নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন দরকার : যুবসমাজ জাগবে কবে ?

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫



আমাদের রাস্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, দুনীর্তির জন্য মূলত দায়ী উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আমাদের শাসন ব্যবস্থা । ব্রিটিশরা একটা চাটুকার প্রজন্ম সৃষ্টি করে এ দেশ শাসন করেছে। পাকিস্থানীরাও তাই করেছে । বিট্রিশ ও পাকিস্থানীরা চলে গেছে বটে কিন্তু তাদের সৃষ্টি করা সেই তোষামোদী ও চাটুকারী প্রজন্ম আমাদের শাসন ও শোষন করতেছে । এজন্য আমাদের শাসন যন্ত্রের পরিবর্তন দরকার । বর্তমান শাসন বাবস্থায় আমরা কোন সন্তোষজনক ফল পাব না । আওয়ামীলীগ ও বিএনপি একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ । উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।তরুণ সমাজ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হলেই এর আশানুরুপ ফল পাওয়া যেতে পারে । অন্যথায় এই চাটুকারী ও তোষামোদী প্রজন্ম আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শাসন ও শোষন করে যাবে । আর এর পরিণাম যারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন নয় তাদেরও ভোগ করতে হচ্ছে ও আরো কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।



আমাদের দেশের অনেকেই রাজনৈতিকভাবে সচেতন নয়। ভাবে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবো কেন ? আবার অনেকেই ফেসবুকে লিখে রেখে- I hate politics ! এই সব শ্রেণীর লোকদের জন্যই আজকে দেশের এই অবস্থা ।এরা মনে করে, দেশ নিয়ে ভাবার দরকার নাই। মোটামুটি কিছু উপার্জন, বাজার করি, দুবেলা তিনবেলা খেয়ে মনের সুখে ঘুমাই। দেশ নিয়ে ভাবার দরকার কি? কিন্তু আপনিতো কষ্ট করে কামালেও খেতে পারবেন না। রাস্তা দিয়ে চললে চান্দাবাঁজ ধরবে, সন্ত্রাসী ধরবে। চান্দা না দিলে ছেলেকে ধরে নিয়ে যাবে, মেয়েকে ধরে নিয়ে যাবে, কিডন্যাপ করবে। অথবা যে বিল্ডিং এ আপনি কাজ করেন দুদিন পর দেখেবেন সেই বিল্ডিং আপনার মাথায় মাটির গুড়ার মত ভেঙ্গে পড়ছে । হয় আপনাকে মরতে হবে নতুবা সারাজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে ! চাকুরী খুজছেন, টাকা লাগবে দশ বিশ লাখ টাকা ! আবার ধরুন, কষ্ট করে একটা দোকান দিলেন। পরের দিন এসে হাজির হবে চান্দা দাও। নইলে জানটা হারাতে হবে। তাই শুধু কামাই করা আর খাওয়া নিয়ে মেতে থাকলে চলবে না। দেশ নিয়েও ভাবা দরকার ।





বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা আওয়ামলীগ নয় বিএনপিও নয় । প্রধান সমস্যা হল জনগণের মানসকিতা । উত্তরাধিকারসূত্রে আমাদের একটা চাটুকারী প্রজন্ম সৃষ্টি হয়ে গেছে । এই চাটুকারী প্রজন্মই গৃহবধু ও অন্দোরমহল থেকে অনেককেই রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন আবার আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজনীতি থেকে বিদায় নিলে এদের দুই পরিবার থেকে কাউকে না কাউকে আবার নিয়ে আসবেন ।তাই যারা মনে করেন হাসিনা-খালেদা রাজনীতি থেকে বিদায় নিলে দেশের একটা পরিবর্তন আসবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করতেছেন । এই চাটুকারী প্রজন্মকে রাজনীতি থেকে বিদায় করতে না পারলে দেশের কোন পরিবর্তন আসবে না । এই চাটুকারী প্রজন্ম সুষ্টির মূল কারণ হল উপনিবেশবাদ থেকে নব্য উপনিবেশবাদে স্থানান্তর । এটা এক ধরণের অভ্যন্তরীণ পরাধীনতাও বলা যায়।



উপনিবেশিকতার মানসিকতায় আক্রান্ত জাতি তার স্বকীয়তা হারিয়ে যখন কোন কোন মানবকে দেবতার আসনে অধিষ্ঠীত করে তখন সেখানে ব্যাক্তি পূজা শুরু হয় আর সেই দেবতাকে তুষ্ট করতে যেয়ে চাটুকারী প্রজন্ম ভূত-ভবিষ্যৎ না ভেবেই দেশকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে গেছে যেখান থেকে বের হওয়া খুবই দূরহ ব্যাপার । এই চাটুকারী ও তোষামোদী প্রজন্ম তাদের তোষামোদী ও মোসাহেবী কার্যক্রম চিরস্থায়ী করার জন্য আমাদের সংবিধানকে ব্যবহার করেছে । বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যা পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী ভোগ করেন না ! তাই তো শ্রদ্ধেয় আকবর আলী খান যথার্থই বলেছেন, ’বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা মোঘল সম্রাটের চেয়েও বেশি ।’ আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ যদি কোন ফেরেস্তোকেও দেওয়া যায় তাহলেও Omnipotent Authority হওয়ার কারণে সেই ফেরেস্তাও স্বৈরাচার হতে বাধ্য । দোষ তাই শুধু হাসিনা-খালেদার নয় । দোষ হল চাটুকারদের, দোষ হল সংবিধান রচয়িতাদের। দেবতাকে তুষ্ট করতে যেয়ে তারা জাতিরও সর্বনাশ করে ছেড়েছেন !



তবে প্রসঙ্গক্রমে বলা ভাল- আজকের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে কোন রাস্ট্রই আর তার জনগণকে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না সেটা আজ হোক আর কাল হোক। বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা অব্যহত থাকলে যেমন জন্ম হয় না ভিন্নমতাবলম্বীর ( Dissident) তেমনি জন্ম নিতে পারে না উগ্রবাদের ( Extremism/Militant)। সবার এটা মনে রাখা উচিৎ রাস্ট্রযন্ত্র ( Regime) ও রাস্ট্র ( State) দুটোই আলাদা প্রতিষ্ঠান । রাস্ট্রের সমালোচনা করা অবশ্যই দেশদ্রোহীতা( ‍Sedition), কিন্তু রাস্ট্রযন্ত্রের আলোচনা ও সমালোচনা করা প্রত্যোকটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই পরিবর্তন অবশ্যই হবে । সেদিনটা বেশি দূরে নয় । এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পরিবর্তন কোন সেনা শাসক, রাজা বাদশাহও ঠেকাতে পারবে না যদি তারা জনদরদী না হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৮

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: উত্তরাধীকার সুত্রে রাজনৈতীক অবস্থান দেশের রাজনিতীকে ধংস করছে ।এর বেশি কিছু বলার নেই ।

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আমাদের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

মুশাসি বলেছেন: I hate politics দেয়াটা একটা ফ্যাশান

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ মুশাসি ভাই । হা এটা এখন অনেকটা ফ্যাশনই বটে তবে আমাদের এই ধরণের মানসিকতা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে যদি আমরা দেশের পরিবর্তন চাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.