নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গভীর সংকটে মিসর ও আন্ডারগ্রাউন্ডের পথে কি ব্রাদারহুড ?

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২১



মিসরের যা ঘটে গেল তা তুচ্ছ কোন বিষয় নয় বা এড়িয়ে যাওয়ার মত কোন ঘটনাও নয় । মুরসির উৎখাত ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের জন্য এক বড়সড় ধাক্কা বিশেষ করে যেসব ইসলামপন্থী গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। পাকিস্থানের সাংবাদিক হামিদ মীর এ বিষয়ে সুন্দর একটি কলাম লিখেছেন । তিনি আল কায়েদার অন্যতম শীর্ষ নেতা আইমান আল জাওয়ারীর সাথেও দেখা করেছিলেন। আইমান আল জাওয়ারী প্রাথমিক জীবনে মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে মিসরের গামাল নাসের সরকার ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জেলে পুড়েন ‍ও চরম নির্যাতন করেন ব্রাদারহুড নেতাদের । ব্রাদারহুডের অধ্যাতিক নেতা ( Spiritual Leader) সাইয়েদ কুতুবের ফাঁসি দেওয়া হয় ও নাসের সরকারের চরম নির্যাতন ভোগীর মধ্যে আইমান আল জাওয়ারীও ছিলেন । জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ব্রাদারহুডের নেতাদের সাথে তার মতানৈক্য হয় কারণ জাওয়ারীর প্রস্তাব ছিল সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে মিসরের স্বৈরাচারী সরকারের উৎখাত কিন্তু ব্রাদারহুড নেতাগণ তাতে সায় না দেওয়াতে তিনি ব্রাদারহুড পরিত্যাগ করে পরবর্তীতে আল কায়েদায় যোগ দেন !



অবশ্য শুধু আইমান আল জাওয়ারী নন । বিশ্বের বেশির ভাগই ইসলামিক মিলিট্যান্টরা তাদের জীবনের কোন না কোন এক সময় গণতান্ত্রিক ইসলামি রাজনীতি করতেন । মতের অমিল, আদর্শের সংঘাত, গণতন্ত্রে দীর্ঘকালীন ধৈর্য ও ক্ষমতায় যেয়ে টিকতে না পারা এসব নিয়ামকের কারণে তারা একসময় দলছুট হয়ে যান । এদের মধ্যে কেউ কেউ গোপনে গড়ে তুলেন সশস্ত্র সংগঠন । আইমান আল জাওয়ারী তাদের মধ্যে একজন।



আইমান আল জাওয়ারী হামিদ মীরকে বলেছিলেন, গণতন্ত্রের মাধ্যমে কখনো ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না কারণ সেক্যুলাররা ততক্ষন পর্যন্ত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী যতক্ষন পর্যন্ত তারা ক্ষমতাসীন থাকে । আর প্রতিপক্ষকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে তারা হেন কাজ নেই যে করে না । এ প্রসঙ্গে তিনি আলজেরিয়ার উদাহরণ দিয়েছিলেন । তিনি আরো বলেছিলেন, যেখানে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সেক্যুলারীজম সেখানে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী সরকার টিকে থাকবে কিভাবে ? তাহলে মিসরের বর্তমান ঘটনা কি আইমান আল জাওয়ারীরর কথারই প্রতিধ্বনি করছে না ?



মিসরের বর্তমান ঘটনা আইমান আল জাওয়ারীর কথা প্রতিধ্বনি করলেও জাওয়ারীরা যে সফল তা মোটেই নয় বরং তারা পুরোপুরি ব্যর্থই বলা যায় । কারণ তারা নিজেদের অজান্তেই যুক্তরাস্ট্রের টয়লেট পেপার হিসাবে ব্যবহার হয়েছেন এবং হচ্ছেন এবং তার মত কিছু লোকের কারণেই আজকে শান্তির ধর্ম ইসলাম হয়েছে ইসলাম ফোবিয়া ! আর পশ্চিমা পাতা ফাঁদে পা দেওয়ার কারণেই আজকে প্রতিদিন হাজার হাজার মুসলিমসহ নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে হয় তাদের দ্বারা অথবা যুক্তরাস্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাবিশ্বের দ্বারা !



একথা তো সর্বজন বিধিত যে মুসলমানদের একটা বৃহত্তর অংশ আজ সশস্ত্র যুদ্ধে অবর্তীণ আলজেরিয়ায়, আফগানিস্থানে, সোমালিয়ায়, লিবিয়ায়, মালি, সিরিয়াতেও । হয়তো অদুর ভবিষ্যতে মিসরেও । এদের মধ্যে আল কায়েদা সর্বাধিক পরিচিত ও বিশ্বব্যাপী এদের জঙ্গী নেটওয়ার্ক আছে। এইসব তালেবান, আল কায়েদা ও ওহাবী, সালাফি জঙ্গীদের সৃষ্টির ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাওয়া যায় এরা সবাই কোন না কোন ভাবে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের তৈরিকৃত ও প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে প্যান ইসলামিক রাস্ট্রের গান শুনিয়ে যুক্তরাস্ট্র, সৌদি ও ইউরোপিয়ানরা এদের টয়লেট পেপারের মত ব্যবহার করতেছে । জঙ্গীরা নিজেদের স্বেচ্ছায় ও অনিচ্ছায় সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়ানক হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং জঙ্গীদের সশস্ত্র যুদ্ধের ফলাফল দেখলেই বুঝা যাবে এরা মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের অনুকুলেই কাজ করতেছে । যুক্তরাস্ট্র ও সৌদি মিলিতভাবে এজন্যই গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীদের গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত করে আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠাচ্ছে ! এতে সৌদির যেমন লাভ নিজেদের রাজতন্ত্রকে সুরক্ষা করা ও যুক্তরাস্ট্রের লাভ তাদের ব্যবহার করে কোন একটা দেশ দখল করা , সেই দেশে পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করা ও সেই দেশের সম্পদ লুটপাট করা আর ইসরায়েলের সুরক্ষা দেওয়া ।



আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠানোর সিষ্টেমটা এরকম, প্রথমে তাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার সুযোগ দাও, নির্বাচনে জয়ী হলে কার্যক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের জন্য ক্ষমতাও দাও এবং অর্থনৈতিক অবরোধ ও চাপে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুল তাদের বিরুদ্ধে , তাদের ক্ষমতা গ্রহনের স্বাধ ভুলিয়ে দাও ও সুযোগ বুঝে তাদের রাস্ট্রী ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেল নর্দমায় সেটা হোক সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ও অন্যকোন উপায় । এর উদারহরণ হিসাবে আমরা পাব, আলজেরিয়া, সোমালিয়ার আল শাবাব, ফিলিস্তিনির হামাস, আফগানিস্থানের তালেবান, মালিতে ও সর্বশেষ মিসরের ব্রাদারহুড !



ব্রাদারহুড মিসরের ক্ষমতা গ্রহন করে একদিনের জন্য শান্তিতে দেশ চালাতে পারেনি । মুরসির অনভিজ্ঞতা , দুদর্শীতার অভাব ও ব্যর্থতা তো ছিলই কিন্তু সর্বজন স্বীকৃত একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই তো মুরসি ক্ষমতায় এসেছিলেন ? মুরসিকে হঠানোর একমাত্র বৈধ উপায় ছিল নির্বাচন অথবা অন্ততপক্ষে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে মুরসিকে হঠনো যেত কিন্তু জনগণের দাবি বলে কথা ! তাহলে মিসরের জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলা হল কিভাবে ?এর উত্তরটা এখানেই, মুরসির এক বছরের শাসনকালের মিসর পুরোটাই ছিল অস্থিতিশীল আর এজন্য মিসরের অন্যতম আয়ের উৎস পর্যটনশিল্পের ধস নেমেছে সাংঘাতিকভাবে ! মুদ্রাস্ফিতী হয়েছে ব্যাপক হারে ! জনগণের জীবন যাত্রার মান নেমে গিয়েছিল সর্বনিম্নে ! মুরসি উৎখাত হওয়ার সাথে সাথেই আরব বিশ্ব এগিয়ে এসেছে মিসরের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তায়, এগিয়ে এসেছে কাতার, সৌদি, আরব আমিরাত,কুয়েত, কুয়েত তো মিসরে বিনামূল্যে তেল সরবরাহ করার করতেছে ও স্বয়ং এগিয়ে এসেছে যুক্তরাস্ট্র সামরিক ও অর্থনৈতিক উভয়ভাবে এবং সেনা শাসকের সহায়তায় অর্থনৈতিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে ইসরায়েলও ! এখন মিসরের মার্কেটে ডলারের কোন অভাব নেই । তেলের পাইপে কোন লাইন নেই , নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার দর আগের মত নেই !



কিন্তু মিসর অস্থিতিশীল রয়ে গেছে এবার মুরসির সমর্থকদের উত্তাল বিক্ষোভের কারণে । ব্রাদারহুড তাদের বৈধ দাবির পক্ষে অনড় কিন্তু মিসরের সেনাশসক ও যুক্তরাস্ট্র কি পা বাড়াবেন ব্রাদারহুডের দিকে নাকি গ্রহন করবেন কঠোর ব্যবস্থা ? ইতিমধ্যেই ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে এবং এই কয়েকদিনে প্রাণ হারালো সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ও শ খানেকের মত নিরীহ মানুষ ! ব্রাদারহুড হয়তো ভাবছে, শুধু এবার নয় অদুর ভবিষ্যতেও তারা ক্ষমতায় আসলে তাদের উৎখাত করা হবে হয় সেনাবাহিনীর দ্বারা নয়তো আদালতের দ্বারা কারণ ব্রাদারহুডের ইতিহাস তাই বলে । তাহলে ব্রাদারহুডের উপায় ? ব্রাদারহুডের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ বদিই তো সে ইঙ্গিতই দিলেন ! তিনি বলেছেন, ব্রাদারহুড তাদের বৈধ দাবি পরিত্যাগ করবে না আর এজন্য ফ্রি ইজিপসিয়ান আর্মি (Free Egyptian Army) গঠন করা হবে অতি শীঘ্রই ! সিরিয়াতে যেমন ফ্রি সিরিয়ান আর্মি প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে লড়াই চলছে দুপক্ষের মধ্যেই আর এর ফুয়েল দিচ্ছে যুক্তরাস্ট্র, সৌদি, ব্রিটেন ও ইসরায়েল ।যুক্তরাস্ট্র, সৌদি ও ইসরায়েলের তো তাই পরিকল্পনা ব্রাদারহুডকে আন্ডার গ্রাউন্ডে নিয়ে আসা যেমন ভাবে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে গেছে তালেবানদের ও আল কায়েদাদেসহ বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠীকে।যুক্তরাস্ট্রের বর্তমান ভুমিকাকে আমলে নিলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে ।যুক্তরাস্ট্র মুরসিকে ছেড়ে দিতে যেমন আহবান জানিয়েছে তেমনি সেনা সরকারকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্যও দিচ্ছে ! অন্যদিকে মিশরে সেনা অভ্যুত্থানের পর ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী কায়রোয় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, মিশরে যা ঘটতেছে তা তেলআবিবের জন্য আনন্দদায়ক।



আশংকাটা আরো বেশি এ কারণে যে ব্রাদারহুড কোন জনবিচ্ছিন্ন ও অখ্যাত দেশের কোন অসংগঠিত দল নয় । মিসরের ব্রাদারহুডের শাখা ছড়িয়ে আছে সমগ্র আরব বিশ্বে ও ক্ষেত্র বিশেষে আরব বিশ্বের সীমানা ছাড়িয়ে এর সমর্থক রয়েছে সারা বিশ্বে এমনকি আমাদের বাংলাদেশেও ব্রাদারহুডের সমর্থকের অভাব নেই । আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলে যদিও ব্রাদারহুডের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে মিসরের সেনা সরকার কিন্তু পরিশেষে সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না । দেশে দেশে গড়ে উঠবে ব্রাদারহুডের গোপন সশস্ত্র সংগঠন ! এক আল কায়েদা যেখানে সারা বিশ্বের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল সেখানে এই ব্রাদারহুড আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলে এর পরিণাম কি হতে পারে যা কল্পনারও বাইরে !

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৮

নাজ_সাদাত বলেছেন: একমত। তবে শক্তিশালী সামরিক শক্তি গঠন ছাড়া মুসলিম উম্মার গতি নেই বোধহয়। নচেৎ কোথাও হিন্দুরা মারবে, কোথাও খ্রিষ্টানরা মারবে, কোথাও বুদ্ধপন্থীরা আবার কোথাও ইহুদীরা মারবে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইরান ওআইসিকে প্রস্তাব দিয়েছিল ন্যাটোর আদলে মুসলমানদের জন্য আলাদা সম্মিলিত সামরিক বাহিনী গঠনের কিন্তু ওআইসি সহ মুসলিম রাস্ট্রগুলো তাতে কর্ণপাত করেনি। আমার মনে হয় ইরানের প্রস্তাবটি অত্যন্ত চমৎকার ও একটি যুগোপোযোগী প্রস্তাব ছিল ।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

মোহাম্মদ সোহেল হাসান বলেছেন: নাজ_সাদাত বলেছেন: একমত। তবে শক্তিশালী সামরিক শক্তি গঠন ছাড়া মুসলিম উম্মার গতি নেই বোধহয়।

কিভাবে সম্ভব ? যেখানে চুডি আরব মুসলিম উম্মাহর কোনো বিরুদধে

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন । মুসলমানরা যেখানে একজনের ভাল অপরজন চায় না সেখানে কিভাবে আলাদা সম্মিলিত সামরিক বাহিনী গঠন করবে ?

ধন্যবাদ ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ভালো লিখেছেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

জেনো বলেছেন: ব্রাদারহুডের মত সংগঠন গুলো গণতান্ত্রিক সিস্টেমের উপর বেস করে গঠিত। ফলে সামরিক কিছু এদের থেকে আশা না করাই ভাল। করলেও ভাল ফল বয়ে আনবে না বরং সমমনা অন্য সংগঠন গুলো
(যেমন বাংলাদেশের জামাত, তুর্কি একে পার্টি) অনুপ্রাণিত হবে। আপনার যুক্তিপূর্ণ আলোচনা ভাল লাগছে।
সেক্যুলারদের দিক থেকে ঘটনা গুলো কেমন?

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আগের ব্লগটাতে কমেন্ট করেছিলেন কিন্তু রি পোস্ট ডিলিট করতে যেয়ে মূল ব্লগটাই ডিলিট হয়ে গেছে বুঝতে পারি নি !

আমি কোন নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখিনি । আমার যা মনে হল সেভাবেই লিখেছি ।

প্রথমেই আপনাকে আসতে হবে সেক্যুলার কি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ? আমার মনে হয় না । সেক্যুলার বলেন , সমাজতন্ত্র বলেন আর পলিটিক্যাল ইসলাম বলেন কেউ প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না । সবাই গণতন্ত্রের একটা লেবাস ধারণ করে এই যা। সত্যি বলতে কি বিশ্বের কোথাও প্রকৃত গণতন্ত্র পাবেন না !

সেক্যুলারদের দৃষ্টিভঙ্গি গণতন্ত্র নয় বরং সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা , তদ্রুপ কম্যুনিস্টদেরও লক্ষ্য গণতন্ত্র নয় বরং কম্যুনিস্ট শাসন ব্যবস্থা , ইসলামিকদের ক্ষেত্রেও তাই ।

এজন্য দেখবেন, তুরস্কে, মিসরে, মালি, সোমালিয়ায় সেনা অভ্যুত্থান । এই সেনা সরকারগুলো বেশিরভাগই সেক্যুলার আদর্শ লালন করে আর তারা পাশ্চাত্যের নির্দেশমত চলতে বাধ্য এই কারণে যে তাদের কোন গণভিত্তি নেই । আর এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোও তাদের পছন্দ করে ।

সেক্যুলাররা যে জিনিসটা বুঝতে চায় না তা হল কোন আদর্শকে অস্ত্রের মাধ্যমে নি:শেষ করা যায় না । এজন্য মিসরে ও তুরস্কে, তিউনিসিয়ায় দেখবেন সেখানে ইসলামি দলগুলো বহুদিন যাবৎ নিষিদ্ধ ছিল ও তাদের প্রতি চালানো হয়েছে দমনপীড়ন । এরফলে সেই ইসলামিক দলের অনেকেই গণতান্ত্রিক আদর্শ পরিহার করে অস্ত্র হাতে নিয়েছে । আল জাওয়াহিরিী তাদের মধ্যে একজন। আর এরকম হলে সেটা কারো জন্যই মঙ্গল নয়। না সেক্যুলার ও না ইসলাম, না গণতন্ত্র কারো জন্যই নয়।

সেক্যুলাররা যা বিশ্বাস করে দেশ চালানোর অধিকার একমাত্র তাদেরই আছে । অন্য কারো নেই । এধরণের মানসিকতা ভয়ংকর মানসিকতা । এটা আমরা দেখলাম মিসরে ও তুরস্কে । কিন্তু ফলাফল কি ? তুরস্কের ইসলামিক দল বাধ্য হয়ে সেক্যুলার লেবাস ধারণ করে দিব্যি তুরস্ক শাসন করতেছে । হয়তো শেষ পর্যন্ত ব্রাদারহুডও শেষ পর্যন্ত যাবে আর না হলে তাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে হবে।

যাইহোক, মিসরে ও তুরস্কের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ পর্যালোচনা করলেই আপনি সেক্যুলারদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাবেন । সময় হলে একদিন এবিষয় নিয়ে লেখার ইচ্ছা রইলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.