নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক টাকার কয়েন থেরাপি

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

এক টাকার কয়েন থেরাপি
---------------------------------------------
বর্তমানে বাংলাদেশের বহু আলোচিত সব ঘটনাকে পেছনে ফেলে আড়ালে,নির্ভৃত-নির্জ্জনে ক্রন্দনরত একটি সমস্যা যার নাম আমি দিলাম এক টাকার কয়েন থেরাপি।কয়েক দিন হলেই বিভিন্ন পত্রিকার পাতাতে এই কয়েন থেরাপির সংবাদ দেখছিলাম।কিন্তু বাংলাদেশের অনেক আলোচিত ঘটনার প্রতিবেদনের কাছে আমার কাছেও বিষয়টা তেমন গুরুত্ব পায়নি।তাই কয়েন থেরাপির প্রতিবেদন পড়ার কোন ইচ্ছাই করিনি।
কিন্তু আজ যখন স্বচক্ষে প্রত্যেক্ষ করলাম এই কয়েন থেরাপির সমস্যা তখন বাড়িতে গিয়ে পুরনো কয়েন থেরাপির প্রতিবেদনে একটু চোখ বুলালাম।প্রতিবেদন গুলো পড়ে যা বুঝলাম তাতে (আমার মাথায় যতোটুকু ধরে আর কি) বর্তমানে আলোচিত সংবাদের চাইতে কয়েন থেরাপির গুরুত্বও কম নয়।বেশ কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী বাজার থেকে প্রচলিত কয়েন মূদ্রা প্রত্যাহার ও সর্বনিম্ন মূদ্রা ৫টাকা প্রচলনের কথা বলেছিলেন।
তখন ব্যপারটি বেশ জোড়ে শোড়েই আলোচিত হয়েছিলো।তারপর ফেলানিদের খবরের মতো সেটাও হারিয়ে যায়।তবে এই একটি কথার প্রভাব যে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে বাজারের মূদ্রা ব্যবস্থাপনায় কতোটুকু প্রভাব ফেলেছে তা বর্তমানে একদন তৃণমূলের কারবারিদের অবস্থা না দেখলে বোঝার উপায় নেই।সবচাইতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন মানুষ।কয়েন টাকা বিশেষ করে এক টাকার কয়েন এখন কেউই নিতে চাচ্ছে না।পাড়ার মুদীর দোকান থেকে শুরু করে রাস্তার ভিক্ষুকের কাছে পর্যন্ত এক টাকার কয়েন এখন অচল।অচল হবার ভয়ে কেউই কয়েন টাকা গ্রহন করছে না।এ যেন এক অলিখিত জনদূর্ভোগ।বড় বড় ব্যবস্যায়ী এমন কি স্থানীয় ব্যাংক গুলোও কয়েন গ্রহন হতে বিরত থাকছে।অথচ সরকারের এরকম কোন নির্দেশনা নেই।যদি সত্যিকার্থেই সরকার কয়েন মূদ্রা বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে চায় তবে তা সুনিদ্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে করা উচিত।এভাবে অঘোষিত নিয়মে জনদূর্ভোগ কারোই কাম্য নয়।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আপনার কাছে হয়তো এক টাকার কয়েনের মূল্যে খুবই সামান্য ,কিন্তু দিনের পর দিন অন্যর দুয়ারে ভিক্ষা করে জমানো একজন ভিক্ষুকের শেষ সম্বল হিসেবে পরিচিত এই এক টাকার কিছু কয়েন এর মূল্যে অনেক অনেক বেশি।দয়া করে সেই ভিক্ষুকের পেটে লাথি মারবেন না।কেননা একজন ভিক্ষুক হাজার টাকার নোটের গন্ধ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অর্বাচীনের অভিব্যক্তিতে দেশ যায় রসাতলে!!!

কার কাছে কি আব্দার করেন? অন্ধকে বলেন পথ দেখাতে কিূছটা হলেও পারবে! বধির ইশারায় হলেও কিছূ প্রকাশ করতে পারে!

এরা জ্ঞানপাপী! এরা সব জেনেশুনে আত্মঘাতি- তাও শুধু নিজে হয়না- পুরা জাতিকে সাথে নেয়!!!

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

মো: মেহেরুল ইসলাম বলেছেন: Hmm

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সুমন কর বলেছেন: এভাবে অঘোষিত নিয়মে জনদূর্ভোগ কারোই কাম্য নয়। সহমত।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল বলেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.