নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্ত্রী ও হজ্ব নিয়ে এলোমেলো কিছু কথা !

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

মন্ত্রী আ্দুল লতিফ সিদ্দিকি হজ্ব নিয়ে যা বলেছেন শুধু হজ্ব কেন পৃথিবীর প্রত্যেকটি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানকেও এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। এবার শুধু হজ্ব ও কোরবানীর ঈদ নয় বাঙ্গালী হিন্দুদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পুজোও চলছে সমান তালে। দুর্গো পুজোর ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন করা যায়। ধর্মপ্রাণ হিন্দুগণও রাম রাম বলে তেড়ে আসতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করবেন না তেমনি খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধসহ পৃথিবীর সকল ধর্মগুলির আচার অনুষ্ঠা্ন নিয়েও একই প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়। শুধু ধর্ম নয়-আমরা অপব্যায়/অপচয় নিয়ে আরো নানান প্রশ্ন করতে পারি। অপচয়/অপব্যায়ের এভাবে হিসাব করলে দেশ ভ্রমণ করলে নাকি জ্ঞান অর্জন হয়-এই প্রবাদটিও ভাগাড়ে ফেলে দিতে হবে। এই যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশ সফরে যান তখন তাঁর সফরসঙ্গী কতজন থাকেন আর কতজনেরইবা সত্যিকারের প্রয়োজন ? এই যে, গত আওয়ামীলীগ সরকারের এক বিদেশমন্ত্রী তো অযাচিত, অনাকাঙ্খিত ও ঘন ঘন বিদেশ সফর করে ’আকাশ কন্যা’ খেতাব অর্জন করেছিলেন ! গত বিএনপি সরকারের স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী তো ছিলেন শার্ট ম্যানিয়াক ! তিনি নাকি অতি মূলব্যান একটি শার্ট ২/৩ বারের বেশি পড়তেন না ! কেউ কেউ ছিলেন ঢেউ টিন ম্যানিয়াক! পুকুরের মধ্যেও টিনের বান্ডিল পাওয়া গেছে ! আরো কতজন যে কি ম্যানিয়াক ছিলেন তা আল্লাহ মালুম ! আমাদের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেতা, পাতি নেতাদেরও নাক, কান ও গলা ব্যাথ্যার জন্য বিদেশের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়! কেন ? বিদেশে কি তখন অর্থকড়ির অপচয় হয় না ? তাহলে দেশে এত টাকা পয়সা খরচ করে ডাক্তার উৎপাদন করা হয় কি জন্য ? হাসপাতাল, ক্লিনিক করা হচ্ছে কি জন্য ? গরীব মানুষদের মারার জন্য ?

যাইহোক, লজিক্যাল কথা মানতে আমার কোনো আপত্তি নেই কিন্তু মন্ত্রী সাহেবের কথায় আমি পরষ্পর বিপরীতধর্মী বক্তব্য পাই ! মন্ত্রী সাহেব বলেছেন, হজ্ব নাকি ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ’ চালু করেছেন! কথাটা ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই । হজ্ব আরবের একটি প্রাচীনতম অনুষ্ঠান। হযরত মোহাম্মদ (সা) এরও অনেক আগে থেকেই আরবে হজ্ব প্রচলিত ছিল তবে তা ভিন্ন আঙ্গিকে।আমার জানামতে হযরত ইব্রাহিম (আ) এর সময় থেকে হজ্ব চালু হয়। তবে ইসলাম ধর্ম মতে কাবা ঘরকে পৃথিবীর প্রথম ঘর বলে বিশ্বাস করা হয়। আর হজ্ব মূলত ইব্রাহিম (আ) ও তার স্ত্রী হাজরা ও পুত্র ইসমাইল এর কিছু স্মৃতি বিজড়িত কর্মকাণ্ডের সমষ্টি । তিনি হজ্বের সাথে ইজতেমার তুলনা করেছেন! সমষ্টিগত দিক দিয়ে হয়তো দুটি একই কিন্তু হজ্ব যদি আরবদের আয়ের উৎস হয়ে থাকে তাহলে ইজতেমা কেন আমাদের আয়ের উৎস হবে না ? কথাটা কি পরষ্পর সাংঘর্ষিক নয় ? ইজতেমাতেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হন। মন্ত্রী আরো বলেছেন, ম্যান পাওয়ার নষ্টের কথা ! আসলে মন্ত্রীর হয়তো জানা নেই আমাদের মত দেশ থেকে যারা হজ্ব করতে যান তারা কর্মজীবন শেষে অবসরকালীন সময়ে হজ্ব করতে যান বিশেষ করে মৃত্যুর চিন্তা মাথায় আসার পর থেকে !

ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা ও অযৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা নিতান্তই বোকামী-বিশেষ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে। কেউ যদি হজ্ব না করে তার হজ্বের সমুদয় টাকা গরীব মানুষকে দান করেণ সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার তেমনি কেউ কুরবানী না করে কুরবানীর টাকা কোনো গরীব মানুষকে দান করলে সেটাও তার ব্যক্তিগত ব্যাপার । আবার কেউ ধর্মীয় বিধান অবশ্য কর্তব্য পালন মনে করে হজ্ব বা কোরবানী করলে তা নিয়ে নাক সমালোচনারও কিছু নেই কারণ প্রথাসিদ্ধ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলি মানুষের জন্য নিশ্চয় অমঙ্গলজনক কিছু নয় বরং কোটি কোটি মানুষ এইসব আচার অনুষ্ঠান করে মানসিক তৃপ্তি পান।দেশ ভ্রমণ করে যেমন কেউ জ্ঞান অর্জন করেণ তেমনি মক্কা, মদিনা গমন করে বা জেরুজালেম, গয়া, কাশি গমন করে কোটি কোটি মানুষ মানসিক তৃপ্তি পাচ্ছেন, পুণ্যের আশা করতেছেন এতে রিডাকশনের কিছু নেই। পৃথিবীই চলছে এরকম। সেই সৃষ্টির কাল থেকে মানুষ মানসিক শান্তি খুঁজে ! কেউবা পাচ্ছেন আস্তিকতায় কেউবা পাচ্ছেন নাস্তিকতায় ! যিনি যেখানে শান্তি পান সেখানেই ছুটছেন ! না হলে ইবনে বতুতা সুদূর মরোক্ক থেকে বঙ্গ ভ্রমণে আসলেন কিভাবে ? হিউয়েন সাং, মার্ক পেলোর নাম আমরা কিভাবে জানলাম ? এবার শুনলাম আমাদের দুই কমরেড মন্ত্রীও নাকি হজ্বে গেলেন ! শুনলাম, মহামান্য রাস্ট্রপতিও হজ্বে যাচ্ছেন। ঐ মন্ত্রী সাহেবের এরকম অপরিপক্ক ও অবিবেচনাপ্রসূত কথায় কেউ হজ্ব করা থেকে বিরত থাকবে তা তো না বরং যা হবার উল্টোই ঘটবে বা ঘটতেছে -নিউজ পড়লাম ইতোমধ্যেই তিনি মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন !



সবশেষে আবারো আমার সকল হিন্দু বন্ধুদের শারদীয় পুজোর প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৯

ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: শুয়োরটাকে এখনও কিছু বলে না কেন বুঝতেছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.