নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
আজকের গল্প দোলন, ব্যথা পাওয়া ও ঘি এর ঔষধ।
শাড়ি দিয়ে দোলনা বানিয়ে সেটাতেই চড়ে বেশ আনন্দ করেছিল বাবু। কিন্তু কয়েকদিন পর শাড়ি মাঝখান দিয়ে ছিঁড়ে যাওয়াতে দোলনা খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল।
পুরাতন দোলনাটা শাড়ির জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হলো। কিন্তু একদিন সে দোলনা থেকে খাটে পড়ে গেল এবং খাট থেকে নিচে পড়ে গেল। দোলনা খাওয়া বন্ধ হল।
সেদিন একুশে ফেব্রুয়ারি দাওয়াত ছিল। বেড়াতে যাওয়ার আগে সে বাহিরে খেলতে গিয়ে পড়ে গেল এবং পায়ে ব্যথা পেল। ব্যথা পেয়ে সে কাউকে কিছু না বলে বাসায় ঢুকে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি না থাকায় সে আমার মোবাইলটা নিয়ে দেখতে থাকে। তার মা গোসলখানা থেকে উঁকি দিয়ে দেখে সে পা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাঁটছে।
কিরে, তুমি কি করে গিয়ে ব্যথা পেয়েছো।
মায়ের প্রশ্নের শেষে এবার চিৎকার করে কন্না শুরু করো। এর অর্থ সে ব্যথা পেয়েছে। আমি এসে দেখে ফার্মেসিতে নিয়ে গিয়ে ব্যান্ডেজ করে আনলাম। মা বাড়ি থেকে ঘিয়ের ওষুধ নিয়ে এসেছেন। আমার মরহুম দাদী এই ওষুধের আবিষ্কারক। রসুন আর ঘি আগুনে জ্বাল করে তিনি এ ওষুধ বানাতেন। ফোরা ,নালী , বাঘি এই ওষুধ দ্বারা সহজে সেরে যেত। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি অনেক দূর দূরান্ত থেকে লোক এসে ওষুধ নিয়ে যেত এবং জটিল ফোরা,ব্যথা-বেদনায় উপশম হতো দ্রুত।
কয়েকদিন ধরে মেয়ের ব্যথার জায়গায় এই ওষুধ দিচ্ছি শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকদিন পর আবার এই ওষুধের ব্যবহার শুরু হল।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমাদের বাড়ির এই ঘি এর ঔষধটা দারুন কার্যকরী। সহমত। ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার ছেলেটা ভয়াবহ কাশিতে আক্রান্ত ছিল। ননস্টপ কাশি। রাত দিন কাশি। কাশি যখন বাড়ে তখন গায়ের টেম্পারেচার বাড়ে। খাওয়াদাওয়া বন্ধ , ঘুম নাই।
নেবুলাইজার দেয়া হচ্ছে , কাশির সিরাপ আর এন্টিবায়োটিক বদলানো হয়েছে। আজ কিছুটা ভালোর দিকে।
একদিন রাত ১ টায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার দেখে বললো , সিভিয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে নিউমোনিয়া। হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
আমরা ভয় পেলেও হাসপাতালে ভর্তি করিনি। সেই রাতেই এক্সরে করলাম। যারা এক্সরে করে তাদের বললাম একটু দেখে দিতে। ওরা বলল , নিউমোনিয়ার কোন লক্ষণ নাই। কে বলল নিউমোনিয়া?
একটু হলেই আমরা হাসপাতালে ভর্তি করে বিপদে পড়তাম। সেইরাতে আমার ভাইয়া সব শুনে কাশির সিরাপ আর এন্টিবায়োটিক বদলিয়ে দেন। আগের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বদলিয়ে দেন।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে বাচ্চারা কি নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে ?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা। গত ডিসেম্বরে আমার মেয়ের ও এরকম হয়েছিল। ঠান্ডা কাশি কিছুতেই ছাড়ছিল না। ডাক্তার দেখানোর পর এন্টিবায়োটিক সহ পাঁচ রকমের ওষুধ দিয়েছিল। সেবন করার পর ভালো হয়েছে। প্রতিদিন রাতে ও গোসল করার পর রসুন ও সরিষার তেল গরম করে শরীরে মাখলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি অল্প থাকতে হোমিও ওষুধ খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
বাচ্চা অসুস্থ থাকলে কোন কাজ হাতে উঠে না খাওয়া-দাওয়া ভালো লাগেনা কোন কিছুই ভালো লাগেনা। নিহালের সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন নিয়মিত ওষুধ খাওয়ান। ইনশাল্লাহ আরোগ্য হয়ে যাবে।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: একটা দোলনা কিনে আনুন। পাট দিয়ে বানানো দোলনা পাওয়া যায়। সেটা নিরাপদ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পাটের দোলনা আছে পুরাতন বাসায় টানানোর ব্যবস্থা ছিল কিন্তু নতুন বাসায় টানানোর ব্যবস্থা না থাকায় এভাবে দোলনা বানানো হয়েছে। ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
রসুন/ঘি দিয়ে বানানো ঔষধের ব্যবসা কেন বড় হয় না?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যেহেতু উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক ছিল না তাই এটা বড় হয়নি । দাদীর কাছে উপকার টাই আসল ছিল। কত মানুষকে উনি ফ্রি দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩
শায়মা বলেছেন: আমিও ঔষধে বেশি বিশ্বাসী না।
তেল ঘি সরিষা রসুন এসবের টোটকাই আমার পছন্দের......
বাবুটার জন্য ভালোবাসা
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মুহূর্তেই দাঁত ব্যথা ভালোর জন্য রসুনের রস ও লবঙ্গের গুড়া একসাথে কিজে কার্যকর সেটা আমি বাস্তবে প্রয়োগ করে দেখেছি। ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
নজসু বলেছেন:
ছোট বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে এই আরেক দুঃচিন্তা ভাই। কি আর করা? আমাদের বড়দেরকেই একটু সতর্ক থাকতে হবে।
মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো।
ভাই, আপনার দাদীর টোটকা তৈরির নিয়মটা বিশদভাবে বললে উপকৃত হতাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নিয়মটা জেনে আমি আপনাকে জানাবো। অনেক অনেক উপকারী একটা ঔষধ। ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: যে কয়টা রোগের নাম করলেন এর একটাও ঝটিল কোন রোগ না।৫/৭ দিনের মধ্যে এই রোগ এমনিতেই সেরে যায়।কানাডার কোন ডাক্তার এই সকল রোগের কোন ঔষধ লিখে দেয় না। হাঁটুর ঘা সারতে দেরি হয়।কারন আমরা হাটু বাঁকা করি ।সেরা যাওয়া ব্যথা আবার বেড়ে যায়।বাচ্চাদের সামলে রাখবেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। সবসময় বাচ্চাকে সামলানো যায় না সেটা বাবা মা মাত্র বুঝতে পারেন।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাটের দোলনা আছে পুরাতন বাসায় টানানোর ব্যবস্থা ছিল কিন্তু নতুন বাসায় টানানোর ব্যবস্থা না থাকায় এভাবে দোলনা বানানো হয়েছে। ধন্যবাদ।
কন্যাকে পার্কে নিয়ে যাবেন। সেখানে সে দোলনায় উঠবে। খেলবে। তাহলে আর বাসায় খেলবে না।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হ্যা পার্কে যাওয়ার জন্য সে বায়না ধরে। যাওয়া হয় মাঝে মাঝে। ধন্যবাদ।
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রতি দিন একটি করে গল্প তৈরি হয়- দারুন আপনার এই সিরিজটা। বাবুর পায়ে আঘাত পাওয়ার সংবাদটা জেনে কষ্ট পেলাম। তার জন্য অনেক অনেক দোআ এবং শুভকামনা। আপনাদের জন্যও।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার দোয়া কবুল হোক। ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
মেয়েদের প্রতি বাবাদের অকৃত্রিম যে ভালোবাসা তারই নান্দনিক প্রকাশ আপনার ধারাবাহিক এই সিরিজটি। আমি আপনার এই সিরিজের সব লেখা/ পোস্ট পড়িনি, তবে কিছু কিছু পড়ে ধারণা হয়েছে- এটি আপনি নিজের মেয়েকে কেন্দ্র করেই লিখে যাচ্ছেন। জানি না, এই ধারণা কতটুকু সঠিক।
মেয়ে বড় হয়ে একসময় হয়তো পাঠ করবে আপনার লেখা এই সিরিজ, যেখানে তাকে নিয়ে দেখবে বাবার অদ্ভূত সব স্মৃতিকাতরতা। সময়ের ব্যবধানে আপনি না থাকলেও আপনাকে সে ঠিকই তখন হাতড়ে পাবে স্মৃতির এই খেড়োখাতার পাতায় পাতায়। বাবারা সন্তানের জন্য যে কতটা অন্তঃপ্রাণ, সে কথাটাও বুঝতে পারবে একটু একটু করে।
শুভকামনা বাবা এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই। মেয়ের মায়ের জন্যও। পরিবারের বাকি সকলের জন্যও।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। আপনার ধারণা একদম ঠিক।
আমার মেয়েকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনাই এই সিরিজে তুলে ধরেছি।
একদিন মেয়ে এই লেখাগুলো পড়বে, জানবে, বুঝবে সেটাই চাওয়া।
ভাল থাকবেন।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
এম ডি মুসা বলেছেন: ঘরোয়া পদ্যতিতে চিকিতসা করা সম্ভম
০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশ্যই সম্ভব।
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬
এম ডি মুসা বলেছেন: এই পদ্ধতি না হলে ডাক্তার ডাকতে পারেন
০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এই পদ্ধতিতেই ঘা শুকিয়ে গেছে। ইনশাল্লাহ দ্রুত ভাল হয়ে যাবে।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন হেফাজত করুন।
০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমিন । ধন্যবাদ।
১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
আমি সাজিদ বলেছেন: ঘির ওষুধ কাজ করেছে শুনে ভালো লাগল। বাবুর জন্য স্নেহ ও শুভকামনা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বয়সে বাচ্চারা হাত পায়ে ব্যথা পায় বেশী। নানী, দাদীরা অনেক ঘরোয়া চিকিৎসা জানেন। অনেক অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঘরোয়া ওষুধ ভালো কাজ করে।