নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

টয়লেট কথা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫

টয়লেট কথা
-----------------------------------------

টয়লেট নিয়ে কথা উঠলেই আমরা অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা বিব্রতবোধ করি।মনে করি ছি: এটাও একটা আবার আলোচনার বিষয় হতে পারে?তবে প্রকৃত অর্থে টয়লেট বিষয়ে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।বর্তমানে প্রত্যেকটি বাসা বাড়ি,কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টয়লেট রয়েছে।বাসা-বাড়িতে টয়লেটগুলো কিছুটা স্বাস্থ্যসম্মত হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভেদে টয়লেটগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক।বিশেষ করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুলোতে সাধারনত টয়লেটের মানসম্মত বিষয় তো দূরে থাক ব্যবহারের পর্যায়েও থাকে না।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবকাঠামোগত সৌন্দর্যের দিকে অধিক নজর দেয়া হলেও টয়লেট কোনরকম হলেই হলো।এ ব্যপারে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই।অথচ দীনের দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতে হয়।প্রাকৃতিক কারনেই টয়লেট ব্যবহার প্রায় বাধ্যতামূলক।কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাম মাত্র কিছু টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়।টয়লেট গুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারনে তা ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।ফলে ব্যাধ্যগত কারনেই ঐ সব নোংরা টয়লেটে শিক্ষার্থীদের প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করতে হচ্ছে।এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জীবানুতে আক্রান্ত এবং তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুকি বেড়েই চলেছে।শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যাই একমাত্র বিষয় নয়।তাদের মানসিকভাবেও করছে বিকারগ্রস্ত।অথচ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন।আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে টয়লেট ব্যবস্থা থাকলেও তাতে থাকে না পর্যাপ্ত পরিমান পানি সরবরাহ।টিওবয়েল সহ পানি সরবরাহের উপকরনগুলো সারা বছরই থাকে অকেজো। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন,ফি সহ অন্যান্য বিভিন্ন খাত উন্নয়নের নিমিত্তে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ফি আদায়ে যতটা গুরুত্ব দেন,ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যায় শিক্ষার্থীদের টয়লেট সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে।কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তো টয়লেটের বালাই নেই।শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক কর্ম সারে আশে পাশের খোলা স্থানে।আবার কাগজে কলমে হিসাবের খাতায় এসব টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ ও নিয়মিত ভাতা প্রদানের নজিরও নেহাতই কম নয়। কিন্তু টয়লেটের অবস্থার কোন উন্নতি হয়না।দীর্ঘ সময় পরিষ্কার না করার ফলে টয়লেট থেকে ছড়িয়ে পড়ে বাজে দূর্গন্ধ।বিঘ্নিত হয় শিক্ষার পরিবেশ।সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় মেয়ে শিক্ষার্থীদের।আবার কোথাও ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থাও নেই।মেয়েদের বিশেষ সময়ে তারা প্রায় স্কুল কলেজে আসা বন্ধ রাখে।কেননা ঐ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার সমস্যা সমাধানের কোন ব্যবস্থাই নেই।লজ্জার কারনে তারা বাড়িতেই সেই সময় অতিবাহিত করে।
তাই শেষ কথা হচ্ছে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সমস্যার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করা।টয়লেট নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা,পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা ,টয়েলেট গুলোতে নিরাপত্তা বিধান ,পানি রাখা ও ব্যবহারের পর্যাপ্ত উপকরন সরবরাহ,টিস্যু,ন্যাপকিন,তোয়ালে,সাবান ইত্যাদি রাখার ব্যবস্থা করা।
অতএব আমরা শিক্ষার্থীরা একটি স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করতেই পারি।আর এই ইভেন্টের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে আমাদের সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরার প্রচেষ্টা মাত্র।সব শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্ববান তোমরা তোমাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টয়লেটের ছবি তুলে এখানে পোষ্ট করে তোমাদের সমস্যার কথাগুলো এই ইভেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.