নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

থানকুনি পাতার শুক্তো-হারিয়ে যাওয়া রান্না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫১




থানকুনি পাতাকে আমাদের এলাকায় বলে টাকা পাতা। কেন যেন প্রচুর পরিমাণ পাওয়া গেলেও গ্রামের মানুষ তেমন খায়না। কিন্তু এর রয়েছে হরেক রকম উপকারিতা।

পেটের রোগ নিরাময়ে-

পেটের রোগ নিরাময়ে থানকুনি পাতা দারুণ কার্যকর। যে কোনও পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতিতে সহায়তা করে। পেট খারাপের চিকিৎসায়ও এই পাতা বেশ সহায়ক।

অনিদ্রা দূরীকরণে-

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ফলে সহজেই অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

মস্তিষ্কের বিকাশে-
থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে উপকারী। থানকুনি পাতা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড বর্তমান। এতে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কমে।

স্ট্রেচ মার্ক কমায়

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, থানকুনি পাতা স্ট্রেচ মার্ক কমাতে পারে। অনেকের মত, থানকুনি পাতায় থাকা টারপিনয়েড শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এটি নতুন করে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হতে বাধা দিতে পারে।

সূত্র-এনটিভিবিডি কম।

থানকুনি পাতা দিয়ে ভর্তা, ঝোল খাওয়া হয় মাঝে মাঝে কিন্তু এটা দিয়ে মজার একটা তরকারি রান্না করা যায় যার নাম শুক্তো। খেতেও দারুন।

এই নিয়ে দুবার শুক্তো বানালাম।

প্রথমে চুলায় কড়াই চাপিয়ে ষরিসার তেল/সয়াবিল তেল চার টেবিল চামচ পরিমান দিয়ে তাতে একটি শুকনো মরিচ ও একটি তেজপাতা ভেজে পাঁচফোড়ন হালকা ভেজে নিন তার পর সিদ্ধ করা ০৩টি গোলআলু চটকে সেই তেলে ভেজে নিন এবার একটু হলুদ গুড়া, মরিচ শুড়া ও লবন দিন এবং কুচি করে কাটা থানকুনি পাতা দিয়ে ভেজে নিন তারপর এককাপ বা পরিমানমত পানি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষন পর ডাকনা তুলে দেখে নিন পাতা সিদ্ধ হয়েছে কিনা। মাখো মাখো হয়ে এলে তুলে নিন। হয়ে গেল হারিয়ে যাওয়া রেসিপি শুক্তো। ভাত বা পরটার সাথে খেতে ভাল লাগে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: থানকুনি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য ভিষন ভালো । খায় না যে একদম না ! খায় ! বিপদে পরলে খায় । কিন্তু সংরক্ষনের অভাবে এই গুল্মটি হারিয়ে যাচ্ছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। শহরে কিন্তু ভালই পাওয়া যায়। ব্যবহার বা খাওয়া না হলে তো মানুষ কদর করবেনা আর কদর না করলে এক সময় হারিয়ে যাবে। ধন্যবাদ।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: থানকুনি পাতা গ্রামের লোকদের থেকে শহরের মানুষ বেশি খায়- ভর্তা হিসেবে বেশি জনপ্রিয় আপনার রেসিপিটা বেশ ভালই লাগছে ট্রাই করে দেখবে একদিন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। সালাদ হিসেবেও খারাপ না। বেগুন ও থানকুনি পাতা ভেজে ভর্তা করলে দারুন মজার হয়। জ্বী ভাই ট্রাই করুন আশা রাখি ভাল লাগবে।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

কিরকুট বলেছেন: পেট খারাপ হলে আগে খেতাম । এন্টিবায়োটিক চলে আসায় আর খাওয়া হয় না ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এখন আবার শুরু করুন। ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

জটিল ভাই বলেছেন:
শায়মা আপার রেসিপি দেখতে দেখতে যখন আমাদের পুরুষ জাতির মাথা কাটা যাচ্ছে তখন আপনার কান্ডারিরূপে আবির্ভাব আমাদের আশা জাগানিয়া! দেখো হে ললনাকূল, আমরাও পারি!!! =p~

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হা হা হা........আপনার কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। শায়মা আপাতো সব দিক দিয়ে অলরাউন্ডার। আশাজাগানিয়া হলে অবশ্যই ট্রাই করবেন রেসিপিটা । ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: থানকুনি পাতা আমিও প্রচুর খাই। তবে আপনার মতো এমন রান্না বা ভর্তা করে নয়। শীল বাঁটা করে একটি লবণ সতেল ও পেঁয়াজ দিয়ে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দাদা মাছ দিয়ে ঝোল, শুক্তো করে খাবেন দারুন লাগবে। ধন্যবাদ।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: থানকুনি পাতা আমি জীবনে খাইনি। জানেন, কোনো দিন খাবোও না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
খেয়ে দেখতে পারেন। দারুন উপকারী। ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

সেজুতি_শিপু বলেছেন: থানকুনি পাতা আমার অনেক প্রিয়। পাতা সুক্ত , তরকারি ছাড়াও- ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কুচি করে পেয়াজ- মরিচ- সর্ষে তেল মেখে ভর্তাও খাই আমি। এভাবে নিম পাতাও খাই - দারুন খেতে!

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভর্তার চেয়েও মাছ দিয়ে থানকুনি পাতার ঝোল ও শুক্তো বেশি মজাদার আপু। ট্রাই করবেন। ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০২

করুণাধারা বলেছেন: থানকুনি পাতা কখনো খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হল একবার খেয়ে দেখা যায়।

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শিং মাছ বা কই মাছ দিয়ে ঝোল আর শুক্তো করে খেতে পারেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কবে জানি কিনছিলাম। আজও রান্না করি না। এখন মনে হইছে

ছোটবেলা অথবা বড় হয়েও এই শাক পেটে অসুখ হলে আম্মা শিং মাছের ঝোল করতেন। ঝাউ দিয়া খাইতাম। ইশ কি যে ভালো লাগতো । সেই স্বাদ এখন আর পাই না

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: একদিন খেয়ে দেখবেন আপু ভালই লাগবে। ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

শায়মা বলেছেন: ৪. ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩০

জটিল ভাই বলেছেন:
শায়মা আপার রেসিপি দেখতে দেখতে যখন আমাদের পুরুষ জাতির মাথা কাটা যাচ্ছে তখন আপনার কান্ডারিরূপে আবির্ভাব আমাদের আশা জাগানিয়া! দেখো হে ললনাকূল, আমরাও পারি!!! =p~
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫১

লেখক বলেছেন:
হা হা হা........আপনার কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। শায়মা আপাতো সব দিক দিয়ে অলরাউন্ডার। আশাজাগানিয়া হলে অবশ্যই ট্রাই করবেন রেসিপিটা । ধন্যবাদ।



ঠিক ঠিক আমাকে বিজয়ী হতেই হবে। তাই এসব হারিয়ে যাওয়া শুক্তো মুক্তো না আমি বানাবো !!!!!!!!!!!!! :)

বলোতো কি বানাবো!!!!!!!!!!!


থানকুনি পাতার মকটেইল!!!!!!!!!!!!! :)

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এই না হলে শায়মাপা নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

শায়মা বলেছেন:

রেসিপিও পেয়ে গেছি। নো চিন্তা!!! :) :) :)

১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: থানকুনি পাতার মকটেইল এর রেসিপিটা দেন আপু একবার ট্রাই করি। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



- আমি পছন্দ করি ভর্তা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: থানকুনি পাতা অনেক উপকারী জানতাম কিন্তু শুক্তোর নাম আগে কখনও শুনিনি। আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি প্রথম বার ট্রাই করার সময় ভেবেছি ঝোলের থেকে বেশি মজা হবেনা কিন্তু না শুক্তো আসলেই মজার। ধন্যবাদ ভাই। একদিন খেয়ে দেখতে পারেন। রেসিপির সাথে পেয়াজ ও কাচামরিচ এড করে নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.