নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমান্ডো অভিযানের রিক্যাপঃ যদি অভিযানটি এভাবে হতো!! হয়তো এত্তোগুলো প্রাণ অকালে ঝরতোনা---

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০২

এতো গুলো মহামূল্যবান জীবনের দায় কে নেবে? আমি? আপনি? সে? তারা? সরকার? না, সবাই? [/su
প্রথমেই শোক জানাচ্ছি।


*** নিম্নের ধাপগুলি অবলম্বন করলে গুলশান এটাকের প্রাথমিক পর্বেই সফল সমাপ্তি টানা যেতো অন্তত সম্ভাবনা ছিলো?
প্রথম ধাপঃ নিঃশব্দে "হোলী আর্টিজান বেকারী" ঘেরাও করা।


!!! করা হয়েছিল, তবে সশব্দে!!!!! লাইট ক্যামেরা একশন!! জানান দিয়ে? মিডিয়া নিয়ে? আলো জালিয়ে? মহা হুলুস্থুল শব্দ করে!! সাঁজোয়া বহর নিয়ে!!


** দ্বিতীয় ধাপঃ সুদক্ষ স্নাইপার দিয়ে লং রেঞ্জ স্নাইপিং রাইফেল ব্যবহার করে দূর থেকে অর্থাৎ উঁচু কোন দালান যা হোটেলটির খুব নিকটেই রয়েছে ওখান থেকে।

** তৃতীয় ধাপঃ প্যারাড্রপ করে কমান্ডো দিয়ে সাঁড়াশী আক্রমণ।


** চতুর্থ ধাপঃ পাওয়ার ডাউন করে কমান্ডো প্রেরণ এবং সাথে সাথে পূর্বে থেকে ঘটনাস্থলের নিকটে রাখা ফায়ার সার্ভিসের হোস পাইপ ব্যবহার করে গরম জল নিক্ষেপ করে জঙ্গীদের ছত্রখান করা।
১।।
২।। ৩।।
৪।।

** পঞ্চম ধাপঃ হোশ পাইপ দিয়ে গরম পানি নিক্ষেপ করার পর অবশ্যই ভেতরে থাকা সবাই ছত্রখান হবে এর পর ভিতরে কাঁদানে গ্যাস বা নার্ভ গ্যাস ছুড়ে সবাইকে অচল করে দেয়া যেতো। অতঃপর, নাইট ভিশন গগলস পরা কমান্ডোরা অতর্কিতে ঝটিকা আক্রমণ করতে পারলে নিমেষেই সবকাটাকে ধরাশায়ী করা সম্ভব হতো। নিশ্চয়ই সামান্য কয়টা অস্ত্র নিয়ে আমাদের প্রশিক্ষিত বাহিনীদের সাথে ওরা এঁটে উঠতোনা।
**ষষ্ঠ ধাপঃ বিভিন্ন ধরণের ডাইভার্সন সৃষ্টি করে এই ৭/৮জন সন্ত্রাসীদের আটক করা ছিলো গেলে প্রাণহানি কম ঘটত।

তাছাড়া, আমাদের দেশের বাহিনীর এতোগুলো চৌকশ লোক থাকতে সারারাত ভর জল্পনা-কল্পনা আর প্ল্যান-প্রোগ্রাম করে করে রাত শেষ করে সবশেষ এটাক এবং ৪৫ মিনিটেই অভিযান ফিনিশ!!
** ফলাফল?? সবাই জানে। মিডিয়াতো আপডেট দিচ্ছেই।

(১) রাতভর জিম্মি উদ্ধারের প্রস্তুতি। সকালে যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযান। ছয় জঙ্গির মৃত্যু। নিয়ন্ত্রণে পুরো রেস্তোরাঁ। কিন্তু এরপরের দৃশ্য ভয়ংকর। একে একে মিলল ২০ জিম্মির লাশ। হতভম্ব অপেক্ষারত স্বজন। স্তম্ভিত বাংলাদেশ।

(২) শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা শেষে সাঁজোয়া যান নিয়ে দেয়াল গুঁড়িয়ে রেস্তোরাঁর ভেতরে ঢুকে পড়েন সেনা কমান্ডোরা। শুরু হয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। প্রচণ্ড গোলাগুলিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে গুলশান এলাকা। ১৩ মিনিটের মধ্যে সাত সন্ত্রাসীকে কাবু করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন কমান্ডোরা। জীবিত উদ্ধার করেন ১৩ জিম্মিকে। ৫০ মিনিট পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

(৩) সরকারি ভাষ্যমতে, রাজধানী ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি নামের রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা শুক্রবার রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে জাপান সরকার তাদের সাত নাগরিকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। ইতালির নাগরিক নিহত হয়েছেন নয়জন। একজন ভারতীয় নাগরিক। শুক্রবার রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে মারা গেছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। আর গতকাল শনিবার সকালে অভিযানে মারা গেছে ছয় সন্ত্রাসী। গ্রেপ্তার হয়েছে একজন। অভিযানে একজন জাপানি, দুজন শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

(৪)ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত পিস্তল, পয়েন্ট ২২ রাইফেল, হাতে তৈরি গ্রেনেড (আইইডি), ওয়াকিটকি সেট ও ধারালো অনেক দেশীয় অস্ত্র। অপারেশন থান্ডারবোল্ট অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের কেউ হতাহত হননি।
*** অনেক জীবনের বিনিময়ে এই জিম্মি মুক্তি বোধহয় কেউ চায়নি। অবশেষে যেই কয়জন উদ্ধার পেয়েছে সেই জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তারপরও কথা থেকে যায় আমরা এই মানুষরূপী ম্যানিয়াকগুলোর হাত হতে এবং আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য তৃতীয় শক্তিকে প্রতিরোধ করতে দরকার জাতীয় ঐক্যের। তা না করে আমরা পরস্পর কাঁদা ছুড়াছুড়ি করে এ দেশ, মা, মাটি শান্তি সমৃদ্ধি রক্ষা করা যাবেনা। আল্লাহ সবাইকে সুমতি দান করুক।
** খুনি আইএসাইএস হোক জামাতুল মুজাহিদিন হোক বা অন্য কোন খুনি হোক যেই হোক এর জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃণা জানাচ্ছি। এদের মুলুৎপাটন করতে যদি আমরা এখনই একত্রিত না হই তাহলে পরে আর কিছুই করার থাকবেনা।

পরিশেষে নিরীহ বিদেশী ও সাধারণ পাবলিক যারা নিহত হয়েছে তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। সেই সাথে নিহতদের পরিবারের সবাইকে আল্লাহ দুঃখ ও শোক বইবার ক্ষমতা দান করুন।
এই শোক শক্তিতে পরিণত হোক।
এই শোক জাতীয় ঐক্য আনুক।
এই শোক সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে আনুক এবং একিসাথে কাজ করার শক্তি দিক। এই শুভকামনা প্রত্যাশা রইলো।

বিঃদ্রঃ দৈনিক প্রথম আলো হতে কিছু কোট করেছি। ধন্যবাদ প্রথম আলো পত্রিকাকে।
ছবিঃ ইন্টারনেট।
পুনশ্চঃ এই ভাবনা ও পরিকল্পনা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত। এতে কাউকে ছোট করার কোন উদ্দেশ্য নাই।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: সবচেয়ে জরুরী ধাপ "টিভি ক্যামেরা" বাদ পড়েছে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু<বাবুয়া<বাবুই ভাই, যথার্থই বলেছেন। ক্যামেরাতো বাদ ছিলোনা। সমগ্র এলাকা সিসি ক্যামেরায় আবদ্ধ। সুতরাং কে ঢূকছে আর কে বেরুচ্ছে তার ফুটেজ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। জঙ্গীদের চোখ এড়িয়ে একটা কেন অনেক ক্যামেরাই বিল্ডিং এর ভিতর প্রবেশ করিয়ে ভিতরের দৃশ্য অনুধাবন করা যেতো। কিন্তু, যার প্রস্তুতি নিতে ১০ ঘন্টা লাগে তা শেষ হলো সামান্য কয়েক মিনিট গুলাগুলির মাধ্যমে। কী ভেল্কিই না দেখালো আমাদের সসস্ত্র বাহিনীর লোকেরা। যা রাতের আঁধারে করা যেতো তা করলো দিনে। আশ্চর্য হতে হয়।
ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

মেটাফেজ বলেছেন: আমাদের সোয়াডস নামে একটা এন্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড আছে, যেইটা সারা দুনিয়ার হাতে গণা এলিট স্কোয়াডগুলার একটা। এদের কাছে নাইটভিশন গ্লাস নাই মানাটা খুবই কঠিন। এই ধরণের অপারেশনে স্মোক বা স্টান গ্রেনেড ইউজ কৈরা সবডিরে কাবাব বানাইতে এদের ৫ মিনিটের বেশি লাগার কথা না। শুধু শুধু বসায়া রাখলে লাভ কি?

স্ট্রাটেজিকভাবে উইকনেস বাইর হয়া গেসে যখন সবাই জানসে যে সিলেট থেকে কমান্ডো টিম ফ্লাই করে আইসা পৌছাইসে প্রায় সাত ঘন্টা পরে ভোর চাইরটায়। অথচ সিমটম বলতাসে জবাই করা হৈসে জিম্মিদের রাত বারোটার ভেতরেই।

দিনের আলোয় অপারেশন মানেই ক্যাজুয়ালিটি বেশি। দুই গর্ধবরে দেখছিলাম এক জিম্মিরে হাটায়া নিয়া যাইতাসে খোলা ছাদে। আমাদের কি ভাল স্নাইপারের এতই আকাল?

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমরা স্ট্রাটিজিক্যালী ভেরি উইক। আমাদের দুর্দান্ত টিম থাকবে সিলেটে আর ঢাকা থাকবে অরক্ষিত? তাহলে ঢাকা শহর আগলাতে সিলেটি ফৌজ লাগে?
ভাইজান, এটা আই ওয়াশ! যে যাই বলুক, সত্য তিক্ত। স্নাইপার, নাইট ভিশন গ্লাস, সুদক্ষ স্নাইপার, ফ্যাসিলিটি, স্ট্রাটিজি সবই আছে কিন্তু দরকারের সময় সব অচল হয়ে যায়। বিডিয়ার মিউটিনির সময়ও তাই দেখেছিলাম। খোদ ঢাকা শহর আক্রান্ত হলে কোন নাগরিক বাঁচাতে ২৮ জনকে প্রাণ দিতে হয় আর কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করতে হয়। এটা দেখে সন্ত্রাসী আর জঙ্গীরা নিশ্চয়ই উপহাস করে দাঁত কেলিয়ে হেসেছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন। এই নিদারুণ শোক বাঙ্গালীর জীবনে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। কারণ, আমরা অনিশ্চিত আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
ধন্যবাদ ভাই। নিরাপদে থাকুন। নিশ্চিন্ত থাকুন।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

থান্ডারবোল্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমরা স্ট্রাটিজিক্যালী ভেরি উইক। আমাদের দুর্দান্ত টিম থাকবে সিলেটে আর ঢাকা থাকবে অরক্ষিত? তাহলে ঢাকা শহর আগলাতে সিলেটি ফৌজ লাগে?
ভাইজান, এটা আই ওয়াশ! যে যাই বলুক, সত্য তিক্ত। স্নাইপার, নাইট ভিশন গ্লাস, সুদক্ষ স্নাইপার, ফ্যাসিলিটি, স্ট্রাটিজি সবই আছে কিন্তু দরকারের সময় সব অচল হয়ে যায়। বিডিয়ার মিউটিনির সময়ও তাই দেখেছিলাম। খোদ ঢাকা শহর আক্রান্ত হলে কোন নাগরিক বাঁচাতে ২৮ জনকে প্রাণ দিতে হয় আর কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করতে হয়। এটা দেখে সন্ত্রাসী আর জঙ্গীরা নিশ্চয়ই উপহাস করে দাঁত কেলিয়ে হেসেছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন। এই নিদারুণ শোক বাঙ্গালীর জীবনে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। কারণ, আমরা অনিশ্চিত আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে।
ধন্যবাদ ভাই। নিরাপদে থাকুন। নিশ্চিন্ত থাকুন।

আপনি নাইট ভিশন গগলস চোখে লাগিয়ে স্নাইপার দিয়ে জংগী মারার কথা বলছেন? আপনার টার্গেট এলাকায় ৬/৭ জন জংগী। আরো আছে কিছু হোস্টেজ। আপনি যদি ঐ ৬/৭ জংগীকে একটা সিংগেল টাইম ফ্রেমে আপনাদের স্নাইপারদের টেলিস্কোপিক সাইটের ক্রসহেয়ারে আনতে না পারেন, কোন লাভ নাই। কারন আপনি যদি সবাইকে ঘায়েল না করে ১/২ জনরে ঘায়েল করেন, অবশিষ্টরা বাকী জিম্মিদের যে মেরে ফেলতে পারে তা কি আপনি ভেবে দেখেছেন? বেস্ট হয়, আপনি দরকার হলে নেট থেকে ডাউনলোড করে কিছুটা পড়াশোনা করে নেন এ ব্যাপারে। যদি নেটে এ ধরনের বই পাওয়া যায়।

আর, সব আম এক ঝুড়িতে রাখতে হয় না। ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে শুধুমাত্র ঢাকার জংগী সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরী করা হয় নাই। কাউকে যদি কোয়েশ্চেন করতে হয়, পুলিশের সোয়াট কে করুন। আমেরিকান প্রশিক্ষন নিয়ে, আমেরিকান গিয়ারে সজ্জিত হয়ে তারা কি রোল পালন করেছেন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ভাই থান্ডারবোল্ট! প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করার জন্য। আমি একটা সম্ভাবনার কথা এখানে তুলে এনেছি। আর সেটা হলো, ১০ঘন্টা নয় ঘটনার শুরুতেই যদি আক্রমণ করা যেতো তাহলে এতোগুলো লাশ গুণতে হতোনা। ২৮ জনকে মেরে আইএসপিআর বলছে অভিযান সফল হয়েছে। বিদেশী ও দেশি অনেক দামী দামী জীবনইতো ঝরে গেলো। কী লাভ হলো? ধরতে পেরেছেন কোন জঙ্গীকে? ওরা কোথায়?
আমার যুক্তি যা দেয়ার তা পোস্টেই দিয়েছি আর দেয়ার ইচ্ছে হচ্ছেনা। তবে, এতাই বুঝাইতে চেয়েছিলাম যে, আমাদের চৌকশ বাহিনী যদি ঘটনার শুরুতেই কয়েকটা স্টেপ নিত তাহলে ক্ষয়-ক্ষতি অনেক কম হইতো। চতুর্দিক হতে একসাথে নিরবে হানা দিলে ওদের ঠিকই কব্জা করা যেতো। ঢাক ঢোল পিটিয়ে কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে হাজার হাজার সৈন সমাবেশ ঘটিয়ে ১৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর নাটকিয় ১৫ মিনিটের অপারেশন। শেষ?
আর ভাইজান, স্নাইপার রাইফেল ও স্নাইপারদের লংরেঞ্জ শুটের কাহিনী বইতে অসংখ্যবার পড়েছি। আর নতুন করে পড়ে কিছুই জানার নেই। কারণ, আমি আর্মির লোক না। "সোয়াট" আমেরিকা থেকে ট্রেইনিং নিয়ে এসেছে এতা গর্বের বিষয়। কিন্তু কাজের সময় কাজ হৈল কই?
আমার সোয়াটের কাছে প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। এই জন্য যে, সরকারের কোষাগার থেকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রশিক্ষিত হয়ে জনগণের দরকারের মুহুর্তে কাজে না লাগলে কি লাভ হলো তাদের এতো প্রশিক্ষনের? আমার প্রশ্ন সরকারের কাছে, জনগণের জীবন নিয়ে আর রাজনীতির নোংরা খেলা কতদিন চলবে?
ভালো থাকুন।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪০

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ভাই থান্ডারবোল্ট! প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করার জন্য। আমি একটা সম্ভাবনার কথা এখানে তুলে এনেছি। আর সেটা হলো, ১০ঘন্টা নয় ঘটনার শুরুতেই যদি আক্রমণ করা যেতো তাহলে এতোগুলো লাশ গুণতে হতোনা। ২৮ জনকে মেরে আইএসপিআর বলছে অভিযান সফল হয়েছে। বিদেশী ও দেশি অনেক দামী দামী জীবনইতো ঝরে গেলো। কী লাভ হলো? ধরতে পেরেছেন কোন জঙ্গীকে? ওরা কোথায়?
আমার যুক্তি যা দেয়ার তা পোস্টেই দিয়েছি আর দেয়ার ইচ্ছে হচ্ছেনা। তবে, এতাই বুঝাইতে চেয়েছিলাম যে, আমাদের চৌকশ বাহিনী যদি ঘটনার শুরুতেই কয়েকটা স্টেপ নিত তাহলে ক্ষয়-ক্ষতি অনেক কম হইতো। চতুর্দিক হতে একসাথে নিরবে হানা দিলে ওদের ঠিকই কব্জা করা যেতো। ঢাক ঢোল পিটিয়ে কাড়া-নাকাড়া বাজিয়ে হাজার হাজার সৈন সমাবেশ ঘটিয়ে ১৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার পর নাটকিয় ১৫ মিনিটের অপারেশন। শেষ?
আর ভাইজান, স্নাইপার রাইফেল ও স্নাইপারদের লংরেঞ্জ শুটের কাহিনী বইতে অসংখ্যবার পড়েছি। আর নতুন করে পড়ে কিছুই জানার নেই। কারণ, আমি আর্মির লোক না। "সোয়াট" আমেরিকা থেকে ট্রেইনিং নিয়ে এসেছে এতা গর্বের বিষয়। কিন্তু কাজের সময় কাজ হৈল কই?
আমার সোয়াটের কাছে প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। এই জন্য যে, সরকারের কোষাগার থেকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় প্রশিক্ষিত হয়ে জনগণের দরকারের মুহুর্তে কাজে না লাগলে কি লাভ হলো তাদের এতো প্রশিক্ষনের? আমার প্রশ্ন সরকারের কাছে, জনগণের জীবন নিয়ে আর রাজনীতির নোংরা খেলা কতদিন চলবে?
ভালো থাকুন।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: কাজের কাজ কিছুই হল না। :(
এতগুলো মূল্যবান তরতাজা প্রাণ ঝরে গেলে কিছু পথভ্রষ্ট যুবকদের জন্য। :((

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ভাই মহা সমন্বয়, ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।
এতগুলো মূল্যবান তরতাজা প্রাণ ঝরে গেলে কিছু পথভ্রষ্ট যুবকদের জন্য। :((
হ্যাঁ, পথভ্রষ্ট যুবকদের জন্য অবশ্যই ঠিক।এই পথভ্রষ্ট লোক কী ঘরে ঘরে সমাজে রাষ্ট্রে বা পৃথিবীর সবখানে সবকালে ছিলোনা বা এখনো কি নাই? এই পথভ্রষ্টগুলো সমাজের বা রাষ্ট্রের বাইরের কেউ নয়। এরা আমার আপনার সবার পরিবারের ভিতর থেকেই এসেছে। সময় থাকতে সচেতন না হয়ে এদেরকে বিপথে হয়তো আমরাই ঠেলে দিয়েছি। এর দায় সবার, কারো একার নয়। এই বিপথগামীদের সুপথে ফিরিয়ে আনা না গেলে বিপদ ক্রমেই বাড়বে বৈ কমবেনা। আর, শুধু জেগে জেগে ঘুমালে হবেনা চোখ কান খোলা রাখতে হবে সব সময়ের জন্যে। দেশীয় চক্রান্তের চেয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ভুমিকা বেশী আমাদের দেশে ঘটে যাওয়া প্রায় প্রতিটি ঘটনাতে। দেশটার শান্তি সমৃদ্ধি নস্যাৎ করার প্ল্যান সুদীর্ঘ কাল ধরে করে আসছে একটা ভয়ংকর আন্তর্জাতিক শক্তি। এই শক্তিকে মোকাবেলার জন্য জাতীয় ঐক্যের দরকার সব ভেদাভেদ ভুলে।
** আমাদের দেশের প্রতিটা বাহিনীকে বুদ্ধিতে শক্তিতে কৌশলে নিরপেক্ষতায় একসাথে কাজ করতে হবে। গুলশান ট্র্যাজেডির প্রায় আগাগোড়া লাইভ টেলিকাস্ট দেখলাম আর আশ্চর্য হইলাম। গুলশান এরিয়া কর্ডন করে ১৩ ঘন্টার অপেক্ষা আমার কাছে নয় শুধু দেশের অনেকের কাছেই খটকার মতো লেগেছে তখন। এতো আওয়াজ করে জঙ্গীদের জানান দিয়ে স্ট্র্যাটিজিক্যালী চৌকশ বাহিনীর লোকেরা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে। বিনিময়ে সুইসাইডাল জঙ্গীরা কেড়ে নিল ২২টি তাজা প্রাণ।কিসের অপেক্ষা ছিলো এতক্ষণ? জিম্মি সবকটা দেশি বিদেশীদের হত্যা করার সুযোগ দেয়া?

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে মনে অনেক প্রশ্নেরই উদয় হয়।
আপনার সুন্দর প্রতিউত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: মহা সমন্বয় ভাই, ফিরতি মন্তব্যের জন্যে আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। সাম্য মৈত্রির মিছিলে জাত-পাত ভুলে একত্র হলে দেশীয় আর ভিনদেশীয় সব অপশক্তিকেই শক্ত হাতে মোকাবেলা করা যাবে। ভালো থাকুন। চোখ কান খোলা রেখে নিরপেক্ষ থাকুন। কারণ, কলম সৈনিকরা যদি দিলকানা আর দিনকানা হয় তবে আর রক্ষে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.