![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
হ্যাঁ, চলেই গেলেন স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন, তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের রূপকার ও স্থপতি। তাঁর সম্পর্কে পারিবারিক ইতিহাসের একটি অংশ বলা হচ্ছে না, হয়তো হবেও না কিন্তু আমরা খন্ডিত ইতিহাস চাই না।
অত্যন্ত গর্বের সাথে বলছি, সৈয়দ মইনুল হোসেন ছিলেন ‘ঘুমিয়ে আছেন শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে’ প্রবাদবাক্যে রূপ পাওয়া এ কবিতার লেখক, বিশ্বনবী’র রচয়িতা কবি গোলাম মোস্তফার নাতি ছেলে। এ কবির বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার মনোহরপুর গ্রামে। বিটিভি’র নন্দিত শিশুতোষ অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়ি’র থিম সং এর সুরকার ও গীতিকার ছিলেন গোলাম মোস্তফা।
কবি গোলাম মোস্তফার ছোট মেয়ে রাশিদা হকের ছেলে স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। আর তাঁর মামা প্রখ্যাত শিল্পী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক একের ভেতর বহু গুণের অধিকারী মুস্তাফা মনোয়ার। আরেক মামা প্রখ্যাত স্কেচ শিল্পী মুস্তাফা আজিজ। যার শিল্পকর্ম জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে, গ্রামেও আছে চিত্রশালা, দুর্ভিক্ষকবলিত আর অনাহারী মানুষের মুখ দু এক টানেই তুলে আনতেন নিজের ক্যানভাসে। আনোয়ার হোসেন নামে তাঁর এক মামা ছিলেন পাইলট। খালা হাসনা, হেনা সহ অন্যরাও ছিলেন স্ব স্ব গুণের অধিকারী, ঢাকার মৌচাকে মনিমুকুর নামে গানের স্কুল রয়েছে। সৈয়দ মইনুলের খালাত বোন ফাহ্মিদা মজিদ মঞ্জুও কবি, আরেক বোন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির লেকচারার, তিনিও কাজ করেন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে। অর্থাৎ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বিভিন্ন প্রতিভার অধিকারী এই পরিবার। এসবের কিছুই কি আসবে না গণমাধ্যমে?
এর পরের বর্তমান অংশ হচ্ছে...এখন বা আজ( ১০ নভেম্বর,২০১৪ইং) সৈয়দ মইনুল হোসেন এঁর মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে যা বলা হচ্ছে......জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহে রাজিউন)। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইনিষ্টিটিউট হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়ে ছিলো ৬২ বছর।জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নকশা করেন এই প্রকৌশলী। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সৈয়দ মইনুল হোসেন ৩৮টি বড় বড় স্থাপনার নকশা করেন।স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেনের জন্ম ১৯৫২ সালের ৫ মে। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ীর দামপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম মুজিবুল হক। ১৯৭০ সালে তিনি ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগে। ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি আর্জন করেন।১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগ মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে এর নকশা আহ্বান করেন। অন্যদের মতো স্থপতি মইনুল স্মৃতিসৌধের নকশা জমা দেন। ১৭-১৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে তিনি প্রথম হয়ে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার পান। তার করা নকশা অনুসারে সাভারে নির্মিত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌ
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৯
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা এই গুণিনের জন্য।
উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
সহমত!!!
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০
ভরকেন্দ্র বলেছেন:
ওনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি...।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
শাহ আজিজ বলেছেন: মডেলটি নিয়ে এসেছিলেন আমাদের হলে স্প্রে করে ছাইরং করবেন বলে। বাকপটু মইনুল ভাইয়ের সাথে জমিয়ে ঝাড়া ২ ঘণ্টা আড্ডা দিলাম। কত তথ্য দিলেন। চা খেলাম ঝুপড়িতে। ওই মডেলটা একটু ভিন্ন মাত্রার ছিল এবং আমি মনে মনে ভাব্লাম এটা বাদ যাবে। কিন্তু সেই বাদ পড়া মডেলটিই সিলেক্ট হল। প্রবাসে চলে যাবার কারনে মইনুল ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পরে জানলাম তিনি সেচ্ছাবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন ।
মাজহারুল ইসলামের পর মইনুল আমার তালিকায় ছিল। অসময়ে চলে গেল, বিদায় তোমায়!!
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: উনার পরিবার সম্পর্কে জেনে ভাল লাগল
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: ধন্য
বাদ @আমি তুমি আমরা
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: ধন্যবাদ@শাহ আজিজ
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: সামুর নির্বাচিত পাতায় আমার এই লেখাটি প্রকাশ হলো....
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
আরুশা বলেছেন: দুখজনক । শ্রদ্ধা গুনী এই ব্যক্তির জন্য +++++্
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
আব্দুর রহমান মিল্টন বলেছেন: ধন্যবাদ @আরুশা
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা এই গুণিনের জন্য।
উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।