![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।
এক মহাপরাক্রমশালী রাজা ছিলেন। সেই রাজার ছিল মস্ত বড় এক হাতি। সেই হাতির ছিল প্রচণ্ড তর্জন গর্জন। তার তর্জন গর্জনে চারদিকের মানুষ ভয়ে থরথর করে কাঁপত! কিন্তু মানুষ ভাবত যে হাতি এত তর্জন গর্জন করতে পারে নিশ্চয় তার বায়ু ত্যাগ পারমানবিক বোমার বিষ্ফোরণের মতই হবে। তাই মানুষ অপেক্ষায় থাকত কখন হাতি পাদবে আবার একই সাথে ভয়, আতংক কাজ করত যে এই হাতি একবার পাদলে নাকি ৫২ টা রাজপ্রাসাদ বাতাসে উড়ে যায়! তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে ভাবা যায়!
যাইহোক, একবার কি কারণে যেন রটে গেল হাতি পাদবে। অবশ্য হাতি নিজেই সেটা জানান দিয়েছিল। চারদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ পড়ে গেল। তাই ভয়, আতংক সত্ত্বেও মানুষ আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় ছিল হাতি কখন পাদবে। আবার কিছু লোক ছিল হাতির পাদের ভক্ত। তারা বোতল নিয়ে হজির হল। হাতি যখন পাদবে তখন তারা বোতলের মুখ খোলা রাখবে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আতরের মত গায়ে মাখবে।
তাই হাতির পাদের অপেক্ষায় মানুষ আর মানুষ জড়ো হল। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ জড়ো হল। দূর দেশের কোটি কোটি মানুষ টিভি পর্দায় চোখ রাখলো হাতির পাদ দেখবে বলে। লাখ লাখ টিভি রিপোর্টার ও সাংবাদিক রিপোর্ট করতেছে। অপেক্ষা আর অপেক্ষা।
অবশেষে হাতির পাদার মুহুর্ত আসল। হাতির শরীর একটু কেঁপে উঠল এইটা সবাই দেখছে। কিন্তু হাতির পাদের শব্দ কেউই শুনল না। তবে লক্ষ লক্ষ জনতার প্রথম সারিতে যারা ছিল তারা বলল আমরা হাতির খুব কাছে কান লাগিয়ে ছিলাম। আমরাই ভাল করে শুনতেই পাইনি। হাতি পেদেছে কিন্তু ফুস করে!
কোটি কোটি জনতা আশাহত হল। এর মধ্যে যারা বোতলের মুখ খুলে বসে ছিলেন তাদের দুঃখের সীমা রইল না! কিন্তু একই সাথে লাখ লাখ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলল যে হাতির পাদে ৫২ টা রাজপ্রাসাদ এবং সাধারণ মানুষের কোন ক্ষয়ক্ষতি হল না। তবে এরপর থেকে সবাই জেনে গেল হাতি পাদে কিন্তু ফুঁস করে।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ও আচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৫
হাবিব ইমরান বলেছেন:
এই হাতির নাম সম্ভবত ট্রাম্প।
যাহোক, দারুণ লিখেছেন। ভালোবাসা গ্রহণ করুন।