নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গি দমনে মাদরাসা মসজিদে তালা মারা হোকঃ ইসলাম ধর্ম নিন্দাবাদ!!

১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

আমরা মদিনার সনদে দেশ চালাবো। দেশে ইসলাম থাকবে!! তবে, মসজিদ মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দেব!কারণ, মসজিদ মাদরাসাগুলি জঙ্গি উৎপাদনের কারখানা। অবশ্য কিছু কিছু মাদরাসা মসজিদ থাকবে যেগুলো "লা ইয়া মুতু ওয়ালা ইয়াহ্‌ইয়া!" সেই সাথে দেশে ধর্ম চর্চার জন্য আরো বেশি বেশি মাজার তৈরি করা হবে! আমরা এই এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি,যেমন-
(ক) শিক্ষা ব্যবস্থাঃ আস্তে আস্তে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা হতে ধর্মীয় বিষয়াদী সরিয়ে দিচ্ছি। সেই সাথে যৌনতার পসরা দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশ দিয়ে দিচ্ছি।

(খ) দেশে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যম হিসেবে স্মার্টফোন সস্তা করে দিয়েছি। ইন্টারনেট স্পীড থ্রীজি থেকে ক্রমেই ফোরজীতে উন্নীত করছি। থ্রী এক্স বা ব্লু ফিল্মের চাহিদা যাতে পূরণ হয় তার জন্য বিভিন্ন ধরণের ভিডিও সাইট সহজ লভ্য করে দিয়েছি। চটি গল্প, হট ভিডিও, হট পিকচার, হট কনটেন্ট, হট মিউজিক ভিডিও সব আইটেমই যাতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে দেখতে পারে তাঁর সুব্যবস্থা করে দিয়েছি। এই জন্য কিছু ইসলামিক চ্যানেল ও বন্ধ করে দিয়েছি।কারণ, ইসলামিক চ্যানেলে অনুষ্ঠান দেখে আবার এই রসাল জিনিস দেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আমাদের বুদ্ধুজীবিরা মতব্যক্ত করেছেন।

(গ) ইসলামিক শিক্ষাকে একহাত নিয়েছি দেশে ১৯০টি কলেজ জাতীয়করণ করেছি এবং ৩১৫টি মডেল স্কুলকে জাতীয়করণ করে পরবর্তিতে আরো অনেক মাধ্যমিক স্কুল জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছি কিন্তু ৯৩০০ মাদরাসার মধ্যে কোন একটিকেও জাতীয়করণের আওতায় আনিনি। দেশে শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা ও ইসলামিক শিক্ষার অগ্রযাত্রায় শতবর্ষী বা তারচেয়ে বেশী প্রাচীন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে শিক্ষায় দীক্ষায় ফলাফলে সবদিক বিবেচনায় বহু স্কুল কলেজ থেকে উন্নত তাদেরকেও গণায় ধরিনি।

(ঘ) দাখিল পাস করার পর যাতে ছাত্ররা কলেজ মুখী হয় তারজন্য আমরা ঘোষণা দিয়েছি সরকারী চাকুরীতে বিশেষকরে পুলিশ, আর্মি বা অন্যান্য বাহিনীতে মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের নেয়া হবেনা। চাকুরী পাওয়ার আশায় এখন উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্র-ছাত্রী এবার থেকেই বিপুল পরিমাণে কলেজে ভর্তি হয়েছে।আমরা সুফল পেতে শুরু করেছি।

(ঙ) দেশের অভ্যন্তরে যেকোন ঘটনা দূর্ঘটনার দায়ভার মাদরাসা ছাত্রদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছি। এতে লাভ হচ্ছে সামনের প্রজন্মকে আর মাদরাসায় বা মসজিদে না যেতে মানা করা লাগবেনা। নিজের উদ্যেগেই সকলে মাদরাসা এবং মসজিদে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

(চ) নবী (সাঃ) এর উম্মত কমে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। আর, এজন্য আমরা কিছু উগ্র কলম জঙ্গি নিয়োগ করেছি। যাদের কলমের ঘায়ে অনেক মুসুমান তাদের ঈমান বিক্রি করে দিয়ে এথিস্ট হয়ে যাচ্ছে। শুধু থাকবে"গরু খাওয়া মুসুমা!

(ছ) দেশে মদ জুয়া চরস আফিম ভাং হিরোইন মারিজুয়ানা হুইস্কি রাম ভদকা বিলাতি ওয়াইন এসবের বন্যার সাথে ইয়াবা আর গঞ্জিকার ধোঁয়া দিয়ে এমন আবহ তৈরি করে দিচ্ছি যার থেকে আস্তিকদের আর ফিরবার পথ থাকবেনা। এসব চেখে চুখে আমাদের সোনার প্রজন্মরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝোঁকার সময়ও পাবেনা।

(জ) কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিয়ে ৭৩ দলে বিভক্ত করে দেয়ার ফন্দিটা শয়তান বাবা ইবলিশের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিল। খুব কাজে দিয়েছে আলেম ওলামারা নিজেদের মধ্যে এখন মারামারিতে ব্যস্ত। যারফল আমরা পাচ্ছি। মাঝখান থেকে ফায়দা নিচ্ছি খুব কায়দা করে। কিন্তু, তারা বুঝবেওনা।শুধু মাঝে মাঝে একটু উসকানি দিলেই ল্যাটা চুকে যাচ্ছে।খেলা জমেছে বেশ! কড়া সুন্নী ভার্সাস মিঢা সুন্নী, ওয়াহাবী ভার্সাস মওদুদীবাদী, করা সুন্নী ভার্সাস মওদুদীবাদী, মাজার পূজারী ভার্সাস পাজার বিরোধী পার্টি, আহমদিয়া আরো যত ইয়া আছে সবাই ব্যস্ত খামছাখামছিতে! এসব চলমান থাকলে আর চিন্তা করতে হবেনা। এমনিতেই সব ফ্রীজ হয়ে যাবে।

(ঝ) চলমান এই ফিকির যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশ জঙ্গিমুক্ত হয়ে যাবে।নাউজুবিল্লাহ!!

(ঞ) দেশে শুধুমাত্র একজাতীয় ধ্যান ধারণাকে অর্থাৎ নাস্তিকতাকে পৃষ্টপোষকতা করা হবে যাতে দেশের সবাই নাস্তিক হয়ে গিয়ে ধর্মকর্ম ছেড়ে দেয়। এতে আমাদের এজেন্ডা পুরোই বাস্তবায়িত হবে। দেশ জঙ্গিমুক্ত হবে?? তবে, বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাস থাকবে। বিভিন্ন টেররিস্ট সংগঠন থাকবে, বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনও থাকবে। দেশে সন্ত্রাস থাকবে তবে জঙ্গি থাকবেনা। যাইহোক, তারপরও জঙ্গিবাদ নিপাত যাক! ধর্ম ও ধার্মিকদের নিন্দাবাদ! নাস্তিক্যবাদ জিন্দাবাদ??

লেখাটি হেঁয়ালি করে লেখা। ভালো করে খেয়াল করবেন না। খেয়াল করলে ইঙ্গিতগুলো ধরে ফেলবেন আর আমাকে ভুল বুঝতে পারবেন না!! তা যেন না হয়, তাই না??


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: দাখিল ৬,৪০২টি, আলিম ১,৩৭৬টি, ফাজিল ১,০৫০টি এবং কামিল ১৭২টি।

১৯৯৪ সালের একই পরিপত্রে বেসরকারি প্রাইমারী ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো ৫০০ টাকা ভাতাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হয়।
অতঃপর,
ধাপে ধাপে বেসরকারি প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন ভাতা উন্নীত করা হয় এবং ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারিতে ২৬ হাজার ১৯৩ টি সরকারি প্রাইমারী স্কুলও জাতীয়করণ করা হয়েছে।
বৈষম্যঃ
৬ হাজার ৮৪৮ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার মধ্যে ১ হাজার ৫১৯ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ভাতা ২০১৩ সালে শিক্ষামন্ত্রী ৫০০ টাকা থেকে মাত্র ১ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন। আর বাকি ৫ হাজার ৩২৯ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকগণ এখনও বিনা বেতনে শিক্ষাদান চালিয়ে গেলেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ১৯৮৪ সালে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত প্রায় ১৯ হাজার মাদরাসার মধ্যে হ্রাস পেয়ে এখন দুই তৃতীয়াংশ ইবতেদায়ী মাদ্রসা প্রায় বিলুপ্তির পথে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ২০১১ সালের হিসাবনুযায়ী প্রায় ৬ হাজার ৮৪৮ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা ৫ জন করে হলেও ৩৪ হাজার ২৪০ শিক্ষক বর্তমান আছেন।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৮

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আপাতত এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। আর অনেক বিষয় আসয় আছে, আসলে দেশের রাজনৈতিক মতানৈক্য বর্তমান সময়ে একটা সংকটাপন্ন অবস্থানে আছে। এমন সময়ে এ ধরণের খোলামেলা আলোচনায় যাওয়া বোকামি হবে।
এখন বৃষ্টির সময় বন্ধু কবিতা আর উপন্যাসে মন ডুবতে চায়। রাজনীতি হবে তবে সেটা সময় আসলে। লক্ষ্য করে দেখবেন নবীজিকে আল্লাহ ৪০ বছর পূর্ন হবার পর নবুয়্যাতি দেন। এ থেকে বোঝা যায় সময়ের সাথে অভিজ্ঞতা সন্ঞয়ের পর একটা অবস্তানে যাওয়া যায়।
আমার দাদি বলতেন একটি কথা, সত্যিকারের বন্ধু কথা বলে কষ্ঠ দিয়ে আর শত্রু ফন্দি আটে ভাললাগার বোঝ দিয়ে। আশা করি বন্ধুর কথাতে আপনার খারাপ লাগে নি।

অঢেল শুভ কামনা জানবেন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রকি ভাই, আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য। দেশে বিদ্যমান অনেক অনেক সমস্যার মধ্যে অন্যতম প্রধান ও ভাইটাল সমস্যা হচ্ছে এই বেসরকারী শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে বৈষম্য। দেশে তাবৎ এডিউক্যাশনাল সার্ভিসের মধ্যে তূলনামূলকভাবে মাদরাসার শিক্ষকগণ চরম অবহেলা আর বৈষম্যের শিকার। ১৯০টি কলেজ সরকারী করা হয়েছে আর সেই সাথে ৩১৫টি স্কুলকে মডেল স্কুল করেছে। প্রতিটি মডেল স্কুলে ৫কোটি টাকা মুল্যের অত্যধুনিক ভবন দেয়া হয়েছে আর পূরস্কার স্বরুপ সরকারী করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু, তাঁর সাথে মিল রেখে ১টা মাদরাসাও সরাকারীকরণ হয়নাই। এতে বুঝা যায় সরকারের এজেন্ডা। আর, এতসব বৈষম্য দেখে চুপ থাকতে পারিনা। তাই, আবোল তাবোল বকে যাচ্ছি।হ্যাঁ, আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য।
আপনার সুপরামর্শ মনে রাখবো। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.