নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেডাম বাবা গ্যাং

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২




হেডাম বাবা গ্যাং নামটা শুনতে বেশ অদ্ভুত মনে হয়। এই অদ্ভুত নামের আড়ালে সম্প্রতি রাজধানীতে গড়ে উঠেছে নতুন একটি অপরাধ সাম্রাজ্য। এই সংগঠনটি গড়ে উঠেছে বখাটে কিছু কিশোর যুবা নিয়ে। চুরি, ছিনতাই, খুন, ডাকাতিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত তারা। সবচেয়ে ভংঙ্কর অস্ত্র হচ্ছে এই টিমের নারী সদস্যরা।

ফেসবুক, হ্যাটসএ্যাপ, ইম্যু, মেসেঞ্চার, ভাইপারসহ আরও নানা এ্যাপস ব্যবহার করে, রূপ যৌবন ব্যবহার করে পরিচয় ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে, ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। কখনো কখনো কারো কারো প্রাণ। এদের প্রধান আস্তানা হচ্ছে মিরপুর। মিরপুরে রিফাত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এই গ্যাং।


ব্রাক্ষ্মবাড়িয়ার নবীনগড়ে একটি চুরির ঘটনা থেকে আটককৃত অপরাধী যাকারিয়া নামের একজন এই হেডাম বাবা গ্যাং এর সদস্য ধরা পড়লে। পুলিশি তদন্ত উঠে আসে এই -হেডাম বাবা গ্যাং এর নাম ও এর সদস্যদের ধরণ ও নেটওয়ার্কের বিস্তারিত বিবরণ। প্রযুক্তি নির্ভর অত্যন্ত কৌশলী ও শক্তিশালী এই গ্যাং এখন এক আতঙ্কের নাম। ঢাকা থেকে শুরু করে কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া হয়ে সিলেট পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি রয়েছে। এরা আন্তর্জাতিক মাদক, চোরা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।

চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইল করে যে টাকা আসে সেটা মাদক চোরা চালানে ইনভেস্ট করে। এভাবেই দেশের প্রতিটি বিভাগে এমনকি জেলায় গড়ে উঠেছে গ্যাং কিশোর গ্যাং। খুন, নারী উত্ত্যক্ত, ধর্ষণসহ এহেন কোন অনাচার নেই তারা করে না। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় গাংচিল, ম্যাক্স পলু, বাট্টু বাহিনী, পটেটো, কবজি কাটা গ্রুপ, ডাইল্লা গ্রুপ, এলেক্স গ্রুপ,রাব্বী গ্রুপ, রকি গ্রুপ, মুন্না গ্রুপ, হৃদয় গ্রুপ, হাসান গ্রুপের লাল বাহিনীসহ কত যে নামে বেনামে কিশোর গ্যাং রয়েছে তার হিসাব নেই। উত্তরা, মোহাম্তদপুর এলাকায় এদের এত দাপট যে এলাকবাসী এদের নাম মুখে নিতেও ভয় পায়।

যদি এখনই এদের প্রতিহত করা, রুখে দেওয়া বা সমূলে নিমূল করা না হয় তবে একদিন আমার আপনার সন্তান চোখের সামনে লাশ হয়ে ফিররে তখন চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কোন কিছুই করার থাকবেনা।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩০

ধুলো মেঘ বলেছেন: বেড়ালের গলায় ঘন্টা পড়াবে কে?

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: র‌্যাব বা সেনাবহিনী দ্বারা দমন করা উচিত। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম গ্যাং এখন দেশের প্রতিটা এলাকায় আছে।
এদের সাহস অনেক বেশি। ওপেন চাপাতি নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এজন্যই এদের সায়েস্তা করতে হবে, গ্যাং ধ্বংশ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.