![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া না দেয়ায় ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা আটকে আছে।
তারা এটা কেন করছে তা আমাদের জানা নেই। আমি বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসেনি।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার দক্ষিণে পালটানায় ৭০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে ভারতের পশ্চিম অংশ থেকে ভারি যন্ত্রপাতি পূর্ব অংশে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশের ওপর দিয়েই। আশুগঞ্জে ট্রান্সশিপমেন্ট চালুর মধ্য দিয়ে ভারতকে সেই সুযোগ দেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারেরও সুযোগ দেয়া হয়।
ওই প্রকল্প থেকে অন্তত একশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দেয়ার কথা বলে আসছে ত্রিপুরা সরকার। নয়া দিল্লি চাইলে এর বাইরে আরো বিদ্যুৎ দিতে চায় তারা।
২০১১ সালের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগরতলা সফরের সময় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেয়ার আগ্রহের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ওই প্রকল্পে আমাদের শেয়ার থেকে একশ’ মেগাওয়াট আমরা বাংলাদেশকে দিতে চাই। প্রকল্পে দিল্লির শেয়ার থেকে তারা আরো বিদ্যুৎ দিতে পারে।”
“কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখনো আমাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।”
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সফরের পরপরই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির এ প্রস্তাব জমা দেয় ত্রিপুরা সরকার। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে তা ‘আটকে আছে’।
“তারা এটা কেন করছে তা আমাদের জানা নেই। আমি বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে কোনো ফল আসেনি।”
মানিক সরকার বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের খুব ভালো বন্ধু। আমরা যেসব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন সেগুলো প্রশমণেও অনেক কিছু করেছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার।
“আমরা যা পারি- বাংলাদেশের জন্য আমাদের তা করা উচিত।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক দিক বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির পক্ষে তিনি।
ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস আছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের ভারি যন্ত্রপাতি নেয়ার সুযোগ করে না দিলে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মহাসড়ক দিয়ে সেগুলো পরিবহন করা ছিল প্রায় অসম্ভব। ওই মহাসড়কের অনেক স্থানে সেতুর অবস্থা এতোই নাজুক যে সেগুলো ভারি যন্ত্রপাতি পরিবহনের ভার সামলানোর পর্যায়ে নেই।
এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও আশুগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে যন্ত্রপাতি ‘ট্রান্সশিপমেন্টের’ অনুমোদন দেয়ার আগ পর্যন্ত পালটানা প্রকল্প এগোয়নি।
শিল্প-কারখানা তেমন না থাকায় ত্রিপুরায় বিদ্যুতের চাহিদা সীমিত। এ কারণেও বাংলাদেশের চাহিদা পূরণে আসাম থেকে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যায় বলে মনে করেন মানিক সরকার।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, যাতে ফের জয়ের আশায় রয়েছে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার।
কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায় পরাজয়ের পর ভারতের একমাত্র এ রাজ্যেই কজ্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মেঝদা৬১ বলেছেন: বাংলাভাষী যে কোন প্রদেশের সরকার ভারতে নিজ ভুমে পরবাসী। তার নমুনা মানিক লাল সরকার। কোন মুল্যই দেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মেঝদা৬১ বলেছেন: বাংলাভাষী যে কোন প্রদেশের সরকার ভারতে নিজ ভুমে পরবাসী। তার নমুনা মানিক লাল সরকার। কোন মুল্যই দেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।