নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে উগ্র নাস্তিকতা ও ইসলাম

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

ইসলামে যতগুলো ফ্যাকশন আছে যেমন হানাফি, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী। এদের মধ্যে হানাফি মাজহাব তুলনামুলক সহজ । এর মুল কারন হল ইমাম আবু হানিফা একজন আরব নন। তিনি কোরান-হাদিসের ব্যাখ্যা অনেক সহজ সরলভাবে দিয়েছেন কিন্তু ইদানিং হানাফি মাজহাবের প্রভাব কমে যাচ্ছে সৌদি পেট্রোডলারের কল্যাণে । এর ফলে উগ্রবাদের প্রসার ঘটতেছে আমাদের সমাজে। এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া অনুসারে সমাজে উগ্র নাস্তিকতার আর্বিভাব ঘটেছে । তো এর মুল কারন গুলো আমাদের খুজে দেখা দরকার । আমাদের হুজুরদের মুল ব্যার্থতা হল তারা ইসলাম ধর্মকে বাঙ্গালীকরণ করেনি বা করতে পারেনি । বরং আমাদের ইসলাম সৌদিকরণ হয়েছে বা রয়ে গেছে । এর ফলে অনেক বাঙ্গালী জাতীয়বাদে বিশ্বাসী ইসলামকে পালন করতে ভয় পায় । কারন এতে ইসলামকে না হলে বাঙ্গালীত্বকে যে কোন একটা বেছে নিতে হয়।



মাদ্রাসা শিক্ষায় গলদ আছে কিন্তু সেই গলদটা দুর করার দায়িত্ব কে নিবে ? সরকারের কবে পরিবর্তন করবে সেই আশায় বসে থাকা ? আবার কওমী মাদ্রাসারা তো সরকারের ধার ধারে না ।দেখবেন, হাফেজীয়া ও কওমী মাদ্রাসাগুলো চলে দান বা ভিক্ষার টাকায় । তো ইসলামে ভিক্ষা করা কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটা তাদের জানতে হবে কিন্তু তারা জানে না । ভিক্ষা যে কোন আত্মসম্মানের কিছু নয় সেটা তাদের উপলব্ধিতে নেই ।



তাহলে ঐ যে আবু হানিফার কথা বললাম তিনি কিভাবে তুলনামুলক সহজ ব্যাখ্যা দিলেন ? নিশ্চয় নিজের বুদ্দিমত্তায় । তো আমার মনে হয় আমরা এরকম সর্বজনীন হুজুর পাইানি বা তিনি গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠতে পারেননি।



বাঙ্গালীত্ব ও ইসলামের মধ্যে দ্বন্দ্ব দুর করতে হবে । যেমন নববর্ষ আসলে আমাদের হুজুররা ফতোয়া দেয় নববর্ষ পালন করা হারাম, বৈশাখি মেলা হারাম , অমুক হারাম তমুক হারাম, কনসার্ট হারাম । শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হারাম ইত্যাদি বলা বর্জন করতে হবে। ইসলামকে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করতে চাইলে এইসব বাঙ্গালী উৎসবকে ইসলামের মাধ্যমে নতুন ব্যাখ্যা দাড় করাতে হবে। হুজুরেরা নিজেরাও সেইসব উৎসবে যোগ দিতে পারেন । ইরানে ১৪ দিন ধরে নওরোজ পালন করা হয় যেখানে তাদের ঈদের ছুটি থাকে মাত্র ৩/৪ দিন সেখানে নওরোজের ছুটি নাকি থাকে ১৪ দিন ! আর ইরানের মোল্লারাও নওরোজ জাকজমকভাবে পালন করেন তাদের আপামর জনগণের সাথে।সেখানে কোন হুজুর এখনো ফতোয়া দেয়নি নওরোজ হারাম !



কিছুদিন আগে সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধে তুমুল আন্দোল হল। শেষ পর্যন্ত সেই ভাস্কর্য নিমার্ণ করতে দেওয়া হয়নি । কেন সেই ভাস্কর্য নিমার্ণ করলে কি ইসলাম বিলুপ্ত হয়ে যাবে ? নাকি ঘরে ঘরে মুর্তি পূজা শুরু হয়ে যাবে ? এটা তো বুঝা সহজ দেব দেবীর মুর্তি আর ভাস্কর্য এক নয় আর দেশে বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধেরসহ ঐতিহাসিক বিভিন্ন ভাস্কর্য আছে । কই সেখানে তো কেউ কোন পুজো করতে যায়নি ? যায়নি সেই ভাস্কর্যের কাছে কিছু চাইতে ? তাহলে সমস্যাটা কোথায় ?



এই তালেবানী ইসলাম আমদানী বন্ধ করতে হবে। যদি পারেন ইসলামকে বাঙ্গালীকরণ করেন না হলে এই কয়েকজন উগ্র নাস্তিকই শেষ কথা নয় । সামনে আরো ইসলাম বিদ্বেষীতা বাড়বে । তখন দেশে আস্তিক-নাস্তিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে যা হবে সত্যি এক ভয়ংকর ব্যাপার !!!



তো আমাদের পিছিয়ে থাকার কারনে আমরা ইসলামেকে এখনো সর্বজনীন করতে পারিনি । সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় যারা আজকে উগ্র নাস্তিক তাদের বেশিরভাগই কিন্তু মুসলিম পরিবারে জন্ম !!! তো তাহলে এ ব্যার্থতা কাদের ? হুজুরদেরও নয় কি ?



আজকে যে হুজুরেরা নাস্তিকদের বিচারে দাবিতে আন্দোলন করতেছে, যারা আজকে নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার তারাও কি দায়ী নয় বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারের সন্তান উগ্র নাস্তিক হওয়ার ?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: যদি তালেবানী ইসলাম আমদানী বন্ধ না হয় তাহলে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে উগ্র নাস্তিকদের দেখার জন্য যাদের জন্ম মুসলিম পরিবারে জন্ম !!

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৮

স্বপ্নরাজ বলেছেন:

বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে রাসূল(সা: ) বলেগেছেন.. কোরআন আর হাদীসকে আকঁড়ে থাকতে তাই এই দুইটাই মুসলমানদের জন্য যথেস্ঠ।

ইসলামের কোন তালেবানি নেই তাই বাংগালিকরনও নেই।

তসলিমা নাসরিন ইসলামকে আধুনিক করন করার জন্য কিছু পরিবর্তনের উপদেশ খয়রাত করেছেন.....ঐ লাইনে যাবেন না।

ইসলাম বিকৃত , পরিবর্তনীয় কোন ধর্ম না। কাজেই কোরআন আর হাদীস পড়ুন আর এই সব চিন্তা ছাড়ুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । কোরান-হাদিসে বাইরে যাওয়ার কথা বলিনি । আমাদের কোরান-হাদিসের মধ্যেই থেকে ইসলামকে বাঙ্গালীকরণ করলে সমস্যা কোথায় ? যেমন নববর্ষ পালন করলে ইসলামে বাধা কোথায় ? আর বাধা থাকলেই কি তা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন ? ইসলামিক ছবি তোলা হারাম কিন্তু এখন কয়জনে সেটা মানে ? আসলে ইসলামে ছবি তোলা হারাম না.হারাম করেছে হুজুরেরাই অথচ সেই হুজুরেরাই এখন ছবি তুলে !!!

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

কসমিক রোহান বলেছেন: (DUKKHITO MOBILE THEKE LIKHAR KARONE ENGLISH LETTER A LIKHTE HOCCHE)

Islam k janun root level theke.
Islam k na jenei mongora bakko awraben na pls.

Islam k jante hobe emon bektir kache theke jar islami ilm(islami gan) esheche urdhokrome shoyong Rasulallah (SM) er nikot theke.
Boi pore r oggo lokder kache theke islam k jana jabena.
Olpo bidya voyonkor seta sotto kothai bote.

R islam desh kal patro vede alada noy, islam sarbojonin somogro manusher ekmatro jibon bidhan.
K ki korlo eta dekhe montobbo korai murkhotar porichoy, islam a ki bola ache ba islamic aain a ki ache setai grohonio.

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । তো একজন ব্যাক্তির নাম বলেন তো যার কাছে ইসলাম সম্পর্কে জানা যাবে ?

সেই ব্যাক্তির কি এমন ক্ষমতা যে তিনি মুসলিম পরিবার থেকে হঠাৎ এত উগ্র নাস্তিকতা ঠেকাতে পারলেন না ?

আসল সমস্যা হল আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের সভ্যতার বাইরে কিছু চাপিয়ে দিলেই সেটা স্বতস্ফূর্তভাবে যে সবাই মানবে তা তো না । আর তাছাড়া.

কোরান-হাদিসে বাইরে যাওয়ার কথা বলিনি । আমাদের কোরান-হাদিসের মধ্যেই থেকে ইসলামকে বাঙ্গালীকরণ করলে সমস্যা কোথায় ? যেমন নববর্ষ পালন করলে ইসলামে বাধা কোথায় ? আর বাধা থাকলেই কি তা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন ? ইসলামিক ছবি তোলা হারাম কিন্তু এখন কয়জনে সেটা মানে ? আসলে ইসলামে ছবি তোলা হারাম না.হারাম করেছে হুজুরেরাই অথচ সেই হুজুরেরাই এখন ছবি তুলে !!!

ভাই, একটু খোজ নিয়ে দেখুন তো ইসলামে জঙ্গীবাদের উত্থান কবে থেকে ? ওহাবী তথা তালেবানী ইসলামের ইতিহাস জানতে হবে। এই তালেবানী ইসলাম শুরু হয় সৌদিদের পেট্রোডলারের কল্যাণে । আমাদের বাঙ্গালী মুসলিম সমাজে উগ্রবাদের কোন স্থান ছিল না । হঠাৎ করে এত উগ্র আস্তিক আর নাস্তিকের আবির্ভাব কোথা থেকে হল ?

বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান এরা কারা ? এদের ব্যাকগ্রাউন্ড কি ? শায়খ ছিলেন সৌদির মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ।

নিউটনের সূত্রমতে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রক্রিয়া আছে । তো শুধু ওহাবী তথা তালেবানী ইসলামের প্রসার ঘটবে আর তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটবে না ? তা কি হয় ? আপনার কি মনে হয় ?

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

বাংলার হাসান বলেছেন: ধর্ম বিষয়ক লেখায় মন্তব্য করি না, কারন আমি ধর্ম বিষয়ে পন্ডিত নই।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

নষ্ট ছেলে বলেছেন: নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা কোরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কিভাবে বৈধ করবেন?

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

কমোরেড বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬

নরাধম বলেছেন: আপনি ইসলামও বুঝেন নাই বাঙালিত্বও বুঝেন নাই।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ইসলামের বাঙ্গালীত্তকরন ??? নতুন থিওরী.।.।
আপনি বলেন তো (গুগলে সার্চ দিবেন না) হানাফী মাযহাবের ইমাম এর নাম কি ? উনি কোন সময়ের মানুষ ? আপনি মাযহাব ব্যবস্থার কতটুকু জানেন ? ইসলামের বাঙ্গালীত্ত করন কি?
এক সময় বাংলাতে জনগন সম্পূর্ণ হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল। তা এখন বাঙ্গালীর কালচার হয়ে গেছে। তাহলে , বৌদ্ধ ধর্মানুসারে কুরবানীর সময় জীব হত্যা বন্ধ ? কিংবা হিন্দু ধর্মানুসারে গরু জবাই নিষেধ ?

আল্লাহ্‌ হুযুরের (সঃ) বিদায় হজ্জের সময় ঘোষণা দিয়েছেন,

দ্বীনকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে আর আমাদের প্রতি অনুগ্রহ সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজেই দ্বীনের মাঝে কোন মডিফিকেশন করা যাবে না, হবে না। আমি মডিফিকেশন করলাম, আপনিও মানলেন । কিন্তু, আল্লাহ্‌ কি এটা এপ্রুভ করবেন ??নাকি এই ইচ্ছাকৃত মডিফিকেশনের জন্য যে করল আর যারা মানল তারা সবাই গুনাহগার হবে??

খ্রিষ্টান আর ঈহুদীদের ব্যপারে কি বলা হয়েছে কুরআনে ? (অন্ততপক্ষে তৎকালীন সময়ের) তারা আল্লাহর বানী ছেড়ে তাদের ধর্মপ্রচারক (পাদ্রী, রাবঈ) দের কথা বিনা বাক্যে মানা শুরু করেছিল। তাদেরকে রব তথা বিধান দাতা বানিয়ে দিয়েছিল । আর তাই তাদের ধ্বংস । লেখক কি এতকিছু ভেবে দেখেছেন ??

কেউ যদি স্বদেশ এর চেতনায় স্বদেশী জাতীয়তাবাদকে বড় করে দেখে, তাহলে এ কেন আল্লাহর সাথে তার পালনীয় দেশীয় কালচারকে আপোষ করিএ নিতে পারবে না? কিন্তু পশ্চিমা নগ্নতার সাথে কিন্তু আমরা বাঙ্গালীত্তকে হরহামেশাই আপোষ করাই।


কেউ যদি অন্য কোন কিছুর কারনে স্রষ্টাকে আপোষ করতে বলে, তখন তার দাস হিসেবে আমি বলব ,
"তোমাদের দ্বীন তোমাদের, আর আমার দ্বীন আমার জন্য"

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: একসময় এইদেশের আলেম সমাজ রেডিও টিভির বিরোদ্দে ফতুয়া দিতেন,এখন সেই আলেম সমাজ রেডিও টিভি জায়েজ করে নিয়েছেন।

একসময় টিভি যার বাড়িতে থাকত তাকে সবাই খুব খারাপ ভাবত ! টিভি দেখা হারাম এরকম ফতোয়াও অনেক দেয়া হয়েছিল, টেলিফোন আবিষ্কার যখন হলো তখন ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল টেলিফোন ব্যবহার করা হারাম ! অনেক টেলিফোন সেন্টারে হামলাও হয়েছিল ! এমনকি মসজিদে আজানে মাইক ব্যবহার নিয়ে দুগ্রুপের মত কত্ত মারামারি হয়েছে, আহত ও নিহতের খরবও পত্রিকায় অনেক এসেছিলো !

একসময় ছবি তোলার বিরোদ্দে ফতুয়া দিতেন,এখন দেখা যায় তাহারা দাঁড়ি দিয়ে পোজ করে সুন্দর সুন্দর ছবি তোলেন।
একসময় মহিলাদেরকে ভোট দেওয়া হারাম বলে ফতুয়া দিতেন,এখন দেখা যায় আলেমদের বউরা বাঙ্গালদের বউদের আগে ভোট দিতে যান,আর তাহারা নারী নেত্রীত্বের পিছু চুটেন।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ইসলামের বাঙ্গালীত্তকরন ??? নতুন থিওরী.।.।
আপনি বলেন তো (গুগলে সার্চ দিবেন না) হানাফী মাযহাবের ইমাম এর নাম কি ? উনি কোন সময়ের মানুষ ? আপনি মাযহাব ব্যবস্থার কতটুকু জানেন ? ইসলামের বাঙ্গালীত্ত করন কি?
এক সময় বাংলাতে জনগন সম্পূর্ণ হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল। তা এখন বাঙ্গালীর কালচার হয়ে গেছে। তাহলে , বৌদ্ধ ধর্মানুসারে কুরবানীর সময় জীব হত্যা বন্ধ ? কিংবা হিন্দু ধর্মানুসারে গরু জবাই নিষেধ ?

আল্লাহ্‌ হুযুরের (সঃ) বিদায় হজ্জের সময় ঘোষণা দিয়েছেন,

দ্বীনকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে আর আমাদের প্রতি অনুগ্রহ সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজেই দ্বীনের মাঝে কোন মডিফিকেশন করা যাবে না, হবে না। আমি মডিফিকেশন করলাম, আপনিও মানলেন । কিন্তু, আল্লাহ্‌ কি এটা এপ্রুভ করবেন ??নাকি এই ইচ্ছাকৃত মডিফিকেশনের জন্য যে করল আর যারা মানল তারা সবাই গুনাহগার হবে??

খ্রিষ্টান আর ঈহুদীদের ব্যপারে কি বলা হয়েছে কুরআনে ? (অন্ততপক্ষে তৎকালীন সময়ের) তারা আল্লাহর বানী ছেড়ে তাদের ধর্মপ্রচারক (পাদ্রী, রাবঈ) দের কথা বিনা বাক্যে মানা শুরু করেছিল। তাদেরকে রব তথা বিধান দাতা বানিয়ে দিয়েছিল । আর তাই তাদের ধ্বংস । লেখক কি এতকিছু ভেবে দেখেছেন ??

কেউ যদি স্বদেশ এর চেতনায় স্বদেশী জাতীয়তাবাদকে বড় করে দেখে, তাহলে এ কেন আল্লাহর সাথে তার পালনীয় দেশীয় কালচারকে আপোষ করিএ নিতে পারবে না? কিন্তু পশ্চিমা নগ্নতার সাথে কিন্তু আমরা বাঙ্গালীত্তকে হরহামেশাই আপোষ করাই।


কেউ যদি অন্য কোন কিছুর কারনে স্রষ্টাকে আপোষ করতে বলে, তখন তার দাস হিসেবে আমি বলব ,
"তোমাদের দ্বীন তোমাদের, আর আমার দ্বীন আমার জন্য"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.