নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক স্টেট ( আইএস) এখন শেষ নি:শ্বাস ত্যাগের অপেক্ষায় !

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৩

গত বছরের জুনে আইএসআইএল হঠাৎ করে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়াতে সারা বিশ্বে হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। আজকে কারো কাছে অস্পষ্ট নয় যে, আইএসআই্‌ল মূলত যুক্তরাস্ট্র, ইউরোপ, ইসরায়েল, সৌদি , তুরস্কসহ অন্যান্য রাজতান্ত্রিক আরব রাস্ট্রগুলির যৌথ প্রযোজনায় সৃষ্টি। শুরুতে সারা বিশ্বে মুসলমানদের ধর্মান্ধ একটি অংশ আইএসআইএলকে সমর্থন দিয়ে আসলেও আইএসআইএল এর গণহত্যা, বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা কাপিয়ে দিয়েছে বিশ্ব বিবেককে। যুক্তরাস্ট্র, ইউরোপ, জাপানসহ মিশর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যায় আইএসআইএল নামক এ ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর প্রকৃত স্বরুপ উন্মোচন হয়েছে সারা বিশ্ববাসীর কাছে। আইএসআইএল নামক এ ভয়ংকর দানব শুধু মানুষ হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি , তারা ধ্বংস করেছে ইরাক, সিরিয়ার হাজার বছরের ঐতিহ্য, তারা ধ্বংস করেছে স্কুল, কলেজ, ধ্বংস করেছে ঐতিহাসিক স্থাপনা, ধ্বংস করেছে বিশ্ব ঐতিহ্য মেসোপটেমীয় ও অ্যাসিরিও সভ্যতার নিদর্শনসমূহ। ৯০’র দশকে এই একই জাতের ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ধ্বংস করেছিল আফগানিস্থানের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহাসিক স্থাপনা, ঐতিহ্য, তারা ধ্বংস করেছিল শত বছরের পুরনো বামিয়ানে ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মুর্তি । তাদেরই একসময়কার পুর্বসুরী ধ্বংস করেছিল এ উপমহাদেশে স্থাপিত বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। এদের মধ্যে কোনো সৃজনশীলতা নেই, এরা সৃষ্টি করতে জানে না, ধ্বংসই এদের একমাত্র কর্ম। একটি দেশ, একটি জাতি, একটি সভ্যতাকে ধ্বংস করতে এরা বদ্ধ পরিকর।

আশার কথা হচ্ছে, এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটি ইরাক-সিরিয়ায় পতনের দ্বারপ্রান্তে। তাদের মূল ঘাটি মসুল ও তিকরিত। তিকরিত সাদ্দামের জন্মস্থল। তিকরিত এখন ইরাকি বাহিনীর দখলে। ইরাক সরকার তিকরিত দখলের কথা ঘোষণা করেছে । আইএসআইএল ইরাক-সিরিয়া থেকে এখন পশ্চিম আফ্রিকায় চলে যাওয়ার কথা ভাবছে বলে খবরে জানা গেছে।বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে ইরাক ও সিরিয়ার জনগণ যুক্তরা্স্ট্র, ইউরোপ ও তাদের জ্ঞাতি আরব রাস্ট্রগুলির সহায়তা ছাড়াই এ সাধ্য সাধন করে চলেছে। তবে একটি কথা না বললেই নয়-এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটির পরাজয়ের পিছনে মূল কারিগর হলেন ইরানের জেনারেল কাশেম সোলায়মানি পশ্চিমা মিডিয়া যার নাম দিয়েছে শ্যাডো কমান্ডার।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০০

বিলোয় বলেছেন: আসলে যে কি হচ্ছে আল্লাহ মালুম

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: দেখা যাক, একটা ফিৎনা গেলে আরেকটা আসে। ঠিক যেন পুতির দানার সুতা ছিড়ে পুতিগুলি একটার পর একটা বের হতে থাকে।

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: পৃথিবী হবে জ্ঞানের পুজারী ...নাংগা তলোয়ারের নয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.