১২টি ঘন্টা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৬

মিম্মা সুলতানা মিতা

কোনো এক মগ্নতায় ঘুম ভেঙ্গে ছুটে যায়
প্রভাত ফেরী বলে উঠতে হবে
কর্ম ব্যস্ততা দিনোমানের কথিত চক্র
পার হতে হবে আবার একটানা ১২টা ঘন্টা
একি! পা যেন অবশ, চলিতে চাইনা।
এ বিরাট শরীরের ভার যেন সে আর বইবেনা।
হাত দুটি নিথর বলে কোনো কাজ তারা করবেনা।
চোখের জৌতি বিমর্ষ, দেখবোনা বলে কাতর।
কান দুটি শুনতে চাইনা কোনো স্পন্দন।
বুকের ভিতর কল্কব্জাগুলো ডুকরে কাদে।
নাক সর্দি জমিয়ে রেখেছে পাছে শ্বাস নিতে হয়।
মাথার ঘেলু টগবগ করে ফুটছে।
যেন জলন্ত আগুনের স্ফুলিঙ্গ।
পেট বলে দাও আহার?
আমি ত্বরিত উঠি!
সেই হাত, পা, নাক, কান, বুকের বিশাল স্তম্ভ নিয়ে।
পা দুটিকে মারি চাবুক অশ্বরোহীর মতন।
হাত দুটি ভয়ে বলে করি সব কাজ।
চোখ বলে ভয় নেই আছি পথ দেখাতে তোমার।
কান ও বাধ্য হয়ে শোনে সব কিছু
বুকের কলকব্জা গুলির সেই নড়বড়ে চলন।
সারাদিনোমান ধান ভাঙ্গা মেশিনের ঘড়ত ঘড়ত শ্বব্দ।
মুখে এক তীব্র যন্ত্রনার হাসি,
যে হাসি সবাইকে বলে খুব ভাল আছি।
শুধু বয়ে চলা অনন্তহীন আবার ১২টি ঘন্টা,
ফুরিয়ে গেল দিন, আমি ভাল আছি।
এই একটি কথা চোখের তারায় অবসাদ,
নির্ভাবনায় গা ভাষায় শপ্নের বুকে,
পরবর্তী আর একটি দিনের গন্তব্যে।

৪ টি +১/-০