নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
দুই জা এর মধ্যে ছোট জা সীমা আগে শহরে এসে থাকা শুরু করে। দুই বছর পর বড় জা মুনাও শহরে আসে। প্রথমে ভিন্ন বাসায় থাকলেও পরে একসাথে বাসা নিয়ে থাকা শুরু করে।
প্রথম দিকে বেশ ভালই চলছিল দিনকাল। বেশ আন্তরিকতাও ছিল দুজনের মধ্যে। ভাল মন্দ রান্না করা হলে একজন অপরজনকে না দিয়ে খেতনা। বেশ গালল্প, লুডু খেলা, টিভি দেখা, ফেসবুকিং, কেনাকাটা, ঘুরতে যাওয়া ও সংসারের কাজ কর্ম করে দিন গুলো কেমন যেন দ্রুত শেষ হয়ে যেত দুই জায়ের।
ছোট জা এর এক ছেলে কিন্তু বড় জায়ের তখন পর্যন্ত সন্তানের দেখা নেই। এই নিয়ে সে বেশ মনমরা হয়ে থাকতো। ছোট জা এর মায়ের বাসা কাছে হওয়াতে তার মা ঘন ঘন মেয়েকে দেখতো আসতো, এটা সেটা দিয়ে যেত। ছোট যাও প্রতি সপ্তাহে মায়ের বাসায় যেয়ে দুদিন থেকে আসতো। তখন বড় জা একা হয়ে পড়তো, বাড়ির জন্য তার মনও আকুলি বিকুলি করতো। চাইলেইতো আর বাড়ি যাওয়া যাবেনা, কোথায় চট্টগ্রাম আর কোথায় বিক্রমপুর।
ছোট জা একবারই বড় যাকে তার মায়ের বাসায় নিয়ে গিয়েছে। আত্মীয়হীন, বন্ধু বান্ধবহীন শহরে বড় যা শুধু একটা সন্তান এর জন্যই এসেছে। স্বামীর কর্মস্থল চট্টগ্রাম বাড়িতে যাওয়া হয় কম। তার উপর তার নিজের শরীরে রয়েছে সমস্যা। মাসিক চক্র নিয়মিত নয়।
ছোট জায়ের মা এক কবিরাজের কাছে নিয়ে গেলেও কোন ফল হলনা মুনার। বরং সে মহিলার কথায় অনেক কষ্ট পেল একদিন।
ঝিয়ারী যতই আমার নাতীরে আদর কর, আমার নাতী যতই তোমারে বড় মা বলে ডাকুক, আমাগো নাতী আমাগোই কাজে আসবো। এই কথাটা শুনার পর মুনার চোখ ফেটে জল এলো। সে গোপনে জল মুছল। স্বামীকেও বললনা তার দু:খের কথা।
স্বামীকে নিয়ে নাম করা এক হোমিও চিকিৎসকের কাছ থেকে তারা চিকিৎসা নিতে লাগলো। নিয়মিত ঔষধ খেয়েও বছর ঘুরে কোন সুসংবাদ এলনা। এবার টাকা জুগিয়ে তারা গাইনী ডাক্তার এর নিকট গেল ।
মুনা লক্ষ করে দেখেছে তার যত ভাল কথাগুলো সীমার সাথে শেয়ার করলে হিতে বিপরীত হয়। সেদিন বলল-ভাবী আমার ঠান্ডা সেরেছে হোমিও ডোজ খেয়ে। পরের দিনই তার আবার ঠান্ডা ও বুকে কফ জমা শুরু হলো।
বেশ কদিন জ্বরে ভুগার পর শরীরটা যখন ভাল হলো অমনি সীমাকে বলল-ভাবী আজকে জ্বরটা সেরেছে। মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখে মুনা তার শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।
একদিন বন্ধের দিন সর্ষে ইলিশ ও শুটকি ভুনা করেছে সীমাকেও দিয়েছে। সীমা খেয়ে বলেছে ভাবী দারুণ মজা হয়েছে। অনেক দিন পর আবার সেই সর্ষে ইলিশ ও শুটকি ভুনা করছে মুনা। রান্নার এক ফাঁকে সীমাকে বলছে আজকেও সেদিনের মত মজা হবে। কিন্তু দুপুরে খেতে গিয়ে দেখে মজা তেমন হয়নি। একটাতে লবন বেশি হয়েছে, আরেকটাতে ঝাল বেশি হয়েছে।
নতুন একটা শ্যাম্পু ব্যবহার করে মুনার দীঘল চুলগুলো রেশমী হয়েছে। সীমা চুল দেখে বলল-ভাবী কি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন? ব্যস কাজ সারা এর পর থেকে সেই শ্যাম্পু ব্যবহার করে মুনা কোন উপকার পায়না।
মুনার মুখে কোন ব্রন নেই। সীমা বলে ভাবী আপনি কোন স্নো ব্যবহার করেন। মুনা বলল-কেন, ফেয়ার এন্ড লাভলী মাল্টিভিটামিন।
দুদিন পর দেখা গেল মুনার মুখে ছোট ছোট ব্রন উঁকি দিয়েছে।
এভাবে প্রতিটি জিনিসে যখন এমন ঘটনা ঘটছে তখন একরাতে স্বামীকে মুনা সব বলল। শুনে তার স্বমী বলল- ব্যাপারটা কাকতালীয় হতে পারে। আবার কোন কোন মানুষের মুখ কালমুখ হয়। যা বলে সেটাই ফলে যায়। তুমি এখন থেকে সব কথা ওকে বলবেনা।
গাইনী ডাক্তারের ঔষধ খাওয়ার পরের মাসেই মুনা কনসেপ্ করলো। কিন্তু সীমাকে তা জানালোনা। কি জানি যদি আবার হিতে বিরপীত হয়। এত সাধনার ফসল সে নষ্ট হতে দিবেনা।
ছবি : নিজের আঁকা।
১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমান ভাই-অভিজ্ঞতার দুএকটি কথা যদি বলতেন তবে ভাল হতো।
ধন্যবাদ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৮
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: আঁকা ছবিটা দারুণ হইছে।
কথাগুলোও বেশ ভাল লাগছে।
১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছবি ও গল্পের কথা মালার প্রসংশায় কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
সিগন্যাস বলেছেন: আহা মাইদুল ভাই আমি তো ভাবছিলাম এইটা ভৌতিক গল্প
১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবই যদি ভুতের গল্প হয়ে যায় তা হলে কেমনে হবে ভাই।
এবার অন্য গল্প লিখেছি তাই।
ভাল থাকুন।
সিগন্যাস শব্দের কোন অর্থ আছে কি ?
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুল ভাই,
গল্প ভালো লাগলো।।আসলে এমন সন্দেহ থেকেই আমরা প্রতিবেশীদের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখি। সব সময় যে তার পিছনে যুক্তি থাকে তা নয়, নিতাম্ত সন্দেহই আমাদের এমন করে তোলে।
ছবিটিও খুব ভালো হয়েছে।
শুভকামনা জানবেন।
১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সন্দেহ বড় খারাপ রোগ।
ছবির প্রসংসার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন ভাই।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্প ভালো লিখেছেন।
১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কবি যখন বলেছেন গল্প ভাল, তখন ধরে নিতে হবে ভালই হয়েছে।
কি বলেন কবি ?
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা ভালো হয়েছে। 'কালমুখ' বলে আসলেই কিছু আছে নাকি? নাকি শুধুই কুসংস্কার?
১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
বাস্তবেও এরকম কিছু মানুষ আছে যারা কালমুখো।
তবে ব্যাপারটা কাকতালীয় কিনা জানিনা।
গল্পটা কিন্তু বাস্তব থেকে নেওয়া।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব গল্প।
১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই বাস্তব।
বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
সিগন্যাস বলেছেন: জ্বি ভাই এটি একটি অতিপ্রাকৃত শব্দ । কোন একদিন এইটা নিয়ে লিখবো নে
১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হ্যা লিখুন।
লিখলে এটা সমন্ধে ধারণা পাওয়া যাবে।
শুভকামনা।
৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এগুলো ঘটে তবে ব্যতিক্রম ।
১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঠিক তাই।
ধন্যবাদ।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সত্য ঘটনা হলে বিষয়টা খুব ইন্টারেস্টিং ! মুনা সীমাকে না বললেও তো একটা সময় পর সীমা বুঝবেই মুনাকে দেখে। তখন কি ঘটবে বা ইতিমধ্যেই কিছু ঘটেছে কি-না জানার ইচ্ছে হল।
১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রায় ২/৩ মাস পর বলেছিল সুখবর আছে।
এর বেশি লুকিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এমনেই ধরা পড়ে যাবার আশংকা আছে।
শুনে সীমা খুশি হয়েছে সে বলেছে-মেয়ে হলে বেশি খুশী হবো।
ধন্যবাদ আপনার কৌতূহলের জন্য।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম বেশ আশেপাশের পরিচিত গল্প খুব সুন্দর ফুটিঁয়েছেন লেঁখায়।
আর ছবি’টা ও চমৎকার !!
আপনার আঁকা’র হাত সত্যি’ই দারুন।
১২ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কবি সবই আপনাদের দোয়া আর নিজের একটু চেষ্টা।
অনেক বেশি ভাললাগা আপনার মন্তব্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১০
রানা আমান বলেছেন: গল্পটা মজার তবে কাকতালীয় হলেও এমন ধরনের অভিজ্ঞতা আমার নিজেরই হয়েছিল ।