেখে সেই বান্ধবী খুব ভয় পেল। কিন্তু সে কোনভাবেই তা প্রকাশ করলনা। এক রকম ছট ফট করেই তার রাত কাটলো।

পরের দিন সকালে সেই বান্ধবী হোস্টেল সুপারকে সব বলে দিলে সুপার তাকে এই বলে শান্তনা দিল যে-তুমি হয়তো স্বপ্ন দেখেছ।

রুমে ফিরলে সেই জ্বীন বান্ধবী বলল- এতদিন আমার রহস্য গোপন ছিল। কিন্তু তুমি জেনে গেছ এবং তা অন্যকেও জানিয়েছ। তাই আমার পক্ষে আর এখানে থাকা সম্ভব নয়।

আমি আসলে জ্বীন। পড়া-শোনা করার জন্যই মানুষের বেশে তোমাদের সাথে ছিলাম। দেখ ঐ যে জানালার পাশে খেজুর গাছটা ওটার উপরে উঠেই আমি এখানে আসা যাওয়া করতাম। আজ আবার ওখান দিয়েই চলে যাব।

তুমি ভাল থেক। ভয় পেয় না । আমি কারো ক্ষতি করবোনা।

কথা শুনে এক প্রকার আতঙ্কে ও ভয়ে সেই বান্ধবীটি ঘামিয়ে উঠল। সে দেখল তার চোখের সামনে-জানালা দিয়ে সাই করে তার এতদিনের চেনা বান্ধবী অচেনা রূপে সেই খেজুর গাছটির উপরে গিয়ে উঠল এবং চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে গেল।




বিঃদ্রঃ আমি মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করি জ্বীন আছে। অনুগ্রহ করে কেউ এ নিয়ে তর্কমূলক মন্তব্য করবেন না ।

ছবি : কালের কন্ঠের কালের খেয়া ম্যাগাজিন থেকে মোবাইলে তোলা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার জ্বীনের গল্প।ছেলেবেলায় দাদীর কাছে অনেক জ্বীনের গল্প শুনেছি কিন্তু এটা কখনো শুনিনি।

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর মতামত দিয়েছেন। আসলে আমরা সবাই ছোটবেলায় প্রচুর জ্বীনের গল্প শুনি।

ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প‌ড়ে মজা পেলাম। আপ‌নি নি‌জে কখ‌নো দে‌খে‌ছেন?

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে খুশী হলাম।

না আমি কখনো জ্বীন দেখিনি। তবে জ্বীনে ধরা মানুষ দেখেছি।

আপনি দেখেছেন ?

ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মাইদুল ভাই ভালো লিখেছেন।

ভালোবাসা নিরন্তর।

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার প্রশংসা পেয়ে ভাললাগছে রাজীব ভাই।

আপনার অনেক লেখাও খুব হয়।

ধন্যবাদ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মাইদুল ভাই, আমি শুনছি জ্বীনরা স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাফেরা করে, ঘুরেফিরে। আমাদের ব্লগে কোন জ্বীন নাই তো? :-&

০৩ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হ্যা প্রান্ত তুমি ঠিকই শুনেছ।

জ্বীনেরা সবখানেই আছে।

ব্লগেও থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জ্বীনদের ব্যাপারে এই গল্পটি বহুল প্রচলিত একটি গল্প। ইতিপূর্বে অনেকেই এই গল্পটি যার যার মত করে বলেছেন।। ভাবছি, এটার মুল গল্পটা কি ছিলো?

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মূল গল্পটির বিষয় এমনই ছিল হয়তো-জ্বীনের লম্বা হাত।

এটা ঠিক যে গল্পটি বহুল প্রচলিত।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জ্বীনের অস্তিত্ব অবশ্যই আছে। কুরআনে জ্বীন সম্পর্কে স্বতন্ত্র একটি সূরাই আছে। অতএব জ্বীনের অস্তিত্ব অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই।

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তার পরেও অনেকে তর্ক করে, অস্বীকার করে।

ধন্যবাদ।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২১

জাহিদ অনিক বলেছেন: আমার সামনে কোনদিন কোণ জ্বীন ভূত আইলো না

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অপেক্ষায় থাকেন যদি কোন দিন ধরা দেয়।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি নিজে জ্বীন দেখেছি। তাও বিদেশের মাটিতে! তাই, এ গল্প সত্য বলেই মনে করি।

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এরকম কত যে ঘটনা আছে। যার সাথে ঘটে সেই শুধু বুঝে।

ধন্যবাদ শাইয়্যান ভাই।

আপনার জ্বীন দেখার ঘটনা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জীনের গল্প পড়তে ভালই লাগে। ছোটবেলা জীনকে ভয় পেতাম। তবে এখন জীন-ভূত বিশ্বাস করি না।

০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

১০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

জুন বলেছেন: আমি যা বলতে চেয়েছি তা কাল্পনিক আর আপনি মিলে বলে দিয়েছেন অর্থাৎ জীনের লম্বা হাত বা পা । তবে আপনার সহজ সরল ভনংগীতে লেখাটি ভালোলাগলো মাইদুল সরকার ।
+

০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার মতামত উৎসাহমূলক।

সুন্দর বলেছেন আপু।

ধন্যবাদ জানবেন।

১১| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়তে বেশ লাগলো ভাই।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

অনুপ্রেরণায় কৃতজ্ঞ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.