নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-১৪

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১





আমার কন্যার চুল কাটাতে ও চুল একেবারে ফেলে দিতে দুটোতেই প্রচুর আপত্তি।

তার চুল বেশি বড় হয়ে যাওয়ায় গরমে ঘামাচি ওঠার সম্ভাবনা ও গোসলের পর পানি না শুকানোতে জ্বর, ঠান্ডা লাগাতে আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম বাবু যখন ঘুমিয়ে থাকবে তখন চুপি চুপি তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হবে।

অবশ্য মাথা ন্যাড়া করার আগে বাবুকে ডেকে বলা হলো, যদি তুমি চুল ন্যাড়া করে ফেলো তাহলে তুমি যা চাও তাই দেয়া হবে। চকলেট, আইসক্রিম, বিস্কুট, বেলুন এমনকি নতুন জামা। কিন্তু সে কোন প্রলোভনেই রাজি হলো না।

তাই গত সপ্তাহে দুপুরে খেয়েদেয়ে বাবু যখন গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল তখন তার মা চুপিচুপি ব্লেড দিয়ে তার মাথার চুল সব ফেলে দিল।

কিন্তু যেই মাথার নিচের অংশের চুল ফালাতে যাবে বলে বাবুকে কাত করলো অমনি তার ঘুম ভেঙে গেল। সে তার মাকে তার মাথার পাশে দেখে বলে উঠলো, কি করছো ? তুমি কি করছো এখানে ? তারপর সে তার মাথায় হাত দিয়ে চুলের অস্তিত্ব না পেয়ে আর্তনাদ করে উঠলো।

সে বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় নিজের চুলহীন মাথা দেখে প্রথমে বিস্মিত হল এবং পরে কান্না শুরু করল। তার সেই প্রচন্ড কান্না থামাতে না পেরে কন্যার মা আমাকে ফোন দিয়ে বলল, তাড়াতাড়ি বাসায় আসেন। বাবুর কান্না কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না।

ফোনে বাবুর কান্নার আওয়াজ শুনে আমি তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম সাথে আইসক্রিম, চকলেট আর বেলুন নিলাম।

কিন্তু সে সবগুলো খাবার ফেলে দিল এবং তার মাথার পিছনের অংশে যে চুলগুলো সেগুলো আর কাটতে দিল না।

তারপর আমার মোবাইলটা নিয়ে কার্টুন দেখে ঠান্ডা হলো। দুদিন পর স্বেচ্ছায় বাকি চুলগুলো ফেলে দিতে রাজি হল।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আহা বড়ই সৌন্দর্য ;) কন্যার চুল ছাড়া মাথার।

যদিও বাচচারা কেউই চায়না এরকম সৌন্দর্য তবে বড়দের নানা কারনে নিতে হয় এরকম সৌন্দর্যের জন্য পদক্ষেপ।

গত কোরবানীর ঈদের ছুটিতে আমার দুই জনেরও এরকম ছাট :(( দেয়া হয়েছিল । তবে বড় জন স্বাভাবিকভাবে নিলেও ছোটজনকে থামাতে নিতে হয়েছে নানা ধরনের প্রণোদনা (উৎকোচমূলক ) পদক্ষেপ ।তারপরও , তার অনেক অভিযোগ ছিল এবং আমাদের অঙ্গীকার করতে হয়েছে আর কখনো তার মাথা ন্যাড়া করা যাবেনা । আর তারপরই তাহার চোখের পানি বন্ধ হয়েছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাচ্ছা যাদের ঘরে আছে তাদের এই অভিজ্ঞতা হবেই। সুন্দর ঘটনা শেয়ারে ধন্যবাদ ভাইজান।

আপনার পুত্রদের জন্য শুভকামনা।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাচ্চার চুল কাটানো ঝামেলার কাজ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তাতো অবশ্যই। আর বাচ্ছা যদি স্বেচ্ছায় কাটতে না দেয় তো ঝামেলার শেষ নেই। ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: যাক এটাও একটা স্টাইল! =p~

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হা হা হা............।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

কামাল৮০ বলেছেন: অবাক লাগলো এখনো বাচ্চার মা বলে,’তাড়া তাড়ি আসেন।’
বাচ্চার জন্য শুভ কামনা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তুমি কিংবা আপনে বলো যার যার ইচ্ছে। ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




মাথার পিছনের অংশে যে চুলগুলো সেগুলো আর কাটতে দিল না।

দুদিন পর্যন্ত অভাবেই ছিলো ?
নিশ্চয়ই খুব মজা লাগতো দেখে :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: একটু অদ্ভুত টাইপ লাগতো । ধন্যবাদ আপু।

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:

টাইপো, ওভাবেই হবে ।


০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ওকে।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহাহা...... বাস্তব জীবনের এই গল্পটা বেশ হয়েছে। তবে একটা বিষয় জেনে খুব ভালো লাগলো আর অবাকও হলাম। আপনি বড্ড ভাগ্যবান প্রিয় ভাই :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলেই আমি ভাগ্যবান আপনি যে ছাড়া উপহার দিয়েছেন তা অমূল্য রত্ন।

ধন্যবাদ ও মঙ্গল কামনা।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গত কোরবানীর আগে আমি নিজে নিজে এমন বেল মাথা করে ছিলাম,
ফিনিসিং হয় কন্যার সৌজন্য। ২৫ টাকার বিক রেজরে ৩০ টাকা নিট
মুনফা। আই আক্রার বাজারে মন্দ কী?
ছোট বেলার ন্যাড়া হবার কথা মনে পড়লো
আপনার কন্যার ন্যাড়া মাথা দেখে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যাক আপনিও শেষ পর্যন্ত মাথা ন্যাড়া করেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন, প্রতিদিনই একটি করে গল্প তৈরী হয় ।
গল্পের মধ্যে যেহেতু আপনার বাচ্চার চুল কাটার বিষয়টি এসেছে সেহেতু একটি নবজাাতকের চুলকাটা
নিয়ে তৈরী হওয়া একটি গল্প কথা ও তার করুন পরিনতির একটি কাহিনী এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরলাম ।
আমার খুব কাছের এক জনের বাচ্চার জন্মের দিন কয়েক পরে ধারালো ব্লেড দিয়ে বাচ্চার দাদী বচ্চার চুল
চেছে ফেলে দেন । চুল ফেলানোর সময় দুই এক জায়গায় খুব হালকা করে কেটে যায় । তাঁর মতে বাচ্চার
চুলকাটার সময় একটু অসতর্ক হলে এমন হালকা কাটা চেড়া নাকি হয়ে যেতেই পারে যা ডেটল মিশ্রিত
পানি দিয়েই নিরাময় যোগ্য ।

যাহোক, চুল কাটার দিন কয়েক পরে, বাচ্চাটির মাথার চামড়ায় বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মাথার নিচে কানের একটু
উপরে ফুসকি পড়ার মত কিছু ক্ষতচিহ্ন ফুটে উঠে। এই ফুসকি সহজে ভাল হচ্ছেনা দেখে বাচ্চাকে শিশু বিশেযজ্ঞের
কাছে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় । বিশেযজ্ঞ চিকিৎসক বাচ্চাকে শিশুদের উপযোগী একটি এন্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট
দেন । সেটা প্রয়োগে বাচ্চার কাটা ঘায়ের নিরাময় হয় , স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে উঠতে থাকে। কিন্তু তার করুন পরিনতিটি
ধরা পড়ে বছর খানেক পরে । বছর পেরিয়ে যাওযার পরেও বাচ্চা যখন কোন কথা বলতে পারেনা তখন তাকে নিয়ে
যাওয়া হয় আন্য একজন শিশু বিশেযজ্ঞের কাছে । তিনি তখন বাচ্চার শ্রবন ক্ষমতা নির্নয়ের/পরিক্ষার জন্য
বাচ্চাটিকে মহাখালীস্থ সাহিকে ( মুক ও বধিরদের জন্য দেশের একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান ) পাঠান । সেখানে পরিক্ষায়
ধরা পরে বাচ্চার শ্রবন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে । এর কোন প্রতিকার আছে কিনা তা নির্নয়ের জন্য বাচ্চাটির সিটি স্ক্যান
করানো হয় ।
তাতে ধরা পরে তার মাথার চামড়ার নীচে কানের ঠিক উপরি ভাগে কয়েকটি শিড়া শুকিয়ে গেছে, ফলে তার কানের
শ্রবন ইন্দ্রীয় ও ব্রেনের সাথে সংযোগ ক্ষমতা হারিয়ে যায় । ফলে বাচ্চাটি একজন প্রফাউন্ড ডেফ হিসাবে বেড়ে উঠে ।
সে মুক ও বধির হিসাবে বেড়ে উঠতে থাকে । সারা জীবন শক্তিশালী হিয়ারিং এইড ব্যতিত বাচ্চাটির শ্রবন ও বচন
ক্ষমতা নির্ভরশীল হয়ে যায়। কেন বাচ্চাটির মাথার গুরুত্বপুর্ণ শিড়া উপশিড়া শুকিয়ে গেছে তা অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে নবজাতককালে বাচ্চাটির চুল কাটা ও পরে এক পর্যায়ে এন্টি বায়োটিক প্রয়োগের কাহিনী শুনে চিকিৎসকগন ধারনা
করেন যে সে সময়ে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের কারণে হয়তবা তার মাথার কতেক শিড়া উপশিড়া শুকিয়ে গিয়ে তার
শ্রবণ ক্ষতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে । চিকিৎসকগন বলেন যে মানুষের মাথায় চামড়ার নীচে অসংখ শিড়া উপশিড়া
রয়েছে যা মানুষের নার্ভাস সিসটেমের সাথে যুক্ত । যেমনটি নীচের চিত্রটি হতে দেখা যেতে পারে। দুর্ঘটনাক্রমে নবজাতক
বাচ্চার মাথার কোন শিড়া বা উপশিড়া আঘাতপ্রাপ্ত হলে বাচ্চাটির মধ্যে বিবিধ ধরণের বিকলাংগতা বা প্রতিবন্ধিতা
দেখা দিতে পারে।

তাই কোন মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত না হওয়ার জন্য শিশু, বিশেষ করে নবজাতকের চুল ধারালো কোন ব্লেড দিয়ে
চেছে না ফেলাই উত্তম । চুল না চেছে ফেলে কাচি দিয়ে নিরাপত্তার ভিতরে থেকে যথাসম্ভব ছোট করে ছেটে দেয়া যেতে
পারে । অনেকেই বলে থাকেন নবজাতক একটি বাচ্চা কথা না বলতে পারলেও তার সহজাত ক্ষমতাবলে তার ভবিষ্যত
অমঙ্গলের কথা বুঝতে পারে , তাইতো তারা সে সময়ে তাদের চুলকাটা পছন্দ করেনা , কেঁদে কেটে প্রতিরোধ করতে চায়,
আপত্তি জানায় কিন্তু আমরা তা অনেক ক্ষেত্রেই আমলে নেই না ।

তবে এ কথাও ঠিক যে একটি বাচ্চার মুক ও বধির হওয়ার পিছনে বহুবিধ কারণ থাকতে পারে ,যথা মারাত্মক
শব্দ দুষন ও আন্যান্য বায়োলজিকেল কারণ । কোন একটি বাচ্চার বেলায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা সকলের জন্যই
প্রযোয্য না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ।

যাহোক, নবজাতক বাচ্চাদের মাথার চুল ধারালো ব্লেড দিয়ে চেছে ফেলে ন্যারা করা কিংবা চুল কাটা না কাটার
বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ঠ চিন্তা ভাবনার অবকাশ আছে ।

আপনার সোনামনি বাচ্চার জন্য সফল দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার তথ্যবহুল মন্তব্যটি পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করেছে ।খুব সুন্দর ও প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরেছেন ভবিষ্যতে আমরা সাবধান থাকব ইনশাল্লাহ।

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৩

সোহানী বলেছেন: আলী ভাই এর মন্তব্য পড়ে আতংকিত হলাম। এতো ক্ষতিকর তা জানতাম না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমারও জানা ছিল না। বিষয়টি জানা হল। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.