নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্থানে সরকার পতনের দাবিতে ইমরান খানের আন্দোলন ও পর্দার অন্তরালে সেনাবাহিনী !

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৩

পাকিস্থানে ইমরান খানের নেতৃত্বে সরকার পতনের দাবিতে তুমুল আন্দোলন চলছে, লং মার্চ থেকে শুরু করে গণজমায়েত এরপর পার্লামেন্ট থেকে ইমরানের দল পিটিআই এর সদস্যদের গণপদত্যাগ-পাকিস্থানকে নি:সন্দেহে আরো এক গভীর সংকটে নিপতিত করেছে ! সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানের প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ ইমরান খানের অভিযোগগুলো মোটেই ফেলে দেওয়ার মত না হলেও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পদত্যাগের জন্য গো ধরে বসাটাও অযৌক্তিক বলে মনে করি। আসলে ঘটনা শুধু নওয়াজের পদত্যাগ বা নওয়াজ শরীফের সরকারের পদত্যাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এই কারণে যে মূল ঘটনার নায়ক ইমরান খান ও তার আন্দোলন সহযোগী তাহিরুল কাদরী নয়। সম্ভবত পাকিস্থানে বর্তমানে যা ঘটতে যাচ্ছে তার পিছনে কল কাঠি নাড়ার মুল নায়ক হল সেনাবাহিনী !



পাকিস্থান এমন একটি দেশ যেখানে অঘোষতিভাবে দ্বৈত সরকার ব্যবস্থা চালু আছে-সরকারের সমান্তরালে চলে সেনাবাহিনী। সে দেশের সেনাবাহীনির ক্ষমতা এমনই যে সেনা প্রধানের গাড়িবহরকে সাইড দিতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরকে আটকে রাখে সে দেশের আইনশ্রঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ! তো সেই সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন ছাড়া ইমরান খানের পিটিআই দল যা পাকিস্থানের তৃতীয় বৃহত্তম দল কিভাবে দিনের পর দির সরকার বিরোধী আন্দোলন করে শুধু টিকে থাকা নয় বরং সরকার পতনের ঘোষিত ও চুড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে সফল প্রায় হতে যাচ্ছে ?ইমরান খানের অভিযোগগুলি যৌক্তিক তবে তা একটি নির্বাচিত সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য যৌক্তিক নয়। যেদেশের ৬৫ বছরের ইতিহাসে গণতন্ত্র এখনও শিশু মাত্র সেই দেশের মাত্র ১০ টি আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তেমন গুরুতর নয় বলে মনে করি তবে সেই ১০ টি আসনের ফলাফল বাতিল করে পুণঃভোট দিলেই যথেষ্ট, তেমনি নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বর্তমান সরকার প্রধানের উপর বর্তায় না কারণ নির্বাচনকালীন সরকার ছিল পিপিপি। যাইহোক, মূল ঘটনাটা হল প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের সাথে প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সম্পর্ক তেমন ভাল যাচ্ছে না তালেবান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে । তাই সম্ভবত পর্দার অন্তরালে সেনাবাহিনী নাচাচ্ছে ইমরান খানকে, আর ইমরান খানও সম্ভবত খোয়াব দেখতেছেন জাতীয় সরকার গঠন হলে বা সেনাবাহনী ক্ষমতা নিয়ে দ্রুত নতুন নির্বাচন দিলে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্ব ঠেকানোর আর কেউ নেই-কারণ প্রধান দু’দলই এখন চরম বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্থ বলে জনগণের কাছে প্রমানিত ! তবে ইমরান খান ও তাহিরুল কাদরীর দাবি অনুসারে জাতীয় সরকার গঠন হলে নিশ্চয় ইমরাণ খানের জন্য ষোল আনা লাভ তবে সেনাবাহী ইমরান খানকে সে সুযোগ দিবে বলে মনে হয় না কারণ পাকিস্থানের ইতিহাস হল সেনাশাসনে ইতিহাস ! তাই সেনা অভ্যুত্থান যাতে না ঘটে এজন্য নওয়াজ শরীফ তার ভাই শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন সেনা প্রধানকে অনুরোধ করতে। সেনাপ্রধান আশ্বাস দিয়েছেন তবে তৎসঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছেন যে এজন্য নওয়াজ শরীফকে কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হবে অর্থাৎ সেনাবাহিনী শুধু ব্যারাক নয় রাস্ট্রীয় ক্ষমতার কিছু ভাগ চায় যা তারা ইতোপূর্বে ভোগ করেছিল ! সেনাবাহীর ক্ষমতা নেওয়ার ইতিহাস শুধু পাকিস্থান নয় কোনো দেশের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনেনি, আর সেনাবাহী ক্ষমতা নিলেও অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হবেন এমনটা ভাবাও অত্যন্ত বোকামীপূর্ণ হবে ! এই তো থাইল্যান্ডে এবছরের শুরুতে সেনা অভ্যুত্থানের পর এখন সেনা প্রধানই দেশটির নির্বাচিত(!) প্রধানমন্ত্রী ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৭

আজমান আন্দালিব বলেছেন: বিশ্লেষণ সুন্দর! পাকিস্তানের বিচিত্র লোভের রাজনীতিতে সবই সম্ভব।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সহমত ।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ইন্টারেস্টিং।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০১

যুবায়ের বলেছেন: আসলে যে দেশের জনগন যেমন তাদের শাসকরাও তেমনই হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে উগ্র জাতী হলো পাকিরা...
জঙ্গীবাদ থেকে সামরিক শাসন কোনকিছুতেই জুড়ি নেই ওদের্।
এজন্য বারবার হোচট খায় তাদের গনতন্ত্রের যারা।
ফলাফল সামরিক অভূথান!..

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অতীতে অনেক পাপ জমে আছে তো, তারই ফল ভোগ করছে, করেই যাব, এত সহজে শান্তি আসবে না। আরও দুর্ভোগ আছে পাকিদের কপালে। ১৬/১৭ কোটি মানুষের অভিশাপ বলে কথা।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মাত্র ১০ টি আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তেমন গুরুতর তাও আবার প্রায় বছরখানেক পর!! সন্দেহের মুখটা তাই বড্ড একপেশে।কিন্তু এটা আবার মোড়ল প্রধান পছন্দ করছে না বলেই মনে হচ্ছে।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.