নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাস

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৭

করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বে আতংক বিরাজ করছে। কিন্তু চীন এই ভাইরাস নিয়ে মহা আতংকে আছে! ধারণা করা হচ্ছে চীন থেকেই বিস্তার লাভ করে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য দেশে। আমরা নিজেদেরকে আশ্বস্ত করতে পারি যে সম্ভবত বাংলাদেশে এখনও এই ভাইরাস আসেনি। তবে সরকার নিশ্চিৎ করেছে যে বাংলাদেশে এই পর্যন্ত কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।

করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ রুপ এই প্রথম জানা গেলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ কিন্তু এই প্রথম নয়। আগে যেহেতু এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এত বেশি ছিল না এখন হঠাৎ করে এমন হল কেন? ধারণা করা হচ্ছে চীনা লোকজন যেহেতু ইঁদুর, বাঁদুড়, সাপ, ব্যাঙ, বিচ্চুসহ নানান পোকা মাকড় খেয়ে থাকে এর কোন একটা থেকে হয়তো এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগে জানা গিয়েছিল নিপাহ ভাইরাসের উৎপত্তি বাঁদুড়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত বাঁদুড়ের খেয়ে যাওয়া ফল মূল কোন মানুষ খেলেই মানুষও সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাই এই যুক্তিকে কিন্তু আমরা উড়িয়ে দিতে পারি না। আর করোনা ভাইরাস কিন্তু সার্স ভাইরাসের পরিবার থেকেই এসেছে।

সার্স ভাইরাসের পরিবার থেকে আসলেও এই ভাইরাসের ভয়াবহতা খুবই আশংকাজনক। এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট। অভিযোজন ক্ষমতা অনুসারে প্রাকৃতিক নিয়মে জীব বিবর্তিত হয়। সেই বিবর্তিত জীব পুর্বের প্রজন্মের তুলনায় ভয়ংকর শক্তিশালী হয়। ভাইরাস বা জীবাণুর ক্ষেত্রে ধ্বংস করার ক্ষমতাও অনেক বেশি হয়। তাই ডাক্তারগণ তাদের প্রেসক্রিপশনের ঔষধের কোর্স সম্পন্ন করতে বলেন। না হলে বেঁচে যাওয়া জীবাণুগুলো পরবর্তী ধাপে আরও ভয়ংকর শক্তিশালী হয়ে উঠে। তাই হয়তো বর্তমানের করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিক নিয়মে অভিযোজিত কোন ভাইরাস!

অন্যদিকে বিশ্বের উন্নত ও শক্তিশালী দেশগুলো প্রচলিত অস্ত্র নির্মাণের পাশাপাশি অপ্রচলিত অস্ত্র যেমন জীবাণু অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এই অস্ত্র শত্রুপক্ষের কোন এক নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর মাঝে মহামারী আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয়। জানা গেছে ইসরায়েল আরবদের বিরুদ্ধে এরকম অস্ত্র তৈরি করেছে বা তৈরির প্রক্রিয়ায় আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি চীনও এই তালিকায় আছে সন্দেহ করার যথেষ্ট অবকাশ আছে। এতক্ষণ পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্টে চীনের বাইরে চীনা বা চীনা বংশদ্ভুত লোকজনই সর্বাধিক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এটা সত্য হয়ে থাকলে এই বিশ্বাসও আমরা উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে চীনের বায়োলজিক্যাল কোন ল্যাবরেটরী থেকে অসতর্কতাবশত ফ্রাঙ্কস্টাইন হিসাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। অথবা বিশ্ব আসরে চীনের কোন শত্রুপক্ষ একই কাজ করেছে না তো? রাশিয়ার এলডিপি দলের নেতা ভ্লাদিমির ঝরনাস্কি এই আশংকাকেই জোরদার করেছেন।তিনি বলেছেন আমেরিকা চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক সেক্টরে হেরে যাওয়ার পর চীনকে অপদস্ত করতে ভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে! এর আগে বার্ড ফ্লু ছুড়িয়ে পড়ার কারণ হিসাবে তিনি আমেরিকাকে দায়ী করেন।

যাইহোক, মূল কথা হল যে কোনভাবেই হোক এই ভাইরাসের উৎপত্তি ঘটেছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আতংক নয়, প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক জরুরী। আশা করা যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীগণ এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে আশা করা যায়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এত ভয় পাবার কিছু নাই। পাপ কে ভয় করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.