নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীরবে ইসলামী রাস্ট্রের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ !

০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সৌদি আরব প্রায় দেড় বছর ধরে একটানা ইয়েমেনের উপর নির্বিচারে বিমান হামলা করেই যাচ্ছে। এরফলে মারা যাচ্ছে হাজার হাজার নারী, শিশু ও নিরপরাধ মানুষ। ধ্বংস হচ্ছে গরীব ইয়েমেনের সামরিক, বেসামরিক অবকাঠামো। বাদ যাচ্ছে না বাড়ি-ঘর, স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল। পুরো মুসলিম বিশ্ব নীরব দর্শকের ভুমিকা শুধু নয় অনেক আরব ও অনারব মুসলিম রাস্ট্র সৌদিকে একাজে সহযোগিতা করছে এই নিয়ে বলার কিছু নেই তবে জাতিসংঘ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ উদ্যেগ নিয়েছিল শিশু, নারী ও সাধারণ মানুষ হত্যার জন্য সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করার, কিন্তু জাতিসংঘের এই উদ্যেগে চোরের মায়ের বড় গলার মতই হাঁকডাক শুরু করে সৌদি আরব।জাতিসংঘকে জানিয়ে দেয় কালো তালিকাভুক্ত থেকে সৌদির নাম বাদ না দিলে সদস্য রাস্ট্র হিসাবে সৌদি আরব জাতিসংঘকে যে বাৎসরিক চাঁদা দেয় তা দেওয়া বন্ধ করবে সৌদি আরব। এখানে থেমে নেই সৌদি আরব । জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরবকে কালো তালিভুক্ত থেকে বাদ না দিলে সৌদি ধর্মীয় নেতাদের দ্বারা ফতোয়া দেওয়া হবে জাতিসংঘ একটি অনৈসলামিক সংগঠন। কোনো ওআইসি সদস্যভুক্ত রাস্ট্রের জন্য জাতিসংঘের সদস্যপদে থাকা হারাম ! এ ফতোয়া শুধু সৌদি আরবেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সৌদি প্রভাধীন মুসলমান রাস্ট্রগুলোর ধর্মীয় নেতারা নিশ্চিতভাবে তা অনুসরণ করবে। জাতিসংঘ যেমন পশ্চিমাদের একটি অস্ত্র তেমনি ইসলাম ধর্ম এবং ওআইসি সৌদির দুইটি মারণাস্ত্র!

শুধু তাই নয় এবং তার মিত্র রাস্ট্রদেরকেও বাধ্য করবে জাতিসংঘকে কোনো চাঁদা, আর্থিক ও কুটনৈতিক সহযোগিতা থেকে বিরত রাখার। এই হুমকি দিয়ে সৌদি আরব থেমে নেই-তার অনুগত রাস্ট্রদের দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে তা জানিয়ে দেয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক জানিয়েছেন সৌদি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী রাস্ট্র হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত , বাংলাদেশ, মিসর, কুয়েত ও কাতার । দু:খের বিষয় সেই প্রতিবাদের তালিকায় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আছে! আরও দু:খের বিষয় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কর্তৃক গণহত্যার শিকার বাংলাদেশ সৌদি কর্তৃক ইয়েমেনিদের গণহত্যার সমর্থক রাস্ট্র !!!

উল্লেখ্য যে এত কিছু হুমকি ধামকি পাওয়ার পর জাতিসংঘ মহাসচিব সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত থেকে বিযুক্ত করেছেন।বিযুক্ত করার পর হিউমান রাইট ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো বান কি মুনের সমালোচনার করেছে এবং তারা বলেছে সৌদি আরবের চাপের কাছে বান কি মুন নত শিকার প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতিসংঘ!


একদিকে জঙ্গীবাদের বিরোধিতা করব অপরদিকে জঙ্গীবাদের গড ফাদারের শরীরে কালো দাগও বসাতে দেব না তা তো হতে পারে না ! একদিকে জঙ্গীবাদের বিরোধীতা করব, সন্ত্রাস দমনের কথা বলব অপরদিকে সৌদিকে বাবা বাবা বলে ডাকব তা তো হতে পারে না। এখন পশ্চিমা বিশ্বও প্রকাশ্যে বলা শুরু করেছে সৌদি আরবের ইসলামি শিক্ষা ও তাদের আর্থিক সহায়তায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদ, মক্তবসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি জঙ্গী সৃষ্টির মূল প্রজননক্ষেত্র।যদি ভুল বলে না থাকি আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে স্কুল, কলেজের চেয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা অনেক বেশি এবং এদের বেশিরভাগই কাদের অর্থায়নে ও কোন মতাদর্শে পরিচালিত তা আমরা সকলেই জানি।রাস্তা, ঘাটে এখন শাড়ি পড়া মহিলার চেয়ে হিজাব ও বোরকাধারী মহিলার সংখ্যা এবং টুপি ধারী পুরুষের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। বেড়ে চলেছে ধর্মীয় উগ্রবাদ, অসহিষ্ণুতা ও বিশ্বাসে মত পার্থক্যের কারণে খুনাখুনি ! বাঙ্গালী মডারেট মুসলমানরাও প্রকাশ্যে, অপ্রকাশ্যে বা নীরবেই সমর্থন জানাচ্ছে জঙ্গীদের। আমাকে কয়েকজন মডারেট মুসলমান জানিয়েছে যারা ব্লগার ও শিক্ষকদের হত্যা করেছে তারা নিশ্চিতভাবেই বেহেস্ত যাবে ! জঙ্গীদের জন্য দিন দিন অভয়ারণ্য হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং এটা নীরবেই ঘটছে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন বাংলাদেশ নীরবে সৌদি মতাদর্শে পরিচালিত ইসলামী রাস্ট্রের দিকে ঝুকছে! দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারও সৌদি আরবকে নানা কারণেই এ কাজে সহযোগিতা করছে ! কিন্তু এটাও বলতে হচ্ছে সাপের বাচ্চারা যখন আরও বিষধর হবে, ফনা তুলে গর্ত থেকে প্রকাশ্যে বের হবে তখন কি বর্তমান সরকারকে কোনো ছাড় দিবে ? না, এরা কাউকেই ছাড় দিবে না । এদের ভয়ংকর ছোবল থেকে বাদ যাবে না কেউই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪

শেখক বলেছেন: মাথার উপ্রে দা গেলো ভাইজান। কইলেন 'ইসলামী রাস্ট্রে'র কতা, কিন্তু ভিত্রে সৌদী, জঙ্গী—পুরাই তো তালগোল প্যাঁচায়া ফালাইছেন। কী কইতে চান পষ্ট কইরা কন।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১০

মহা সমন্বয় বলেছেন: সেই সাথে চলছে নীরবে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার পায়তারা।
এই লিফলেটটি পাড়া মহল্লা, বিভিন্ন মসজিদে বিতরণ করা হচ্ছে।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৭

শেয়াল বলেছেন: কেউ কয় হিন্দু হইয়া যাইতাসে , কেউ কইতাসে জংগি হইয়া যাইতাসে আবার কেউ কেউ কইতাসে বাংলাস্তান হইতে আসে । অহন কোনডা সঠিক রে ভাউ ? ?

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪১

মোস্তফা ভাই বলেছেন: দেশে আর ভালোবাসা নাই।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




বাংলাদেশ আধুনিক ভাবনার দেশ।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেখ হাসিনা থাকতে অন্তত হবে না, নিশ্চিত থাকুন...

৭| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩১

কালনী ছাগু বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। নিজামী আর মুজাহিদের আত্মা সান্তি পাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.