নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়া সংকট : এর শেষ কোথায় ?

০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

সাবেক মার্কিন পররাস্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিন্জার একবার বলেছেন-মিশর ছাড়া আরবরা যুদ্ধ করতে সক্ষম নয়। আর আমি বলতেছি সিরিয়া ছাড়া আরব ও ইরান ইসরায়েলকে থামাতে সক্ষম নয়। যদি কোন ভাবেই আসাদের পতন ঘটে ১০০% নিশ্চিত করে বলা যায় হিজবুল্লাহরও পতন বিশ্ববাসী অচিরেই দেখবে। হিজবুল্লাহর পতন হলে লড়াকু ও নির্ভিক হামাসের মুত্যৃ নিয়ে ভবিষ্যৎবানী করার কোন প্রয়োজন নেই । আর সিরিয়া না থাকলে ইরানকে হয়তো মার্কিন বিরোধী ভূমিকা পরিত্যাগ করতে হবে অথবা নিজেকে জ্বলে পুড়ে মরতে হবে । আর রাশিয়া ও চীনের মত দেশগুলিও এ থেকে বাদ যাবে না । সেই আগুন তাদেরও স্পর্শ করবে।কারণ সিরিয়া বধের পরের দৃশ্যে আছে ইরান বধ আর সেখানে সফল হলে যুক্তরাস্ট্রের নেতৃত্বাধীন হায়েনার দল চাপ বাড়াবে রাশিয়া, চীন ও ভারতের মত দেশগুলির উপর তাদের খেয়াল খুশিমত চলতে।



আর সুচতুর ইসরায়েল এই সুযোগে অবশিষ্ট ফিলিস্তিন ভূমি ও হয়তো আরবের কিছু অংশ লাইক ১৯৬৭ দখল করে নিবে কারণ ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করার মত কোন শক্তি আর তখন নেই । মেরুদন্ডহীন ও মর্কিন পাপেট আরবরা সাময়িক লাভের জন্য যে ভূল পথে পা বাড়িয়েছে বুক চাপড়ানো ছাড়া প্রায়শ্চিত্ত করার মত তাদের আর কিছু থাকবে না !



রাশিয়া সেটা ভাল করেই বুঝেছে । লিবিয়ায় সফল হয়েছে পশ্চিমারা, এবার সিরিয়া বধের চেষ্টা চলছে, তারপরে হয়তো বধ হবে ইরান তারপর রাশিয়া ও চীনও । তাই তো রাশিয়া পশ্চিমা ও ইসরায়েলের শত বাধা উপেক্ষা করে সিরিয়ায় পাঠালো মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এস -৩০০ !অবশ্য পরে রাশিয়া অস্বীকার করেছে তবে রাশিয়া সিরিয়াকে অন্যান্য সামরিক সহায়তা দেওয়া অব্যহত রেখেছে।সিরিয়াকে মিগ-২৯ এর উন্নত সংস্করণ দেওয়ার জন্য নতুন করে আলোচনা করতেছে ! এইসব সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন রাশিয়াকে।



সিরিয়াকে নিয়ে খেলা জমে উঠেছে । তবে এই খেলায় বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সিরিয়ায় বর্তমানে যা হচ্ছে তাকে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু বলা যায় না । একদিকে সিরিয়ার জঙ্গী গোষ্ঠী ওহাবী ও সালাফি ও এদের দোসর পাপেট আরব শাসকগণ, তুর্কি, যুক্তরাস্ট্রসহ গোটা ইউরোপ আর অন্যদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ ও তার মিত্র রাশিয়া, ইরান ও চীন । কেউ কাউ কারো চেয়ে কম নয় ।যে সিরিয়া ছিল শিক্ষায় দীক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আরব দেশগুলির মধ্যে অগ্রগামী বিদেশী হায়েনা ও দেশীয় কিছু রাজাকার ও ক্ষমতালোভী মোনাফেকদের কারণে আজ সেই সিরিয়া ধ্বংসের পথে !!!



মূলত যুক্তরাস্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব, পাপেট আরব বিশ্ব ও জঙ্গীরাই এজন্য দায়ী । একটা প্রতিষ্ঠিত সরকার ও প্রতিষ্ঠিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আর যাই হোক যুদ্ধ সমর্থন করা যায় না । ওরা সিরিয়ার নাগরিক নয় -ওরা বিদেশীদের দালাল, পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের পুতুল । পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশ্য আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ায় একটি ধর্মভিত্তিক জঙ্গী সরকার প্রতিস্থাপিত করা । এই ধর্মভিত্তিক জঙ্গী রাস্ট্রের বিষ থাকবে কিন্তু কোন বিষ দাঁত থাকবে না । কারণ তাদের বিষে জর্জরিত হবে সিরিয়াসহ পুরো্ আরব বিশ্ব কিন্তু বিষদাঁত না থাকার দরুণ তারা যুক্তরাস্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য কোন হুমকি হবে না, যেমন সৌদি । আর সিরিয়ায় এই দালালরা যাদের বেশির ভাগই বিদেশী নাগরিক তারা সিরিয়ার ক্ষমতায় আসলে শুধু সিরিয়ার জনগণ নয় ওরা সারা বিশ্বের জন্যই বিপদ ! আফগনিস্থানে তালেবানদের সহযোগীতা করেছিল যুক্তরাস্ট্র, পাকিস্থান, সৌদি সহ গোটা পশ্চিমা বিশ্ব আর আজকে আফগানিস্থানের করুণ পরিণতির কথা সবার জানা আছে।



তবে এটা এখন পরিষ্কার সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন হচ্ছে না fআর এটা আর এখন কোন ভবিষ্যৎবানী নয়।কোন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা না থাকলে আন্দোলন শুরু হওয়ার এরকম দুই বছর পরেও টিকতে পারত না এটাতে কোন সন্দেহ নেই । আমি এর আগেই এই বিষয়ে লিখেছিলাম সেখানে বলেছি সিরিয়ার গণআন্দোলনের শুরুতে যারা ভেবেছিলেন আসাদের পতন সময়ের ব্যাপার তারা ভূল হিসাব কষেছেন । সিরিয়ার রাজনৈতিক সমীকরণ এত সহজ নয় । সিরিয়ার বর্তমান শাসনযন্ত্রের সাথে জড়িত আছে পরাশক্তি ও আঞ্চলিক পরাশক্তিদের ভাগ্য । এই খেলায় যারা জয়ী হবে তারাই হবে নতুন মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রনকর্তা !



লিবিয়াতে রাশিয়া ও ইরান সেরকম বলিষ্ঠ কোন ভূমিকা নিতে পারেনি -সত্য কিন্তু এর অনেক কারণও ছিল যা গাদ্দাফির অস্থির ও ভ্রান্ত নীতিই মূলত দায়ী। কিন্তু সেই দিক দিয়ে আসাদ সরকারের কোন দুর্বলতা নেই । আর আরব দেশগুলির মধ্যে সিরিয়াই একমাত্র ইরান, রাশিয়া ও চীনের বিশ্বস্ত মিত্র । তাই ইরান ও রাশিয়া কিছুতেই হারাতে চায় না এই মিত্রকে । ইরান তো ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে তারা যে কোন মূল্যে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতন ঠেকাবে। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের প্রত্যাশা রাশিয়া, চীন ও ইরান বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও যুক্তরাস্ট্রের আগ্রাসী রাশ টেনে ধরতে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক ।



জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানুষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।







সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আমার আগের দুটি আর্টিকেল -



ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে সিরিয়া ( ১ম পর্ব)



ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে সিরিয়া ( ২য় পর্ব)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ২:৪২

বাংলার হাসান বলেছেন: জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানুষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

০২ রা জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই ।

২| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম।

আর হ্যাঁ বিসিএস কেমন হলো জানাবেন।

০২ রা জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: বিসিএস তো দিয়েছি ভালই । আশা করি প্রিলিমিনারী হবে .....এখন পরের পর্বের অপেক্ষায় । ভাল থাকবেন হাসান ভাই ।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

সিরিয়া দখল হয়ে যাবে ইহুদীদের হাতে এটাই হল কেয়ামতের লক্ষণ আর এটি হবেই এবার মনে হচ্ছে।

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: কান্ডারী ভাই, মনে হয় না সিরিয়া ইহুদীদের দখলে যাবে । আসাদের পতন সহজে হচ্ছে না । হয়তো এভাবে যুদ্ধের মাধ্যমে হবে না । তবে সিরিয়ার গেমের উপর নির্ভর করতেছে ভবিষ্যৎ মধ্যপ্রচ্যে কে নিয়ন্ত্রন করবে ।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

সোলায়মান আশরাফ বলেছেন: সিরিয়া নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সে ষড়যন্ত্রে পা দিয়েছেব মিশরের শায়খ কারাদাভির মত বিশিষ্ট আলেমও। তিনি বাহরাইন কিংবা সৌদি রাজাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি কিন্তু আসাদের মত একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়েছেন। সিরিয়ায় বিদ্রোহীরা বিজয়ী হলে সরকার প্রধান হবে জর্জ সাবরার মত কোনো খ্রিষ্টান কিংবা সেক্যুলার মুসলমান। এতে মুসলিম বিশ্বের কোনো লাভ হবে না। অথচ কারাদাভিরা তা বুঝার চেষ্টা করছেন না!

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হা সমস্যাটা সেখানেই । সত্য ও বাস্তবতার চেয়ে আবেগ ও সাম্প্রদায়িকতা যখন বড় হয় তখন সেখানে মানবতা বলে কিছু থাকে না । তখন মানবতার জায়গাটি দখল করে নেয় দূনীর্তি, অব্যবস্থাপনা, কুসংস্কার ও বর্বরতা । আর সেখানেই নৈতিকতার চরম পরাজয় ঘটে। তখন বিশ্ব শান্তি বিনষ্ট হয়, সমাজে অশান্তি বাড়ে ও সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট হয় । শুরু হয় ঘরে ঘরে যুদ্ধ । লড়াই বাধে শিয়া-সুন্নীর, লড়াই বাধে হিন্দু-মুসলমানের বা খ্রীস্টানের। এই সত্যগুলো তথাকথিত বিশিষ্ট আলেম কারাদাভির জানা আছে কিনা জানা নেই ।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৮

যুবায়ের বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষণমূলক একটি লেখা...
ভালোলাগা++

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১১:২২

যুবায়ের বলেছেন: রাশিয়াকে অভিনন্দন....এবং রাশিয়া যেন সময়মত
ঝোপ বুঝে কোপ মারে এমনটাই প্রত্যাশা করি।
আম্রিকা যেমুন রাশিয়াকে ভেঙে তছনছ করেছে তেমনি
রাশিয়া যেন আম্রিকার দম্ভ,অহংকার এবং যুলুমের প্রতিশোষ নেই।

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইনশাল্লাহ যুক্তরাস্ট্রের পতন শীগ্রই হবে । ইরান, রাশিয়ার নেতৃত্বে নতুন মধ্যপ্রাচ্য গঠিত হতে যাচ্ছে সেই মধ্য প্রচ্যে যুক্তরাস্ট্রের কোন জায়গা হবে না ।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:১৭

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আর মাত্র কয়েকটা দেশ , তারপর সব কিছু চলে যাবে দুষ্টুদের দখলে !!! :(

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হা ঠিক বলেছেন পাইলট ভাই । তবে সিরিয়াতে পশ্চিমারা সফল হলে মার্কিন বিরোধী দেশগুলির জন্য সমূহ বিপদ । কারণ এরপরেই হবে তাদের পালা । আশা করতে পারি সেটা হবে না

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪০

ভালো থাকতে চাই বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন , আমি অনেক দিন ধরে এরকম একটা লেখা খুজছি ।
আজকে এখানে কমেন্ট দেয়ার জন্যই প্রায় একবছর পর লগিন করলাম ;)
বাট ইদানিং দেখলাম মুরসি ও সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক চিহ্ন করেছে । মুসলিম ব্রাদারহুড (ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েমের জন্য যাদের হাজার হাজার লোক জীবন দিয়েছে ) এর একজন নেতা কিভাবে এ কাজ করলো আমার মাথায় ধরেনা । বাট বুঝা যাচ্ছে এখানে বিরাট একটা ঘাপলা আছে । আমি কনফিউজড কাকে সাপোর্ট করবো । তবুও আমেরিকা যেখানে সাপোর্ট দিয়েছে সেখানে সাপোর্ট দেয়া যায়না বলেই মনে হয় ।

২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ । আসলে সিরিয়া ইস্যুটা খুবই জটিল । কেউ সাদা চোখে দেখলে বিভ্রান্ত হওয়াই স্বাভাবিক কিন্তু এখানে শুধু আসাদ উৎখাতই প্রধান উদ্দেশ্য নয় কারণ সিরিয়ার রেজিম চেন্জ এর সাথে সাথে মধ্যপ্রচ্যের রাজনীতির অনেক পরিবর্তন জড়িত । এর মধ্যে আছে এরপর হিজবুল্লাহেক ধ্বংস করা, এরপর হামাস তারপর ইরান । আর সবশেষে ইসরায়েল কর্তৃক বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা । বৃহত্তর ইসরায়েল এটা আর একটা বড়সড় আলোচনার বিষয় । সময় সুযোগ হলে সে নিয়ে একদিন লিখব । যাইহোক, অস্ত্রের ব্যবসাও এখানে জড়িত আর আছে মধ্যপ্রচ্যের তেল সম্পদের লুটপাট ।



মুরসির সাথে সিরিয়ার সম্পর্কের পরিবর্তনটা হয়েছে গদি রক্ষার জন্য । না হলে প্রভূ ইসরায়েল নাখোশ হবে আর প্রভূ ইসরায়েল নাখোশ হলে বড় প্রভূ আমেরিকাও নাখোশ হবে । তখন গদি ধরে টানাটানি শুরু হবে । বুঝতেই পারছেন গদি রক্ষাতে প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে যা করা লাগে করতে হবে । কিন্তু জনগণ জেগে উঠলে এই প্রভূরাও পালানোর পথ খুজে পাবে না । যেমন হয়েছিল ইরানে ১৯৭৯ সালে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.