নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
১।
মাজহারুলের মা ও ফারিয়ার মা প্রতিবেশী। রমজান মাস ছাড়াও রোজা রাখার জন্য যখন তারা মনস্থির করেন তখন ভোর রাতে একে অপরকে ডাকাডাকি করে জাগিয়ে তোলেন। দীর্ঘদিন এমন ধারা অব্যাহত রয়েছে। ক’দিন আগে ফারিয়ার মার রাতে ঘুমাতে যেতে দেরি হলো। বোন ও ছেলের সাথে ফোনালাপ সেরে যখন তিনি বিছানায় গেলেন তখন রাত প্রায় এগারোটা ছুঁই ছুঁই। সাধারণত নয়টা থেকে দশটার মধ্যেই গ্রামের সবার ঘরের বাতি নিভে যায়। আর এগারোটা মানে মধ্যরাত।
ঘুমটা গভীর হতে পারেনি অমনি মাজহারুলের মা পর পর দুইবার তাকে ডাকলো উঠার জন্য। তিনি ভেবেছেন ভোর হয়ে আসছে তাই ডাকছে। দরজা খোলার পর তিনি কাইকে দেখতে পেলেন না। বাহিরে তখন মরা জোছনার আলোয় অস্পস্ট সব কিছু দেখা যায়। পশ্চিম দিকে তাকাতেই দেখলেন ধীরে ধীরে একটা মহিলার ছায়া পুকুর পাড়ের দিকে চলে যাচ্ছে। তিনি ব্যাপারটা না বুঝেই মাজারুলের মা বলে ডেকে উঠলেন বার দুয়েক। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে মাজহারুলদের ঘরের কাছে গিয়ে দরজায় করাঘাত করলেন।
ভিতর থেকে মাজহারুলের মা বলল-চাচী এত রাতে ডাকছেন ক্যান? ভোর হতে আরও দেরি আছে। ও আচ্ছা, ঘুমাও বলে ফারিয়ার মা ভয়ার্ত অনুভূতি ও পাংশু মুখে ঘরে ফিরে আসে। পরে যখন দিনের বেলা পুরো ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন দু’জন তখন বেশ অবাক হন।
তাদের তখন প্রশ্ন ছায়াটি কার ?
২।
মৃদুল কুমিল্লা শহরে এসেছে প্রায় বছর খানেক। স্নাতকে পড়ছে। নতুন মেসে উঠেছে। এটা তার ২য় মেস বদল। রেজাউল তার বন্ধু ও সহপাঠী। দোতাল্লা বিল্ডিং এর নীচ তলার সবকটি কক্ষ খালি। শুধু একটি কক্ষ তারা দুই বন্ধু ভাড়া নিয়েছে। উপর তলায় মালিক থাকেন।
নিরীবিলি বলে বেশ ভাললাগে দুজনের এখানটায় থাকতে। একদিন জরুরী ফোন পেয়ে রেজাউল গ্রামের বাড়ি চলে যায়। মৃদুল একা। রাতে লাউট নিভিয়ে যথারীতি ঘুমিয়ে পড়েছে। গাছ গাছালীর ছায়া ঘন থেকে ঘন হচ্ছে রাত্রির রহস্যময়তায়।
মাঝ রাতে দরজায় আঘাত করার শব্দ পেয়ে জেগে উঠে মোবাইলে দেখে রাত একটা বাজে। শব্দটা নেই। কিছুক্ষন পর দরজায় আবারও শব্দ হচ্ছে এবার নখ দিয়ে আচরানোর ভংঙ্কর শব্দ। ভয়ে গা শিউরে উঠল মৃতুলের। সাথে সাথে লাইট জ্বালালো সে। কক্ষটি আলোকিত হবার পর আবার শব্দ থেকে গেছে। কিছুক্ষন পর সে শুয়ে পড়ল লাইট অন রেখে। একটু পর আবারও সেই একই কাহনী। মনে হচ্ছে কেউ রাগে হিংস্রভাবে দরজায় আছড় কাটছে।
মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে দরজার কাছে গিয়ে সাহস করে বলল-কে ? কোন উত্তর নেই। বিরতি দিয়ে বার বার একই কান্ড ঘটে চলেছে। এবার মৃদুল দরজায় জোড়ে জোড়ে থাপ্পড় দিল। শব্দ বন্ধ। সাহস করে দোয় দুরুত পড়ে দরজা খুলেলে ফেলল। টর্চের আলোয় কিছুই ধরা পড়লনা। কিছুই নেই সেখানে। ঘাম দিয়ে যেন জ্বড় সারলো।
রেজাউল চলে যাবর পর থেকেই তার অবচেতন মন ভূত নিয়ে ভাবতে ছিল বলেই কি এমন কান্ড ঘটল। উত্তর সে আজও খুঁজে পায়নি।
৩।
সুরিয়া বেগম এর শ্বশুরবাড়ি নাকি ভাল জায়গা নয়। বিভিন্ন কিছুর উৎপাত লেগেই আছে। এক রাতে সুরাইয়ার জা গেছে বাহিরে প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে । কি যেন দেখে সে বেশ ভয় পায়। ওমাগো বলে চিৎকার করে উঠে। ঘরে ফিরে উল্টা পাল্টা কথা বলতে থাকে। সুরিয়া বুঝে যায় যা বুঝার। সে কোন কথা বলেনা তার জা এর সাথে। কিন্তু একটা সময় সে কথা না বলে পারেনা। জা এর কথা শুনে হাসতে থাকে সুরিয়া। জা তখন বলে-এত হাসিসনা তোর ঘরে মাইয়া হইবো, মাইয়া। কন্ঠটা যেন শত বছরের বুড়ির মত শোনা গেল।
একটা ভয় সুরিয়া বেগমের মনে হানা দেয়। সে চুপ করে বাকি রাত কাটিয়ে দেয়। সে বছর সত্যি সত্যি তার একটা কণ্যা সন্তান হয়। কি দেখেছিল তার জা তার আর জানা যায়না পুরোপুরি। জা বলে সে নাকি একটা ছায়া দেখেছে, অদ্ভুত ছায়া। সবাই জানে এটা নিছক কোন ছায়া নয়। তবুও তার সাথে যেটি ছিল সেটি যে ভবিষ্যৎবানী করেছে তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাওয়ায় অবাক না হয়ে পারেনা পুরো পরিবার।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভূতুরে কান্ডগুলো এমনই হয়।
ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
সাগর শরীফ বলেছেন:
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: পড়লাম স্যার। ইলেক্ট্রিসিটির আগমনে আজকাল ছায়ামানবদের দেখা মেলা ভার।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ আবির ভাই।
আগের তুলনায় এখন এদের বিচরণ কম অনেক কারণে।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালই লাগলো ভুতের গল্প।
কালেকশনে আরো আছে মনে হয়।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এখানে ০৩টি ঘটনাই বাস্তব।
হুম গল্প আছে বটে।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
মা.হাসান বলেছেন: একটা বাচ্চা ভুত পোষার আমার অনেক শখ। কাটাবনের দোকান গুলোতে অনেক খুঁজেছি, পাচ্ছি না।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভূত দেখার শখ ছিল। কত দিন রাতে উঠে বাহিরে থাকিয়ে থেকেছি কিন্তু না ওরা দেখা দেয়নি।
ধন্যবাদ। পোষতে হবেনা। সময় মত ঘাড়ে এসে হাজির হবে মহাশয়। সাধ মিঠে যাবে।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি ভয়ানক ব্যাপার স্যাপার। এমটা প্রায়ই শোনা যায়। আমি কখনও দেখলাম না। শুনলাম না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এরকম অভিজ্ঞতা সরাসরি না হওয়াই ভাল। ধন্যবাদ।
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সারা দেশ থেকে আজ সমস্ত ভূত টূত বিদায় নিয়েছে। পুরোনো বাড়ি ঘর নেই। অজপাড়া গায়েও বাতি জ্বলে। বেচারাদের জন্য আমার মায়া হয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সেই মায়ার ফাঁদে পা দিয়ে আপনার সাথে তারা দেখাও করতে পারে।
ধন্যবাদ।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: ভীতিকর।তবে এই যে নাম ধরে ডাকাডাকি খুব কমন এবং সাড়া দিলে এর মারাত্মক পরিণতি হয়।প্রথম মন্তব্যের গল্পটাও ভয়ের।আমিও লিখে যাচ্ছি একটা।একেবারে সত্য ঘটনা।
আমার এক গ্রামসূত্রে ভাই গ্রামে ভ্যান চালাতেন। বাজার থেকে ভ্যান চালিয়ে বাড়িতে আসতে রাত হতো৷এক বৃষ্টির রাতে ভ্যান চালিয়ে ফিরছেন। উনি অনুভব করলেন ভ্যানে কেউ উঠে বসেছে। উনি তাকালেন— কেউ নাই। এত চলন্ত ভ্যানে কেউ লাফ দিয়ে উঠার কথাও না। কিন্তু ভ্যানের পিছনে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মতো ভার মনে হচ্ছে। গ্রামে ঢোকার আগে একটা ছোট মরা খাল পার হতে হয়। উপরে পাকা ব্রিজ।উনি বুঝলেন ভ্যানে কোন সমস্যা আছে। 'তেনাদের' কেউ যাত্রী হয়েছে। এই যাত্রীকে বাড়ি পর্যন্ত নেওয়া যাবে না। ব্রিজের অন্যপাশে পৌছে ভ্যান রেখে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলেন। পিছন থেকে বেশ কয়বার না কি নাম ধরে ডেকেছিলো। ঐ ডাকে সাড়া দিলেই হয়তো বিপদ হতো। উনি অবশ্য খেয়াল করেননি গলার স্বরে পরিচিত কারোর মিল আছে কি না। এইটুক বুঝেছিলেন যে পিছনে না তাকালে এই অশরীরী অথবা অন্য কিছু খাল পার হয়ে তার পিছু নিতে পারবে না। পরে তাবিজ টাবিজ কিছু নিছিলেন। আর খালি ভ্যান নিয়ে আসতেন না কখনো। কাউকে নিয়ে ফিরতেন। নাহলে কিছু একটা ভ্যানের উপর রাখতেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
লিখুন বিস্তারিত। এধরণের প্রচুর ঘটনা ঘটে আমাদের আশে পাশে।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ভালো লাগলো পড়তে ।
সেকেন্ডটা একটু একটু ভয় লেগেছে
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: প্রথম গল্পের মত প্রায়ই গ্রামের বাড়ী এমন গ ল্প শুনা যায়। শুনেছি বাড়ী পাহাড় দেয় নাকি এরা
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
ওমেরা বলেছেন: রাতের বেলা এক স্বামী তার বউকে পিটিয়েছে , বউ মনের কষ্টে ঘরথেকে বের হয়ে পিছনে যেয়ে ঘরের বেড়ার সাথে পিঠ লাগিয়ে দাড়িয়ে ঘুমটা দিয়ে কাঁদতেছে কিছুক্ষন পর তার পাশে এসে তারই মত করে দাড়িয়ে তার বড়দাও কাঁদা শুরু করে । তখন ছোট জাঁ , বুবু তুমি কেন কাঁদ ? আমাকে না হয় তোমার দেবর মেরেছে তাই আমি কাদি।
বড়জা - আরে আমাকেও তোর ভাসুর মেরেছ, এই দেখ , দেখ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার হার- গোস্ত আলাদা করে দিয়েছে ।
ছোট জা যেই না ঘুমটা খুলে তাকিয়েছে দেখে তার পাশে ঘোমটার নীচে একটে কংকাল দারিয়ে আছে ।
ছোট বউ ওরে বাবা বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায় ।