নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
গ্রামের নাম বড় ভাটের চর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসরগ থেকে যে সংযোগ সড়ক গ্রামের দিকে গেছে তা তখন পাকা হয়নি। কাঁচা রাস্তার মাঝে সরু একটি খাল এখন অবশ্য ব্রীজ হয়ে গেছে। ব্রীজ হওয়ার আগে নৌকা দিয়ে পাড় হতে হতো।
কলিম যুবক। কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে। ঘটনাটা যে দিন ঘটে সেদিন বাজার সদাই করে ফিরতি পথ ধরতেই সন্ধ্যা হয়ে গেছে। খাল পেরিয়ে রাস্তায় উঠে বুঝতে পারলো রাম্তা পিচ্ছিল হয়ে আছে বৃষ্টি কারণে। সে তখন ক্ষেতের আল দিয়ে হেটে বাড়ির পথ ধরলো। দুটো জমি পেরোতেই সামনে পাট ক্ষেত। হঠাৎ পাট ক্ষেত থেকে ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে সে থমকে দাড়াল।
এদিক সেদিক দেখে সে ভাবতে লাগলো এই সন্ধ্যায় এখানে বাচ্চা আসলো কোথা থেকে ? আরও একটু এগিয়ে গেলে সে দেখতে পেল-একটি বাচ্চা হামাগুড়ি দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং কান্না করছে। সে ভাবলো হয়তো কারো ভুল করে গ্রাম থেকে এদিকে চলে এসেছে। ফুটফুটে বাচ্চাটিকে সে পরম মমতায় তুলে নিয়ে কাধে বসিয়ে হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে হাটতে লাগলো।
কিছুদূর যাওয়ার পর কলিমের মনে হলো যেন বাচ্চাটার ওজন বেড়ে যাচ্ছে তবুও সে এতটা পাত্তা না দিয়ে হাটতে লাগলো। কিন্তু অবস্থা এমন হলো যে-তার ঘাড় ব্যাথা শুরু হলো। এক মন ওজের বস্তা যেন তার ঘাড়ে। এবার সে বিচলিত হয়ে তার বুকের সামনে ঝুলানো বাচ্চার দুই পায়ে হাত দিয়ে ধরে সে চমকে উঠল। কোথায় বাচ্চার নরম পা। এ যে পাটের আঁশের মত কি যেন লোমশওয়ালা শক্ত চিকন ঠ্যাং।
অজানা আশংকায় ও বিপদের গন্ধ পেয়ে সে হাতের ব্যাগ ফেলে ইয়া আল্লাহ বলে ঘাড় থেকে সেই ওজন ওয়ালা জন্তুটাকে ফেলে দেওয়া চেষ্টা করলো কিন্তু প্রথম চেষ্টায় বিফল হলেও কিছুক্ষণ পরই সে মাটিতে পড়ে গেল। শুরু হলো লড়াই। জন্তুটা ধস্তাধস্তি করে তাকে আচড় কেটে রক্তাক্ত করে ফেলছে। সে শুনেছে মানুষ সাহস ও সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করলে জ্বীনেরা পেরে উঠেনা। এক মূহুর্তে এ কথাটা মনে হওয়ায় তার সাহস বেড়ে গেল সে দোয়া পড়ছে এবং শক্তি দিয়ে জন্তুটাকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। ঘামে শারা শরীর ভিজে গেছে।
আধা ঘন্টা পড়ে সে বুঝতে পারলো জন্তুটা গড়াগড়ি করছে। সে উঠে এক দৌড়ে বাড়ির সামনে গিয়ে অ-মাগো বলে অজ্ঞান হয়ে পড়ল।
তার চিৎকার শুনে মা ও বৌ হ্যারিকেন নিয়ে বেরিয়ে এসে দেখল-কলিম উঠানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
পরে ঈমাম সাহেবকে খবর দিয়ে আনালে তিনি পানি পড়া দিলেন ও তাকে ভালভাবে গোসল করিয়ে দোয়া পড়ে তার শরীল বন্ধ করে দিলেন। ঈমাম সাহেব জানালেন তাকে জ্বীনে ধরেছিল। এর পরের ৩/৪ দিন সে জ্বরে ভোগে এবং সুস্থ হয়ে উঠে।
ছবি : নিজির মোবাইল থেকে নেওয়া।
২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বানান ঠিক করতে হলে আরও কয়েকবার লেখাটি পড়তে হবে।
ধন্যবাদ্
২| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এমন গল্প ছোটবেলায় গ্রামে অনেক শুনতাম, তখন বিশ্বাস করতাম। ভাল লাগলো।
২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন তারেক ভাই।
ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
ইনাম আহমদ বলেছেন: গেঁয়ো কুকুর ধরেছিলো হয়তো। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের রজ্জুতে সর্পভ্রম হয়।
২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যার সাথে ঘটে সেই বুঝে কি ধরেছিল।
৪| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০২
ইনাম আহমদ বলেছেন: আমাকে কখনো ধরলে পোস্ট দিবনি।
২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তাতো অবশ্যই। তখন পোস্ট না দিলে চলবে কেন ইনাম ভাই ?
৫| ২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভৌতিক ছবি, অন্ধকারে কিছুই বোঝা যায় না।
মোটামুটি ভয় পেলাম, তবে যার সাথে ঘটনা ঘটেছে তার যে হালুয়া টাইট তাতে কোন সন্দেহ নাই।
২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মফিজ ভাই কেমন আছেন, ঈদ কেমন হলো।
ছিবিটা আমার শোবার রুমের জানালা ও পর্দার।
যার সাথে ঘটে এমন ঘটনা তারতো হালুয়া টাইট-ঠিকই বলেছেন।
ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪
সিগন্যাস বলেছেন: মাইদুল ভাই এই ঘটনার ব্যাখ্যা শুনেন।কলিম হচ্ছে একজন যুবক যে কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে।স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ে/সংসারের চাপে তার মাথা ঠিকমতো কাজ করছিল না।তাই সে যখন বাসায় ফিরছিল তখন একটা বিড়ালকে মানুষের বাচ্চা মনে করে তুলে নেই।কিছুক্ষণ পর যখন হুশ হলো তখন দেখলো ওইটা আসলে বাচ্চা না বিড়াল।এটা দেখে সে অতিভয়ানক ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।ফলে ঘটে ডাবল হ্যালুসিনেশন।আত্নরক্ষায় সে বিড়ালকে আক্রমণ করে।বিড়ালটাও নিজেকে বাঁচানোর কন্য কলিমকে কয়েক ঘা লাগিয়ে দেয়।এতে কলিম আরো ভয় পায় এবং উন্মাদের মতো দৌড়ে বাড়ি গিয়ে জ্ঞান হারায়।এটাই ছিল ঘটনা।এখানে অতিপ্রাকৃত বিষয় ছিল না।
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সিগন্যাস,
আপনি যে ব্যাখা দিলেন তার যুক্তি আছে। কিন্তু সন্ধ্যার সময় এমন ভ্রম হওয়ার কথা নয়।
আর জ্বীনেরাতো উৎপাত করেই থাকে।
সুন্দর মতামতে ধন্যবাদ।
৭| ২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল।
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১২
সুমন কর বলেছেন: কমন তবে খারাপ লাগেনি। +।
টাইপে সচেতন হতে হবে।
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সামনে আনকমন কিছু দিতে পারি কিনা দেখি।
ধন্যবাদ।
৯| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
তখনকার সময় কত অদ্ভুত গল্প প্রচলিত ছিল। অবশ্য তখন বিনোদনের উতস ছিল কম। তাই ভৌতিক গল্পগুলো রাত যাপনের উত্তম বিনোদন ছিল!
২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তা অবশ্য ঠিক। কিন্তু তখন এধরণের ঘটনাও বেশি ঘটতো।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১০| ২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমার মনে হয় ইহা সিন্দাবাদের ভুতের বংশধর আছিল ! অথবা হইতে পারে ছাগলের বাচ্চা আছিল ! বাজারের ঠগগুলান ছাগলের গোস্ত খাওনের লাইগা ভুত কইয়া ভয় দেখাইছে যেন ফেলায়া থুইয়া চইলা যায় !
২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মজাদার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গ্রহণ করুণ।
১১| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
জুন বলেছেন: একসময় ভুত প্রেত জীনদের গল্প খুব ভালোলাগতো অবশ্য এখোনো পড়তে মজা লাগে ।
ভালোলাগলো আপনার তিন নং জীন কাহিনী মাইদুল সরকার।
২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনুপ্রাণিত হলাম আপু।
ঈদ কেমন কাটলো ?
১২| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: ছোটবেলার এ গল্প নতুন আঙ্গিকে শুনলাম। প্লাস"+"
২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জিদান ভাই উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা।
১৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ছোটবেলা এমন অনেক গল্প শুনেছি। এজন্য সন্ধ্যার পর অন্ধকার দেখলেই ভূতের ভয়ে অস্তির হয়ে যেতাম। এখন দিন পাল্টেছে, সাহস বেড়েছে। এখন আর ভূত-প্রেতে ভয় করি না। এগুলোর প্রতি কোন বিশ্বাস নেই।
চমৎকার একটি ভৌতিক গল্প। ভাল লেগেছে মাইদুল ভাই। লাইক +++ দিলাম।
২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রিয় কাওসার ভাই-
আসলেই একই গল্প/ঘটনা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একটু এদিক/সেদিক হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
দিন পাল্টেছে। এখন জ্বীনে ধরা ঘটনা খুবই কম।
লাইক, প্লাসে কৃতজ্ঞতা।
১৪| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
সিগন্যাস বলেছেন: আপনি কি আমার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন?
২৪ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার ব্যাখা একদিক দিয়ে ঠিক আছে।
তবে এজাতীয় যত ঘটনা ঘটে সবইতো আর হ্যালুসিনেশন নয়।
বাস্তবেও জ্বীনের ঘটনা ঘটে।
আপনি এ ব্যাপা আগ্রহী। তাই ভাল কোন আলেমের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন জ্বীনের কর্ম-কান্ড।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ কয়েকটা বানান এডিট করে ঠিক করে নিন।