নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
ফুটবলে আবারও জয়, বাংলাদেশী মেয়েদের আধিপত্য বিস্তার।গতকাল কাঠমান্ডুর অদূরে ললিতপুরের আনফা একাডেমিতে বাংলাদেশের বীর গোলকিপার ইয়ারজান বেগম। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের ফুটবলে টাইব্রেকারে গড়ানো ফাইনালে বাংলাদেশের গোলকিপার ইয়ারজান ভারতের তিনটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেশকে এনে দিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ ফুটবলের শিরোপা। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৫ শিরোপা জিতলেও এই প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ছিল ১-১ গোলে ড্র। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ভারত অনুশকা দেবীর গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ মরিয়াম বিনতে আন্নার গোলে সমতায় ফেরে।
প্রথমার্ধে একেবারেই ভালো খেলতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কোচ সাইফুল বারী দুটি বদল আনেন। ফাতেমার জায়গায় মমিতা আর ক্রানুচিং মারমার জায়গায় মাঠে নামে অনন্যা মুরমু বীথি। ভারতকে এরপর চেপে ধরে বাংলাদেশ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। পুরস্কার আসে ৭১ মিনিটে। অনন্যা মুরমু বীথির কর্নার থেকে মরিয়াম বক্সের মধ্যকার জটলায় বল ঠেলে দেয় ভারতের জালে।
টাইব্রেকারে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম শটটি নিতে আসে সেরা খেলোয়াড় সুরভী আকন্দ। কিন্তু তার শটটি ঠেকিয়ে দেয় ভারতীয় গোলকিপার সুরুজ কুমারী। এরপর ভারতের শভেতা রানী টাইব্রেকারে ১-০–তে এগিয়ে দেয় ভারতকে। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় শটে গোল করে মরিয়াম। ভারতের দ্বিতীয় শটটি মিস করে আলিনা। গোলকিপার ইয়ারজান ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে শটটি ঠেকায়। বাংলাদেশের তৃতীয় শটটিতে গোল করে থুইনুই মারমা। ভারতের বনিফিলিয়ার করে মিস।
বাংলাদেশের চতুর্থ শটে গোল করতে পারেনি আলপি। ভারতের ৪ নম্বর শট জালে ঠেলে দেয় অনিতা রঘু রামন। সাথী মানদা পঞ্চম শটে গোল করে। এরপর ইয়ারজান ভারতের দেবযানীর শটটি ঠেকিয়ে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেয়। অভিনন্দন বাঘিনীরা।
বাংলাদেশী মেয়েদের ফুলবটে যত অর্জন -
নারী ফুটবলে অর্জনের শুরুটা হয়েছিল ২০১৫-তে। নেপালে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ নারী রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপে সেবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬-তেও একই আসরে তাজিকিস্তানে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-সবুজের দল।
২০১৭ সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এর পরের তিন আসরে অবশ্য ফাইনালে গিয়েও খালিহাতে ফিরে আসতে হয়েছে লাল সবুজদের। ভারতের কাছে দুবার এবং নেপালের কাছে একবার হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে। স্বাগতিকদের হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার বাঘিনীরা। এরপর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপেও ভারতকে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ পায় ছোটনের দল।
ছবি-সময় নিউজের সৌজন্যে, তথ্য- প্রথম আলো।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। মেয়েরা ফুটবেলে দ্রুত উন্নতি করছে। ফুটবলে দেশের পুরুষরা অনেক পিছিয়ে।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের জয়ে আমি ভীষন খুশি।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমিও। ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকুক। সোনামনিদের এই সাফল্যে পুরো বাংলাদেশ গর্বিত। অভিনন্দন জানাই দলের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চলতে থাকুক ধারাবাহিক সাফল্য। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০
ধুলো মেঘ বলেছেন: এদেরকে দেখে আমার ছোট বোনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এক সময় সেও ফুটবল খেলতো। ছেলেদের সাথেও সে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে। তার দুই ছেলেও এখন উড়াধুরা ফুটবল খেলে।
১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার ভাগিনারা ফুটবলে ভাল করুক। ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
কামাল১৮ বলেছেন: মেয়েরা সুযোগ পেলে অনেক কিছু করে দেখাতে পারে।সুযোগের অভাব
১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুযোগ কাজে লাগচ্ছে। ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
একটু আগে পুরো টাইব্রেকারটি দেখলাম। দারুণ!!!
আমাদের গোলকিপারের সিক্সথ সেন্স খুব ভালো। রিক্লেক্সও।
অভিনন্দন।
১২ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এমন খেলা দেখেও আনন্দ। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
এম ডি মুসা বলেছেন: অভিনন্দন প্রথমে। নারীদের সাফল্য এশিয়া কাপ ক্রিকেট এ। তারপর গত বছর ফুটবল এইবার ও। আমি তাদের উন্নতি দেখে খুব ভালো লাগছে। পুরুষের সক্ষমতা ১৯৯৭ সাল থেকে ক্রিকেট খেলে আজো নাকি উন্নতির চেষ্টা করে... এত বছর উন্নত হতে পারে নাই।