নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
আজকের গল্প মেয়ের হাতের সেবা পেয়ে মন ভরে যাওয়ার কাহিনি-
গত সপ্তাহের বুধবারে ভোররাত থেকে আমার স্ত্রীর জ্বর শুরু হলো। সকালে উঠে সে কোন রকমে নাস্তা বানিয়ে শুয়ে পরলো ।আমি অফিসে চলে এলাম। তিনটার দিকে ফোন দিলাম যে, বাসায় কোন বাজারে লাগবে কিনা ? কিন্তু ফোন ধরলো আমার কন্যা। আমি বললাম, ফোন তোমার আম্মুর কাছে দাও। সে বলল, আম্মুর জ্বর, চোখ খোলে না।
তাড়াতাড়ি বাসায় আসলাম । দরজা আমার মেয়ে খুলে দিল। দেখি ওর মায়ের শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে ।আমি খাওয়া-দাওয়া করলাম আর এদিকে কন্যার মা ঘুমের ঘোরে আবোল তাবোল বকছে।
বললাম চলো ডাক্তারের কাছে। সে বলল, আমি শোয়া থেকে উঠতে পারছি না। জ্বর একটু কমুক তারপর যাবো। সন্ধ্যার সময় ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে আসলাম। ১০৪ ডিগ্রি জ্বর ছিল।
রাতে খাবার খেয়ে ওষুধ খাওয়ার পর কন্যার মা বলতে লাগলো- বাবু তাকে সারাদিন কিভাবে সেবা করেছে!
কন্যা আমার তার পরনের একটি পুরান প্যান্ট ভিজিয়ে মায়ের কপালে দিয়ে দিয়েছে। ফিল্টার থেকে পানি নিয়ে দিয়েছে খাওয়ার জন্য। হাত পা টিপে দিয়েছে ব্যথা কমার জন্য আর একটু পর পর কপালে, গালে হাত দিয়ে দেখেছে জ্বর বাড়ছে নাকি কমছে।
শুনে কন্যাকে আমি কোলে নিয়ে আদর করলাম কন্যার সেবায় আমাদের দুজনের মন ভরে গেল তার জন্য দোয়া করলাম। কন্যা বলল, আমি আজকে একটুও আম্মুকে বিরক্ত করি নাই।
রবিবারে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম বাবা মাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়ে মঙ্গলবারে ফিরলাম।
সন্ধ্যায় নাস্তা করে আমি বিছানায় শুয়ে আছি ক্লান্তিতে শরীর অবসন্ন লাগছে। কন্যা আমার কাছে এসে আমার কপাল টিপে দিতে লাগলো । আমি বললাম, আমার তো মাথা তেমন ব্যথা করছে না তোমার কপাল টিপে দিতে হবে না।
সে তখন ড্রেসিং টেবিল থেকে সরিষার তেলের বোতল নিয়ে এসে হাতে মাখিয়ে আমার পা ম্যাসেজ করে দিচ্ছে। আমি শুয়ে শুয়ে বলছিলাম পা গুলো কেমন ব্যথা, ব্যাথা করছে। ব্যস, সেটা শুনে সে হাত পা টিপে দিতে লাগলো।
আমি বললাম, ওরে আমার আম্মুরে- তুমি আব্বুর সেবা করতে আসছো। সে লজ্জা পেয়ে চলে গেল। বাড়ি থেকে মিষ্টি এনেছিলাম। প্রথমে সে মিষ্টি খাই নি । কি মনে করে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে একটি পেয়ালায় আমার জন্য একটি আর ওর জন্য একটি নিয়ে আসলো।আমি বললাম, আমি তো খেয়েছি। তুমি খাও । তবুও জোর করে আমার হাতে একটি মিষ্টি ধরিয়ে দিল। আর সে অর্ধেক মিষ্টি খেলো।
এশার নামাজের সময় জায়নামাজটা বিছিয়ে দিল, টুপি ও পোশাক এনে দিল নিজ ইচ্চায় আর ওর হেজাপ মাথায় দিয়ে আমার সাথে নামাজে দাড়ালো।
মেয়ের সেবা পেয়ে মন আমার ভরে গেল। তার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
পৃথিবীর সব বাচ্চারাই তাদের মা-বাবার একান্ত বাধ্যগত হোক। সুখে-দুঃখে পাশে থাকুক জীবন ভর।
ছবি- ক’দিন আগে ‘আইলারে নয়া দামান’ গানের সাথে নৃত্যের শেষে যখন বললাম খুব সুন্দর হয়েছে সে মিষ্টি করে হাসলো ছবিটি তখনই তোলা।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। আপনার পুত্ররাও এমন সেবামুখী মানুষ হোক। শুভকামনা।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: মেয়েরা সবাই এমনই হয় আর ছেলেগুলো হয় পাঁজি!!!!!!!!! তাইনা!!!!!!!!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সব পোলারাই পাজি হয় না অবশ্য। ভালো থাকুক সকল শিশুরা। ধন্যবাদ।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আর গল্প গুলো মিষ্টি থেকে মিষ্টিতর হয়ে ওঠুক।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আর আপনাদের অনুপ্রেরণায় সেই গল্পে এগিয়ে চলুক। ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: কন্যার বাপের সুখের শেষ নাই।
বেঁচে থাকুক কন্যা আজীবন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মাঝে মাঝে বেশ জ্বালাতন ও করে। আল্লাহ যেন এই সুখ কটুটা রাখেন। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬
অঙ্গনা বলেছেন: কিউটনেস ওভারলোডেড।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ। মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কন্যার এরকম সেবার মানষিকতা অটুট থাকুক জীবনভর।
কন্যার জীবনে সুখ ও সাফল্য কামনা রইলো।