![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................
'আছোত্তি ভালা?' দুর্বল হাতে আমার মাথাটা টেনে নিয়ে কপালে কপাল ঘষে দাদু জিজ্ঞেস করলেন। আগে যখন বাড়ি ফিরতাম, এমনকি ক্লাস এইট পর্যন্ত বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথেই দাদু টেনে নিয়ে কোলে বসিয়ে রাখতেন, আর খসখসে হাত বুলিয়ে দিতেন সারা শরীরে। আমি বেচারা চরম অস্বস্তি আর বাইরে দৌড়ে বেড়ানোর আকর্ষণে ছটফট করে নিজেকে ছাড়িয়েই দিতাম ছুট। আমার সেই দাদুই এখন এত বুড়ো হয়ে গেছে যে দেহটা গুটলু পাকাতে পাকাতে এতটুকুন হয়ে গেছে! দাঁতগুলো পড়ে গেছে সব, কথা বলতে গেলে হড়হড় করে বের হয়ে যায় দাঁতের ফাঁক দিয়ে। কানে শুনতে পান না, এইমাত্র বলা কথাটা ভুলে গিয়ে আবার জিজ্ঞেস করেন। 'চাইয়্যা রইছি খালি, কুন সম তোরা আইবি! কত দোয়া করছি আল্লাহর কাছে আমার পুতেরে, বউরে, নায়-নাতকুররে ঠিকমত পৌঁছায় দেও।' ঘুরে ফিরে বারবার এই কথাগুলোই বলতে লাগলেন। দাদুই আমাদের বাড়ির সাথে শেষ শেকড়টি। যে কোনদিন যেকোন সময়েই হয়তো উপড়ে যাবে এই শেকড়টা। তাই এত কষ্ট, ঝামেলা সহ্য করেও প্রতি বছর আমরা ফিরি, একবারের জন্য। প্রতিবার মামণি বলে, 'তওবা করছি, সামনের বছর আর এই দুর্গতি করবো না।' কিন্তু তারপরও প্রতিবার দাদুর পছন্দের ইলিশ মাছ আলাদা করে রাখে, গ্রামে তো পাওয়া যায় না। তারপরও সাড়ে চার ঘন্টার রাস্তা আমরা বার ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে ফিরে আসি, দাদুর বাড়িতে। ছোটবেলায় দাদা বাজারে যাওয়ার সময়ে দাদু আমার কানে কানে শিখিয়ে দিতেন ইলিশ মাছের কথা বলতে। আর আমিও দাদার সামনে যেয়ে লাফাতাম, 'ইঙ্গিল মাছ! ইঙ্গিল মাছ!' বলে। এত সহজ নামটা এত কঠিন করে বলতে কোথায় শিখেছিলাম কে জানে! দাদার অনেক অনেক আদরের ছিলাম আমি। যখন দাদা মারা যান, এতটাই কষ্ট পেয়েছিলাম যে কিছুদিন খুব অস্বাভাবিক আচরণ করতাম। ভর দুপুরে কবরস্থানে গিয়ে বসে থাকতাম, কথা বলতাম না কারো সাথে। একারণেই আমার প্রতি এখনও দাদুর পক্ষপাতটা একটু বেশি।
যখন খুব ছোট ছিলাম, আমি আর শারমিন আপু মিলে ঈদের আগের দিন পুরো বাড়ি ঝাড়ু দিতাম...উঠান, আনাচে-কানাচে, এমনকি সেই রাস্তা পর্যন্ত। ঈদের দিন লোকজন বেড়াতে এসে যদি বাড়ি নোংরা দেখে তাহলে কি লজ্জার কথা হবে না! একবার আমরা সবাই মিলে কই যেন বেড়াতে গেলাম। ফেরার পথে শারমিন আপু আর শাহেদ ভাইয়া টুপ করে রিকশা থেকে নেমে পাশের গ্রামে আমার ফুপুর বাড়ি চলে গেল। কেউ টের পায়নি ওরা যে নেমেছে। বাড়ি ফিরে বিশাল হইচই, 'পোলা-মাইয়্যা দুইটা কই হারাইল!' আর আমি মন খারাপ করে ঘরে বসে আছি, কারণ শারমিন আপু আমার বিড়ালওয়ালা স্কার্টটা পরে ছিল। ও যদি হারায় তাহলে তো আমি স্কার্টটা আর ফেরত পাবো না। ওইদিন ওরা ঠিকই ফিরে এসেছিল, কিন্তু তার কিছুদিন পরে শারমিন আপু হারিয়ে গেল একেবারে। এক সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলের নিচে কাদের যেন ছায়া দেখতে দেখতে অস্থির হয়ে মেয়েটা চলে গেল। পুরনো কথা মনে পড়তেই আজ সকালে বাড়ির উঠোন, চারপাশটা ঝাড়ু দিলাম। একাই.....তবে কেন যেন মনে হচ্ছিল আপুটা আমার পাশেই আছে, প্রতিযোগিতা হচ্ছে কে কত বেশি জায়গা ঝাড়ু দিতে পারে।
ভোরে উঠার অভ্যাস আমার কখনো ছিল না। কিন্তু বাড়ি ফিরলে শারমিন আপু আমাকে টেনে-টুনে তুলে দিতো ফজরের সাথে সাথেই। আর ওর সাথে 'বিছনা'য় হেঁটে এসে এমনকি মক্তবেও যেতে হতো। ছোটবেলা থেকেই শাড়ি আমার খুব প্রিয়। তাই একবার ঈদে আব্বু আমাকে জামা কিনে না দিয়ে শাড়ি দিল। লাল টুকটুক একটা শাড়ি, তার সাথে লাল ব্লাউজ আর পেটিকোট। ঈদের দিন আমি আর শারমিন আপু মিলে কত জায়গায় যে ঘুরলাম! আমাদের গ্রাম পার হয়ে মনে হয় আরো তিন-চারটা গ্রামে চলে গিয়েছিলাম। সবাই অবাক বিস্ময়ে বলে, 'কেডা গো? ওওও আমিনের ঝি নি!'
আর ঈদের তিন-চারদিন আগে থেকে আমরা, আমি-আপা-শাহেদ ভাইয়া দাঁড়িয়ে থাকতাম 'ঘাডা'র সামনে। আর যখনই দেখতাম কেউ গরু নিয়ে আসছে, দূর থেকেই শুরু করতাম চিৎকার। একদম কাছে না আসা পর্যন্ত শাহেদ ভাইয়া রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে নাচতে থাকতো। কি যে ছিল ওর নাচের মধ্যে কে জানে! গরুগুলো ক্ষেপে-টেপে অস্থির হয়ে যেতো একেবারে। আর দূর থেকেই গবেষণা শুরু হতো এটা ষাঁড় নাকি গাভী! ষাঁড় থেকে নাম হল বেরেষ, তারপরে ব্যালেট। 'এইইইই ব্যালেট...টিক টিক টিক...' আর সেই নাচ! শাহেদ ভাইয়া তো এখন আর ঈদে বাড়ি আসে না, আপাও দেশে নাই চার বছর হল। আমি একাই পড়ে আছি। ঘরের কোণায় চুপ করে বসে বাইরে পিচ্চি-পাচ্চাদের হইচই শুনি।
আর সন্ধ্যায় বসতো মেহেদীর আসর। হাতে বাটা মেহেদী, কলাপাতায় রাখা। দুই হাতের আঙুলে টুপি করে পরাতাম, আর হাতের তালুতে বড় একটা গোল চাঁদ, তার আশেপাশে ছোট ছোটে আরো অনেকগুলো। ছোট ছিলাম বলে এরচেয়ে ভাল কিছু আমার ভাগ্যে জুটতো না কখনো। কত বছর যে আমি ঈদের সময়ে হাতে মেহেদী দেই না! প্রায় সাত-আট বছর হবে বোধহয়।
বাজার থেকে আমরা রিকশা নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত আসি। রাস্তার মাঝে একটা কালভার্ট মত আছে। আগে কালভার্টটা এত উঁচু ছিল যে রিকশা এমনি উঠতো না, ঠেলে তুলতে হতো। আমি আর আপা ওইখানেই রিকশা থেকে নেমে বাকি রাস্তা দৌঁড়ে আসতাম। আর ছোটবেলায় আমাকে সবাই বলতো ওই কালভার্টের নিচে নাকি আমি দাঁড়িয়ে কাঁদছিলাম, আর দাদা বাজার থেকে ফেরার পথে কান্না শুনে মায়া হয়েছিল বলে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। আমি তো আসলে ওদের মেয়ে নই, কুড়িয়ে পাওয়া। ওহ, ছোট্ট একটা মেয়ে, আর আমার মত একটা ছিঁচকাঁদুনের জন্য এটা যে কত ভয়ংকর একটা কথা! বললেই আমি কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলতাম। এই কথাগুলো পারভিন আপু্ই বলতো সবচেয়ে বেশি, আর তারপরে আদরও করতো সব্বার চেয়ে বেশি। এবার ফেরার পথে দেখি রাস্তাটার সংস্কার করতে করতে এমন অবস্থা করেছে যে কালভার্ট আর রাস্তার উচ্চতা সমান হয়ে গেছে। এখন আর অনেক কষ্টে ঠেলে-ঠুলে রিকশা তুলে আবার নামার সময়ে 'ইয়েয়েয়েয়েয়ে......' করে নামা যায় না। এখন আর কালভার্টের পাশে মাদ্রাসার পুকুরটার উপর ঝাকে ঝাকে জোনাকি জ্বলে না। এখন আর কলপাড়ে জোড়া তেতুল গাছে হুতুম প্যাঁচা দুটো বসে থাকে না। দিনের বেলায়ও অন্ধকার হয়ে থাকা বাড়ির পেছনের জংলাটা কেটে সাফ করে এখন বিল্ডিং করা হয়েছে। বাঁশবনে একবার দুপুরে বিনা বাতাসে বাঁশের ঠকাঠক বাড়ি খাওয়া দেখে, আর এক সন্ধ্যায় সাদা কাপড় পরা আপাদমস্তক ঢাকা একটা বুড়িকে হনহন করে কবরস্থানের দিকে চলে যেতে দেখে যেভাবে শিউড়ে উঠেছিলাম...তার কিছুই এখন আর হয় না। অনেক রাত পর্যন্ত সে'চাচ্চু উঠানে পাটি পেতে কাৎ হয়ে শুয়ে পিচ্চি-পাচ্চাদের গল্প শোনায় না। সেই উঠানটাই যে নাই আর এখন!
সময় যায়, সবকিছুই বদলায় সময়ের সাথে স্বাভাবিক নিয়মে। শুধু আমার দাদু তার আদ্যিকালের অভ্যাসবশে এখনো সবার খাওয়া হয়েছে কি না তার খোঁজ নিয়ে যান। চিরকাল অন্যকে খাইয়েই গেছেন, নিজের আরাম-আয়েশের তোয়াক্কা করেন নি। তাঁর জীবনের পাঁচ ভাগের চার ভাগই কেটে গেছে রান্নাঘরে। তাই যখনই কেউ তাঁর সামনে পড়ে যায়, তাঁর মনে একটাই প্রশ্ন আসে, 'আগো, খাইছোত্তি?'
বুড়ো গাছটির ছায়া আর মমতার স্পর্শ খুব অস্বস্তিকর লাগে বলে আমি তাঁর আশেপাশে যাই না খুব একটা। মামনি বারবার বলে, 'এখন আর ঘরে কোনাটার মধ্যে না গিয়ে একটু দাদুর কাছে বয়'। আমি বসি না। তারপরও সেই মমতাময় বুড়ো গাছটার মায়াময় স্পর্শে শীতল হই। আগে রান্নাঘর থেকে দাদু বেরুতে চাইলেই আমি যতদূর সম্ভব হাত-পা ছড়িয়ে দিয়ে দরজা আটকে বলতাম, 'দাদু, আগা নাই।' আমি এখনো এমনি করে তাঁকে আটকে রাখতে চাই, 'আগা নাই দাদু, আগা নাই'। সবকিছু, সব মানুষই তো বদলে গেছে। অন্তত একজন মানুষ থাকুক যিনি পুরনোকে ধারণ করে আছেন সমস্ত অস্তিত্বে এবং সত্ত্বায়।
দাদুর বাড়িতে ফিরে আসার জন্য শেষ শেকড়টি থাকুক আমাদের..........
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হ্যাঁ ইভান, আমার দাদুবাড়ি কুমিল্লায়। আমরা দুদিন হল এসেছি।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৯
সরলতা বলেছেন: আপু, তোমার লেখা পড়ে অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম। অনেকক্ষণ। আমার দাদু ২০০৮ সালে মারা গেছেন। আর কেউ আমার অগোছালো চুলে স্নেহের পরশ বুলিয়ে বলে না, "আসো বুবু চুল বেঁধে দিই।"
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আল্লাহ তোমার দাদুকে শান্তিতে রাখুন, তিনি যেখানেই থাকেন যেন ভাল থাকেন।
মন খারাপ করো না লক্ষ্মী মেয়ে। তোমার মন খারাপ হলে দাদুও কষ্ট পাবেন। ভাল থেকো।
ঈদের শুভেচ্ছা।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৪
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা সমুদ্র কন্যা কে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা মাহী।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
ফাইরুজ বলেছেন: আপনার হাতে নিশ্চিত কোন যাদু আছে। যাপিত জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলোকে এত চমত্কার করে জীবন্ত করে তুলেছেন যে ইচ্ছে করছে দৃশ্যগুলোকে ছুঁয়ে দেখি। আপনার দাদিকে আল্লাহ সুস্হ্য রাখুন সে প্রার্থনা থাকল। ঈদ মোবারক।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্রতিটি স্মৃতি আর অনুভূতিই এত জীবন্ত যে আমি প্রায়ই নেড়েচেড়ে দেখি আর সযত্নে বাক্সে তুলে রেখে দেই। সামান্য নাড়াচাড়ায় যেন এতটুকু ভেঙে না পড়ে সে চেষ্টা আর যত্নের জন্যই হয়তো তোমার এতটা ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ফাইরুজ।
ঈদ মোবারক।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫২
মিথী_মারজান বলেছেন: আপনার দাদুর সুস্হ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করি।অনেক সুন্দর কাটুক আপনার দাদু বাড়ির দিনগুলি।ঈদের শুভেচ্ছা রইল...
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মিথী।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১০
শশী হিমু বলেছেন: অনেক অনেক অনেক সুন্দর করে লিখেছেন! অনেক ভাল লাগা রেখে গেলাম!
ঈদের শুভেচ্ছা!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হিমু।
ঈদের শুভেচ্ছা।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল! আমার না দাদা-দাদী,নানা-নানী কেউই বেচে নেই। দাদী বাদে সবাই আমার জন্মের আগেই মারা যান!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: দাদু ছাড়া সবাই-ই মারা গেছেন। দাদুর অনেক বয়স হয়েছে, খুব অসুস্থ। কি জানি কখস কি হয়!
ভাল থাকবেন তূর্য।
ঈদ মোবারক।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৭
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: ঈদ কাটুক আনন্দে ।ঈদ মোবারক
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও।
ভাল থাকুন।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
জালিস মাহমুদ বলেছেন: পড়তে পড়তে মরেই যাবো :-< :-< :-< :-< :-<
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কেউতো পড়ার জন্য সাধাসাধি করতেছে না।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮
নাআমি বলেছেন: সবকিছু, সব মানুষই তো বদলে গেছে। অন্তত একজন মানুষ থাকুক যিনি পুরনোকে ধারণ করে আছেন সমস্ত অস্তিত্বে এবং সত্ত্বায়।
পুরো লেখাটা পড়ে কেমন যে লাগছে !! মনে পড়ছে আমার দাদুর কথা......কিছুদিন আগে চলে গেছেন তিনি এ পৃথিবী ছেড়ে, রেখে গেছেন তাঁর স্পর্শ সর্বত্র আর সেটুকুর টানেই দেশে গেলে ছুটে যাই দাদু বাড়িতে......
অনেক সুন্দর করে লিখেছ তুমি.....সত্যি অনেক সুন্দর !!
ভাল থাক সবসময়......ঈদের শুভেচ্ছা আর সালাম বাসার সবাইকে.....
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তোমার দাদু ভাল থাকুন যেখানেই আছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু।
ঈদের শুভেচ্ছা সবার জন্যই। ভাল থেকো।
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯
আকাশটালাল বলেছেন: ঈদ মরাবক
আপনার লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। তবে দ্বিতীর প্যারাটা পড়ে একটু বেশিই মন খারাপ হয়েছে। কি হয়েছিলো উনার???
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মোবারক আকাশটালাল।
মন খারাপের কি আছে! স্মৃতি সবসময়ই সুন্দর।
ভাল থাকবেন।
১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪০
আকাশটালাল বলেছেন: থাক, এখানে বলার দরকার নেই
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপুর কি হয়েছিল কেউ ধরতে পারেনি। হঠাৎই এক সন্ধ্যায় ও পড়তে বসে বলতে লাগল পড়ার টেবিলের নিচে কারা যেন লম্বা লম্বা ছায়ার মত হেঁটে বেড়াচ্ছে। আর থু থু ছিটাতে লাগল। আধাঘন্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। এমনই দুর্ভাগ্য, আমার দুই ডাক্তার চাচার কেউই তখন বাড়ি ছিলেন না। আর কারণটাও জানা যায় নি।
আমি তখন অনেক ছোট ছিলাম, স্কুলেও ভর্তি হইনি। আপুর চেহারাটা কেমন ছিল তাও ভুলে গেছি। তবে কিছু কিছু স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বলে হয়ে আছে।
শুভকামনা আকাশটালাল।
১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: থাকুক এমন মমতা নিয়ে দাদু বেঁচে থাকুক অনেকদিন। আমার দাদা-দাদী,নানা সবাই খুব ছোটবেলাতেই মারা যান। তাঁদের কোনো স্মৃতি নেইআমার। শুধু নানু এখনো বেঁচে। দেখা হয় বহুদিন পর পর। অসময়ে আম্মুর ফোন আসলেই মনে হয় এবার বুঝি সেই খবর টা আসবে। খুব ভয় লাগে। কখন সুতোটা ছিঁড়ে যায়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নানুকে আমি দেখিনি। দাদা মারা গেছেন ৮৯ এ, আর নানা ২০০৪ এ। শুধু দাদুই আছেন এখন।
তোমার নানু ভাল থাকুন আরো বহুদিন।
শুভেচ্ছা মাহী।
১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩
আহাদিল বলেছেন: দাদাবাড়ীর সাথে শেষ শেকড় দাদু আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অনেক আগেই- সেই আমি যখন ক্লাশ এইটে পড়ি! দাদুবাড়ী যাওয়া হয় তারপর থেকে খুবই কম, দাদু চলে যাওয়ার পর কোনদিন রাতে দাদাবাড়ী থেকেছি বলে মনে পড়ে না; ইদানীং তো আর যাওয়া-ই হয় না! তোমার দাদু-র কথা পড়ে আমার দাদুর কথা মনে পড়ে গেল- দাদুগুলো বুঝি এমনি হয়! অবশ্য আমার দাদুর প্রতি আমার অনেক অভিমান ছিল, কাছে ভিড়তেই চাইতাম না- দাদুর সব আদর ছিল বড়'পা আর ভাইয়ের জন্যে; আমি সবার এত ছোট যে আমি জন্মাতে জন্মাতে দাদুর সব আদরে বাকীরা ভাগ বসিয়ে ফেলেছিল!
তোমাদের শেষ শেকড়টি থাকুক আরো অনেক দিন, যেন ফিরে ফিরে যেতে পারো সেখানে!
ঈদের শুভেচ্ছা, তিথী! আর তোমার দাদুকে সালাম জানিও আমার!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাহাহা বহুদিন পর্যন্ত আমিই ছিলাম বাড়ির সবচেয়ে ছোট বাবু। তাই আমার আদরও ছিল অনেক অনেক বেশি
তোমাদের শেষ শেকড়টি থাকুক আরো অনেক দিন, যেন ফিরে ফিরে যেতে পারো সেখানে!
ধন্যবাদ মিশু।
ঈদের শুভেচ্ছা।
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
জালিস মাহমুদ বলেছেন: কেউতো পড়ার জন্য সাধাসাধি করতেছে না । এভাবে কেউ উত্তর দেয় না ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পড়তে পড়তে মরেই যাবো :-< :-< :-< :-< :-<
এভাবে কেউ কমেন্টও করে না জালিস। পড়তে ভাল না লাগলে পড়বেন না। ব্লগে রোজ কয়েকশো পোস্ট আসে। পছন্দসই পোস্টগুলো পড়ে সময়ের সদ্ব্যবহার করাই সবদিক থেকে ভাল মনে হয়। যেটা পছন্দ হল না সেটায় এইসব অর্থহীন কমেন্ট করা এবং তারপরে আরো কমেন্ট করা খুব বোকামি। আশা করছি এই বোকামি দ্বিতীয়বার আপনি করবেন না।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ফি আমানিল্লাহ।
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৪
শায়মা বলেছেন: ঈদ মুবারাক কন্যা।
সব শেকড় উপড়ে যাচ্ছে দিনে দিনে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মুবারাক আপু।
ছুটি অনেক অনেক ভাল কাটুক
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩
জালিস মাহমুদ বলেছেন: এভাবে কেউ কমেন্টও করে না জালিস। পড়তে ভাল না লাগলে পড়বেন না। ব্লগে রোজ কয়েকশো পোস্ট আসে। পছন্দসই পোস্টগুলো পড়ে সময়ের সদ্ব্যবহার করাই সবদিক থেকে ভাল মনে হয়। যেটা পছন্দ হল না সেটায় এইসব অর্থহীন কমেন্ট করা এবং তারপরে আরো কমেন্ট করা খুব বোকামি। আশা করছি এই বোকামি দ্বিতীয়বার আপনি করবেন না।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ফি আমানিল্লাহ।[/sb
আমি শুধুমাত্র ফান করে বলেছিলাম । বুঝতে পারি নাই । আর কখনো
মন্তব্য করবো না ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ফান করতে চাইলে আরো অনেকভাবেই করা যায়। আর তারচেয়েও বড় কথা সম্পর্ক বুঝে ফান করা বোধহয় সবদিক থেকে উত্তম।
আপনাকে আঘাত করে থাকলে দু:খিত।
ভাল থাকবেন।
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
অধরা নীল বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা আপুনি........
লেখাটা পড়ে মনটা কেমন যেন হয়ে গেলো.....কতদিন দাদুবাড়ি যাওয়া হয় না......
তোমাদের শেষ শেখড়টি তোমাদের আঁকড়ে রাখুক আরো বহুদিন এই প্রত্যাশাই করি......
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মন ভাল হয়ে যাক অধরা। ভাল কাটুক সামনের সময়গুলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
অধরা নীল বলেছেন: আপুনি ঈদ মোবারক.........
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মোবারক অধরা।
২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব সুন্দর হইসে লেখাটা। শারমিন আপুর কী হৈসিলো?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: থ্যাংকস হাসান।
কেউ জানে না শারমিন আপুর কি হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছে কৃমি থেকে, হয়তো বা। আর পরে কখনো এটা নিয়ে কেউ কথা বলতো না। কারণ জ্যাঠিআম্মা প্রসঙ্গটা উঠলেই খুব কাঁদতেন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬
জলমেঘ বলেছেন: আপু আমার দাদুবাড়িও কুমিল্লায়! কিন্তু আমার দাদু এখন আর খাইসত্তি বলতে পারেন না। আমি ক্লাস এইটে পড়ার সময়ই দাদু মারা যান। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখেছি দাদু অসুস্থ। অনেক দিন রোগে ভুগে মারা গিয়েছেন। আল্লাহ ঊনাকে বেহেশত নসিব করুন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো আপু।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমিও প্রার্থনা করি জলমেঘ, আমাদের যত স্বজন চলে গেছেন না ফেরার দেশে সবাই যেন ভাল থাকেন যেখানেই আছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ভাল থেকো অহর্নিশ।
২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০
উম্মে মারিয়াম বলেছেন: আপু আপনি আমার অতীতটাকে টেনে হিচড়ে সামনে এনে দাড় করালেন।আমি বাড়ির বড় নাতনী।নানু বাড়ি আর দাদুবাড়ির কত স্মৃতি আমাকে ঘিরে রেখেছে ঠিক আপনারই গল্পের মত করে।কতদিন কতদিন হল বাড়ি যাই না।কারন আজ আর সেই শিকড়ের কোনো বন্ধন নেই।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: টেনে হিচড়ে হলেও কিছুক্ষণের জন্য আপনাকে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মুখোমুখি দাঁড় করাতে পেরে খুব ভাল লাগছে মারিয়াম। শেকড়টুকু না হয় আপনি নিজেই আবার রোপন করলেন, চেষ্টা করেই দেখেননা একবার।
ভাল থাকবেন খুব।
শুভেচ্ছা ঈদের।
২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮
নস্টালজিক বলেছেন: দুরন্ত লেখা!
দাদা বাড়ি খুব যেতে ইচ্ছে করে, কিন্তু কেউ থাকে না এখন!
ঈদের শুভেচ্ছা , তিথী!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্রতি বছরই ভাবি এরপর আর না। কি জানি হয়তো আগামী বছর এই ভাবনাটা সত্যি হয়ে যাবে!
ভাল থাকবেন ভাইয়া।
ঈদের শুভেচ্ছা।
২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনার লেখা খুব বেশি পড়া হয়নি, আফসোস হচ্ছে এখন।
দাদুর প্রতি আপনার আবেগ, বুড়ো মানুষটির অবস্থা নাড়িয়ে গেলো।
আমি জন্মের পর দাদা-দাদী কিংবা নানা-নানী কাউকে দেখিনি।
তাই এই মানুষগুলোর না পাওয়াটা অনুভবে ছিলো কিন্তু খুব একটা দুঃখবোধ ও ছিলোনা। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, আমার দাদু থাকলে খারাপ হতোনা।
দাদুর জন্য শুভকামনা। সুস্থ্য দেহে উনি অনেকদিন ছায়া হয়ে থাকুন।
ঈদের শুভেচ্ছা থাকলো।
ভালো থাকুন খুব।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আফসোসের কিছু নেই দূর্জয়। সময় করে না হয় একটা-দুটো পড়ে নেবেন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
ভাল থাকা হোক।
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৯
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: আমার দাদাভাই এর কথা মনে পড়ে গেল। বেঁচে থাকতে উনিও এভাবে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেন। কি যে আদর আর যত্ন করতেন!! আল্লাহ্ ওনাকে বেহেশতে নছিব করুক। আপনাকে ঈদ মুবারাক আপু।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্রার্থনা করি সোনিয়া, আমাদের যত স্বজন চলে গেছেন না ফেরার দেশে সবাই যেন ভাল থাকেন যেখানেই আছেন।
ঈদ মোবারক।
২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: দাদা নেই, দাদীর আদর খুব একটা না পেলেও ভাল লাগে গ্রামে যেতে, সময় পেলেই যাই।
ভাল লাগল অনেক লেখাটা
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমরা বছরে একবারই আসি, কুরবানি ঈদের সময়ে। যদিও গতবার আমার আসা হয় নি। এবারও ইচ্ছা ছিল না খুব একটা। তবু এলাম, আসতেই হল। জানি না এই বাধ্য-বাধকতাটা কতদিন থাকবে!
ধন্যবাদ নীলু।
ঈদ মোবারক।
২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০০
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
স্মৃতি কথা লেখা ভালো হয়েছে খুব। ঘটনা গুলো যেন চোখে দেখা যায় , এমন ভাবে লিখলেন।
ঈদ মুবারক.......
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জিসান ভাইয়া।
ঈদ মুবারক।
২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: প্রথমেই ১৫ ভাল লাগা এবং ঈদ মুবারাক।
খুব ভাল লাগলো এই লেখা। নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। ফিরে গিয়েছিলাম আমার ছোতবেলার অতীতে।
তবে একটা জিনিস বুঝলাম না । সেটা হল আপনি বলেছেন টেবিলের নিচে ছায়া দেখতে দেখতে আপনার বোন হারিয়ে গেল। আবার শেষে এসে বলেছেন বিদেশে আছে। মানেটা যদি একটু পরিষ্কার করে বলতেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবু।
আমি এই লেখাটায় কয়েকজনের কথা বলেছি। আপা বলতে আমার নিজের বোনের কথা বলেছি, ও বাইরে আছে এখন। আর শারমিন আপু ছিল আমার জ্যাঠাতো বোন। খুব ছোটবেলায় মারা যায়।
ঈদ মুবারক
২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৬
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: দাদা-দাদুকে দেখিনি কখনো আমার জীবনে। তারা দু'জনই আমার বাবা-মা'র বিয়ের আগেই মারা গিয়েছিলেন।
ঈদের শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রুমান।
ভাল কাটুক সময়।
৩০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৭
ত্রাতুল বলেছেন:
অনেক কিছুই আর আগের মতো নেই! কেন নেই! কেন নেই!
আমি আমার দাদা, দাদী কাউকেই দেখি নি!
ঈদ মুবারক!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এটাই প্রকৃতির নিয়ম, সবকিছুই বদলাবে... এটাই স্বাভাবিক।
ঈদের শুভেচ্ছা ত্রাতুল।
ভাল থেকো।
৩১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮
নেক্সাস বলেছেন: দাদা দাদু কি জিনিশ দেখিনি। তাই জানিনা উনারা কেমন হয়।
ঈদ মোবারক
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মোবারক নেক্সাস।
৩২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৫
রাজসোহান বলেছেন: ইঙ্গিল মাছ! ইঙ্গিল মাছ!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন:
৩৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: স্মিতি অনেক মেনে পড়লো, আমার দাদীও ২০০৮ সালে মারা যান, সত্যি বলতে কি , ছোট থেকে আমি আমার দাদীকে এত ভালোবাসতাম, আর উনি আমাকে যে কত ভালোবাসতো তা হিসেবের বাইরে। দাদীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি তাকে না ধরে ঘুমাতে পারতাম না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্রার্থনা করি আল্লাহ তোমার দাদীকে বেহেশতে নসিব করুক।
ভাল থেকো ডেমোন।
ঈদের শুভেচ্ছা।
৩৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৩
করবি বলেছেন:
অন্তত একজন মানুষ থাকুক যিনি পুরনোকে ধারণ করে আছেন সমস্ত অস্তিত্বে এবং সত্ত্বায়।
থাকুক.....
ঈদ শুভেচ্ছা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
শুভেচ্ছা।
৩৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি সব সময়ই আবেগকাতর হয়ে যাই।
আমি এরই মধ্যে হারিয়েছি দাদা-দাদী-নানা-নানী সবাইকে। সেই স্নেহগুলো এভাবে হারিয়ে যাবে যতদিন ছিল টের পাই নি। আমি টের পাই তাদের আত্মা আমাকে ঘিরে আছে। উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে জন্মের ঋণ যাতে শোধ করি।
একটা মুক্তগদ্য লিখতে চেয়েছিলাম কাছা কাছি বিষয়ে Click This Link
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: যতদিন তারা থাকেন সত্যি বোঝা যায় না কি ঘিরে আছে আমাদের, আর হারানোর আগে ভুলেও কখনো মনে আসে না হারাতে পারি কখনো।
তাঁরা ভাল থাকুন যেখানেই আছেন। ঘিরে থাকুন আমাদের একইরকম ভালবাসা আর স্নেহ দিয়ে।
শুভকামনা ভাইয়া।
৩৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৪
সায়েম মুন বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিকথন। ভালো থাকুন ডি ও সি।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মুন।
আশা করছি ঈদ খুব ভাল কেটেছে নতুন জীবনে।
শুভেচ্ছা অফুরন্ত।
৩৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০
চতুষ্কোণ বলেছেন: আমি দাদুকে দেখি নাই। দেখি নাই বললে অবশ্য ভুল হবে। মনে নাই বলাটাই ঠিক হবে। দাদুর কোন স্মৃতিই আমার নাই। নানুর কিছু স্মৃতি আছে। সেই সব মনে পড়ল। অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা। অনুভবেরও।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ চতুষ।
ভাল থেকো।
৩৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৭
মাহবুব সুমন বলেছেন: আপনার দাদুর বাড়ী কোথায় ?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার দাদুর বাড়ি চান্দের দ্যাশে ভাইজান!!
:-< :-<
৩৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৯
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: আমারও কাছাকাছি আপু। কিন্তু আমার কেন জানি আজকাল ওইসব স্মৃতি মনে করতে ইচ্ছা করেনা। হারিয়ে গেছে যাক, মনে করতে গেলেই কস্ট বাড়ে।
যাইহোক, ঈদ মুবারাক তিথি আপু।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মুবারাক ভাইয়া।
৪০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০০
চতুষ্কোণ বলেছেন: তুমি না বললা একটা নতুন লেখা দিছ। কই?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: দুই মাস পরে লেখা দিলাম, তাও বলে নতুন লেখা কই?
তোমাকে যখন বলছি ততক্ষণে তুমি নিজেই দেখে ফেলছো লেখাটা। এটাই নতুন লেখা।
৪১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
ত্রিনিত্রি বলেছেন: জন্মের আগেই দাদা মারা গেছেন, ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় দিদা। আপনার পোস্টটা পড়ে অন্যরকম আবেগে আক্রান্ত হলাম আপু। ৫ বছর হয়ে গেলো গ্রামের বাড়িতে যাই না, বাবা-মার সাথে যেখানে দেখা করার সময় নেই, পাঁচ-ছয় মাসে ৩/৪ দিনের জন্য দেখা হয়, সেখানে গ্রামের বাড়িতে যাবার সময় কই?
ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন, যখন প্রতি বছর ২/৩বার গ্রামে যেতাম।
পোস্টে অনেক অনেক প্লাস, আর দীর্ঘশ্বাসটুকু আমার জন্য।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার দাদা ক্যান্সার হয়ে মারা যান। প্রায় আড়াই বছর টানা ভুগে, অসম্ভব কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন দাদা। আমার বয়স তখন সাড়ে পাঁচ কি ছয়। যতদিন দাদা অসুস্থ ছিলেন আমরা বাড়িতেই ছিলাম। কত কত স্মৃতি যে সেই সময়কার! বলবো অন্য কোন একদিন।
ভাল থেকো ত্রিনিত্রি।
৪২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৮
চতুষ্কোণ বলেছেন: ও আইচ্ছা। আমি আরও ভাবলাম তুমি এত ভালো হৈলা কবে! নয়া নয়া লেখা দিতেছ
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এহ নিজের খবর নাই, আবার আরেকজনরে কয়!!
৪৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
জাফরিন বলেছেন: আমার চিরচেনা সেই দাদুবাড়িটাও অনেক বদলে গেছেন ধীরে ধীরে। সেই গোলাঘর, বৈঠকখানা, ঢেঁকিঘর, চার মুখওয়ালা চুলার রান্নাঘর, আর ঝকঝকে বিশাল উঠোন....কিছুই নেই। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ছিল এগুলোর সাথে। তাই এখন আর দাদুবাড়ি গেলে থাকতে ইচ্ছে করে না।
শুধু দাদুই একমাত্র ভালোবাসার খুঁটি। আল্লাহ্ উনাকে আরও ৫০ বছর সুস্হভাবে বাঁচিয়ে রাখুন যেন আমার নাতিনাতনীরাও তাঁর আদর পায়। আমি তো পুরোনো এই মানুষগুলোর মত অপার স্নেহময়ী হতে পারব না কখনো....
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমাদের বাড়িটাও কত বদলে গেছে! সেই উঠোন, বেড়ার ঘর, কলপাড়, জংলা কিচ্ছু নেই।
প্রার্থনা করি আপনার দাদুর জন্য। তিনি সুস্থ দেহে বেঁচে থাকুন আরো বহুদিন।
ভাল থাকবেন জাফরিন।
৪৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আগে সবসময় একটা কথা বলতাম--- মাই ভিলেজ, মাই হেভেন। গত বছর মেজো মা মারা যাবার পর থেকে এই কথাটা আর বলতে পারি না। কোথায় যেন ভীষণ বাধোবাধো ঠেকে।
লেখা ভালো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো হয়েছে ৩৮ নাম্বার কমেন্টের রিপ্লাইটা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: থ্যাংকস ভেবু।
যেমন কমেন্ট তেমন রিপ্লাই।
৪৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩০
anisa বলেছেন:
তোমার মনের আশা জেনো পুরন হয় তিথি.।
এটাই চাই
কিছু টা নসটালজিক করে দিলে
শুভেচ্ছা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মাঝে মাঝে কিছুটা নস্টালজিয়া খুব দরকার আপু। নইলে তো রোবট হয়ে যাবো।
অনেক ধন্যবাদ।
৪৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
ইলুসন বলেছেন: এবার ঈদে বাড়ি যাইনি, অনেক খারাপ লেগেছিল। এখন আপনার লেখাটা পড়ে খারাপ আবার খারাপ লাগছে। শুভ কামনা রইল আপনার দাদুর জন্য। আমাদের বাড়ি পিছনের জায়গাটাকেও ঘাডা বলে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বাড়ির পেছনের না, সদর দরজার সামনের খোলা জায়গাটাকে আমরা ঘাডা বলি।
ধন্যবাদ ইলুসন।
ভাল থাকবেন।
৪৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১০
ইলুসন বলেছেন: ও হ্যা। বাড়ির পিছনের জায়গাটাকে ঘাডার আগ বলে!
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন:
৪৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সোমহেপি বলেছেন: দাদু কথন পড়লাম।
আপনাকে কে যেন প্রশ্নটা করেছে।বাড়ী কোথায়?
বললেন কুমিল্লা ।আমার এখন প্রশ্ন কুমিল্লার কোথায়?
আপনার কোন একটা পোষ্টের মন্তব্যে পড়েছিলাম- 'ঠেঠ্ঠেরী' এমন একটা শব্দ।আপনি লিখেছেন।
এ শব্দটা আমার চেনা।অন্য কোথাও আমি এ শব্দটা শুনি না।প্রায় অনেকদিন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কুমিল্লার বরুড়া থানায় বাড়ি আমাদের।
ঠেট্টেরি শব্দটা আমার আম্মা ইউজ করেন, সেখান থেকেই আমাদের শেখা। নিজেদের মধ্যেই বলা হয় সাধারণত:।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২২
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: apur dadu bari may b comilla er kothao,amio ekn dadubarite...