![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন অপেক্ষা। প্রতিটি রাতে
পরিপূর্ণ মগ্ন প্রতীক্ষা । তুমি
ডেকেছ? না-না, ডাকছ না!
কালো চুলের মতোন রাত্রিকাল উড়িয়ে
কুয়াশা ভোরে ডাকিতেছে উড়ে
ঘুরে আরও কিছু বসে...
নিজে নিজেই যখন তুমি মরেই গেলে! বাঁচানো
আর গেলো না, দু’চোখেরও পলক ফেলো না,
নরম মাটির মতো অনায়াসে নেতিয়ে পড়ে স্কন্ধ-
মাথা-দু’হাত-পা সর্বদেহ, তখনও কেহ জানে না
কী এক ঘোর সংকটে খাঁচার পাখি
কোথায়...
এক পা এগিয়ে ফের
তিন পা পিছিয়ে পড়ি;
অহেতু, পথে-পথে ঢের...
কি করি? কি করি?
ঝরা পাতারাও পথ চলে
বাতাসে উড়বার কৌশলে;
পথ শেষ হয় না আমার !
নি:সঙ্গ আমি ঝিমিয়ে পড়ি,
মরি রে মরি রে মরি-
শত...
ছুঁয়েছি মৃত্যুর
যাদুকরা রোদ,
ও জীবন তোমার
লেনাদেনা শোধ
রাত জাগবো তারার সাথে
দিন কাটাব সূর্যে,
বসে থাকবো তুমি আমি
দূরত্বহীন দূর যে!
#ছোটকবির_ছোটোকবিতা পাণ্ডুলিপি থেকে
পথ চিনে গেছি আমি,
যাত্রা হলো শুরু
নিজেকে নিজের
বিরুদ্ধে নিয়ে
বক্ষে দুরু দুরু
সাহস বাড়াবো, যাবো
জেলাবোর্ডের মেঠো
পাকা আঁকাবাঁকা
রাস্তার লাটিম
ঘুরতে ঘুরতে ছয়
ঘন্টার ঝিম
গাইতে গাইতে চাবো
তোমারে কাছে পাবো
সরে...
সর্ব আলো নিভে গেলে,
গভীর আঁধার চিরে
তুমি হে ফিরে
জ্যোতির্ময় এলে
শরীর ছাড়াই ~
মাথার ভিতরে,
আশ্চর্য নড়েচড়ে
ওগো মৃত, মরে গিয়ে
তুমি চেতনায়
ভুত হয়ে হায়!
হায়! আরও বেশী
টলমলে, ঝলমলে!
বোঁটা থেকে খসে গিয়ে পাতাগুলো,
সাঁই সাঁই ছুটছে কিছু ফুলও
গাঁ থেকে নগরের হাওয়ায়,
হাওয়ায়...
সুদীর্ঘকাল আমিও ঝুঁকে আছি
বাগানের দিকে, গাছেদের কাছাকাছি
অপেক্ষা অপেক্ষা মনে, সতত প্রেমে
ঝরাপাতার সন্ধানে
বৃক্ষরা কি...
বসে আছি
ভোরের বনে,
মনেমনে মোর
মর্মভেদী ঘোর
য্যানো ঠিক
দিগ্বিদিক
ব্যস্ত দু\'হাতে
হারাকিরির
তীব্র ছুরিকাঘাতে
পেট চিরে
নেমে আসছে
মুষল ধারায়
রক্তস্রোত
ধীরে ধীরে,
ভেসে যাচ্ছে
গড়াতে গড়াতে
গড়িয়ে গিয়ে,
একটুমাত্র বাদেই
থেমে যাচ্ছে...
কতকতবার যে সূর্য
উঠলো-সূর্য নামলো!
পৃথিবী ঘুরছে বনবন
ঘুরছেই ঘর্ঘর
মেশিনপত্র-চরাচর
সচরাচর পরমেশ্বর! আর
নীরব তোমার
চোখাচোখি দেখবো বলে
তোমাকে দেখবো কৌশলে
প্রখর রোদ্র-নিঝুম আঁধারে
ছায়ার ঘাড়েগর্দানে
বিড়ালচোখী ওঁত
পেতে বসেছি
কুড়ি কুড়ি বছর...
আহা গোধূলি,
আহ্ রঙধনু
আমাকে রাঙিয়ে দাও মৃত্যুরঙে
ওগো সাঁঝতারা,
আমাকে শেখাও এবার
লুকিয়ে মরে যাওয়া।
শাঁই শাঁই বাতাসে উড়তে উড়তে আমি
জাপটে ধরি পাথরকুচি মেঘ,
চুইয়ে চুইয়ে পড়ে রক্তের ফোঁটা, পৃৃথিবীর
নিঠুরও তুমি জানলে না শব রক্তে
ভেসে যাচ্ছে সব, হু হু বয়ছে
রক্তধারা বিশ্বভরা বিশাল প্রান্তরে-
অন্তরে...
ঝরে পড়ে রাত,
ঘুমহীন পায়ের তলায়
মরে যাওয়া রাত...
রে ভোর, তোর
এই বৌ\'র রূপ,
দ্যাখে নাই কেউ!
কেবল আমিই
দেখিতেছি, দেখি
অবশ্য অন্তরাল
থেকে,অাড়াল
থেকে দেখি শুধু
অবশ্য,
বুঝি না কিছুই!
তোমারি হাতের,
মুঠো মুঠো সাদা
ভাতের, কাঙাল
করুণ বাঙাল
তৃষ্ণা আমার
মায়া পরীর
ভাত ঘ্রাণের
সেই যে হাত,
সেই যে ছায়াশরীর
কোথায় এখন?
দেখো, দেখো, কেমনতর
সাজিয়েছে পরিবার,
প্লেট ভর্তি কংকালসার
হাড়গোড়, কালচে
পোড়া চাল, আর
কেবলই উপচে...
রাতের শরীর জুড়ে আলো,
চন্দ্রপ্রভা হুলস্থল।
কিন্তু আমার
বুকের ভিতর
অকল্পনীয় অন্ধকার,
দুলছে তছনছ ফুল!
খ্যাঁক এক্কে খ্যাঁক,
মানুষরূপী হায়না আছে
দ্যাখ্, তাকিয়ে দ্যাখ
ধুলো দু\'গুণে দই,
অন্যায়েরই জয়জয়োকার
ঘাপটি মেরে রই
তিল এক্কে তিল,
চলতি পথে নির্ভয়ে রয়
লুঠতরাজি চিল
ষাঁড় দু\' গুণো ভাঁড়,
সরকারি দল-জঙ্গি-পুলিশ
ধরলো চেপে ঘাড়
পাশ দু\'গুণে পাশ,
বৃথায় কেনো পড়ছো ভায়া?
প্রশ্ন...
©somewhere in net ltd.