নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার বিড়াল

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০২


কিছুটা আদর জমা রাখতেই হয় ওর জন্য।মাঝে মধ্যে প্রচন্ড বিরক্তির কারন হয়ও বটে।তবুও সকাল সকাল ঘুম থেকে দরজা খুলতেই পায়ের উপর এসে হাজির। দু-পায়ের ঠিক মাঝখানটায় এদিক ওদিক করে গড়িয়ে পড়ে পায়ে।কিছুতেই ছাড়তে চায়না যেন।মনে হয় আমার অপেক্ষায় নির্ঘুম কাটিয়েছে পুরো রাত।পায়ের নখ দিয়ে আচড় কাটতে থাকে ট্রাউজারে। দু একটা আচড় সোজা ট্রাউজার ভেদ করে শরীরে দাগ কেটে দেয়।আজকাল অবশ্য বিড়ালের আচড়ে, কামড়ে অনেককেই বড় হাসপাতালে গিয়ে ইনজেকশন দিতে দেখি।আমার আবার ওসবে মানে বিড়ালের আচড় নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই।এখন পর্যন্ত একবারও মনে হয়নি ইনজেকশনের কোন দরকার আছে।তাই তো ও যতো আচড় আর দাগ কাটুক না কেন শরীরে, সেগুলোকে পরম যত্নে ওর ভালোবাসার চিহ্ন বলে ধরে নেই।শুধু ঘুম থেকে উঠলেই নয় বাড়িতে যতোক্ষন থাকি ততক্ষন অতি ধৈয্য নিয়ে আমার সাথে থাকে ও।অবশ্য পোষা প্রাণী বলেই এমনটা করে সে।মানুষ হলে তো কবেই ছেড়ে চলে যেতো। সেখানে পাশে পাশে থাকা পাহাড়া দেয়ার কথা চিন্তায় আনা যাবে না।যখন সকাল সকাল ওয়াসরুমে যাই ও দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকে দরজার পাশে।যখন খেতে বসি তখন খাবার টেবিলে উঠে, বসে বসে আমার খাওয়া দেখে।ওর দৃষ্টি দেখলে মনে হয় আমার খাওয়াতে ওর যতো তৃপ্তি আর শান্তি।তবে দীর্ঘক্ষন একটানা সে কোথাও থাকতে নারাজ।খাবার টেবিল থেকে চট করেই নেমে পড়ে নিচে আবার উপরে, কখনো দরজায় গিয়ে উকি দেয়।উকি দেয়ার কারন অবশ্য একটা আছেই আছে।কারন ওর সতীনের দল।সতীনের দল মানে বাড়িতে একটা নয় তিনটে বিড়ালের বাস।ওর ভাবনা একটাই যেন সতীনেরা ওর ভাগের অংশে ভাগ না বসাতে পারে। আর সে উদ্দেশ্যই ওর এমন উকি-ঝুকি।আমি তিন বেলা খাওয়ার সময়ই ওকে কিছু খেতে দেই।সাদা ভাত ও কিছুতেই গিলতে পারে না।সাদা ভাতে ওর বড্ড অরুচি।ওর চাই মাছ মাংসের ঝোল বা কড়া ঝালের তরকারিতে মাখানো ভাত,মাছের কাটা,দুধ ভাত,শুকনো রুটি।এসব ছাড়া ও কিছুতেই খেতে পারে না।যদি ভুল করে কখনো সাদা ভাত ওর পাতে দিয়েছি তো মুখ গোমড়া করে হাতে-পায়ে আচড় কাটতে থাকে আর মিউ মিউ চেঁচামেচিতে সতীন দুটোকে আন্দোলনে যোগ করে ফেলে মুহূর্তেই।সতীনেরাও ওর মিউ মিউ শব্দের ডাক শুনেই হাজির হয়ে যায়।তখন বাধ্য হয়ে তিনটেকেই কিছু তরকারিতে মাখানো ভাত খেতে দিতে হয়।ওর কোন নাম দিইনি আমি।ওর কোন নাম নেই।ও দেখতে কুচকুচে কালো।পা থেকে মাথা অবধি প্রচন্ড কুৎসিত দেখতে।অচেনা ভিতু প্রকৃতির, যে কেউ রাতে ওকে দেখলে ভয় পাবে।রাতের আধারে ওর শরীর বোঝাটা বেশ কষ্টের।শুধু চোখের মনি দুটো জ্বল জ্বল করে জানান দেয় ওর অস্তিত্ব।ওর চেহাড়া এমন কালো হলেও সতীনেরা দেখতে বেশ সুন্দরী।তাই তো মাঝে মাঝে ও ওর সতীনের গায়ে আচড় কেটে কেটে মনের জ্বলা মিটিয়ে নেয়।সেই ছোট দুগ্ধ বয়সে এসে জুটেছিলো ও।আজও মনের ভালোবাসার অনেকটা জায়গা জুড়ে ওর অস্তিত্ব।ভাবছি কিছুদিনের মধ্যে ওর সুন্দর একটা নাম দেবো।যেন ওর একটা নিজের পরিচয় হয়।এ সমাজে পরিচয়হীন হয়ে বেচেঁ থাকাটা বেশ কষ্টের।হয়তো ও মুখ ফুটে ওর এই কষ্টের কথা অবলীলায় বলতে পারে না।কিন্তু সারাক্ষন মন:বেদনায়, পরিচয়হীন হয়ে বেচেঁ থাকায় ওর আপত্তি দিকটা স্পষ্ট বোঝা যায়


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.