![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সরকারের উদাসীনতা কাম্য নয় শিরোনামে কালের কন্ঠের আজকের সম্পাদকীয়র বিষয়টি বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ... এখানে আলোচনায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে একটি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটি হচ্ছে ..."জনগনের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেয়া হয়েছে পুলিশ কে, ফলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, গ্রামাঞ্চলে পুলিশের উপর হামলা হচ্ছে, মানুষ পুলিশের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে, যেমন ধরুন.. একটি রাজনৈতিক দল বা ক্ষমতাশীনদলের নেতা-কর্মীরা অনেক স্থানে প্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত দেশীয় অস্ত্র বা হরেক কিছিমের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল, হামলা করছে পুলিশের উপস্থিতিতে.. পুলিশ আসামী ধরতে যাচ্ছে ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মী সাথে নিয়ে... আটক গ্রেফতারে নিরপেক্ষতা নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি.. এসব দেখে সাধারন মানুষ আস্থা হারাচ্ছে পুলিশের উপর থেকে,, তাদের নিরপেক্ষতা, জনগনের আশ্রয়স্থল আজ প্রশ্নবিদ্ধ... ফলে পুলিশ কে জনগন বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না, তারা জনগনের মুখোমুখি হয়ে পড়ায় গ্রামাঞ্চলে অনেক স্থানে হামলা বা অঘটন ঘটছে। আমি যা বললাম এটি বাস্তবতা... এটা কোন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করলে সত্য এড়িয়ে যাওয়া হবে"......
কালের কন্ঠের সম্পাদকীয়...দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে যথেষ্ট অবনতি হয়েছে, সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যেমন প্রশ্নের সম্মুখীন, তেমনি দেশের উন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে। মানুষের মনে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে না পারলে নিকট-ভবিষ্যতে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রশাসনিক ব্যর্থতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলের এক ধরনের উদাসীনতাও ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
গত শুক্রবারের সংবাদমাধ্যমে যে খবরগুলো এসেছে, তা আশঙ্কাজনক। একদিকে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে; অন্যদিকে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছে পুলিশ। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় পুলিশের আট সদস্য নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৫০০ সদস্য। এসব ঘটনায় পুলিশের শতাধিক যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এর পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে বলে মনে হয় না। সম্প্রতি যশোর ও ঝিনাইদহে আসামি ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। মেহেরপুরে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও তাঁর কন্যার মৃত্যু হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (জনযুদ্ধ)। অর্থাৎ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আবারও চরমপন্থী সংগঠনগুলো সংগঠিত ও সক্রিয় হচ্ছে। কঙ্বাজারে একজন রোহিঙ্গা জঙ্গি নেতাকে বৈঠক করার সময় আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলাসহ বিভিন্ন সংঘাতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে খোদ রাজধানীতেই ঘটেছে ক্রসফায়ারের ঘটনা।
রাজনৈতিক সহিংসতার সুযোগ নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে ডাকাতির ঘোষণা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষ ডাকাত রুখতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে এ জাতীয় ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতেও। প্রথমত, বিঘি্নত হবে বিনিয়োগ। দেশি ও বিদেশি নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বেই। বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হলে উৎপাদন কমবে। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না।দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে হবে। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনো মহল যেন দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের বিকল্প এ মুহূর্তে নেই।
©somewhere in net ltd.