নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবছি....\n\nআরেকদিন লিখব

প্রীতি পারমিতা

প্রীতি পারমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নক্ষত্রের রাত্রি

২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

কি বলব বুঝতে পারছি না.. এখানে প্রথম লেখা তাই কিছুটা ভয়ে ভয়ে লিখছি।ভুল হলে মাফ করবেন।

১.
ঃ হাই।

- হ্যালো।

ঃ একটা কথা ছিল।

- কি কথা?

ঃআমাকে তোমার হাতটা একদিন ধরতে দিবা?

- না।

ঃ কেনো?

- আমি আরেকজনের বউয়ের হাত ধরতে চাই না।যদি আমার বউ হতা তাইলে ধরতাম।

ঃ একবার শুধু প্লীজ।

- আমার হাত অনেক শক্ত। ব্যথা পাবা।

ঃ সমস্যা নাই।

- ঠিক আছে।দেখা হওয়ার পর।



২.

বিছানায় শুয়ে এপাশ অপাশ করতে লাগল রাত্রি। ঘুম আসছে না। রাত জাগার পুরনো অভ্যাস তাই ঘুম আনার চেষ্টা করেও কোনো লাভ নেই। রাতের আঁধার শেষে ভোরের আলো যখন জেগে ওঠে তখন রাত্রির দুচোখে ঘুম নামে। রাতটা কিভাবে পার করবে সেটা ভাবতে ভাবতে চোখ বন্ধ করলো। হঠাৎ মোবাইলের মেসেজ টোন বেজে উঠলো। মোবাইলটা হাতে নিয়ে খুব অবাক হলো। নক্ষত্রর এসএমএস। প্রথমে খুশিতে গদগদ হলেও পরক্ষনেই একটু অভিমান হলো নক্ষত্রর উপর। এতদিন পর বুঝি মনে পড়ল ওর রাত্রির কথা? এসএমএসটা অন করল। "একটু fb তে আসবা?" রাত্রি বোধ হয় এই কথাটার জন্যই এতো দিন অপেক্ষা করছিল।তাই দেরি না করেই লগ ইন করলো ফেসবুকে।

ঃ হাই।

- হ্যালো। কেমন আছো?

ঃ ভালো। তুমি?

- আমিও ভালো। রাত্রি, তোমাকে একটা কথা বলার ছিল।

ঃ বলো।

- কথাটা আমার অনেক আগেই বলা উচিত ছিল।

ঃ কথাটা কি? এখন বলো।

- Urmi is back.

অনেকক্ষণ রাত্রির কোন রিপ্লাই নেই।এইদিকে অপরপ্রান্ত থেকে নক্ষত্র বার বার নক করতে লাগল।

- রাত্রি কথা বলো।

এভাবেই কয়েক মিনিট কেটে যাওয়ার পর রাত্রি রিপ্লাই দিল।

ঃ ও। congratulation.

(টাইপ করতে যেয়ে রাত্রির ভিতর আর হাত কেপে উঠলো)

- তুমি আমাদের chat history,আমার যত ছবি,মেমরি যা আছে সব রিমুভ করে দিও। এতো দিন যা হয়েছে সব ভুলে যেও।

ঃ আচ্ছা। ঠিক আছে।

- ভালো থেকো।বাই।

ঃতুমিও।বাই।



লগ আউট না করেই শুয়ে পড়ল রাত্রি। হঠাৎ রাত্রির আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হলো। সেই বৃষ্টি রাত্রির চোখে। ইশ, কি যে কষ্ট হচ্ছে রাত্রির ! কাঁদতে কাঁদতে একটা সময় ওর শ্বাসকষ্ট হতে লাগলো। মনে হচ্ছে এই বোধ হয় মরে যাবে ও। এটাই ওর শেষ রাত। মনে মনে বোধ হয় এটাই প্রার্থনা করছে রাত্রি। আজ প্রথম ওর জীবনে তাড়াতাড়ি রাত নেমেছে। যে রাতে নক্ষত্র নেই। হয়তো আর কখনই আসবে না রাত্রির নক্ষত্র।



৩.



রাত্রি ব্যপারটা নক্ষত্রর মাথায় ঘুরছে। সে জন্যই কিছুটা উত্তেজনা আর আনন্দ কাজ করছে। বারবার রাত্রির মুখটা ওর চোখের সামনে ভেসে আসছে। কিন্তু এতো মানুষের ভিড়ে কি করে খুঁজবে সে রাত্রিকে?এই দিনের আলোয় রাত্রি আছে কোথায় কে জানে? যতই সে রাত্রিকে খুজছে ততোই তার গলা শুকিয়ে আসছে। সেই সাথে হাত-পা কাপাকাপি অবস্থা। শুকনো গলা ভিজানোর জন্য এক বোতল পানি কিনল। তারপর আবার খুঁজতে লাগল রাত্রিকে। কিন্তু কোথাও রাত্রি নেই। খুব বিরক্ত লাগছে নক্ষত্রর। হঠাৎ সে দেখা পেল মহারানীর। হাতে আইসক্রিম নিয়ে মুখে বিড়বিড় করে একা একা কি যেনও বলছে। এক পলক দেখেই চোখ বন্ধ করল আর অতিতের সব কিছু চেখে ভেসে উঠলো। সেই প্রথম কথা বলা, কান্না জড়ানো কথাগুলো কিংবা মিষ্টি গলার গান। নখত্র আস্তে আস্তে রাত্রির সামনে দিয়ে হেঁটে পেছন দিকে চলে গেলো।হঠাৎ ওর ভিতরে ভয় হতে শুরু করল। আচ্ছা, রাত্রি কিছু টের পায়নি তো?





৪.



পাশাপাশি হাঁটছে নক্ষত্র আর রাত্রি।এতক্ষণ কি ঘটে গেলো? কিভাবে ঘটে গেলো তা কেউ বুঝতে পারল না। তবে রাত্রি যে খুব বড়সড় অবাক হয়েছে এইটুকু নক্ষত্র বুঝতে পেরেছে।নক্ষত্রর মাঝে অসম্ভব ভালো লাগা শুরু হতে লাগলো। গত দুইমাস যে টেনশনে ছিল সেটা কেটে গেলো।মিথ্যে বলার যন্ত্রণাটাও এখন আর নেই।নক্ষত্র একটু পর পর রাত্রির দিকে তাকাচ্ছে। বাস্তবের রাত্রি আর ভার্চুয়াল জগতের রাত্রির মাঝে একটা অমিল সে খুঁজে পেয়েছে। ভার্চুয়ালের রাত্রির সব সময় হাসিমুখ আর বাস্তবের রাত্রি হাসি ছাড়াও থাকতে পারে। রাত্রি খুব আস্তে হাঁটছিল তাই নক্ষত্র জানতে চাইলো," কি হয়েছে?" "পায়ে ব্যথা।" হঠাৎ নক্ষত্রর মাথায় ঘুরতে লাগলো রাত্রির হাত ধরার কথা। নক্ষত্রর খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো ওর হাতটা ধরতে। সেদিন কত মায়া নিয়েই হাত ধরতে দেয়ার কথাটা বলেছিল ! নক্ষত্র অন্য দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ওর বা হাতটা বাড়িয়ে দিলো রাত্রির দিকে।"হাতটা ধরো।" কয়েক সেকেন্ড চলে গেলো কিন্তু রাত্রি হাত ধরল না। নক্ষত্র কিছুটা হতাশ হয়ে হাতটা নামিয়ে নিচ্ছিল এমন সময় খুব নরম একটা ফুলের ছোঁয়ার মতো লাগলো ওর হাতে।ও কখনো তেমন কোনো মেয়ের হাত ধরেনি। একবার রাস্তা পার করাতে বান্ধবী ঊর্মির হাত ধরেছিল। তা ছাড়া আর কারো না। নক্ষত্র খুব অবাক হলো। মানুষের হাত এতো নরম হয় নাকি !! নাকি ওর নিজের হাত বেশি শক্ত? নক্ষত্র আর কোনোদিকে তাকাল না। রাত্রির হাতটা ধরে রাখল। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানুষ মনে হলো। কেমন জানি একটা পূর্ণতা কাজ করতে লাগলো। আরেকটু শক্ত করে রাত্রির হাতটা ধরল সে। মেয়েটাকে একটু আগের চেয়ে বেশি আপন মনে হতে লাগল। ভয়াবহ কাছের মানুষ মনে হতে লাগলো যাকে হাজার বছর কাছে পেতে ইচ্ছে করে। এই সেই রাত্রি। নক্ষত্রের রাত্রি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথম লেখা হিসেবে ভালই হয়েছে, মিষ্টি মিষ্টি প্রেমকাহিনী। :) প্রথম ভালো লাগা (লাইক) রইল।

ভালো থাকুন সবসময়, হ্যাপি ব্লগিং।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৬

প্রীতি পারমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ....
আপনিও ভালো থাকবেন.. :)

২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রীতি পারমিতা ,




সুন্দর লেখা হয়েছে প্রথম হিসেবে ।
স্বাগতম । থাকুন এই ব্লগের পাতাতেই ...।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৮

প্রীতি পারমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া.. :)

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কেমন তাড়াহুড়ো মনে হলো, অার অাবেগটা একটু বেশি প্রকাশ পেয়েছে । যাহোক, ভালোই হয়েছে । শুভ কামনা রইলো ।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৯

প্রীতি পারমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ.. :)

৪| ২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

অনবদ্য অনিন্দ্য বলেছেন: প্রথমত, পড়ে মনে হচ্ছে না যে এটাই প্রথম লিখা । হয়তোবা শব্দগুলো সাজানোই ছিলো, শুধু বসানো হয়েছে জায়গামতো ! আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটা বাস্তবতা থেকেই নেওয়া । যাই হোক, আমার মতো খুব ছোট্ট সাময়িক পাঠকের কাছে অনেক বেশি আবেগী একটা লিখা মনে হয়েছে (ভুল হয়ে থাকলে দুঃখিত) ।
আশা করি, সামনের দিনগুলোতে আরো সুন্দর সুন্দর লিখা পাবো । ভালো থাকবেন অবিরত ।

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

প্রীতি পারমিতা বলেছেন: এটা আমার প্রথম লিখা নয় তবে এখানে এটা আমার প্রথম পোস্ট.। :)
আশা করি লিখতে পারব.।।।ধন্যবাদ আপনাকে.।। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.