নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেশোয়ারের স্কুলে জঙ্গীদের হামলা ও পাকিস্থান নামক রাস্ট্রটির টিকে থাকার প্রশ্ন ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০

গত ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্থানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে পাকিস্থানী তালেবানদের হামলায় ১৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে পাকিস্থান নামক রাস্ট্রটি যার জন্ম ১৯৪৭ এ তা ২০৪৭ আসার আগেই বিশ্ব মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভবনা আছে কি না ? এই প্রশ্নের উত্তর জানার পূর্বে আমাদেরকে একটু পিছনের ইতিহাসে যেতে হবে। পাকিস্থান রাস্ট্রটি গঠিত হয়েছে ধর্মীয় জাতদীয়তাবোধকে ভিত্তি করে । অবশ্য পাকিস্থানের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সেক্যুলার মহল ক্ষমতাসীন থাকলেও তারা নানা ভাবে বিভিন্ন কারণে ও বিভিন্ন উপায়ে টিকে থাকার নিমিত্তে ধর্মীয় লেবাস শুধু পরিধানই করেনি এরসাথে তারা সময় অসময়ে সমর্থন, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইসলামী চরমপন্থীদের ! আর এটাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে পাকিস্থানের জন্য। শুধু তাই নয় পাকিস্থানের এখন টিকে থাকার প্রশ্ন এসে গেছে !



যুক্তরাস্ট্র আফগানিস্থান থেকে সোভিয়েতপন্থী সরকার উৎখাতে ৮০’র দশকে তার তৎকালীন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সোভিয়েত ইউনিয়নকে নাস্তানুবাদ ও পরাজিত করতে সারা বিশ্বব্যাপী মদত দিতে থাকে ইসলামিক চরমপন্থীদের। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল- ইসলাম বিভিন্ন সেক্টে বিভক্ত হলেও ইসলামের সব সেক্ট জঙ্গীবা্দী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের সাথে জড়িত নয় একমাত্র ওহাবি/সালাফি ছাড়া। এই চরমপন্থী ওহাবি/সালাফিদের উৎপত্তি ও এদের বিস্তৃতকরণের ইতিহাস জানতে হলে ব্রিটিশ গুপ্তচর উইলিয়াম হামফারের স্মতিকথামূলক গ্রন্থ পড়াই যথেষ্ট হবে।পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসলামের এই সেক্টের অনুসারীদের সৌদি আরবে ক্ষমতাসীন করে ব্রিটিশরা ! আর এরপরপরই সৌদি আরব তার বিপুল পেট্রোডলার ব্যবহার করে সারা মুসলিম বিশ্বে তার অনুসারিত মতবাদ প্রচারের ব্যবস্থা করে। এলক্ষ্যে সৌদি অর্থ সহায়তায় মুসলিম দেশগুলিতে গড়ে উঠে লাখ লাখ মাদ্রাসা ও ইসলামের নামে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। এরমধ্যে পাকিস্থান অন্যতম অর্থাৎ পাকিস্থানে সবচেয়ে বেশি। গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানা যায় পাকিস্থানে আরো ১০০০ এরও অধিক মাদ্রাসা স্থাপনে অর্থনৈতিক ও করিগরি সহায়তা দিবে সৌদি আরব ! যাইহোক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অস্তমিত হওয়ার পর পরবর্তীতে বিশ্ব থেকে কমিউনিজম নির্মূল করতে যুক্তরাস্ট্র যে নীতি অবলম্বন করে তার নাম Zbigniew Brzezinski's green belt doctrine. আমেরিকার এই ডকট্রিনটা মূলত পুর্বে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণের ব্রিটিশদের অনুসারিত নীতির নতুন সংস্করণ। সেই ডকট্রিন অনুসারে আফগানিস্থানে গঠিত হয় তালেবান ও আল কায়েদা।সুদূর সৌদি থেকে ডেকে আনা হয় ওসামা বিন লাদেনকে। সিআইএর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, পৃষ্ঠপোষকতায় ও সৌদি আরবের অর্থায়নে ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় আল কায়েদা । মার্কিন সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের এই নিয়ে নিজস্ব স্বীকারোক্তি আছে।



তালেবান ও আল কায়েদা মিলিতভাবে আফগানিস্থান থেকে সৌভিয়েতকে তাড়িয়ে ক্ষমতাসীন হলেও তালেবানদের বৈধতা দেয়নি বিশ্ব। মাত্র তিনটি দেশ তালেবানদের স্বীকৃতি দিয়েছিল । পাকিস্থান, সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত । যে যুক্তরাস্ট্র তালেবানদের ক্ষমতায় এনেছিল তারাও তালেবানদের স্বীকৃতি দেয়নি ! সেই থেকে ইসলামিক জঙ্গীদের উত্থান শুরু যা এখন পর্যন্ত বহমান আর যুক্তরাস্ট্রের এই কাজে তার প্রধান সহযোগী হলো পাকিস্থান, সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরবরাস্ট্রগুলি।কিন্তু মজার বিষয় যে, পাকিস্থান তার প্রতিবেশী আফগানিস্থানকে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করতে যুক্তরাস্ট্র ও সৌদির যৌথ প্রযোজনায় জন্ম দিয়েছিল তালেবান ও আলকায়েদা আর আজ সেই পাকিস্থান নিজেই তালেবান ও আলকায়েদা জঙ্গীদের তাণ্ডবলীলীয় বিপর্যস্ত ! পাকিস্থান এখন জঙ্গীদের আর এক প্রজননক্ষেত্র ! পাকিস্থানে তেহরিক ই তালেবানসহ গঠিত হয়েছে নানান জাত উপজাতের জঙ্গী গ্রপ যারা পাকিস্থানকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গিয়েছে। পাকিস্থানের অবস্থা এখন এমনই যে বিশেষজ্ঞ মহল প্রশ্ন তুলেছে-নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্থান নামক একটি রাস্ট্র বিশ্ব মানচিত্রে কি আদৌ দেখা যাবে ?



এটা চিরন্তন সত্য যে পাকিস্থান তালেবান ও আলকায়েদা উত্থানে যেমন প্রধান সহায়তাকারী রাস্ট্র ছিল তেমনি আফগানিস্থান ও পরবর্তীতে নিজ ভূমি পাকিস্থান থেকে তাদের উৎখাতেও যুক্তরাস্ট্রের প্রধান সহযোগী ছিল, কিন্তু তা প্রকৃত অর্থেই যুক্তরাস্ট্রের কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্যের নিমিত্তেই। বিপুল অংকের অর্থ সাহায্যের জন্যই পাকিস্থান নিজ ভূমিতে জঙ্গী হত্যার জন্য যুক্তরাস্ট্রকে ড্রোন হামলার অনুমতি দেয় যা স্বাধীন রাস্ট্র হিসাবে অন্য কোনো দেশকে নিজ দেশে হামলার অনুমতি বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন ! যুক্তরাস্ট্রকে দৃশ্যত পাকিস্থান সরকার সহায়তা করলেও পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা আএসআই ও সামরিক বাহিনী কখনই ইসলামিক জঙ্গীদের নির্মূলে আন্তরিক ছিল না, বরং তারা ভিতরে ভিতরে মদত দিকে থাকে তালেবান ও আলকায়েদা জিহাদিদের। পাকিস্থানের আএসআই যেন পাকিস্থানের সরকারের ভিতর আরেকটি সরকার । ৯/১১ এর ঘটনার পরেও পাকিস্থান তার ভূমি একই সাথে যুক্তরাস্ট্র এবং তালেবান ও আলকায়েদা জিহাদিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। কমিউনিজ হঠাতে র্যাডিক্যাল ইসলামের জন্ম দেওয়ার লক্ষ্যে আফগানিস্থান ও পাকিস্থানের মাদ্রাসাগুলি ব্যবহার করা হয়েছে ও জন্ম দেওয়া হয়েছে হাজার হাজার জিহাদী! সেই মাদ্রাসাগুলি থেকে এখন হাজার হাজার তরুণ বের হচ্ছে যারা আল কায়েদা ও তালেবানের জিহাদী মতাদর্শ লালন করে ও প্যান ইসলামিজমে বিশ্বাসী। এই র্যাডিক্যাল তরুণ প্রজন্ম পাকিস্থানসহ পুরো বিশ্বের জন্য আশু বিপদ ! বিশেষ করে সেকট্যারিয়ান বিভেদ যেমন শিয়া- সুন্নি দ্বন্দ্ব ও পাইকারী হারে শিয়া নিধন,ভিন্ন মতাবলম্বীকে অসহ্য, খুন,গুম, হত্যা, অগ্নি সংযোগ এমনকি মসজিদ,গির্জাসহ ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে হামলা, আত্মঘাতি হামলায় এরা নিয়োজিত ! একটু মতের অমিল হলেই যে কোনো ব্যক্তিকে এরা হত্যা, গুম করতে ভুলে না , পাকিস্থানে এরকম ঘটনা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার । পেশোয়ারের স্কুলে হামলা পাকিস্থানের প্রথম হামলা নয়।এর আগেও ২০১১ সালে পাকিস্তানের নেভাল এয়ারবেস মেহরানে হামলা এবং করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হামলাসহ প্রায় প্রতি সপ্তাহে ও প্রতি মাসেই কোনো না কোনো বোমা হামলা অথবা আত্মঘাতি হামলা হচ্ছেই । আর পেশোয়ার হামলা যে শেষ হামলা নয় সে কথাও বলেছে হামলার দায় দায়িত্ব স্বীকারকারী জঙ্গীগ্রপ টিটিপি। পাকিস্থানের আমজনতা থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী কেউ আজ নিরাপদ বোধ করেণ না ! এমনকি জঙ্গীদের নারকীয় তাণ্ডব থেকে প্রতিবেশী রাস্ট্রের মানুষও বাদ যায় না ।



পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট নিরোপদবোধ না করলেও তারা যেন অসহায় তালেবানদের কাছে তেমনি অসহায় খোদ আইএসআই এর কাছেও। গত ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্থানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে পাকিস্থানী তালেবানদের হামলায় ১৪০ জনেরও বেশি স্কুল ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষজ্ঞ মহলের কেউ কেউ এ নারকীয় ঘটনার পর্দার অন্তরালে হিসাবে দায়ী করেছেন পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কে ! তবে আইএসআই এই ঘটনায় কতটুকু জড়িত তা বিশ্লেষণ না করেই বলা যায় নিশ্চিতভাবেই পাকিস্থানের সেনাবাহিনীর একটি অংশের সমর্থন না থাকলে সেনা পরিচালিত স্কুলে তালেবানরা হামলা করার কোনো সুযোগই পেত না অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, পাকিস্থানের সেনাবাহিনীতে প্রচুর জঙ্গী ও ইসলামিক চরমপন্থী রিক্রুটমেন্ট হয়েছে। পাকিস্থান রাস্ট্র সৃষ্টিকাল থেকেই স্বল্প সময় বাদে পুরো সময়টা জুড়ে শাসিত হয়েছে সেনা নেতৃত্ব দ্বারা । সেনা শাসক মোশাররফের পতন ও পাকিস্থানের ইতিহাসে প্রথম বারের মত গণতান্ত্রিক সরকারের পাঁচ বছর পুর্তি ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর মোটেই ভাল চোখে দেখেনি সেনাবাহিনী ! আর যে নওয়াজ শরীফকে একবার উৎখাত করেছে সেনাবাহিনী সেই নওয়াজের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনও ভাল চোখে দেখছে না সেনাবাহিনী ! তাই ইমরান খানের দ্বারা সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে সেনা পরিচালিত স্কুলে হামলার মাধ্যমে সরকারকে সামরিক বাহিনীর উপর অত্যাধিক মাত্রায় নির্ভরশীল করা একটা উদ্দেশ্য হতে পারে। আর একথা বলাই বাহুল্য যে, এই হামলার ফলে সিভিল সরকার সেনা নেতৃত্বের কাছে দুর্বল সরকার বলে জনগণের কাছে প্রতীয়মান হতে বাধ্য।



যাইহোক, পেশোয়ার হচ্ছে পাকিস্থানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী। এই প্রদেশটি পাকিস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংগ্রামে লিপ্ত আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছে এই জঙ্গীরাই। পাকিস্থানের সরকার জঙ্গী দমনে ব্যর্থ হলে শুধু খাইবার পাখতুনখাওয়া নয় তাদের বেলুচিস্থানকেও হারাতে হবে তেমনি করাচিকে কেন্দ্র যে মোহাজির রাস্ট্র গঠনের দাবি উঠছে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়িত হবে না তা বলার জো খুঁজে পাওয়া যায় না কারণ কেন্দ্রের সরকার যত দুর্বল হবে জঙ্গীরা তত শক্তিশালী হবে, অন্যদিকে জঙ্গীরা শক্তিশালী হলে কেন্দ্রের সরকার একসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে। আর তা হলে অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্থান নামক রাস্ট্রটি বিশ্ব মানচিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ।



জঙ্গীরা নিঃসন্দেহে বিশ্ব মানবতার শত্রু, প্রতিটি মানুষের শত্রু । নিজের কু স্বার্থ চরিতার্থ করতে আফগানিস্থানে যে জঙ্গীদের জন্ম দিয়েছে পাকিস্থান আজ সেই জঙ্গীরা ফ্রাঙ্কেস্টাইন হয়ে খোদ পাকিস্থানকে গ্রাস করতেছে। শুধু তাই নয় আফগানিস্থান পাকিস্থান পেরিয়ে জঙ্গীদের প্রজনন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়াসহ আফ্রিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ! মধ্যপ্রাচ্য তথা আরব দেশগুলি তো যেন এখন জ্বলন্ত কড়াই ! ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপ আমেরিকাযও তবে বিচ্ছিন্নভাবে। আমাদের বাংলাদেশও ওদের দৃষ্টিসীমার বাইরে নেই ! অবশ্য যেসব দেশে টেকসই গণতন্ত্র, শক্তিশা্লী, সুসংগঠিত ও পেশাদারিত্ব সামরিক বাহিনী, সুশাসন, জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার ব্যাবস্থা এবং জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা বিদ্যমান সেসব দেশে জঙ্গীবাদ বিস্তারের কোনো সম্ভবনা নেই বা স্বল্প সময়ের জন্য বিস্তার লাভ করলেও আঁতুর ঘরেই তা মরে যাবে। আমাদের বাংলাদেশে উপরে উল্লেখিত ক্রাইটেরিয়াগুলো কতটুকু মাত্রায় কার্যকরী আছে তা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবা দরকার।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

খেলাঘর বলেছেন:


পাকী সেনা বাহিনী পাকিস্তানের ধন সম্পদ সব দখল করেছে; ভালো স্কুলে ওদের লোকদের ছেলেমেয়েরা পড়ে; দরিদ্র বাচ্ছারা মক্তবে; সেই কারণে এটা ঘটেছে; বাংলাদেশে ঘটতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.