নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কহেন দাদা মেঘনাদ

যাহা পড়িবেন , নিজ দায়িত্বে পড়িবেন , আপনার মন খারাপ বা ভাল খারাপ হবার জন্য লেখক কোন অবস্থাতেই দায়ী নয়।

দাদা মেঘনাদ

আমি গানের পোকা , ভালবাসি পড়তে , লিখতে , মিষ্টি খেতে আর মাঝ রাতে ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে। ডোন্ড এংগ্রি মি :(

দাদা মেঘনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ভর্তি পরীক্ষা , একটি মেয়ে ও একটি অনুগল্প !

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফুটপাতের উপর এক চায়ের দোকানে দাড়িয়ে লাল চা খেতে খেতে হাতে ধরা মোবাইলের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে অংশুমান ভাবছিল কোন দুঃখে সে সিলেটে গিয়েছিল কোচিংএর ক্লাস নিতে। আর নিতেই যখন গিয়েছিল তখন কেন সেখানের বোর্ডে নিজের পারসোনাল ফোন নাম্বার লিখে এসেছিল। অহনা মেসেজ পাঠিয়েছে। তাতে লেখা ভাইয়া আমি অহনা , মায়ের সাথে ঝগড়া করে ঢাকায় এসে পড়েছি , রাত্রে আমার থাকার কোন জায়গা নেই , শ্যামলী বাস স্ট্যান্ডে একা বসে আছি , আপনি কী আমাকে একটু সাহায্য করবেন।



অংশুমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর মেধাবি ছাত্র , সব দিক ঠিক রেখে সে কোচিংএ ক্লাস নেয় শুধু তার পরিবারকে সাপোর্ট দিতে , তার একটাই কথা , আমার আর কেউ নাই , কে আমার বাবা মাকে খাওয়াবে? সে জন্যই বেশি টাকার অফারে কয়েকদিন ক্লাস নিতে গিয়েছিল সিলেটের এক ভার্সিটি কোচিং সেন্টারে। সেখানেই আরেক অনন্য মেধাবী মেয়ে অহনার সাথে তার পরিচয়। পরিচয় শুধু ছাত্রী শিক্ষক পর্যন্তই , কিন্তু সে সেখানের সবাইকে তার পার্সোনাল নাম্বার দিয়ে এসেছিল এই বলে যে ঢাকায় এসে যদি কারোর কোন সমস্যা হয় তবে যেন তাকে ফোন দেয়। আর সেই সমস্যাটাই এখন ফেস করছে অহনা , আর বলির পাঠা হিসেবে মেসেজ পেয়েছে সে।



অংশুমান কোনদিন তার নিজের কথা মিথ্যা হতে দেয় নি। আজও দেবে না। ভাবছে, কিন্তু ছেলে হলে একটা কথা ছিল , সমস্যা মেয়েকে নিয়ে , কোথায় রাখবে ? আর রাখলেও সেফ জায়গা লাগবে , রাখতে গেলও অনেক প্রশ্ন ও তার উত্তর ফেস করতে হবে। ছাত্রী হলে তো রাখা যাবেই না। অনেক ভেবে তার স্কুল জীবনের বান্ধবী নাদিয়াকে ফোন দিলো। নাদিয়া অংশুমানের কোন কথা কোনদিন ফেলতে পারে না। সেটা অংশুমান জানে । সে এটাও জানে যে নাদিয়া তার প্রতি দূর্বল আর অহনাকে দেখে হাজারটা প্রশ্ন না করলেও ভুল যে বুঝবে এটা নিশ্চিত। যাই হোক আপাতত অংশুমানকে একটি মেয়ের জীবন গঠনের পরীক্ষা ও স্বপ্ন পূরনে সাহায্য করতে হবে। বাকী সব পরে দেখা যাবে।



অংশুমান যখন শ্যামলী বাস কাউন্টারে পৌছুলো তখন লাস্ট বাসের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সে গিয়ে দেখলো অহনা আনমনে বসে আছে একটা টিকিট হাতে। অংশুমানকে দেখে সে যেন প্রাণ ফিরে পেল। অত্যাধিক আবেগে জড়িয়ে ধরলো সবার সামনেই , আর হু হু করে কেঁদে উঠলো , বলল “ আমি জানতাম আপনি আসবেন”। একটু পরে লজ্জা পেয়ে নিজেকে সামলেও নিল। অংশুমান বলল আচ্ছা চলো এখন , পরে সব শুনবো। অংশুমান নাদিয়ার বাসায় অহনাকে রেখে এল। নাদিয়ার মন আজ অনেক খারাপ ছিল , অংশুমানের এই কান্ডের পরে আরো খারাপ হয়ে গেল।পরেরদিন শুক্রবার। দুপুরের মধ্যেই তার ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। অহনা তারপরেও তিন দিন ছিল নাদিয়ার বাসায়। শুধু এই উপলক্ষে নাদিয়া অহনার মায়ের কাছে কিছু ঝাড়ি খাচ্ছিল ফোনে।



সপ্তাহ খানেক পরে টিএসসিতে বসে আছে অহনা অংশুমানের জন্য। সে এলে পরে বলতে লাগলো ভাইয়া আপনি আমার জন্য যা করলেন আমার বাবা মাও তা করে নি। বাবা তো আমাদের ছেড়ে অন্য মহিলাকে বিয়ে করে পালিয়ে গেছেন। অশিক্ষিত মা তার এক সন্ত্রাসী ভাগ্নের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিলেন। আমি রাজি না হয়ে পালিয়ে এসেছি আর আপনার সাহায্যে আজ এই এতবড় বিদ্যাপীঠের ছাত্রী হয়ে গেছি। অংশুমান নিরুত্তর হয়ে সব শনে যাচ্ছিল। তার যে বলার কিছু ছিল না ! হঠাৎ অহনা বলল ,

- ভাইয়া আপনি আমার একটা কথা রাখবেন ?

- কী কথা ?

- আপনি এই ভাবে সারাটা জীবনের জন্য আমার হাত ধরবেন ?

- তুমি এখন অনেক ছোট !! আগে পড়া শুরু করো , ক্লাসের সবার সাথে মিশে দেখো। তার পরে সিদ্ধান্ত নিয়ো। এখন তো তোমার কোন সমস্যাও নেই। আর আমি তো বহেমিয়ান , বহেমিয়ান মানুষ কাল কী করবে ঠিক নেই, সারাজীবন সিদ্ধান্ত কী ভাবে নেবে? আমি আজ যাই , তুমি হলে চলে যাও। ভাল থেকো।

অংশুমানের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অহনা ভাবছে এই ছেলেটা শেষ পরীক্ষাটাতে পাশ করে গেল। অপূর্ব সুন্দরী অহনার দূর্বলতার সুযোগ সে নিতে চায়নি, যেখানে কোন মেয়ে বিপদে পড়লেই সবাই হামলে পরে তার উপকার করে তাকে জীবন সাথী করা যায়। সে তাকে প্রত্যাখ্যান করেনি অথচ ঠিকই এড়িয়ে গেল। অংশুমানের চলে যাওয়ার পথপানে চেয়ে তাকিয়ে অহনা মনে মনে বলতে লাগলো,“ ভাইয়া আপনি জানেন না যে আপনি আমার কাছে দেবতা স্বরূপ, আর দেবতাকে কোনদিন বিয়ে করা যায় না !! আপনিও ভাল থাকবেন”।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২২

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: গল্পের প্লট সুন্দর।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:




পোস্ট করেছেন: ১টি
মন্তব্য করেছেন: ৬৯টি
মন্তব্য পেয়েছেন: ১টি


-আপনার অনেক পাঠক হবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

দাদা মেঘনাদ বলেছেন: :)

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রাতা +++++
শুভেচ্ছা রইলো :)

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

দাদা মেঘনাদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:





লিখা ভালো। চালিয়ে যান।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: চমৎকার ....
লেখালেখি চলুক আপনার ....

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

শরতের আকাশ বলেছেন: http://mcq-exam.com ( Mcq Exam ) এ Bcs, Govt. Job, University Admission এর জন্য সাধারনজ্ঞানের পরীক্ষা দিন। বার বার পরীক্ষা দিয়ে নিজের মধ্যে confidence বারান। প্রতিবার পরীক্ষা শেষে ভুল উত্তরগুলো জেনে নিন। এখানে ৭টি বিভাগে (সাধারনজ্ঞান, ইতিহাস, বাংলাদেশ, English, আর্ন্তজাতিক, বাংলা, বিজ্ঞান, গনিত) পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.