নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তিকামী ঈশ্বরের রাজ্যে এত অশান্তি কেন ?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

ইরাক ও সিরিয়া হচ্ছে জঙ্গীদের একটি আধুনিক প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র ! এই প্রজননক্ষেত্র তৈরির মূল হোতা হল পশ্চিমা পুজিবাদী রাস্ট্রগুলো যার নেতৃত্বে আছে যুক্তরাস্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও এদের সঙ্গে যুক্ত আছে কিছু দালাল রাস্ট্র যেমন সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, জর্ডানসহ মেরুদন্ডহীন আরব রাজা বাদশাহগণ। ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গী দমনের নামে জঙ্গীদের সাথে টম এন্ড জেরি কার্টুনের অসীম সিরিয়ালের খেলা খেলে চলেছিল যুক্তরাস্ট্র কিন্তু দর্শক হিসাবে তা দেখে মজা নিতে রাজি নয় রাশিয়া। তাই তো দৃশ্যপটে স্বয়ং আবির্ভুত হলেন পুতিনের রাশিয়া । দেখিয়ে দিলেন এ খেলা শুধুমাত্র লোক দেখানো, যুক্তরাস্ট্রের অভিনয় ছাড়া কিছু নয়।প্রেসিডেন্ট পুতিন অভিনয় নয় বাস্তবতায় বিশ্বাসী।যারা টম এন্ড জেরির দীর্ঘ খেলা দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা এবার স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললেন, পুতিন এখন হিরো ! যুক্তরাস্ট্র ও জঙ্গীরা প্রমাদ গুণল ! টম এন্ড জেরির প্রোডিউসার, ডিরেক্টর, কলাকুশলী ও সমর্থকেরা মাতম শুরু করে দিল ! তাদের বিলাপ ধ্বনিতে মিডিয়া এখন তোলপাড় !

এতে কোনো সন্দেহ নেই আরব দেশগুলির মধ্যে ইরাক ও সিরিয়া ছিল আধুনিকতায় তুলনামূলক অগ্রগামী, কিন্তু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস আজ সেই ইরাক ও সিরিয়া হয়ে গেছে ইসলামিক জঙ্গীদের প্রজননক্ষেত্র আর সেখানে এই জঙ্গীদের উৎপাদনে সহবাসকারীরা হলেন উপরে উল্লেখিত দেশগুলি। ইরাক ও সিরিয়ায় লড়াইড়ত যোদ্ধাদের মধ্যে সৌদি আরব, চেচনিয়া, তিউনেসিয়া, ইয়েমেন, মরক্কো, জর্ডান, লেবানন, তুরস্কসহ যুক্তরাস্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মুসলিম নাগরিকরা রয়েছেন । সহিহ মুসলমানরা ছুটছে তথাকথিত জেহাদের ময়দানে ! চলেছে একের পর এক বোমা হামলা যে যেখানে পারছে, বাদ যাচ্ছে না নামাজরত মুসল্লিদের উপরেও, ঈদের জামাতেও । মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বিলুপ্ত করেছিলেন দাস প্রথার কিন্তু জঙ্গীরা তা নতুন উদ্যমে চালু করেছে ! শুধু তাই নয় চালু করেছে যৌন দাসি সিষ্টেম ! চলছে যৌন জিহাদ ! সারা বিশ্বে বিপথগামী তরুণ তরুনীদের আকৃষ্ট করেছে যৌন জিহাদ । একসময় জঙ্গীদের প্রজননক্ষেত্রে ছিল আফগানিস্থান, পরে তা বিস্তার লাভ করে হল ইরাক ও সিরিয়া আর এখন ক্রমান্বয়ে গ্রাস করছে সারা বিশ্বকে ! এভাবে চলতে থাকলে আর কয়েক বছর পরেই দেশে দেশে দাবি উঠবে ওহাবি/সালাফি ইসলাম নিষিদ্ধের !

দেশে দেশে সব জঙ্গীরাই তো আর ইরাক বা সিরিয়ায় যেতে পারছে না । জঙ্গীদের বিচরণ ও প্রজননক্ষেত্র ইরাক ও সিরিয়ায় যেসব জঙ্গীরা যেতে পারছেন না তারা কিভাবে জেহাদ করবেন ? ভাই তো শহীদ হয়ে স্বর্গে গেছেন ! হুরপরী নিয়ে মত্ত মাতাল হয়ে গেছেন ! আমাকেও যেতে হবে । তাহলে উপায় ? উপায় আছে- দেশের মানুষ মার । বোমা ফাটাও সিনেমা হলে, শিয়াদের মসজিদে বোমা হামলা চালাও । খ্রিস্টানদের গীর্জায় বোমা হামলা কর, হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দাও, প্রতিমা ভেঙ্গে ফেল, বাজারে, মাঠে-ঘাটে যেখানে পাও সেখানে বোমা ফাটাও । স্কুলে, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমা ফাটাও । নাস্তিকদের কোপাও ! মুক্তমনাদের কোপাও, বিদেশী নাগরিকদের হত্যা কর ! একযোগে ৬৪ টা জেলায় বোমা ফাটাও ! মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী ! হুরপরী ফ্রি !

ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠার নামে চলছে নরবলি উৎসব ! শুধু ইরাক ও সিরিয়ায় নয় ঈশ্বরের নামে , ধর্মের নামে, ধর্মকে হাতিয়ার করে নরবলী উৎসব চলছে ইয়েমেনে, চলছে আফগানিস্থানে, চলছে পাকিস্তানে, চলছে সোমালিয়ায়, চলছে নাইজেরিয়ায়, চলছে সেন্ট্রাল আফ্রিকায়, চলছে সৌদি আরবে, কুয়েতে, মিশরে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে ! ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সে তো আর এক উপাখ্যান ! ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত রাজ্য হল ইসরায়েল যা তিনি নাকি ইহুদিদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ! এজন্য ইসরায়েলী সরকার সেখান অন্য ধর্মের অধিবাসীদের হত্যা করা বৈধ মনে করে ! চলছে ভা্রতে-সেখানে ধর্মের নামে উগ্র হিন্দুদের জয়জয়কার , লঘুমাত্রার হলেও চলছে বাংলাদেশ ! ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারলে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত স্বর্গবাস শতভাগ নিশ্চিৎ ! এরা ছুটছে স্বর্গের নেশায় কল্পনায় এদের ভাসছে প্রতিশ্রুত স্বর্গে সীমাহীন ভোগ আর আনন্দ, যুবক, যুবতী নর ও নারীর মিলন মেলা । যৌন জিহাদের নামে যেমন অবাধ যৌন সম্ভোগ পৃথিবীতেই করে চলেছে এই অসুস্থ মানুষগুলো তেমনি এই সুন্দর পৃথিবীকে তারা অশান্তি ও সহিংসতার কুরুক্ষেত্র বানিয়ে নিজেদের স্বর্গবাসের নিশ্চয়তা আদায় করতে চাচ্ছে, কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না তারা শুধু শুধু মরীচিকার পিছনে ছুটছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২

হতাশার আলো বলেছেন: ভালো লাগলো

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

রইসউদ্দিন বলেছেন: সময়োপযোগী লেখাটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ!

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

সজিব হাওলাদার বলেছেন: আসলে সকল ধর্মই শান্তি,মানবতা,ন্যয়ের কথা বলে।কিন্তু কেউ যদি ধর্মকে ব্যক্তিগত সার্থের জন্য ব্যবহার করে সে জন্য তো ধর্ম দায়ী নয়।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

শেখ মফিজ বলেছেন: ঈশ্বর শান্তি কাম-ী হলেও
মানুষতো তা চাচ্ছে না ।- শান্তি ।-
কিছু না থাকলে ইশ্বরের নামেই যুম্ধ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.