নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু করোনা ভাইরাস নয় একই সাথে বিশ্বাসের ভাইরাসকেও পরাজিত করা জরুরী

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৮

তাবলীগ জামাতের নিজামউদ্দীন মারকাজের সমাবেশের মাধ্যমে ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ভারতে মুসলিম বিরোধী তীব্র ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। মুসলিমদের ধরে কয়েক জায়গায় মারধরের সংবাদও পাওয়া গেছে।
সন্দেহ নাই গত মাসে ঘটে যাওয়া নিজামউদ্দীন মারকাজে তাবলীগ জামাতের সমাবেশ ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়িয়েছে, কিন্তু এই জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের ঐ সমাবেশ সরকারি বিধি মোতাবেক নিষিদ্ধ ছিল না, বরং ঐ সমাবেশে সরকারের সায় ছিল বলেই তারা করেছে। আসলে রাজনীতিবিদরা তাদের সুবিধার জন্য ধর্ম নিয়ে খেলে।

ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য শুধু মুসলমানদেরই সমালোচনা করা হচ্ছে কেন? ভারতে করোনা সংক্রমণের জন্য হিন্দু, মুসলমান ও শিখ কোন ধর্মের ধর্মগুরুরা ভূমিকা রাখেনি? উদ্ভট, অবাস্তব, হাস্যকর এবং অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রদানে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। মুসলমান ধর্মগুরুরা যখন দাবি করে করোনা আল্লাহর সৈনিক ওদিকে তখন হিন্দু ধর্মের ধর্মগুরুরা দাবি করে করোনা তাদের অবতার! মোল্লারা যখন বলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে করোনা হবে না, পুরোহিতরা তখন বলে গো মূত্র সেবন করলে করোনা হবে না। ভারতে মুসলমান যখন তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে ভূমিকা রাখে ঠিক একই সময় শিখদের স্বর্ণমন্দির, হিন্দুদের তিরুপতি, সিদ্ধিবিনায়ক, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ইত্যাদি ধর্মীয় স্থানে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ হয় সেগুলো কিন্তু খোলাই ছিল।

তাবলীগ জামাতের সমাবেশেরও আগে ভারতের পাঞ্জাবের শিখ ধর্মগুরু বলদেব সিং ইতালি ও জার্মান সফর শেষে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনের তোয়াক্কা না করেই তাদের বিশাল এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বহু লোককে সংক্রমণ করে তিনি করোনায় মারা যান। এভাবেই ধর্মগুরুরা সংক্রামক করোনাকে ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তাই শিখ ধর্মগুরুর জন্য পুরো শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা যেমন যৌক্তিক নয় তেমনি নয় তাবলীগ জামাতের কারণে পুরো মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ চর্চা করা। এসব ঘৃণা, বিদ্বেষ প্রচার ও চর্চা বন্ধ হোক।

ধর্মগুরুরা যে বিশ্বাসের কারণে ভাইরাস ছড়ায় সেটা বিশ্বাসের ভাইরাস। আর তাদের অজ্ঞতা ও মুর্খতার কারণে যখন পুরো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ও বিদ্বেষ চর্চা ও প্রচার করা হয় সেটা আর এক বিশ্বাসের ভয়ংকর ভাইরাস। করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করাই একমাত্র সমাধান নয়। একই সাথে সকল ধরণের বিশ্বাসের ভাইরাসকে পরাজিত করার মধ্যেই আছে মানব জাতির শান্তি ও সম্প্রীতির মূল রহস্য।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা ভাইরাস আছে এটাই সত্য। কে ছড়িয়েছে? কার দোষ এখন সেসব খোজার সময় না।
এখন সময় সবাই মিলে করোনা্কে দুনিয়া থেকে দূর করতে হবে।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: অত সোজা নয় এই বিশ্বাসের ভাইরাস দূর করা।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: Nice writing.

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিজানুর রহমান মিলন ,





বিশ্বাস নয় "অন্ধ বিশ্বাস"কে দূর করতে হবে।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অন্ধ বিশ্বাসই খারাপ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.