![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তারা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতাসীন হয়েছে। গল্পটির সেখানেই শেষ ছিল না, যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর, জঙ্গিবাদ দমন, প্রগতিশীল রাজনীতি টিকিয়ে রাখা, সর্বোপরি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দলটি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন রয়েছে। গত জানুয়ারির আগে এই তত্ত্বের সমর্থক দলদাস বুদ্ধিজীবিরাও মুখে ফেনা তুলে ফেলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বার ক্ষমতাসীন দেখতে। এজন্য তারা একটি অনুগত নির্বাচন কমিশন, প্রায় ভোটারবিহীন নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন ১৫৩ টি আসন - জাতীয় নির্বাচনে এতগুলো অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক ঘটনা উপেক্ষা করে গেছেন। এই তত্ত্বের সমর্থকরা প্রচার করেছিলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচিত না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। সে কারনেই তাঁর হাতে উন্নয়নের ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ শুরু করতে পুন:নির্বাচিত হওয়া একান্ত জরুরী। কিন্তু এই তত্ত্বের মস্ত দুর্বলতা হচ্ছে, ইতিহাসের শিক্ষা। এই রাষ্ট্রের জন্মের পরপরই আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বিপ্লবের আকাঙ্খায় জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল এবং দল হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছিল বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগে (বাকশাল)। ইতিহাসের সব ভুল হয়তো একইরকম ফল বয়ে আনে না, তাই বলে ইতিহাসের শিক্ষাকে মূল্যহীন মনে করায় বারংবার একই ভুল করতে উৎসাহ জোগায়।
১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন কায়েম করার পথে আওয়ামী লীগ সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে মোজাফ্ফর), ত্রিদলীয় ঐক্যজোট নামে খ্যাত এই দলগুলো উত্তরকালে বাকশালে লীন হয়ে গিয়েছিল। চলতি দৃশ্যপটটির সেকালের বেশকিছু মিল-অমিল রয়েছে। এবারে কোন একদলীয় শাসন ঘোষণা করা হয়নি, তবে একটি একক নির্বাচন, গৃহপালিত একটি বিরোধী দল, ১৪টি নাকি ১৩টি দল নিয়ে একটি মহাজোট, কথিত বিরোধী দল থেকে মন্ত্রীসভায় অংশগ্রহন, একের পর এক সংবিধান সংশোধন এবং গণবিরোধী কালা-কানুনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার অবিরাম প্রচেষ্টায় রত রয়েছে ক্ষমতাসীনরা। অপরদিকে, অন্যদলগুলোকে নিষিদ্ধ না হলেও যে কোন ইস্যুতে রাস্তায় নামলেই রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো দিয়ে আক্রমন, গ্রেফতার, মামলা-সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কোন আন্দোলনই এখন আর গণতান্ত্রিক ধারায় নেই। বদলে হয়ে উঠছে ক্রমাগত রক্তাক্ত ও সহিংস। এর সবচেয়ে বড় শিকার নিরীহ জনগন। আর বেনিফিশিয়ারি ক্ষমতাসীনরা বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা চেষ্টারত। অঘোষিত একদলীয় শাসন এবং ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ সফল করতে ক্ষমতাসীনদের সবচেয়ে জরুরী এজেন্ডা হচ্ছে, বিএনপিকে দল হিসেবে কোনঠাসা রাখা, বিভক্ত ও উপদলীয় কোন্দলে লিপ্ত রাখা, মাঠের আন্দোলনে নামতে না দেওয়া এবং জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। ক্ষমতাসীনরা ইতিমধ্যেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, জামায়াতকে বিএনপির কাছ থেকে দুরে রাখতে পারলে শুধু বর্তমান মেয়াদেই নয়, পরবর্তী মেয়াদেও তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
একটি ভূখন্ড রাষ্ট্র হয়ে উঠতে কত সময় লাগে? সমাজতত্ববিদদের কাছে সম্ভবত: এর উত্তর থাকতে পারে। জনগনের কাছে এর এখনও কোন উত্তর নেই। তেতাল্লিশ বছর ধরে এই জাতি রাষ্ট্র গঠনে, রাষ্ট্র হয়ে ওঠার লড়াই চালাচ্ছে। লড়ে যাচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মানে। যেখানে থাকবে মত প্রকাশ, নেতৃত্ব নির্বাচন ও মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। রাষ্ট্রের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ সেটিই বলছে, “প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে”। রাষ্ট্র, সরকার, রাজনীতিক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গত তেতাল্লিশ বছর ধরে সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি দলিত-মথিত হচ্ছে, জনগনের অধিকার নিস্পিষ্ট হচ্ছে প্রতি মূহুর্তে। তেতাল্লিশ বছরে মোটা দাগে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে, দাবি করা হয়। বিপরীতে দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করছে আদর্শহীন, একনায়কতান্ত্রিক ও ভঙ্গুর রাজনীতি। যে রাজনীতি ক্রমাগত গননির্যাতন ও গননিপীড়নের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
দুই দশকে বিশ্বায়নের প্রভাবে মুক্তবাজার অর্থনীতির দরজা খুলছে, পাল্লা দিয়ে রাজনীতি নিয়েছে নীতিভ্রষ্ট চেহারা। দুর্বল হয়ে পড়েছে আদর্শিক রাজনীতি। পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের উত্থান এর সবচেয়ে বড় উদাহরন। সুতরাং এই নীতিভ্রষ্ট, ভঙ্গুর ও দুর্বল রাজনীতির পক্ষে বিশ্বায়নের প্রভাবে সৃষ্ট বিদেশী চাপ উপেক্ষা বা মোকাবেলা করে সত্যিকারের জনআকাঙ্খার সমার্থক হয়ে উঠছে না এই রাষ্ট্র বা সরকার। জানাই রয়েছে আদর্শ ও জনআকাঙ্খা ধারন করতে পারা সক্ষম রাজনীতি কেবল পারে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃৃষ্টি করতে। বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হাঁটছে ঠিক এর উল্টোপথে। গণতন্ত্রের কথা, ন্যায্যতার কথা, জনগনের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি এমনকি জাপা নেতৃত্বও। এদের কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, দেশে তো দুরে থাক তাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্র রয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, নেতার কথা অন্য্য্যা হলে প্রতিবাদের সুযোগ আছে? এক কথায় এর উত্তর হচ্ছে, না নেই, কোনভাবেই নেই।
গত তেতাল্লিশ বছরেও এই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র দাঁড়ায়নি। আর দাঁড়ায়নি বলে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোও দাঁড়ায়নি। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, অডিটর এ্যান্ড কম্পেট্রোলার জেনারেলের অফিস, সচিবালয়-যেখানেই চোখ রাখা হবে সব জায়গায় মিলবে দলীয় চেহারা। দুভার্গ্যক্রমে বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রভাব নিয়ে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। দল বা প্রভু বদলের ঘটনা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে পরে ঘটছে বটে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানে দলতন্ত্র ও দলদাসদের বিদায় ঘটছে না। তাহলে প্রজাতন্ত্র কিভাবে গণতন্ত্রী হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক দলগুলো যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা আক্রান্ত হয়ে পড়ছে দুর্নীতি, আত্মীয়তন্ত্র ও নীতিহীনতার ক্ষয়রোগে। গণতান্ত্রিক নীতি আদর্শের বদলে দলগুলো হয়ে পড়ছে ব্যক্তি ও পরিবারমুখী। এই নীতিহীনতা ও অযোগ্যতা আঘাত করছে জনগণের রাষ্ট্র হয়ে ওঠাকে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায্যতা নিয়ে দাঁড়াতে পারছে না। রাজনীতির নীতিহীনতা ও অযোগ্যতা ছড়িয়ে পড়ছে আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে। অধিক সংখ্যক মানুষের রাষ্ট্র হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সংগ্রাম আর অজস্্র আত্মদানের মধ্য দিয়ে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রজাতন্ত্র গণতন্ত্র হয়ে উঠতে পারেনি। শুরু থেকে বিভাজিত ও বিদ্বেষপূর্ণ এই রাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট এখন এই রাষ্ট্রকে ক্রমশ: করে তুলছে ভারবাহী। মোটা দাগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যা কিছু অর্জন থাকুক না কেন, রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের কারনে সবকিছু ছত্রখান হয়ে পড়ছে। এত সংগ্রামের পরেও একটি সুষ্ঠ নির্বাচন কিভাবে হবে, সরকারের পালাবদল কিভাবে হবে, অত:পর কি হবে-অনিশ্চয়তার এই খড়গ গোটা জাতির মাথার ওপর ঝুলে রয়েছে।
কারনটি অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই ভূখন্ডের মানুষের নৃতাত্ত্বিক ও সামাজিক চরিত্রের অতীত বিশ্লেষণ ফিরে আসছে। দুর্ভাগ্যক্রমে তার বেশিরভাগটাই নেতিবাচক। তাহলে কি সেটিই মেনে নিতে হবে? বাঙালীর চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লর্ড মেকলে লিখেছিলেন, “Large promises, smooth excuses, elaborate tissues of circumstantial falsehood, chicanery, perjury, forgery are the weapons offensive and defensive of the people of the lower ganges.” (বড় প্রতিশ্রুতি, মিথ্যা অজুহাত, জালিয়াতি, প্রতারনা, শপথ ভঙ্গ এ এলাকার মানুষের এগুনো ও পেছানোর অন্যতম অস্ত্র)। একজন সমাজতত্ত্ববিদের ভাষায়, “বাঙালিরা সাধারণভাবে সৌন্দর্যপ্রিয়, ভাবালুতায় আক্রান্ত, স্পর্শকাতর, আরামপ্রিয়, চাটুকারিতাপ্রিয় ও নিয়তিতে বিশ্বাসী। অন্যদিকে, পরশ্রীকাতর, অদুরদর্শী, ভীরু. কলহ-প্রিয়, ষড়যন্ত্রকারী, বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞ। প্রখ্যাত কবি ও সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার বলছেন, বাঙালিরা শঙ্কর জাতি হওয়ার কারণে এসব বৈশিষ্ট বিরাজমান।
দেশী-বিদেশী বিজ্ঞজনরা এতসব বিশেষণ ব্যবহার করলেও বাঙালির জাতিগত বৈশিষ্ট্যে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক দ্রোহ আর সংগ্রামের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে জাতি দেশ স্বাধীন করেছে, মুক্তির আকঙ্খায় জেগে উঠেছে বার বার, দশকের পর দশক-সেগুলোর সাথে তো উপর্যুক্ত বিশেষণ কতটা মানানসই? বলা যায় বাঙালী নেতৃত্ব জীবন সংগ্রামে অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করলেও বিপদ কেটে গেলে সেই আবার জাতিগত নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক বিভাজনই সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠার কারনে কল্যাণ রাষ্ট্রের দেখা মেলেনি। আমরা তো জানিই না, এই রাজনৈতিক নেতৃত্ব কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে এই ভূখন্ডকে অধিকতর মানুষের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবেন? যেখানে প্রজাতন্ত্র হবে একটি গণতন্ত্র। যারা আক্ছার একে অপরের বিরুদ্ধে বিষেদগার, হিংসা, হিংস্রতা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার বা ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছাকে লালন করে থাকেন, তারা কি করে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলবেন? অনেক দেশের রাজনীতি সংঘাত ছেড়ে সমঝোতার পথে হাঁটছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে তাকালে এটি পরিষ্কার বোঝা যাবে। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মিয়ানমার এমনকি পাকিস্তানেও অভ্যন্তরীন রাজনীতি বৈরীতা কাটিয়ে সমঝোতার পথেই হাঁটছে। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক বৈরীতা এই পর্যায়ে পৌছেছে যে, রাষ্ট্রের মৌলিক বিষয়গুলো খন্ডিত হচ্ছে বারবার। তারপরেও আশার কথা হচ্ছে, আমাদের অদম্য সাধারণ মানুষ নিজস্ব উদ্যমে, ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টায় অমিত সম্ভাবনা জাগিয়ে রাখছে। অর্থনীতির একটি ভিত গড়ে তুলতে রাজনীতিকদের ভরসা করছে না তাঁরা।
জরুরি প্রশ্নটি হচ্ছে, ব্যাক্তি মানুষের অর্জন একটি কল্যান রাষ্ট্র গঠন করে? রাজনীতির কাজটি হচ্ছে, ব্যাক্তির এই প্রচেষ্টা যুথবদ্ধ করে গনতান্ত্রিক সমাজ সৃষ্টি করা, বিভাজনের ক্ষতকে মুছে ফেলে সমঝোতা ও ঐক্যের পথে হাঁটা। আমরা কেউই জানি না, পরিবারমুখী, অগনতান্ত্রিক এই রাজনৈতিক দলসমুহ, যারা প্রতিশোধ স্পৃহায় ব্যাকুল, তারা কিভাবে বাংলাদেশকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে আগামীর পথে পরিচালনা করবেন? বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলো লড়াইয়ের ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে বানিজ্য ও অর্থনীতিকে। বিশ্ব রাজনীতির এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাজনীতি কি সংঘাতের পথেই হাঁটতে থাকবে!
(শাহাদত হোসেন বাচ্চু,আমাদের বুধবার, তারিখ: অক্টোবর ২৮, ২০১৪
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৭
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: সঠিক বলছেন, ধন্যবাদ @দীঘল গঁাােয়র েছেল
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
দীঘল গঁাােয়র েছেল বলেছেন: প্রতিহিংসা দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না বরং পতন তরান্বিত করে।