![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া ছিল একটা বিরাট হৈ চৈ এর ব্যাপার এবং হয়েছেও তাই । অরাজনৈতিক, ব্যবসায়ী, আমেরিকা ও বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ, বেসামরিক একমাত্র ব্যক্তি ট্রাম্প এই প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন! ট্রাম্প যখন রিপাবলিকান পার্টির নমিনেশন নেন তখন স্বয়ং ট্রাম্পও মনে করতেন না তিনি উঠে আসবেন এবং জিতে আসবেন। যেখানে ট্রাম্প প্রথমে ভাবতেই পারেননি তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন সেখানে অন্যদের ভাবনার কী দোষ ? অবশ্য আমিসহ বিশ্বের অনেক ব্যক্তিই শুরু থেকেই বলে আসছি ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট হবেন এবং হয়েছেও তাই। ভাল শয়তান ট্রাম্পকে আমি নিশ্চিতভাবেই ভা্ল বলতেছি না তবে হিলারী হল খারাপ শয়তান, পাপিষ্ট আত্মা। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই ট্রাম্প কিছু বর্ণবাদী কথাবার্তা বলেছেন কিন্তু হিলারীর ইমেইল ক্যালেংকারীর কারণে এটা জানা হয়ে গেছে তিনি কতটা ভয়ংকর হতে পারেন। তিনি যে খুনি বাহিনী তৈরি করেছেন তা যে কতটা ভয়ংকর তা বিশ্ববাসী ইতোমধ্যেই জেনে গেছে। যারা মেয়েদের রেপ করেছে, যৌন দাসী বানিয়েছে, গণিমতের মাল হিসাবে অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভোগ করেছে, হাজার হাজার তরুণ, কিশোর, কিশোরী ও বৃদ্ধ, বৃদ্ধার শিরোচ্ছেদ করেছে সেই তুলনায় মুখে মুখে রেসিজম দেখানো ট্রাম্পকেই তুলনামূলক বেটার মনে করাটাই স্বাভাবিক।
তবে একটা বিষয় আমাকে অবাক করেছে ও ভাবাচ্ছে অরাজনৈতিক ও অকপট ট্রাম্প যার হাতে রক্তের দাগ নেই সেই ট্রাম্পের চেয়ে যুদ্ধবাজ হিলারি যার হাত রক্তে রঞ্জিত তৃতীয় বিশ্বের মানুষ কি করে মনে প্রাণে কামনা করে সেই যুদ্ধবাজ হিলারি প্রেসিডেন্ট হোক!
মুসলমানরা দিনে কম করে হলেও পঞ্চাশবার শয়তান থেকে দূরে থাকার প্রার্থনা করেন সেই মুসলমান ও আরবরা মনে প্রাণে কামনা করেছিলেন শয়তান হিলারীই প্রেসিডেন্ট হোক এবং হিলারীর জন্য তাদের ইনভেস্টমেন্টও কম ছিল না।
ব্রিটেনের জনগণ যে কারণে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকার জনগণও ঠিক সেই কারণে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। তাই ব্রেক্সিটের ফলাফলের দিনে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলাম ব্রেক্সিট= প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার আর একটি রহস্য হল বাইরের বিশ্বের মানুষের ন্যায় স্বয়ং আমেরিকার জনগণও আমেরিকার বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় বিরক্ত। যুদ্ধবাজ হিলারী হল আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী শাসন ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি। আমেরিকার শাসন ব্যবস্থায় শুধু বাইরের বিশ্বের জনগণ নয় খোদ আমেরিকার জনগণ কতটা বিরক্ত এর বড় প্রমান হল মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নির্বাচনে লো ভোটার টার্ন আউট। যাইহোক, হিলারী প্রেসিডেন্ট না হওয়াতে আমেরিকাতে যে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হত। মার্কিন শাসন ব্যবস্থার ধারক ও বাহকরা তা হতে দিতে চাননি বলেই তারা ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সম্ভবত ট্রাম্পের জন্য এ সুযোগ সীমিত হতে পারে।
ডেমোক্রেটদের সবচেয়ে বড় ভুল হল হিলারিকে প্রেসিডেন্ট নমিনেশন দেওয়া।যদি তারা বার্নি স্যার্ন্ডাসকে প্রার্থী করত তাহলে নি:সন্দেহে বার্নি স্যান্ডার্সই হত কিন্তু বার্নি স্যান্ডার্স ট্রাম্পের চেয়ে আমেরিকার শাসন ব্যবস্থার জন্য হুমকি ছিলেন। হিলারি যখন হতে পারবে না তাই মন্দের ভাল হিসাবে ট্রাম্পের বিকল্প তাদের কাছে ছিল না ।
এখন প্রশ্ন হল ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্ব রাজনীতি চালচিত্র কি পাল্টাবে ? ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় খোদ আমেরিকাও স্বয়ং পাল্টাবে। ট্রাম্প পরবর্তীতে থাক বা না থাক , ট্রাম্প যে বিপ্লবটা করেছেন এতে আমেরিকায় অভ্যন্তরীণভাবে একটা পরিবর্তন সুচিত হবে।সেই পরিবর্তনের প্রভাব অবশ্যই বাইরের বিশ্বে পড়বে ।আমরা আশা করছি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমেরিকায় অদূর ভবিষ্যতে ভাঙনের ধারা সুচিত হবে, মার্কিন সমাজে বিভক্তি বাড়বে এবং অন্ততপক্ষে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আন্দোলন জোরদার হবে। বাইরের বিশ্বে যারা ট্রাম্পের সমর্থক ছিল তাঁরা মূলত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থান থেকেই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চেয়েছিল। রাশিয়ারও ইচ্ছে ছিল এটাই। নির্বাচন উত্তর ট্রাম্পের পলিসি কী হয় তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৯
কালীদাস বলেছেন: নতুন কিছু নেই বিশ্লেষণে। আমি ভেবেছিলাম ট্রাম্প হয়ত দেওয়ানবাগীর মুরিদ ছিল, দেওয়ানবাগীর খাস দোয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট হয়ে গেছে।