নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লামা শফীর তেতুল তত্ব এবং শ্লীলতা্ ও অশ্লীলতা্।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

অবশেষে হেফাজতের বিবৃতিই প্রমান করিল আল্লামা শফির তেতুল তত্ব সংক্রান্ত ওয়াজ সত্য। হেফাজতের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে আল্লামা শফির বক্তব্য খন্ডিত ও বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে হেফাজতের আমির নাকি এসব রুপক অর্থে ব্যবহার করেছেন । তাহলে হেফাজতের উচিৎ শফি সাহেবের পুরো ওয়াজের ভিডিও প্রকাশ করা । আর সহশিক্ষা, গার্মেন্সকর্মী বিভিন্ন নারী ইস্যুতে আজ যেসব প্রশ্ন উঠেছে সেসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর হেফাজতের পক্ষ থেকে ও বাংলাদেশের আলেম সমাজের পক্ষ থেকে দেওয়া উচিৎ । কারণ যদি হেফাজত মনে করে আমাদেরকে নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে তাহলে সেই বিভ্রান্তি তাদরেই নিরসন করা উচিৎ ।আর ইসলাম হেফাজতের বক্তব্যকে সমর্থন করে কিনা ও বাংলাদেশের আলেম সমাজ এ বিষয়ে কি ভাবেন তারাও হেফাজতের বক্তব্যের সাথে একমত কিনা সে বিষয়ে আলেম সমাজের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। আর সহশিক্ষা হলেই ইভটিজিং হবে এ ধারণাটাও অমূলক । ধর্ষন ও ইভটিজিং এর সাথে সহশিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই । বরং হেফাজতের মন্তব্য ইভটিজার ও ধর্ষকদেরই উস্কে দিবে তাদের অপকর্ম জায়েজ করতে। সহশিক্ষার মাধমে ছেলে মেয়ে একে অপরকে জানতে পারে বুঝতে পারে এবং পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা তৈরি হয় যা টেকসই সমাজ গঠন ও উন্নয়নের জন্য জরুরী।তাছাড়া, ইসলামের প্রগৈতিহাসিক কাল অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (স) এর সময়েই নারী পুরুষ একত্রে শিক্ষা গ্রহন করত ও এক সাথে নামাজ ও জুম্মার নামাজও আদায় করেছে ।



নারী বিষয়ে হিফাজতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির বাইরেও কিছু কথা আছে । প্রশ্ন হল হঠাৎ করে হেফাজতের আমির তথা শফী সাহেবের ওয়াজ নিয়ে এত তোলপাড় কেন ?



যদি কাউকে পরাজিত করতে চাও তাহলে তার চরিত্র হনন কর । এটা রাজনীতি নয় যুদ্ধের একটা কৌশল কিন্তু রাজনীতি যখন অপরাজনীতি হয় তখন প্রতিপক্ষের চরিত্র হননও একটা কৌশল । ড. ইউনুস সাহেব বাংলাদেশেসহ সারা বিশ্বের একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসবেন এই ঘোষনা দেওয়ার পর তাকে নিয়ে বাংলাদেশে কি না হয় নি আর কি না বলা হয় নি ! এমনকি প্রধান এক দলের নেত্রী ইউনুস সাহেবকে সুদখোর ও গরীবের রক্তচোষা হিসাবে অভিহিত করেছিলেন । শেষমেষ ইউনুস সাহেব মাঠে না নেমেই খেলার সমাপ্ত ঘোষনা করেছিলেন !



বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এমন এক পর্যায় দাড়িয়েছে আপনি যেদিকেই যান একটা উপাধি পাবেন । হয় নাস্তিক আর না হয় জামাত-শিবির ! আর নিরপেক্ষ কথা বললে দুই উপাধি পাওয়ার সৌভাগ্য আপনার হবে এ নিয়ে সন্দেহ নেই ।তবে দুই উপাধি পেলে ধরে নিবেন আপনি সঠিক পথে আছেন ।



আল্লামা শফি সাহেব তার কোন এক ওয়াজে কি বলেছিলেন তা নিয়ে এখন মিডিয়া জগতে তোলপাড় । যতটুকু জানা যায় এই ওয়াজটা আজকের নয় । হেফাজতের আন্দোলনেরও নাকি আগের । তাহলে এটার সমালোচনা ও আলোচনা এখন কেন ? কারণ ঐ যে তিনি এখন রাজনীতির একজন খেলোয়ার বা নিয়ামক ! তিনি আগে নায়ক ছিলেন না কিন্তু এখন যখন নায়ক হয়েছেন তাকে খল নায়ক বানানোর চেষ্টা চলছে । এরকম তেতুল তত্বের ওয়াজ বাংলাদেশের হুজুরেরা হরহামেশাই করে থাকেন । তাহলে আমাদের মিডিয়া সেসময় চুপ থাকে কেন ? হুজুরেরা ওয়াজে কি বলেন আমার মনে হয় এইসব মিডিয়াতে ফোকাসিং হওয়া উচিৎ । কারণ তখন হুজুরদের বাড়াবাড়ি অনেকটাই হয়তো প্রশমিত হবে ।এরকমও শুনেছি, কোন কোন হুজুর নাকি তার ওয়াজে এরকম অশ্লীল কথা বার্তাও বলেন যা সেখানে নিজ রক্ত সম্পর্কের মানুষ এক সাথে সেই ওয়াজ উপভোগ করতে পারেন না ! আসলে মুসলিম সমাজের আলেম সমাজের জ্ঞানজগতে পশ্চাৎপদতার কারণেই এরকমটা হয়েছে বা হচ্ছে । এজন্যই হুজুরদের মুখ থেকে বলতে শুনা যায় ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট লিখা হয় !



শফি হুজুরের শুধু তেতুল তত্বই নয় গার্মেনস্ট মেয়েদের নিয়ে করা মন্তব্য ও নারী শিক্ষার ব্যাপারে করা মন্তব্যও গ্রহনযোগ্য নয় কিন্তু কথা সেখানেই নয় শব্দ চয়ন ও ভঙ্গিমা শুধু আল্লামা শফি সাহেবরই নয় তার চেয়েও ভয়ংকর অশ্লীল শব্দ আমাদের সাহিত্য ও মিডিয়া জগতে পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে । আমি এরকম বিখ্যাত কয়েক জনের লেখাও পড়েছি ।হুমায়ুন আজাদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, তসলিমা নাসরিন, নির্মলেন্দু গুণসহ অনেকেরই লেখাই পড়েছি । যেমন, নির্মলেন্দু গুণের কবিতার কয়েকটা লাইন তুলে দিচ্ছি ..



লিপিস্টিক

নির্মলেন্দু গুণ



”ট্যাকা কি গাছের গুডা?

নাকি গাঙের জলে ভাইস্যা আইছে?

এই খানকী মাগীর ঝি,

একটা ট্যাকা কামাই করতে গিয়া

আমার গুয়া দিয়া দম আয়ে আর যায়।”



লক্ষ্য করুন, খানকী মাগীর ঝি -বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে ? নিশ্চয় নারীদের ।

আরো আছে,



মাসিক হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেক মেয়ে পুরুষদের আকর্ষণ করা শুরু করে দেয় ।-- শিরষেন্দু মুখোপাধ্যায়



গর্ভবতী নারী দেখতে অনেকটা গর্ভবতী পশুরই মতো।-- হুমায়ুন আজাদ



প্রত্যেক মেয়েই নিজের জন্য একটা নুনু চায় । এই নুনু এর জন্য পুরুষদের হিংসা করে ।-- ফ্রয়েড।



তবে আজকে কোন কবি সাহিত্যক রাজনীতির মাঠে হিরো হলে কালকেই উনি কোন কবিতার কোন লাইনে কি বলেছেন সব হরহর করে মিডিয়ায় চলে আসবে । তসলিমা নাসিরিন, হুমায়ুন আজাদ, সৈয়দ সামসুল হক, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়েরও অনেক নারী সংক্রান্ত লেখায় নারী অবমাননাকর শব্দ বা অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেছেন । তাই আমাদের সমাজে এসব নতুন কিছু নয় । খোদ আমাদের মহান জাতীয় সংসদেও এরকম অশ্লীল শব্দ নিয়ে তুমুল হৈ ছৈ হয়ে গেল !



প্রশ্ন হল, শফী সাহেব যদি হেফাজতের আমির না হতেন বা রাজনীতির ময়দানে পা না রাখতেন তাহলে কি তার এইসব বক্তব্য অগোচরে থেকে যেত ? এরকম কতশত হুজুর গ্রাম বাংলার সহজ সরল মানুষদের এরকম ওয়াজের মাধ্যমে শিক্ষায় অনুৎসাহিতসহ নারীদের গৃহে বন্দী করার জন্য প্রতিদিন হাজারো ফতোয়া দিচ্ছেন সে বিষয়ে আমরা সচেতন নই কেন ? শুধু রাজনীতিবিদ হলেই তিনি মিডিয়ায় আলোচিত ও সমালোচিত হবেন তা তো হতে পারে না ? কারণ দেশটা আমাদের সবার । আমাদের সব শ্রেণীর মানুষের কথা ও কাজের গুরুত্ব দিতে হবে । সবাইকে লাইম লাইটে নিয়ে আসতে হবে এমনকি আমসাদের কবি সাহিত্যকদেরও। কারণ সমাজের কোন একটা অংশকে অন্ধকারে রেখে আমরা সামনের দিকে যেতে পারব না ।



কে জানি একজনকে বলেছিল, আমি আমার পূর্ব পুরুষদের সম্পর্কে জানি না । অনেক গবেষনা করেও সেটা জানতে পারি নি । আপনি কি আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন ?



তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আজকে রাজনীতিতে নেমে পড়েন । কালকেই আপনি আপনার পূর্ব পুরুষের চৌদ্দ গোষ্ঠীর ইতিহাস জানতে পারবেন !!!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

ইমরুল_কায়েস বলেছেন: আপনার কথাগুলো বাস্তব

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

কাকপাখি ২ বলেছেন: সহশিক্ষা ও ধর্ষনের সাথে ইভটিজিং এর কোন সম্পর্ক নেই ???

ধর্ষনের সাথে ইভটিজিং এর কোন সম্পর্ক নেই ???

মিয়া, আফনের মাথা তো পুরাই খারাপ। X(

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আসলে এটা টাইপিং মিসটেক । ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । এডিট করে দিয়েছি।

ধর্ষন ও ইভটিজিং এর সাথে সহশিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই । বরং হেফাজতের মন্তব্য ইভটিজার ও ধর্ষকদেরই উস্কে দিবে তাদের অপকর্ম জায়েজ করতে। সহশিক্ষার মাধমে ছেলে মেয়ে একে অপরকে জানতে পারে বুঝতে পারে এবং পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা তৈরি হয় যা টেকসই সমাজ গঠন ও উন্নয়নের জন্য জরুরী।তাছাড়া, ইসলামের প্রগৈতিহাসিক কাল অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (স) এর সময়েই নারী পুরুষ একত্রে শিক্ষা গ্রহন করত ও এক সাথে নামাজ ও জুম্মার নামাজও আদায় করেছে ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

গত শুক্রবারে জুম্মার নামাযের সময় রাস্তায় আটকে ছিলাম জ্যামে ...তখন এক হুজুরের যা বক্তব্য শুনলাম আর দেখলাম সেখানে বাচ্চা ছেলেরাও বসে আছে...!

সত্যিই বিব্রতবোধ করছিলাম । এগুলি আসলেই মিডিয়ায় আসা উচিত ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.