নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দৃষ্টি তার সীমাহীন,বিশালতা তার আকাশে।গভীরতা তার সাগরে,সপ্ন তার অন্তরে হাসতে চাই জয় এর হাসি।দেখাতে চাই বেঁচে থাকার সপ্ন,অস্তিত্ব তার শিকরে, তার আপন মনের গহীনে......

মো: সাকিব হাসান

মো: সাকিব হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজার উপর গবেষণা করে নোবেল জয় করেছিলেন ভিনধর্মী ওশিনরি ওসুমি

২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৩

মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’সিয়াম’। খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’ফাস্টিং’। হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’উপবাস’। বিপ্লবীরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’অনশন’। আর, মেডিক্যাল সাইন্সে রোজা রাখকে বলা হয় ’অটোফেজি’।


তবে মুসলিমদের রোজা রাখার ধরনের সাথে অন্যদের কিছু পার্থক্য আছে।
খুব বেশি দিন হয়নি, মেডিক্যাল সাইন্স ’অটোফেজি’র সাথে পরিচিত হয়েছে। ২০১৬ সালে নোবেল কমিটি জাপানের ডাক্তার ’ওশিনরি ওসুমি’-কে অটোফেজি আবিষ্কারের জন্যে পুরষ্কার দেয়। এরপর থেকে আধুনিক মানুষেরা ব্যাপকভাবে রোজা রাখতে শুরু করে।

ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন । যেখানে রোজা রাখার জন্যে আধুনিক সচেতন নারী ও পুরুষেরা কেমন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে, দেখুন!!! শত হলেও, মেডিক্যাল সাইন্স বলে কথা!!

যাই হোক, Autophagy কি? এবার তা বলি।
Autophagy শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। Auto অর্থ নিজে নিজে, এবং Phagy অর্থ খাওয়া। সুতরাং, অটোফেজি মানে নিজে নিজেকে খাওয়া।

না, মেডিক্যাল সাইন্স নিজের গোস্ত নিজেকে খেতে বলে না। শরীরের কোষগুলো বাহির থেকে কোনো খাবার না পেয়ে নিজেই যখন নিজের অসুস্থ কোষগুলো খেতে শুরু করে, তখন মেডিক্যাল সাইন্সের ভাষায় তাকে অটোফেজি বলা হয়।
আরেকটু সহজভাবে বলি।

আমাদের ঘরে যেমন ডাস্টবিন থাকে, অথবা আমাদের কম্পিউটারে যেমন রিসাইকেল বিন থাকে, তেমনি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ডাস্টবিন আছে। সারা বছর শরীরের কোষগুলো খুব ব্যস্ত থাকার কারণে, ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পায় না। ফলে কোষগুলোতে অনেক আবর্জনা ও ময়লা জমে যায়।

শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত তাদের ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে কোষগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে শরীরে বিভিন্ন প্রকারের রোগের উৎপন্ন করে। ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মত অনেক বড় বড় রোগের শুরু হয় এখান থেকেই।

মানুষ যখন খালি পেটে থাকে, তখন শরীরের কোষগুলো অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা তো আর আমাদের মত অলস হয়ে বসে থাকে না, তাই প্রতিটি কোষ তার ভিতরের আবর্জনা ও ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে শুরু করে। কোষগুলোর আমাদের মত আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই বলে তারা নিজের আবর্জনা নিজেই খেয়ে ফেলে। মেডিক্যাল সাইন্সে এই পদ্ধতিকে বলা হয় অটোফেজি।

জাস্ট এ জিনিসটা আবিষ্কার করেই জাপানের ওশিনরি ওসুমি ২০১৬ সালে নোবেল পুরস্কারটা নিয়ে গেল। শুনেছি প্রোফেসর ওশিনরি নিজেও সপ্তাহে দুটি করে রোজা রাখেন। আমার আফসোস হলো তাদের জন্যে, যারা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রোজা রাখেন না। আমরা তো প্রতিবছর একমাস রোজা রেখে শরীরের অটোফেজি করে ফেলি। কিন্তু, আপনারা কিভাবে শরীরের অটোফেজি করবেন?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

সুমন কর বলেছেন: অটোফেজি সম্পর্কে জানাবার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫১

শাহজাহান নবীন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। শিক্ষা নেয়া উচিত অযুহাত উত্তোলনকারীদের

৩| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

আশরাফুল ইসলাম (মাসুম) বলেছেন: চমৎকার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ!

৪| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




লেখাটি আগেই পড়েছিলাম!

৫| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:১১

প্রত্যুশ্যা বলেছেন: মুসলিমরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’সিয়াম’। খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’ফাস্টিং’। হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’উপবাস’। বিপ্লবীরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ’অনশন’। আর, মেডিক্যাল সাইন্সে রোজা রাখকে বলা হয় ’অটোফেজি’।
রোজার উপর গবেষণা করে নোবেল জয় করেছিলেন ভিনধর্মী ওশিনরি ওসুমি । ওশিনরি ওসুমি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন এবং তার ধর্মে ও উপবাস প্রথা আছে ।
সুতরাং ওনাকে ভিনধর্মী বলে আপনি ছোট মনের পরিচয় দিলেন।।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: I research autophagy.

৭| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Research er shathe religion na miliye kivabe science and technologyte tader moto valo howa jay shetay monojog den.

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৭

মো: সাকিব হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রত্যুশ্যা তথ্য শেয়ার করলে ছোট মনের পরিচয় প্রকাশ পায়, আপনার মত মূর্খ এর কাছ থেকে এই প্রথম জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.