![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভয় কর সেইদিনকে, যেদিন মহান বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হিসেব দিতে হবে নিজ কৃতর্কমের।
(একটি প্রশ্নের উত্তরে এটি লিখেছিলাম। তবে বিষয়টি থেকে অনেকে উপকৃত হতে পারেন বিধায় এখানে দিলাম।)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
✿ আসুন আমরা সর্বপ্রথম পবিত্র কোরআনের দিকে তাকাইঃ
১) তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর। তোমাদের আমলসমূহ বরবাদ করো না। (সূরা-মুহাম্মদ, আয়াত-৩৩)
২) এবং আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মেনে নাও, যাতে দয়া করা যায়। (সূরা-আল ইমরান, আয়াত-১৩২)
৩) যদি তোমরা রাসূলের আনুগত্য কর, তাহলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র দ্বীনের দাওয়াত সুস্পষ্টভাবে পৌছিয়ে দেওয়া। (সূরা-নূর, আয়াত-৫৪)
৪) আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য এবং আল্লাহকে ভয় করে এবং তার নাফরমানী থেকে দূরে থাকে, এসব লোকই সফলকাম হবে। (সূরা-নূর, আয়াত-৫২)
*এছাড়াও দেখতে পারেন- (সূরা-নিসা/৫৯, সূরা-নিসা/১৩, সূরা-নিসা/৮০, সূরা-নূর/৫৩)
তাহলে পবিত্র কোরআন বলছে, অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা'য়ালার আদেশ হল আপনাকে রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্য করতে হবে।
✿ এখন রাসূল (ছা.)-এর আনুগত্য মানে কি?
ক. আল্লাহর রাসূল (ছা.) এর আদেশ নিষেধ সমূহ মেনে নেওয়া।
খ. তার নির্দেশিত পথ অনুসরণ করা।
গ. তার কার্যাবলী/ কর্মপদ্ধতি মেনে চলা।
ঘ. মোট কথা তিনি যেভাবে জীবন জাপন করেছেন, তা অনুসরন করা।
✿ হাদীস কাকে বলে?
হাদীছের সহজ সাধারণ সংজ্ঞা হল- "রাসূল (ছা.)-এর কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীছ বলে।"
তাহলে দেখা যাচ্ছে রাসূল (ছা.)-এর আনুগত্য করতে হলে অবশ্যই হাদীছ মেনে চলতে হবে তথা তার পুরো জীবন পদ্ধতি, কথা, কাজ অনুসরণ করতে হবে। এবার আপনি যদি বলেন যে, কোরআনে থাকলে মানবো, হাদীসে থাকলে মানবোনা, তাহলে আপনি রাসূলের আনুগত্য করতে অস্বীকার করছেন। যেহেতু পবিত্র কোরআনে রাসূল (ছা.)-এর আনুগত্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাই আপনি পবিত্র কোরআনের সরাসরি বিরোধীতা করছেন।
✿ এবার আসুন যুক্তি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করিঃ
আপনি যদি শুধু কোরাআন মানেন, বুখারী-মুসলিম তথা পবিত্র হাদীছ গ্রণ্থগুলোতে বর্ণিত হাদীছ না মানেন; তাহলে আমি আপনাকে প্রশ্ন করবো আপনি নামায পড়েন কি? কেন পড়েন? পবিত্র কোরআনে নামায প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, নামাযের আদেশ দেওয়া হয়ছে, কিন্তু নামাজ কিভাবে পড়তে হবে তা বলা হয়নি!! নামায আদায়ের পদ্ধতি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের দেখিয়ে দিয়েছেন ও হাদীছে বলে দিয়েছেন। এখন আপনি শুধু কোরআন অনুসরণ করে কিভাবে নামাজ আদায় করবেন....!!!
✿ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে নবী করীম (ছা.) বলেছেন- "আজ আমি তোমাদের জন্যে দুটি জিনিস রেখে গেলাম- কোরআন ও সুন্নাহ (হাদীছ); যদি তোমরা তা অনুসরণ কর তাহলে তোমরা কখনো বিপথগামী হবে না"।
✿ আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মহাপবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাগ্রন্থ হল হাদীছ। সুতরাং আপনাকে কোরআন ও হাদীছ উভয়টিই মেনে চলতে হবে। শুধু কোরআন বা শুধু হাদীছ নয়, বরং উভয়টিই মানতে হবে।
✿ মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে সৎপথে চলার ও তার উপর অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন। আমীন।
২| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:৩১
আউটকাস্ট বলেছেন: আমার প্রশ্ন হচ্ছে, হাদিসের রচয়িতা কে বা কারা? কোরঅান কখনো পরিবতিত হবে না, তা আমরা জানি, কিন্তু হাদিস নিয়ে তো স্কলার-রাই অনেক ভাবে বিভক্ত. রাসুল নিজে জীবিত অব্স্থায় হাদিস লিখে রাখতে বলেন নি, এমনকি, রাসুল(সা-র পর প্রথম চার খলিফার সময়ও হাদিসের কাজ হয়নি। ইমাম আবু বুখারি, রাসুল(সা
মারা যাওয়ার প্রায়, ২০০ বছর পর হাদিস রচনা করেছিলেন। তিনি প্রায় ৬ লাখ হাদিস সংগ্রহ করেছিলেন, এর মধ্যে, প্রায় ৭ হাজার হাদিস নিয়ে রচনা করেছিলেন "সাহিহ বুখারি" । বাকি ৫ লাখ ৯৩ হাজার হাদিস তাহলে সহিহ ছিল না(৯৯% ই ভুল ছিল!) এটা কি উনি ঠিক ভাবে বিচার করতে পেরেছিলেন? কোরআনে কি, কোরআনের ব্যখ্যা হাদিস আসবে, বলা আছে, নাকি, বলা আছে, কোরআন সম্পুর্ন?
আমার কথা হচ্ছে, কোরআনের সাথে আপনি মানুষের সংগ্রহ করা হাদিস কে সমপর্যায়ের ভাবলে আপনি শিরক করছেন। হাদিস পড়ে আপনি একটা ধারনা বা গাইডেন্স পেতে পারেন, কিন্তু, হাদিস কে কোরআনের পর্যায়ে নিয়েন না..
কোরআন: (৪৫:৬, হাদিস নিয়ে ডাইরেক্ট আল্লাহের বক্তব্য),
تِلْكَ آيَاتُ اللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَ اللَّهِ وَآيَاتِهِ يُؤْمِنُونَ
6. Those are the Revelations of God that We recite to you (through Gabriel) with truth. In what other, হাদিস will they, then, believe??
৩| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
ঢাকার লোক বলেছেন: قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ (31
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। (৩:৩১)
قُلْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَالرَّسُولَ فإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ الْكَافِرِينَ (32
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। (৩:৩২)
مَّنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ وَمَن تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا (80 যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। (৪:৮০)
৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১:০১
আউটকাস্ট বলেছেন: ঢাকার লোক, আপনার সাথে একমত, কিন্তু, আপনি, পুরানো ট্রিক ব্যবহার করছেন, রাসুল কে মানা আর ২০০ বছর পরে কম্পাইল করা হাদিস ১০০% মানা, এক জিনিষ না.
৫| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
ঢাকার লোক বলেছেন: একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে, যে নির্দেশ বা কর্ম পদ্ধাতি প্রতিটি মুসলিমের জন্য মেনে চলায় আল্লাহ নিজে এতো গুরুত্ত দিয়েছেন তাকে সংরক্ষন করার ব্যবস্থা আল্লাহ নিজেই করেছেন যুগে যুগে ইমাম বুখারী, মুসলিম, নাসিরুদ্দিন আলবানীদের মতো আরো অনেক ইসলামের সেবকদের জন্ম দিয়ে যারা আজীবন অকল্পনীয় পরিশ্রম করেছেন রাসূল (স) এর সহি হাদীসগুলোকে মিথ্যা হাদিস থেকে আলাদা করে আমাদের কাছে পৌছায়ে দিতে। কাজেই সহি হাদীসকে অশ্বিকার না করে তাকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে সেই অনুযায়ী আমাদের জীবন পরিচালনা করা আবশ্যক। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সে তৌফিক দান করুন।
৬| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:৪১
আউটকাস্ট বলেছেন: বুখারি, সহিহ হাদিসের নমুনা:
Narrated Abu Huraira: "The Prophet said "If a house fly falls in the drink of anyone of you, he should dip it (in the drink), for one of its wings has a disease and the other has the cure for the disease." (Translation of Sahih Bukhari, Volume 4, Book 54, Number 537)"
আপনার গ্লাসে গু এর মাছি পড়লে, এখন থেকে, আপনি মাছিটাকে ভালোভাবে চুবিয়ে নিয়ে এরপর পান করবেন।
এটা একটা সহিহ বুখারি হাদিস।
আমার পয়েন্ট এটাই. বুখারী, প্রায় ৬ লাখ হাদিস সংগ্রহ করেছিলেন, এর মধ্যে, প্রায় ৭ হাজার হাদিস নিয়ে রচনা করেছিলেন "সাহিহ বুখারি" । বাকি ৫ লাখ ৯৩ হাজার হাদিস তাহলে সহিহ ছিল না(৯৯% ই ভুল ছিল!) এটা কি উনি ঠিক ভাবে বিচার করতে পেরেছিলেন? পারেন নি.. সম্ভব ও না,
হাদিস ফেলে দিতে বলছিনা.. কিন্ত হাদিস নিয়ে শিরক করছেন কিনা ভেবে দেখবেন.. হাদিস না জানা থাকলে , রাসুল (সা আর তার সাহাবিদের জীবন নিয়ে জানা মুশকিল. কিন্তু, হাদিস নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটাও ঠিক না..
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৮
শুজা উদ্দিন বলেছেন: এমনটি কারা বলে