নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই পর্যালোচনা- সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান-১

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬



ঐতিহাসিক সিরিজ উপন্যাস
সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান-১
এনায়েতুল্লাহ আলতামাস
অনুবাদ-শহীদুল ইসলাম।


লিংক- নেটে সার্চ দিয়ে সহজেই পিডিএফ ডাইনলোড করে পড়তে পারবেন।


৯৭১ সালের ১লা নভেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে সূচিত হল নতুন অধ্যায়। জন্ম নিলেন ‘মূর্তি সংহারক’ খ্যাত সুলতান মাহমুদ। হাজার বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু ইতিহাসে আজও জ্বল জ্বল করছে সুলতান মাহমুদের নাম।

উপন্যাসের শুরু ৯৪০ সালের দু’চার বছর আগে বা পরের ঘটনা দিয়ে। পারস্যের বাদশা নওশেরোয়ার এর মৃত্যুর পর যারা সাশক হিসেবে মসনদে বসেছে তাদের যুলুম ও অত্যাচারে সময়ের পরিক্রমায় ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক বাদশা নওশেরোয়ারের অধঃস্তন পুরুষেরা পারস্য ছেড়ে দিগ্বিদিক ছড়িয়ে পড়ে।

সেই রাজ বংশের টগবগে এক যুবক হাকাম বিন কিরার আরসালান বুখারার এক মেঠো পথে নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে চলছে। হাকাম ক্লান্তিতে গাছের ছায়ায় বসে পড়লে বাচ্চাদের হৈ চৈই শুনতে পায়। আর শুনতে পায় এক কিশোরীর কুরআন তিলাওয়াত। সে যাযাবর কাফেলা মনে করে সামনে এগিয়ে গিয়ে সেই কিশোরীকে বলল-তুমি ভুল পড়ছ। এভাবেই সেই তুর্কি মুসলিম কাফেলার সাথে পরিচয় হয়।

কাফেলার পুরুষেরা হাকামের পরিচয় পেয়ে তাকে তাদের সাথে থাকার জন্য অনুরোধ করল এবং কিশোরির সাথে কিছুদিন পর অলৌকিক গুন সম্পন্ন ও সৌম্য কান্তিময় বিয়ের প্রস্তাব দিল।

কিশোরিকে নিয়ে অনেকেই কাড়াকাড়ি করেছে কিন্তু যারাই তাকে জোড় করেছে তারাই কোন না কোন বিপদে পরে পরাস্ত হয়েছে।

আল হাকাম কিশোরীকে বলে-তুমি কেন বিক্রি হতে চাওনা। জবাবে কিশোরী বলে-
‘জানি না আমার মধ্যে কীভাবে এ আকাঙ্খা জন্ম নিলো যে,-বিয়ে করে একজন পুরুষের স্ত্রী হিসেবে থাকবো। হৃদয়ের কথা শুনতে শুনতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হলো, আমার আকাঙ্খা সফল হবে।’

আল হাকামের সাথে সেই কিশোরীর বিয়ে হয়। সংসারে আসে এক পুত্র সন্তান নাম তার সুবক্তগীন। তারা গোত্র থেকে পালিয়ে যায়। তাদের ধাওয়া করা হয় কিন্তু তারা ধরা পরে না। অন্য এলাকার মহলে কাজ নেয় সুবক্তগীনের মা। লালসার শিকার হওয়ার আগেই সেখান থেকে আবার পলায়ন। আমীরের হেরেমে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক আসে কিন্তু ভাগ্য তাদের এবারও বাঁচায়।

এভাবে পলায়নে পর জীবনের প্রতি আল হাকাম হয়ে পড়ে বিষন্ন। সে বলে-‘আমাদের জন্য আল্লাহর জমিনও বুঝি সংকীর্ণ হয়ে গেছে।’

‘অধৈর্য হয়ো না সুবক্তগীনের বাপ। তুমি আমার কথা বিশ্বাস কর আর না কর আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেই কাঙ্খিত সন্তানই ভূমিষ্ঠ করেছি যার ইশারা আমি পেয়েছি।’

সুবক্তগীনের ১০-১১ বছর হলে সে কুরআন তরজমা ও তাফসীরসহ পড়ে ফেলে। তার ওস্তাত তাকে বুখারায় যেতে বলে আরও বড় হওয়ার জন্য। স্থানীয় এক কাফেলার সাতে তারা মা, বাব, ছেলে ৩ জনই রওনা হয়। পথে ডাকাত দলের কবলে পড়ে আল হাকাম প্রান হারান আর সুবক্তগীন -কে বিক্রি করে দেন। সুবক্তগীনের মা স্বামী হারিয়ে ছেলের শোকে পাগল হয়ে একদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন

সেই ডাকাত দল আরও অনেক ছেলে-মেয়ে, তরণ-তরুণী সাথে সুবক্তগীনকেও বিক্রি করে দেয়। তাকে কিনে নেয় বুখারার উপকন্ঠের জমিদার-হাজী নসর । সুবক্তগীনের পরিচয় পেয়ে ও তার মত এক বালকের মুখে ইসলাম, দ্বীন ও বিজ্ঞোচিত প্রশ্নের জবাব শুনে অবাক হলেন এবং তাকে কাজে লাগানোর জন্য পড়ালেখা ও সমর বিদ্যায় পারদর্শী করে তুললেন। সুবক্তগীন যখন যুবক হলো তখন হাজী নসর তাকে নিয়ে বুখারার গবর্ণর আলপ্তগীনের সাথে দেখা করেন।

তখনকার ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা একজন গোলাম সরাসরি গবর্ণরের বাড়িতে ঢুকার সুযোগ পেল। আলপ্তগীন দেখেই বুঝে গেলেন এই যুবকের মাঝে অমিত সম্ভাবনা রয়েছে তিনি অভাবনীয় উচ্চমূল্যে সুবক্তগীনকে কিনে নেন এবং তাকে গোলাম হিসেবে নয় সেনবাহিনীতে ভাল পদে অধিষ্ঠিত করেন। ঘটনার পরিক্রমায় আলপ্তগীনের কন্যার সাথে সুবক্তগিনের পরিচয় ও প্রণয় ঘটে।

৯৬২ ইংরেজী মোতাবেক ৬৫১ হিজরী সনে আলপ্তগীন গজনীর শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সুবক্তগীনকে প্রধান উজীর নিযুক্ত করেছিলেন। অল্পদিন পর আলপ্তগীন এর মুত্যু হলে সুবক্তগীন হন গজনীর শাসক।

একরাতে স্বপ্নে দেখলেন সুবক্তগীন- তার ঘরের ছাদ ভেদ করে একটি গাছ বেড়ে উঠল। বাড়তে বাড়তে গাছটি এমন বিশাল ও বিস্তৃত হলো এবং অর্ধেক পৃথিবী সেই গাছের ছায়া ঢেকে নিলো।

আর সেই দিনই তার ঘরে জন্ম নিল প্রথম সন্তান-স্বপ্নের সুবিস্তৃত মহীরুহ। আর এখানেই ঘটে ইতিহাসের আরেক বাক বদল।

২য় পর্বে সমাপ্ত হবে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পিডিএফ লিংক ঠিক করুন।

আমীরের হেরেমে ধনে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক আসে কিন্তু ভাগ্য তাদের এবারও বাঁচায়।
বানান ঠিক করুন।

সুলতান মাহমুদ সম্পর্কে জানি...
ইতিহাস নিয়েও অনেক ঘাটাঘাটি করেছি।

বইটা পড়বো :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনাকে বলেছিলাম আমিও ১ম বুক রিভিউ দিব এখানে।

আর কি আশ্চার্য দেখেনে- আপনিই প্রথম মন্তব্য করলেন।

ঠিক করে দিয়েছি। লিংক-সরাসরি না দিয়ে অন্যভাবে দিয়েছি।

বইটা পড়লে আশা করি অনেক মজা পাবেন এবং অজানা ইতিহাসও জানা হবে।
ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুলতান মাহমুদ সম্পর্কে জানি...
ইতিহাস নিয়েও অনেক ঘাটাঘাটি করেছি।

বইটা পড়বো :)



আমার আগের কমেন্টটা মুছে দিতে পারেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আবারও ধন্যবাদ।

আগের কমেন্ট মুছে দেব কেন ? এটার জন্যই তো ভুল শুধরাতে পেরেছি। থাকুক সযত্নে।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২

অয়ি বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো, দ্বিতীয় পর্ব পড়ার আগ্রহ হচ্ছে ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্বাগতম আমার ব্লগে।

আপনার ভাললাগায় আমারও ভাল লাগছে। দেছি সামনে চেষ্টা করবো ২য় পর্ব করতে।

ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মিডিয়াফায়ারে আপলোড দিতে পারেন।

আমি এক চাঁদের পাহাড় বই বিভিন্ন প্রচ্ছদের বিভিন্ন রকম পেয়েছিলাম।

কিন্তু আমার এই প্রচ্ছদটা ভালো লেগে যায়।


পরে এটা এমাজনে পাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিভূতিভূষণ এর অনেক লেখাই পড়েছি। মানে গল্প। দারুল লাগে।

এটা পড়া হয়নি। প্রচ্ছদ সত্যি সুন্দর।

আপনি কি এটা পড়েছেন ? কি নিয়ে কাহিনীটা ?

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়েছি।

এটা বাংলার বালক শংকরের আফ্রিকা অভিযানের গল্প।

লেখাটা পড়ে মনে হয় বিদেশী কোন লেখকের বই পড়ছি....
কিন্তু এটা বাংলার বিভূতিভূষণ এর একটি চমৎকার লেখা।

পড়ে ফেলুন :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়ার ইচ্ছে আছে।

ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: হেডিং টা ঠিক করে দিন। লেখাটা পড়ে বাকি মন্তব্য করছি। sb] কেটে দিন। দেখতে খারাপ লাগছে......

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঠিক করে দিয়েছি ভাই ।

ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২

নীল আকাশ বলেছেন: দারুন গল্প হবে.....। লিংক টা থাকলে এখানে দিন। আমি অবশ্যই পড়তে চাই।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: লিংক কাজ করে কিনা দেখুন। সবকটি পর্ব আছে এখানে। আর না পেলে সার্চ দিলেই পাবেন।

ঘন্টার পর ঘন্টার চলে যায় পড়তে পড়তে। দারুণ উপন্যাস।

ভাল থাকুন । ধন্যবাদ
লিংঙ্ক

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: লিংক কাজ করছে না.......
আসল লিংক টা এখানে দিলাম......সবার জন্য ......যারা পড়তে চান.......।
https://islamicbookhouse.wordpress.com/tag/সুলতান-মাহমুদ-গজনবীর-ঐতি/

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।

কিন্তু লিংক মনে হয় এটাও কাজ করছেনা।

ভাল থাকুন।

৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: নিন আরেকটা
http://almodina.com/site_968.xhtml
দারুন বই সবারই পড়া উচিৎ। সেজন্যই কষ্ট করে লিংকগুলি যোগার করে দিলাম।
শুভ কামনা রইল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া। এই লিংকটা কাজ করছে।

পড়ুন এবং ভাললাগায় ডুবে থাকুন।

১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: - সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান -১ , প্লিজ শিরোনামটি মইদুল ভাই ঠিক করুন।

প্রদীপের নিচে অন্ধকরের মতই আমরা সুলতান মাহমুদ বা সবুক্তগীন গজনী সম্পর্ক অনেক কিছু জানলেও সুবক্তগীন গজনীর অতীত জীবন সম্পর্কে জানতাম না। শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আশা করি বইটি পড়লে আপনি মুগ্ধ হবেন।

শিরোনাম ঠিক করেছি। ভুল ধরিয়ে দবার জন্য কৃতজ্ঞতা।

ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

নজসু বলেছেন:



সুলতান মাহমুদ গজনী সম্পর্কে আরও জানতে সময় সুযোগ মতো বইটি পড়বো প্রিয় মাইদুল ভাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রিয় নজসু ভায়া,

বইটি পড়িলে পরের পর্ব পড়ার জন্য আরও ব্যাপক আগ্রহ জন্মাবে।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

হাবিব বলেছেন: বইটা পড়ে দেখার ইচ্ছা আছে.,.............

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই অবশ্যই হাবিব ভাই।

বই পড়ুয়াদের জন্য অনেক ভাল একটা বই।

বিনোদনও ভরপুর।

ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং সবার মন্তব্য গুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মন দিয়ে পড়ে কি মনে হলো রাজীব ভাই ?

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

আরোগ্য বলেছেন: সুলতান মাহমুদ সম্পর্কে জানার আমার অনেক আগ্রহ। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ আরোগ্য ভাই।

আসলে ইতিহাসে সুলতান মাহমুদ-কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কিন্তু বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন তিনি সম্পদ, নারী, ক্ষমতার লোভে ভারত আক্রমন করেনি।

পড়ুন এবং জানুন।

১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৫

চিত্রাভ বলেছেন: পড়লুম ভাল লাগছে । .................

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্বাগতম।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

বোকামানুষ বলেছেন: রিভিউ ভাল লেগেছে পড়ার আগ্রহ তৈরি হল রিভিউ পড়ে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই ভাললাগা জানানোর জন্য।

বইটি পড়লে আরও ভাল লাগবে।

ভাল থাকবেন।

১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



বইটা সুন্দর। রিভিউ দেয়ায় অভিনন্দন। পোস্টে +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই বইটি সুন্দর। সুখ পাঠ্য।

আশা করি বইটি সময় সুযোগ করে পড়বেন।

অশেষ ধন্যবাদ।

১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: সুলতান মাহমুদের জীবনি নিয়ে ঐতিহাসিক উপন্যাস ! জমজমাট হবার কথা তাহলে ।এক পর্বেই সুলতান মাহমুদের জীবনী উপন্যাস শেষ হয়েছে না আরো পর্ব আছে ? কিন্তু শুরুতে 'মূর্তি সংহারী' বিশেষণটা ভালো লাগেনি । খুব নেগেটিভ মনে হলো সুলতানমাহমুদর ব্যাপারে ।সুলতান মাহমুদের ব্যাপারে আমার কিছু পড়াশোনা আছে ।বইটা পরে পড়ার চেষ্টা করবো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বইটা পড়েই বুঝতে পারবেন কেন মূর্তি সংহারী।

অবশ্যই জমজমাট বই। নেশা ধরার মত। ১ম পর্ব পড়লে ২য় পর্ব পড়ার আগ্রহ জাগবে প্রবলভাবে।

রিভিউ অর্ধেক লিখেছি তাতেই বেশ সাড়া পড়েছে বাকিটা লিখলেও চলবে। যারা পড়ার তারা পড়বেই।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ জনাব।

১৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কাহিনি তো জমজমাট মনে হল।দেখি সময় করে পড়তে পারি কিনা।
অনেক দিন বই পড়া হয়না!
রিভিউ খুব ভাল হয়েছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই পড়ে মজা পাবেন।

মত প্রকাশে ও প্রসংশায় ধন্যবাদ ভাই।

২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মাহমুদ গজনবির ভারতাভিযান মীথের বাস্তবতা : একটি ইতিহাসবিকৃতির ন্যাক্কারজনক অধ্যায়

সাধারণত ইতিহাস বা সীরাত দর্শন পাঠ করতে হলে প্রথমেই আমরা দেখি লেখক আমার পছন্দ কিনা! অথচ লেখকের বক্তব্যের যথার্থ্য কতটুকু—তা হয়ত কখনো খটিয়ে দেখা হয় না। কিংবা লেখকের থেকে ইতিহাসগ্রহণে আমরা কতটুকু নির্ভার থাকতে পারি, বা লেখক আদৌ নির্ভরযোগ্য কিনা—আমার মতে তা কখনোই হয়ত দেখা হয় না। যার কারণে আমাদের ভেতরে একধরনের স্থবির জ্ঞানচর্চার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

যে যা বলছে আমরা তাই নির্বিচারে বিশুদ্ধ ইতিহাস বলে মেনে নিচ্ছি। এটা দুঃখজনক নিঃসন্দেহে। প্রাচ্যতাত্ত্বিক বা অরিয়েন্টালিস্ট ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগণ সুলতান মাহমুদ গজনবির ১৬ বা ১৭বার ভারত আক্রমণের এক মুখরোচক কাহিনি দাঁড় করিয়েছেন। এই কাহিনির পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, গজনবী লুণ্ঠন করতে ভারতে আক্রমণ করেছিলেন—একথাটা প্রমাণ করা। হিন্দু ঐতিহাসিক ও সাধারণ জনগণও এটাই মনে করে। অরিয়েন্টালিস্টরা সফল হয়েছিলেন বলতে হয়।

অথচ বাস্তবতা হলো, মাহমুদ গজনবি তার বাবার পরে সিংহাসনে বসে অাভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হন। ইতিহাসের সাধারণ পাঠই আমাদেরকে বলে দেয়, তার বাবার সময়েই শিয়া বিদ্রোহীরা প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। বাবার রেখে যাওয়া সমস্যা সমাধান করা তার প্রথম ও প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, যে কোনো বুদ্ধিমান শাসকই অাভ্যন্তরীণ বিদ্রোহকে দমন না করে রাজ্যের বাইরে গিয়ে লুণ্ঠন করার শখ করবেন না।

তো যাই হোক, ‍সুলতান মাহমুদ গজনবি আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহীদেরকে কঠোরভাবে দমন করার ফলে তাদের একাংশ হিন্দুস্তানের সিন্ধু অঞ্চলের দিকে আশ্রয় নেয়। গজনবি সেই অঞ্চলের রাজাকে বিদ্রোহীদের ফেরত দিতে বললে তিনি অসম্মতি জানায়। তারপর তিনি ১ মতান্তরে ২বার সেই রাজার রাজ্যে অভিযান চালান।

আমরাও যখন বলি ১৬ বা ১৭বার ভারতে আক্রমণ করেছেন মাহমুদ গজনবি তখন প্রকারান্তরে আমরা অরিয়েন্টালিস্টদের লুণ্ঠনতত্ত্বকেও প্রচার করি। আসলে অরিয়েন্টালিস্ট বা প্রাচ্যতাত্ত্বিকদের লেখা এই ধরণের ইতিহাসের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ডিভাইড এন্ড রোল। মুসলিম শাসকদের চরিত্রে কালিমা লেপন করে তারা মুসলিম শাসক ও সাধারণ মুসলিমদের প্রতি হিন্দুদেরকে বিষিয়ে তুলে এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি নষ্ট করে। ব্রিটিশরা ভারতে আসার পর যত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে তার ৫ভাগও মুসলিম শাসনামলে হয়নি।

মূলত প্রাচ্যতাত্ত্বিকরা মাহমুদ গজনবির ১৭বার ভারতাভিযানের কথা প্রচার করেছে। চাইলে প্রত্যেকবার তারা মুসলমানদের পরাভব ও পর্যুদস্ততার কথা বলতে পারতেন, এতে বাহ্যিকভাবে তাদের মুসলমানদের প্রতি ইতিহাসবিকৃতির আগ্রাসনটা কিছুটা পোক্ত হত। কিন্তু প্রাচ্যতাত্ত্বিকরা তা করেনি, তারা মুসলমানদের শৌর্যবীর্যের আড়ালে পুঁতে দিয়েছে ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক লুণ্ঠনতত্ত্ব। এতে মুসলমানরা তাদের শৌর্যবীর্য ও নেতাদের বীরত্ব দেখে ইতিহাসবিকৃতির মতো জঘণ্য বর্বরতম বিষয়টা কত সহজে ভুলে গেল! একেই বলে মাইন্ডগেম, একেই কলে ডিভাইড এন্ড রোল।


সূত্র : আয়নায়ে হাকিকতনুমাঁ, আকবর নজিরাবাদী

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই।

মুসলমানদের ইতিহাস বিকৃতি করে উপস্থাপন নতুন কোন ষড়যন্ত্র নয়।

সুলতান মাহমুদকে বাধ্য করা হয়েছে ভারত আক্রমনে। তার আসল উদ্দেশ্যে ছিল হিন্দুস্থানের মুসলমানদের মানবেতর জীবন যাবপন থেকে মুক্তি দেয়া ও ইসলাম প্রচার প্রশার। কিন্তু হিন্দু ও অন্যান্য ইতিহাসবিদরা প্রকৃত সত্য লুকয়ে মিথ্যা ও বদনাম রটিয়ে সুলতানের নামে অববাদ আরোপ করে। এবং হত্যা ও লুন্ঠন জুড়ে দেয় তার নামের সাথে।

ধিক শত ধিক যারা এগুলো করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.