নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের দাবিনামা ও তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা ও অযৌক্তিকতা ।

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭



এই মাদ্রাসার ছাত্রের ভীতসন্ত্রস্ত ছবিটাই বলে দিচ্ছে এরা সবাই গ্রাম থেকে এসেছে এবং এরা সহজ সরল , সাধা মনের মানুষ । এরা রাজনীতি বুঝে না কিন্তু এরাই আজ রাজনীতির বলি !



হেফাজতের আন্দোলন শুরু হয় মুলত ব্লগ ও ফেসবুকে কতিপয় নাস্তিকের ইসলাম বিরোধী লেখার প্রতিবাদ স্বরুপ এবং তাদের প্রধান দাবী ছিল সেই সব ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের গ্রেফতার ও শাস্তি । না, দাবিটা কেউ খারাপ বলবে না যদি সে অন্তত আস্তিক হয় কারণ ইসলামের অবমাননা কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমানই মানতে পারবেন না তবে হেফাজতিরা যেপথে এগিয়েছে সে পথটা কতুটুকু সঠিক ছিল তা প্রশ্নসাপেক্ষ । তাছাড়া হঠাৎ করে শুনা গেল তাদের দাবি একটা না, দুইটাও না কিন্তু তেরটা !! তাই হেফাজতিরা ১৩ টা দাবি নিয়ে মাঠে নামল জীবন প্রাণ দিয়ে এরমধ্যে কয়টি দাবি সহিহ ইসলামিক ছিল তা আলোচনার দাবি রাখে । যেমন কো-এডুকেশন বন্ধ,দেশের সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলতে হবে ইত্যাদি । ভাস্কর্য আর মুর্তি যে এক নয় এটা তাদের কে বুঝাবে আর হেফাজতিরা বললেই কি কো-এডুকেশন বন্ধ ও ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব বর্তমান এই যুগে ? ইরানে ইসলামি সরকার আছে সেখানে এখনো তাদের প্রাচীন ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে, মহাকবি ফেরদৌসি, রুমীসহ বিভিন্ন মনীষির । ইরানে কো-এডুকেশনেও এখনো বহাল তবিয়তে আছে ।আর কো এডুকেশন বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই যে কো এডুকেশন নেই । সবদেশেই আছে । লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, ইরাক, তুর্কিসহ নামকরা কিছু ইসলামী দেশে ভাস্কর্যকে শিল্প হিসাবে দেখা হয় । তাই তারা সেগুলো নষ্ট করেনি বরং সংরক্ষণ করেছে। ভাস্কর্য ও মুর্তির পার্থক্য হল ভাস্কর্যকে পুজা করা হয়না কিন্তু মুর্তিতে করা হয় । আর অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন তারা পুজা করুন আর যাই করুন সে অধিকার তাদের আছে । কিন্তু ব্যাপারটা যদি এমন হত সরকার একটা ভাস্কর্য নির্মাণ করে মুসলমান সম্প্রদায়কে পুজা করার আহবান জানাত তখন মুসলমানদের প্রতিরোধের বিষয়ের ব্যাপারটা থাকত কিন্তু বর্তমানের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উল্টো । হেফাজতিরা না বুঝেই তালেবানি দাবি করেছে যেটা তাদের পুরোপুরি ভূল । তালেবানরা আফগনিস্থানে ক্ষমতায় এসে সকল ভাস্কর্য ধ্বংস ও নারি শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল । তাছাড়া ইসলামে ভাস্কর্য নিয়েও বিতর্ক আছে । কোরানে এরকমও আছে হযরত সুলাইমান (আ) জ্বীনদের দ্বারা সমুদ্র থেকে বিভিন্ন ভাস্কর্য নিয়ে এসে তার প্রাসাদ সাজাতেন । আবার নবী স্ত্রী আয়েশা (রা)এরও পুতুল ছিল । তাছাড়া কোরানে এরকম কোন স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই যে ভাস্কর্য হারাম ।



শিক্ষানীতি ও নারিী নীতি নিয়ে তাদের দাবিও আলোচোনার দাবি রাখে। তাদের বোঝা উচিৎ যেহেতু বাংলাদেশ সরকার ইসলামিক সরকার নয় আর ইসলামিক সরকার হলেও যে তাদের এসব দাবি মানবে এমনো কোন কথা নয় একমাত্র তালেবান ছাড়া।কারণ উদাহরণ আগেই দিয়েছি ।তাই তাদের দাবির গ্রহনযোগ্যতার তলানি দেখা উচিৎ ছিল । এটা হল দুদর্শিতার পরিচয়। তবে হেফাজতিরা যা করতে পারতেন তা হল তারা জনগণের কাছে যেতে পারতেন, এজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিকদলগুলোকে তাদের দাবি দাওয়া দিতে পারতেন , তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিতে পারতেন। যারা তাদের পক্ষে থাকবেন তাদেরকেই তারা ভোট দিবেন বলে সাফ কথা জানিয়ে দিতেন ।আমার মনে হয় নির্বাচন কাছে আসলে আমাদের প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সাথে হয়তো চুক্তিও করতেন যেমনটা করেছিল খেলাফতে মজলিসের সাথে !



এই তেরটা দাবির মধ্যে যেটা নিয়ে আন্দোলনের সূত্রপাত মানে প্রথমদিকের দাবিটা তারা দিল চতুর্থ কি পঞ্চমে ! কেন ? যে কারণে আন্দোলনের সূত্রপাত সেটা চতুর্থ বা পঞ্চমে যাবে কেন ? কারণ আন্দোলনের নিয়ামক আর তারা নেই । এখানে তাদের আন্দোলনের দিক নির্দেশনা হয়তো চলে এসেছে বাইরে কোন মহল বিশেষ থেকে।



এই একই ভূল করেছে শাহবাগীরাও । শাহবাগ মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল মূলত কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তিসহ সব রাজাকারের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিৎকরণ । তাদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষনা করেছিল হাজার হাজার জনতা কিন্তু না তারাও একটা দাবিতে অটল থাকেনি । দিন দিন তাদের দাবির পরিমাণ বাড়তে থাকে।যেমন ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ, পত্রিকা বন্ধ, সম্পাদক গ্রেফতারসহ নানা দাবি উঠতে থাকে। তাদের দাবির পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে তেমনি কমতে থাকে জনসমর্থনও ।



আসলে এই দুই আন্দোলনই লক্ষচ্যুত হয়েছে এবং হাইজ্যাকও হয়েছে এটাতে কোন সন্দেহ নেই ।



সবেচেয়ে খারাপ লাগে গ্রামের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের এভাবে ঢাকা শহরে নিয়ে আসা হল যাদের রাজনৈতিক ক অক্ষরও জ্ঞান নেই অথচ তারাই হল রাজনৈতিক বলি ! তাদের রক্তে ক্ষমতার মসনদে আসবে হয়তো কোন শাসক কিন্তু তাদের এই দাবিগুলো অধরাই থেকে যাবে কারণ তাদের দাবিগুলোর বেশিরভাগই বাস্তবায়ন কোন সরকারই করবে না আর সেটা হয়তো সম্ভবও না। না আওয়ামী না বিএনপি কেউ করবে না। এই মাদ্রসায় পড়ুয়া গরীব ও সহজ সরল ছাত্রদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে কোন মহল বিশেষের উস্কানিতে। আসলে মুল কথা হল হেফাজতিরা এখানে ব্যবহার ও অপব্যবহার হয়েছে । এছাড়া কিছুই নয় ।



তবে এদের দাবির সাথে কেউ একমত- দ্বিমত প্রকাশ করতেই পারেন । সেটার অধিকার সবার আছে । সরকারকে হেফাজতের সব দাবি মানতে হবে এমন কোন কথা নয় তাই কঠোরতা প্রদর্শন অবাঞ্ছনীয়। আর হেফাজতিরাও এই সময় এক সঙ্গে ঝোপ বুঝে কোপ মারার মত তেরটা দাবি দিয়ে গো-ধরে বসলেন সেটাও ঠিক হয়নি ।ফলাফল কি দাড়ালো সবাই জেনে গেছেন ইতিমধ্যেই । তবে যে কোন প্রকার হত্যা ও সহিংসতা অবশ্যই দু:খজনক ও নিন্দনীয় । পরমত সহিষ্ণুতা, কুটনীতি, আলোচনার চেয়ে বড় কোন অস্ত্র আছে কি ? সরকার সে পথে পা বাড়ায়নি বা বাড়ালেও হয়তো সেটা কাজে আসেনি এবং হেফাজতও সেই পথে পা বাড়ায়নি ।



আমাদের দেশটা অস্থিতিশীল হলে আমাদের কি ক্ষতি আর কাদের লাভ সেটা আমাদের সবার ভেবে দেখতে হবে ।





মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: ভাল একটা লেখা। আপনার সাথে একমত।

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভ্রাতা । ভাল থাকবেন সবসময় ।

২| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:২৯

হরিসূধন বলেছেন: তারা রাজনীতির র অথবা ক ও বুঝে না কিন্তু যারা বুঝে এবং বুঝে শুনে কিভাবে কামান ব্যাবহার করেছে? দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার। শাহবাগীরা মাস কে মাস রাস্তা দখল করে আছে আর হেফাজতীরা ২৪ ঘন্টা ও থাকতে পারে না!।কেন? কারন শাহবাগীরা গৃহপালিত চেতনার চর্চা করে জমির চাচাদের মতো তাই?আর হেফাজতীরা কোরআন হাদিসের চর্চা করে যা মধ্য যুগের প্রগতি বিরুধী? প্রগতি হলো চলে বলে কৌশলে লাকীদের মতো নিরীহ মেয়েদের ভোগের বস্তু বানিয়ে তার চর্চা করে প্রগতি খোজা? এখানে নিরীহ হেফাজতী এবং লাকীদের পার্থক্য কোথায়? মিড়িয়া যেভাবে শাহবাগীদের লেহন করেছে আর হেফাজতীদের বিরুদ্ধে মুক্তমনার পরিচয় দিয়েছে তার পরিনতি একদিন তাদের নির্মম ভাবে ভোগ করতে হবে। তখন আমরা আজকের মতো নিরবতা পালন করবো? নাকি চেতনা যায় যায় বলে জিকির তুলে আর্তনাদ করবো? বাংলাদেশের রাজনীতি প্রতিশোধের তাই রেডী থাকি ও আবালেরা ..

০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ভ্রাতা, আপনার সাথে আমি দ্বিমত পোষন করতেছি না । আপনি যেগুলো বলেছেন সেগুলো যুক্তিপূর্ণ অবশ্যই । হেফাজতিদেরও অধিকার আছে সমাবেশ করার যেমন আছে শাহবাগিদের কিন্তু এই নীতিবাক্য গুলো শুধু বই পুস্তকেই লেখা থাকে বাস্তবে এর টিকিটির নাগালও পাবেন না । এটাই হল বাস্তবতা !

আপনার কাছে প্রশ্ন :শাহবাগীরা সরকারের স্বার্থ রক্ষা করেছে কিন্তু হেফাজতিরা কি সরকারের স্বার্থ রক্ষা করতে এসেছিল না সরকারের পতন ঘটাতে এসেছিল ? কোনটা ? তারা বলেছিল রাতের মধ্যেই সরকারকে পালাতে হবে !

যাক, আমি মুল বিষয় যেগুলো হাইলাইট করেছি সেটা হল এই মাদ্রাসার নিরীহি ছেলেদের অমানবিক মৃত্যু যারা এই রাজনীতির মারম্যাচ কিছুই বুঝে না ! এজন্য সরকার যেমন দায়িী তেমনি হেফাজতিরাও ফেরেস্তা নয় একথা মানতে হবে ।তারা কাদের আশায় রাত্রিতে ঢাকা শহরে অবস্থান নিল ? কারা তাদেরকে সাহস দিয়েছে ? এ প্রশ্নগুলো কি জানতে ইচ্ছে করে না ?

৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

হরিসূধন বলেছেন: লোকে যাই বলুক না কেন। শাহবাগীরাই শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলিগের মৃত্যুর কারন হবে। শাহবাগীদের জন্ম আওয়ামীগের গর্ভে হয়েছে। এর সম্পুর্ন্য পৃষ্ট পোশকতা করেছে ভারত অথবা তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী এই দেশীয় দালালেরা। শাহবাগীদের প্রাথমিক উম্মাদনা দেখেই বুঝতে বাকী থাকে না যে এরা কারা! সরকারের চেয়ে শক্তিশালী তারা! আর আওয়ামীলিগ নিজেই চায় না সঠিক এবং বিতর্কমুক্ত ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের অথবা মানবতাবিরুধীদের বিচার হোক! আমার এ কথায় অবাক হবেন না! এইটা বাস্তবতা। শাহবাগীদের উগ্র বাঙালী জাতীয়তাবাদে ই সব শেষ হয়নি তারা ধর্ম বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে ভেবেছে জামাত নাই তো ইসলাম নাই! সেইটার বিরুদ্ধে জানান দেয়ার জন্য ই হেফাজতের জন্ম ...। আর আওয়ামীলিগ চিরদিনের জন্য তার জন্ম ইতিহাস ভুলে বাম হয়েছে! আওয়ামীলিগের মৃত্যু হয়েছে তাজউদ্দিনের যেই দিন মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করেছেন সেই দিন। তারপরে থেকে এইটা লেমিটেড কোম্পানী অফ মুজিব ফ্যামেলি হয়েছে। চাটুকারী চেতনাই এইটার সম্বল। অথবা বটতলার উকিলদের কম্বল।

পোষ্টের বিষয়বস্তুর বাহিরে কিছু কথা বলেছি ...।। সরি

০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: " শাহবাগীদের প্রাথমিক উম্মাদনা দেখেই বুঝতে বাকী থাকে না যে এরা কারা! সরকারের চেয়ে শক্তিশালী তারা! আর আওয়ামীলিগ নিজেই চায় না সঠিক এবং বিতর্কমুক্ত ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের অথবা মানবতাবিরুধীদের বিচার হোক! আমার এ কথায় অবাক হবেন না! এইটা বাস্তবতা। শাহবাগীদের উগ্র বাঙালী জাতীয়তাবাদে ই সব শেষ হয়নি তারা ধর্ম বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে ভেবেছে জামাত নাই তো ইসলাম নাই! সেইটার বিরুদ্ধে জানান দেয়ার জন্য ই হেফাজতের জন্ম ..."

না, অবাক হইনি । বরং এটাই বাস্তবতা । এগুলো হল অপ্রিয় সত্য । নিউটনের সূত্র অনুসারে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । শাহবাগীদের উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কারণেই হেফাজতের জন্ম এইবষয়ে কোন সন্দেহ নেই ।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৪০

হরিসূধন বলেছেন: হাসিনা সরকারের মনে করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার খেলা এবং শাহবাগ দিয়ে তারা পার পাবে আসল ইস্যু কে আড়াল করে! সাবেক বিচারপতি(যারে বিচারপতি বলতে আমার ঘৃনা হয়) খায়রুল হকের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায় ই বলে দেয় এই সরকার কি চায়। আর খায়রুল হক প্রমান করেছে সে জুড়িশিয়াল কালপিট যার কাছে দেশ বড় ছিল না! সে নাকি কোন পীরের নাকি মুরিদ!! দেওয়ানবাগী মনে হয় আর হাসিনা নিজেই পীর সেজে আবালদের কে মুরিদ করে নিয়েছে!! কিন্তু শেষের সব কিছু হবে আমাদের ইচ্ছে ই না ওবামা ভাই এ ভারতের ইচ্ছাই কি চায় তার উপর ।

০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা । ভাল থাকবেন সবসময় ।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: কতটা নিংস্সতা চালানো হেয়েছে তা দেখেই বুঝা যায়

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা । আমার তো মনে হয় এই গোলাগুলি ও খুনাখুনির সংস্কৃতি কেবল শুরু হল । দেখুন এরপরে আরো কি হয় ! ( আল্লাহ না করুক) । সরকার যেমন ব্যার্থ তেমনি বিরোধী দলও ব্যার্থ । জনগণ যাবে কোথায় ? আর এদের ব্যার্থতার কারণেই হেফাজতিদের উদ্ভব হয় আর প্রাণ দেয় এরাই । নিউটনের সূত্র অনুসারে প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । শাহবাগীদের উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণেই হেফাজতের জন্ম । তাদের সমাবেশের আগেই খালেদা বলেছিলেন হেফাজতিদের সাহায্য করতে । ভাল কথা, বিএনপি কতটুকু সাহায্য তাদের করল ? যারা মারা গেছে তারা সব হেফাজতিই । সেই মাদ্রাসার নিরীহ ও সহজ সরল ছাত্ররাই ।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: সাবাল যাওয়া কিন্তু শাহাবাগ যে আনেক শিশু গেল???

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: যে শিশুরা মতিঝিল গেছে, তারা কি খুন হবার জন্য গেছে ??? নাকি যারা নিয়ে গেছে তারা খুন করাবার জন্য গেছে ?? ব্যপার মোটেই তা নয়।


বর্তমান সরকারের ব্যপারে সাধারন মানুষের যা মত, আমার তাই মত। কিন্তু তারা যে নিজের পেটের রাজনীতি করে তা সকলের সামনে স্পষ্ট । তাই তো, যখন বিরোধী দলগুলো হেফাযতের সাথে যোগ দেয়ার পাঁয়তারা করছে তখন নিজের আসন টালমাটাল দেখে ভোরের আগেই আন্দোলন হটিয়ে দিতে হল। জনগনের রাজনীতি করলে এই মানুষগুলোকে হত্যার নির্দেশ দেবার আগে অবশ্যই অন্তরাত্মা কেপে উঠত।


তবে ব্যপার আসলে ঐটা না । আমার মতে সরকার ( আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত, জাপা বা আর যাই হোক) নিজের মতবাদে এতটা অটল থাকার পিছনে কাজ করছে কোন চাপ। যা খুবই শক্তিশালী । হয়ত আমাদের সরকারের থেকেও বেশি। আমাদের সবার থেকেই বেশি । তারা কোথাও প্রকাশ্য, কোথাও অপ্রকাশ্য।

তাই যেই আসুক না কেন , কম আর বেশি, এমন পদক্ষেপ (বিশেষ একটা গোষ্ঠীকে যেমনে পার তেমনে দমাও নীতি) আরও দেখা যাবে বলে মনে হয়। কারন অইসব শক্তির বিরুদ্ধে আবার আমরা দাঁড়াতে ভয় পাই । তাছাড়া আমরা শুধু এটাই বলতে পারি, কাজের ওপর চাপ থাকলেও প্রসাশনের কেউ কেউ হয়ত বেশ আন্তরিকতার সাথেই উপরের দায়িত্বটা পালন করছেন।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.