![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মান-অভিমান ভাঙাতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির স্থান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে জাতীয় সংসদে জায়গা হলো। একইসঙ্গে পার্টির সংসদ সদস্যদের করা হলো মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এরপরও কী কোনো অভিমান থাকতে পারে? এতসব সুবিধা পাওয়ার পরও হঠাৎ করেই এরশাদ সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন। তাকে বিভিন্ন সভা ও সেমিনারে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনায় গরম করতেও দেখা যাচ্ছে। দলের এক সভায় এরশাদ বলেন, নানা কারণেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটা জরুরি ছিল। কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যায় সিদ্ধহস্ত সেই লে.জে.গু. এরশাদও লজ্জা পেয়ে গান গাহিল, মেনেছি গো হার মেনেছি!
মেয়র নির্বাচনের পরে এভাবেই সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান স্বৈরশাসক এরশাদ ! উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তরে বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫০ ভোট, ঢাকা দক্ষিণে সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন পেয়েছেন ৪ হাজার ৫১৯ ভোট এবং চট্টগ্রামে সোলায়মান আলম শেঠ পেয়েছেন ৬ হাজার ১৩১ ভোট। দলের তিন মেয়র প্রার্থী মিলে পেয়েছেন মাত্র ১৩,৬০০ ভোট। এরশাদের তিন প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।দলীয়করণের কারণে সরকারে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।দলের এক সভায় বক্তব্যে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়ে এই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জাপা নেতারা মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগানে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাদের মুখে এখন দলের স্লোগান বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শোনা যায় না। দেশের অবস্থা ভালো না। বর্তমানে দেশ অন্ধকারের দিকে রয়েছে। দেশের এ অবস্থায় অতিষ্ঠ জনগণ পরিবর্তন চায়। আর সহিংসতা চায় না, তারা মুক্তি পেতে চায়। প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে জনগণের কাছে স্বীকৃতি পেতে হলে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের মন্ত্রী সভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে মানুষ বলবে এরশাদ সাহেব কথা রাখেন না! দলটির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সবুজ সংকেত মিললেই ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত’ পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলের ৩ মন্ত্রীকে পদত্যাগ করিয়ে সরকার থেকে জাতীয় পার্টিকে বের করে আনার লক্ষ্যেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির এ সিদ্ধান্ত। তবে সবকিছুই সরকারি দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সূত্র মতে, এইচ এম এরশাদের পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই দলের ৩ নেতাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করানো হবে। এর মধ্য দিয়েই সরকার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে আসবে জাতীয় পার্টি।তবে তার এ সিদ্ধান্তে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ একটি অংশ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। এর আগে মন্ত্রীদের পদত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করেও তাদের আপত্তির কারণে পিছু হটেন। তবে, নিজ দলের অনেকে এও বলছেন যে, স্যারের তো হায়া শরম লজ্জা নেই! তাই অন্যরকম চিন্তা ভাবনারও কোন কারন নেই। প্রকৃত পক্ষে, বাস্তবতার সঙ্গে স্যারের বক্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই!
২| ০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
মিলন মাযহার বলেছেন: সহমত @শতদ্রু একটি নদী
৩| ০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এরশাদের অফিস হওয়া দরকার জেলখানা
৪| ০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
মিলন মাযহার বলেছেন: বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরশাদ বলেন, তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তারচে ‘জেলেই মরে যাওয়া ভালো’ @চাঁদগাজী
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
ওরে বস্তায় ভইরা বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করা হোক।