নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
মেঘনা ব্রিজের কাছেই টেংগারচর নামক গ্রামে অনেক বছর আগে হঠাৎ করে জ্বীনের উৎপাত বেড়ে গেল। গ্রামের মানুষ এহেন জ্বীনের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে বড় মাপের হুজুর ও কবিরাজের দারস্থ হয়ে জানতে পারলো তাদের গ্রামে জ্বীন চালান দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন পর গ্রামবাসী টের পেল সদ্য জন্ম নেওয়া দুধের শিশুরা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এ কাজ যে দুষ্টু জ্বীনদের তা জানতে আর তাদের বাকি রইলনা। পেরেশানীর মধ্যেই তাদের দিন-রাত কাটতে লাগলো।
কারো ঘরে নতুন অতিথিরে আগমনে খুশির রেশ কেটে গিয়ে আতঙ্ক দেকা দেয় কবে আবার জ্বীনের নজড় পড়ে। কবে জানি শিশুটিকে জ্বিনেরা নিয়ে যায়।
রাবেয়া বেগমের ১ বছরের শিশুকে নিয়ে সে বেশ চিন্তিত। সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখে। তার স্বামী ঢাকাতে চাকরী করে বিধায় সেখানেই থাকে। শাশুড়ি থাকেন রাবেয়া বেগমের সাথে। কিন্তু তিনি বয়স জনিত কারণে ক’দিন ধরে অসুস্থ। শিশুটি বুকের দুধ তেমন পান করেনা।
সেদিন সন্ধ্যার পর বেশ কান্না কাটি করছিল। তাকে একা রেখে বাহিরে রান্না ঘরে গিয়ে দুধ জ্বাল দিতে সাহস পাচ্ছেনা রাবেয়া। এদিকে আবার রোগের ঘোরে প্রলাব বকছে শাশুড়ি মা।
বাচ্চাটির কান্না থামাতে না পেরে অগত্যা দুধ জ্বাল দিতে বাহিরে গেলেন রাবেয়া। এদিকে সন্ধ্যার আজান শেষ হয়ে রাত নামতে শুরু করেছে। সুন্দর বাচ্চাটিকে একা দেখতে পেয়ে দুই জ্বীন তাকে চুরি করার ফন্দি আঁটে। একজন ভিতরে গিয়ে শিশুটিকে হাতে নিয়ে বাহিরের জনের নিকট দিয়ে নিজেই শিশুর রূপ ধরে আরও জোরে কান্না শুরু করে। ইতিমধ্যে মসজিদের ইমাম সাহেব নামাজ শেষে এদিক দিয়েই কোথাও যাচ্ছিলেন তিনি জ্বীনদের কান্ড দেখে সূরা পড়তে পড়তে ঘরের কাছে পৌঁছলে বাহিরে অবস্থানকারী জ্বীনটি হুজুরের উপস্থিতি টের পেয়ে উধাও হয়ে যায় এবং শিশুটিকে হুজুর কোলে করে নিয়ে মসজিদে চলে যান।
রাবেয়া তার কান্নারত শিশুকে যতই দুধ খাওয়াতে চান শিশু ততই কেঁদে চলছে। কিছুতেই শিশুকে আর সারারাত দুধ খাওয়াতে পারলেন না এবং তার কান্নাও বন্ধ করাতে পারলেনা।
শেষ মেষ উপায় না দেখে তিনি সকালে মসজিদের হুজুরের নিকট গিয়ে পড়া পানি বা তাবিজ চাইলে হুজুর বলল- তোমার বাচ্চা আর কোন দিন দুধ খাবেনা। কাথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়েন রাবেয়া। তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন- হুজুর একটা ব্যবস্থা করেন।
হুজুর বলল-ব্যবস্থা একটা আছে। যদি বাচ্চাকে সুস্থঅবস্থায় ফিরে পেতে চাও তবে আমার কথা মত কাজ করতে হবে। তুমি বাচ্চাটাকে আমার এখানে রেখে যাও আর যোহর নামাজের পর আসবে। রাবেয়া চলে যাওয়ার পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হলো- আজ দুপুরে মসজিদে সবাইকে আসার জন্য অনুরোধ করা হলো। আজ আপনাদের সামনে জ্বীন বন্দি করা হবে।
যোহর নামাজের পর গ্রামের মানুষ মসজিদে সমবেত হলে হুজুর বড় এক কড়াইতে তেল গরম করে সরিষা দিয়ে সেই বাচ্চাটিকে গরম তেলে ছেড়ে দিলে উপস্থিত জনতা হতভম্ব হয়ে গেল এবং রাবেয়া তার সন্তনের এহনে পরিণতি দেখে মূর্ছা গেল।
কিছুক্ষণ পর দেখা গেল বাচ্চার পরিবর্তে সেই কড়াইতে একটা কালো কাক ভাজা হয়ে আছে। রাবেয়ার জ্ঞান ফিরলে হুজুর তাকে তার আসল বাচ্চা ফিরিয়ে দিল।
এর পর সেই গ্রাম থেকে চিরতরে জ্বীনেরা পালিয়ে যায়।
ছবি : নিজের তোলা।
০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হ্যা দাদা আমরা অনেকেই তা শুনেছি।
ভূত না থাকলেও জ্বীন কিন্তু আছে।
ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জ্বীনের গল্প শুনে ছোটবেলায় কত যে ভয় পেতাম!
০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সোহেল ভাই-আমরাও ভয় পেতাম। এখন বুঝি এগুলো দুষ্টু জ্বীনের কাজ।
ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: কি গল্প রে ভাই?
এক নিশ্বাসে পড়লাম!
আমার আব্বা ছোট থাকতে সাদা একটা মহিলাকে(পরী) দেখেছিল! তার সাথে নাকি কথাও বলেছে...
০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তা হলেতো কথাই নেই। সেই পরী কি দ্বিতীয়বার আর দেখা দেয়নি ?
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুবই আজগুবি কাহিনী।
০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সত্য-মিথ্যা জানিনা। তবে কাহিনীটা এরকমই শুনেছিলাম। কিছুটা আজগুবি টাইপের।
ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: ধুরররররর!!
০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার বিশ্বাস আপনর কাছে।
ধন্যবাদ।
৬| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল মাইদুল ভাই। গল্প ভালো লাগলো। দুষ্টু জ্বীন খুব বাড় বেড়ে গেছিল।বেটা ভাজা কাক হয়ে গেল।
শুভ কামনা রইল।
০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শুভ সকাল ভাই।
কেমন আছেন ?
ভাললাগায় ভালবাসা।
ধন্যবাদ।
৭| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: দারুণ কাহিনী তো! খুব ভালো লাগল।
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৮| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই, আমিও ছোট সময় জ্বিনপরির গল্প খুব ভালোবাসতাম, মনোযোগ দিয়ে শুনতাম।
০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সবসময়।
৯| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
করুণাধারা বলেছেন: একটানে পড়ে যাবার মত গল্প, ভালো লাগলো।
০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু।
শুভকামনা।
১০| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
ক্স বলেছেন: মোবারক সাহেবের ভয় ভয় করতে লাগল। সামনে দাঁড়ানো মেয়েটি জ্বীনপরি না তো! তাহলে তো বিপদ! তিনি শুনেছেন পরীরা নাকি রাত বিরাতে পুরুষ মানুষকে তুলে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে নানা রকম আকাম কুকাম করে একেবারে ছিবড়া বানিয়ে ছেড়ে দেয়। তবে তিনি এও শুনেছেন যে পরীরা নাকি অল্প বয়েসী তরুণ এবং যুবকদেরকেই তুলে নিয়ে যায়, তার মত বুড়ো হাবড়াদেরকে নয়। তাকে ছিবড়া বানানোর কিছু নেই - তিনি ছিবড়া হয়েই আছেন।
০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এমনটাই প্রচলিত আমাদের সমাজে।
ধন্যবাদ।
১১| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বীন দেখার শখ আমার ছোটবেলা থেকেই।
০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার শখ পূরণ হোক।
১২| ০৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
আখেনাটেন বলেছেন: জ্বীন-ভূত কিংবা অলৌকিকতা নিয়ে আমার কাছেও তিনটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা আছে। ব্লগে দিতে ভুই পাচ্ছি যদি তেনারা কিংবা ব্লগারেরা ক্ষেপে যায়।
ভালো হয়েছে লেখা ব্লগার মো: মাইদুল সরকার।
০৬ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
থাল থাকুন।
আপনার অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করুন।
১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ভাই, আপনার গল্প পড়ার সময়, পাশেই কোথাও একটা বিড়াল ডেকে উঠলো আর্ত স্বরে। কেউ বিড়ালের গলা চেপে ধরলে যেমন হয়, তেমন আওয়াজ হলো হঠাৎ। গায়ের রোম খাড়া হয়ে গেছে!
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দারুন অভজ্ঞতা ভাই।
সাবধান থাকুন।
ঈদ শুভচ্ছা।
১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
টারজান০০০০৭ বলেছেন: জীন ভাজি হইয়া কাক হইয়া গেল , পুরাই লস ! মুরগি বা মাছ হইলেতো খাওয়া যাইত !
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওর বাবা বলন কী ? ওসব না খাওয়াই ভাল।
ঈদ শুভচ্ছা।
১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইটা কাল রাতে অফলাইনে পড়ছি;সত্যি বলতে কি একটু অন্য রকম অনুভূতি ছিল।
লেখায় ভালোলাগা।
১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
বিজন রয় বলেছেন: শৈশবে তো শত শত জ্বীন-ভুতের কাহিনী শুনেছি।
আসলে জ্বীন-ভুত বলে কিছু নাই।