![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহানবী হযরত
মুহাম্মদ (সঃ).
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আসহাবে ফীলের বছর
অর্থাৎ আজ থেকে ১৪৪৪ বছর আগে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই
রবিউল আউয়াল মক্কার ঐতিহাসিক কুরাইশ
বংশে জন্মগ্রহন করেন।
রাসুল(সঃ)-এর পিতার
নাম আবদুল্লাহ্, মাতার নাম আমিনা, এবং দাদার নাম
আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিম এবং নানার নাম ওহাব বিন
আবদে মানাফ। জন্মের আগেই তিনি বাবাকে হারান, পাঁচ
বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বিবি হালিমার কাছে লালন
পালন হন। ছয় বছর বয়সে রাসুল (সঃ) এর
মাতা আমিনা ইন্তেকাল। তারপর তার দায়িত্ব নেন
দাদা আব্দুল মোত্তালিব ও চাচা আবু তালিব।
রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বয়স যখন ছয় বছর মতান্তরে নয়
বছর হয়, তখন চাচার সাথে তিনি প্রথম সিরিয়া সফর
করেন। এরপর ২৩ বছর বা ২৪ বছর বয়সে হযরত
খাদীজা (রাঃ)-এর গোলামের
(যার নাম ছিল মাইসারা) সাথে দ্বিতীয়বার সিরিয়া
সফর
করেন।
জন্মের পর থেকে রাসুল (সঃ) উত্তম চরিত্রের
অধিকারী ছিলেন। তার সততার জন্য মক্কার
লোকেরা তাকে আল আমিন বা বিশ্বাসী উপাদি
দিয়েছিল।
উনি যখন খাদিজা (রাঃ) এর ব্যাবসায় নিয়োজিত ছিলেন
তখন ওনার সচ্চরিত্র আর সততায় মুগ্ধ হয়ে খাদিজা
(রাঃ)
তার প্রেমে পরে যান এবং বিবাহের প্রস্তাব দেন। রাসুল
(সঃ) এর পঁচিশ বছর বয়সে চল্লিশ বছর বয়সী হযরত
খাদীজা (রাঃ) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
খাদীজা (রাঃ)-এর সাথে মহানবী (সঃ) নবুওয়াতপূর্ব দীর্ঘ
পনের বছরসহ মোট পঁচিশ বছর দাম্পত্য জীবন
অতিবাহিত করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি আর কোন
বিবাহ করেন নি।
তাঁর ইন্তেকালের পর তিনি অন্যান্য বিবাহ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর বয়স যখন ৪০ বছর পূর্ণ হয়, তখন
তাঁকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়। সে দিন ছিল ১৭ই
রমাজান
মোতাবেক ৬ই আগষ্ট-৬১০ খৃষ্টাব্দ। তিনি হলেন নবুওয়াত
প্রাপ্ত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী।
নবুওয়াত প্রাপ্তির পর সাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রথম তিন বছর
গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। অতঃপর আল্লাহ
তাআলা তাঁকে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দেন।
তখন থেকে তিনি প্রকাশ্যভাবে ইসলামের দাওয়াত
দেওয়া শুরু করেন। নবুওয়াতের দশম বছর
শাওয়ালের ২৬/২৭ তারিখে যাইদ ইবনে হারিছা (রাঃ)-
কে সাথে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সঃ) দ্বীনের দাওয়াত
দিতে তায়িফ গমণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর বয়স যখন
৫১ বছর নয় মাস হয়, তখন
তাঁকে সশরীরে মর্যাদাপূর্ণ ইসরা ও মি'রাজ ভ্রমণের
মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। মি'রাজে রাসূলুল্লাহ (সঃ)
প্রথমে কা'বা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান, অতঃপর
সেখান
থেকে এক এক করে সাত আসমান
অতিক্রম করে মহান আল্লাহর
আরশে আজীমে তাশরীফ গ্রহণ করেন। এ মি'রাজ
সফরে রাসুলুল্লাহ (সঃ) পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে বিধান লাভ
করেন।
মি'রাজে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ) জান্নাত এবং জাহান্নাম
স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।
৪ঠা রবিউল আউয়াল সোমবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত
আবু
বক্কর (রাঃ) সহ মক্কা থেকে হিজরত শুরু করেন
এবং লোকালয় পেরিয়ে ছাওর গুহায় অবস্থান গ্রহণ
করেন।
অতঃপর তাঁদের সাথে আমের ইবনে ফুহাইয়া এবং আবদুল্লাহ
ইবনে উরাইকিতকে নিয়ে মদীনায় হিজরত করেন।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্বীয় জীবনে সর্বোমোট
তেইশটি জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। এ সকল
জিহাদকে 'গাযওয়া' বলা হয়। তন্মধ্যে মোট নয়টি যুদ্ধ
সংঘটিত হয়েছে। যথা- (১) বদরের যুদ্ধ (২)উহুদের যুদ্ধ,
(৩)আহযাবের যুদ্ধ (৪) বনী কুরাইযা যুদ্ধ (৫) মুস্তালিক
যুদ্ধ (৬) খাইবার যুদ্ধ (৭) ফাতহে মক্কা যুদ্ধ (৮)
হুনাইনের যুদ্ধ এবং (৯) তায়িফের যুদ্ধ। আর রাসূলুল্লাহ
(সঃ) নিজে সশরীরে অংশগ্রহণ
না করে অপর কাউকে সিপাহসালার নিযুক্ত
করে সাহাবায়ে কেরামকে যে জিহাদ অভিযানে প্রেরণ
করেছেন, তাকে 'সারিয়্যা' বলে। এ ধরনের
জিহাদের সংখ্যা ৪৩টি।
রাসূল (সঃ) ৬৩ বছর বয়সে ১১
হিজরীর ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার দুপুরের পর মহান
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়ে ইহকাল
ত্যাগ
করে পরপারে গমন করেন । অতঃপর খলীফা নির্বাচনের
কাজ সমাধা করে ১৪ই রবিউল আউয়াল রাতে হযরত
আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ)-এর গৃহে (রওযা মুবারকে )
রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)
কে সমাহিত করা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:২৫
কায়ছর৭৮৬ বলেছেন: সংকিপ্ত হলেও সমুদ্রের মাঝে মুক্তার মত তুলনা করা মনে হয় অযৌক্তিক হবেনা।